ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
অভাবনীয় দ্রুততার সঙ্গে আফগানিস্তানের অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। গত রোববার দেশের প্রধান শহর কাবুল এবং তার আগে জালালাবাদের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। মাত্র কয়েক সপ্তাহে তালেবানের এ সাফল্যে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলরা ছাড়া সবাই নানা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। দুই দশক অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করছে। আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়ে বাংলাদেশের অনেকে খুশিতে মেতে উঠছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। এ দৃশ্য দেখে অনেকেই আশঙ্কা করছেন দেশে আবার জঙ্গিবাদের উত্থান হতে পারে।
বাংলাদেশ তো আফগানিস্তান থেকে অনেক দূরের একটি দেশ। বরং আমাদের দেখা দরকার কী ধরনের সরকার আফগানিস্তানে আসতে পারে! এবং সেই সরকার এলে বোঝা যাবে কী ধরনের প্রভাব এ দেশে বা বিশ্বে তৈরি হবে। ২০ বছর আগের তালেবান আর এখনকার তালেবানের সঙ্গে আমরা একটি পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান তালেবান অনেক পরিপক্ব হয়েছে, রয়েছে সম্ভাবনা। তারা অন্য দেশের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রাখবে বলে মনে করি। কারণ তারা ক্ষমতা দখলের আগে বিভিন্ন সমঝোতায় গিয়েছে। তারা ইরান, কাতার, চীনে বৈঠক করেছে। তাতেই প্রমাণ হয় ২০ বছর আগের তালেবানের সঙ্গে বর্তমান তালেবানের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
দুই দশকে আমেরিকা পুরো আফগানিস্তান দখলে নিতে পারেনি। অনেকেই বলছে, ৬০ ভাগের বেশি জায়গা তালেবানের দখলে ছিল। বর্তমানে বলতে গেলে বিনা রক্তপাতে তারা কাবুলে ক্ষমতা দখল করেছে, তাতে মনে হয় তারা দেশের সার্বিক উন্নয়নের দিকে নজর দেবে। কারণ ২০ বছরে তাদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়া দরকার।
দেশে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী উত্থানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের একটি গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকে। একসময় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলেই এ দেশে তার প্রতিক্রিয়া দেখতে পেয়েছি। কিন্তু বর্তমান সরকারের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ভূমিকার কারণে সেটা সম্ভব হবে না বলে মনে করি। কারণ হোলি আর্টিজানে হামলার পরে সরকারের একটি শিক্ষা হয়েছে। তারপর থেকে তারা তৎপর হয়ে উঠেছে জঙ্গিবাদ দমনে।
আমাদের সংবাদমাধ্যমকে আরও সচেতন হওয়া দরকার। সংবাদ পরিবেশনে ‘বাংলাদেশে তালেবান’ শব্দগুলো বারবার উচ্চারিত হলে তা জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থানে সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমকে সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত।
অভাবনীয় দ্রুততার সঙ্গে আফগানিস্তানের অবস্থার পরিবর্তন ঘটছে। গত রোববার দেশের প্রধান শহর কাবুল এবং তার আগে জালালাবাদের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। মাত্র কয়েক সপ্তাহে তালেবানের এ সাফল্যে তাদের প্রতি সহানুভূতিশীলরা ছাড়া সবাই নানা উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। ভবিষ্যতে কী হবে, তা নিয়ে শঙ্কা আছে। দুই দশক অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করছে। আফগানিস্তানে তালেবানের বিজয়ে বাংলাদেশের অনেকে খুশিতে মেতে উঠছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়। এ দৃশ্য দেখে অনেকেই আশঙ্কা করছেন দেশে আবার জঙ্গিবাদের উত্থান হতে পারে।
বাংলাদেশ তো আফগানিস্তান থেকে অনেক দূরের একটি দেশ। বরং আমাদের দেখা দরকার কী ধরনের সরকার আফগানিস্তানে আসতে পারে! এবং সেই সরকার এলে বোঝা যাবে কী ধরনের প্রভাব এ দেশে বা বিশ্বে তৈরি হবে। ২০ বছর আগের তালেবান আর এখনকার তালেবানের সঙ্গে আমরা একটি পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি। বর্তমান তালেবান অনেক পরিপক্ব হয়েছে, রয়েছে সম্ভাবনা। তারা অন্য দেশের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক রাখবে বলে মনে করি। কারণ তারা ক্ষমতা দখলের আগে বিভিন্ন সমঝোতায় গিয়েছে। তারা ইরান, কাতার, চীনে বৈঠক করেছে। তাতেই প্রমাণ হয় ২০ বছর আগের তালেবানের সঙ্গে বর্তমান তালেবানের যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে।
দুই দশকে আমেরিকা পুরো আফগানিস্তান দখলে নিতে পারেনি। অনেকেই বলছে, ৬০ ভাগের বেশি জায়গা তালেবানের দখলে ছিল। বর্তমানে বলতে গেলে বিনা রক্তপাতে তারা কাবুলে ক্ষমতা দখল করেছে, তাতে মনে হয় তারা দেশের সার্বিক উন্নয়নের দিকে নজর দেবে। কারণ ২০ বছরে তাদের যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে নেওয়া দরকার।
দেশে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী উত্থানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের একটি গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতা থাকে। একসময় পৃষ্ঠপোষকতা ছিল বলেই এ দেশে তার প্রতিক্রিয়া দেখতে পেয়েছি। কিন্তু বর্তমান সরকারের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ভূমিকার কারণে সেটা সম্ভব হবে না বলে মনে করি। কারণ হোলি আর্টিজানে হামলার পরে সরকারের একটি শিক্ষা হয়েছে। তারপর থেকে তারা তৎপর হয়ে উঠেছে জঙ্গিবাদ দমনে।
আমাদের সংবাদমাধ্যমকে আরও সচেতন হওয়া দরকার। সংবাদ পরিবেশনে ‘বাংলাদেশে তালেবান’ শব্দগুলো বারবার উচ্চারিত হলে তা জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থানে সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যমকে সচেতনভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস) নিয়োগ পরীক্ষার সিলেবাস বদল হচ্ছে। এই সিলেবাসকে যুগোপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এ জন্য গঠিত কমিটি কাজও শুরু করেছে। কমিটির কাজ শেষে অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে পরিমার্জিত সিলেবাস চূড়ান্ত করা হবে।
১ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগ সরকারের পতন শেষে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর রাজপথে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের যেন শেষ নেই। এসব সামলানোর পাশাপাশি নামে-বেনামে বিভিন্ন সংগঠনের অহেতুক হস্তক্ষেপে কাজ করতে পারছে না পুলিশ। বাহিনীর কর্মকর্তারাই সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন এই পরিস্থিতির কথা। তবে পুলিশের কাজে যারা বাধা দিচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এবং দেশে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে উগ্রপন্থী তৎপরতা চালানো হচ্ছে—মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান (ডিএনআই) তুলসী গ্যাবার্ডের এমন মন্তব্যের প্রতি গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
২ ঘণ্টা আগে৫ আগস্টের পর থেকে পুলিশের গাড়ির সংকট দেখা দিয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে টহল গাড়ি অন্যদের কাছ থেকে ধার করে চালাতে হচ্ছে, যা পরবর্তীতে অনৈতিক তদবিরের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাওয়ে প্রধান উপদষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এমনটি জানান চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের...
৩ ঘণ্টা আগে