সহায়তার ক্ষেত্র বুঝতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১: ৪২

অন্তর্বর্তী সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, বিচারব্যবস্থাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সংস্কার আনার কথা বলছে, তাতে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা দিতে চায়। এ সহায়তা কোন কোন ক্ষেত্রে কীভাবে দেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে কথা বলতে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল গতকাল শনিবার ঢাকায় পৌঁছেছে।

মার্কিন সরকারের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত এই দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী ডোনাল্ড লু ও অর্থ বিভাগের সহকারী মন্ত্রী ব্রেন্ট নেইম্যান। 

স্থানীয় কর্মকর্তারা বলছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিরাজমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও ডলার-সংকটের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার এগিয়ে নিয়ে কী করে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করা যায়, সে বিষয়গুলো আজ রোববার মার্কিন প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় আসতে পারে। 

প্রতিনিধিদলটি আজ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দীন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করবে। 

সরকারের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিনিধিদলটি গতকাল বাংলাদেশে বিনিয়োগ আছে, এমন বিভিন্ন মার্কিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে। 

ব্রেন্ট নেইম্যান স্থানীয় একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচ্যাম) আয়োজনে এক বৈঠকে জানতে চান, এখানে ব্যবসার বাধাগুলো কী কী? আর নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যবসার পরিবেশে কিছু পরিবর্তন শুরু হয়েছে কি না। বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী বড় ১০টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

অ্যামচ্যাম প্রেসিডেন্ট সৈয়দ আরশাদ আহমেদ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের জানান, মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা বলেছেন, নিয়ম মেনে এখানে ব্যবসা করতে গেলে করের বোঝা বেশি পড়ে। সরকারি বিভিন্ন সিদ্ধান্ত পেতে সময়ও বেশি লাগে। বিনিয়োগের সামগ্রিক পরিবেশ নেতিবাচক। ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সুশাসনের মারাত্মক অভাব আছে। আইনশৃঙ্খলা খারাপ। বন্দর ব্যবস্থাপনা ও বিমানবন্দরের কার্যক্রমে অগ্রগতি কম। এতে ব্যবসা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। 

তবে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এনবিআরে সীমিত ইতিবাচক পরিবর্তন শুরু হয়েছে, এমনটাও জানান তাঁরা। 

মার্কিন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা জানান, শেভরন, মেটলাইফ, মাইক্রোসফট, কোকাকোলা, জেনারেল ইলেকট্রনিকসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সরকারের কাছে তাদের পাওনা অর্থ ও ব্যবসার লভ্যাংশ বাংলাদেশ থেকে পাঠাতে পারছেন না। 

ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত হেলেন লাফেভসহ অন্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

চট্টগ্রামে নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে গুজব

ববির ট্রেজারার সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে যোগদানে বাধা

বিগত সরকারে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ক্ষতিপূরণ দিতেই যাবে শতকোটি টাকা

দুই দিনে ৭ ব্যাংককে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকা দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেননি রয়টার্সের প্রতিবেদক: সিএমপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত