সাজ্জাদ মাহমুদ খান, ঢাকা
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাহিনীর সদস্যদের আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিকার খুঁজতে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি কীভাবে হবে, তা-ও এই গবেষণা উঠে আসবে। এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে পুলিশের যেসব সদস্য আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের বিস্তারিত এবং এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু গবেষণা করে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে না। এ জন্য গবেষণার মাধ্যমে যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত হবে, সেগুলো সমাধানে কর্মকর্তাদের সচেতন হতে হবে।
গবেষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে পুলিশের গবেষণা ও উন্নয়ন সেল গবেষণা করছে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসীর মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ আত্মহত্যাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। আগে থেকে সঠিক ব্যবস্থা নিলে আত্মহত্যার এই প্রবণতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পুলিশের গবেষণায় আত্মহত্যার কারণগুলো উঠে এলে সেই অনুযায়ী বাহিনীর সদস্যদের নিয়মিত কাউন্সেলিং এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসিকভাবে দক্ষ ও ইতিবাচক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে।
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে পুলিশের চারজন সদস্য আত্মহত্যা করেন। তাঁরা তুলনামূলকভাবে পুলিশের তরুণ সদস্য ছিলেন। বয়স ২২ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। পরিবার থেকে দূরে থাকা, অতিরিক্ত ডিউটি, ছুটি কিংবা পদোন্নতি না পাওয়ায় মানসিক হতাশা আত্মহত্যার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তিদের স্বজন ও সহকর্মীরা। পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ‘মানসিক অবসাদে পুলিশ’ ও ‘ছুটি পায় না পুলিশ’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সম্প্রতি দুইটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর বিধিমোতাবেক পুলিশের সব সদস্যকে ছুটি দিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব ইউনিটে চিঠি পাঠানো হয়।
এবার নেওয়া হলো গবেষণার উদ্যোগ। এর অংশ হিসেবে ৬ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো চিঠিতে ছক আকারে ১৩টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে। পারিবারিক কলহ, পদোন্নতি বঞ্চনা, প্রেমে ব্যর্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কোনো সদস্য আত্মহত্যা করে থাকলে সেটা নির্দিষ্ট করে লিখতে বলা হয়েছে। কীভাবে এবং কোথায় আত্মহত্যা করেছে, সে ব্যাপারেও বর্ণনা দিতে বলা হয়েছে।
আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির স্বজন-সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলাসহ তদন্তে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতিরিক্ত কাজের চাপসহ বিভিন্ন কারণে পুলিশের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ে। মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। মানসিক চাপ নিয়ে কাজও সঠিকভাবে করা যায় না। পুলিশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আগেও গবেষণা হয়েছে। পুলিশের আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণার বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে গবেষণার পর যে সমস্যাগুলো উঠে আসে, সেগুলোর সমাধানের কাজ করতে হবে। তবেই গবেষণার সার্থকতা।
সাম্প্রতিক সময়ে পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে বাহিনীর সদস্যদের আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিকার খুঁজতে গবেষণার উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি কীভাবে হবে, তা-ও এই গবেষণা উঠে আসবে। এরই মধ্যে ২০১০ সাল থেকে পুলিশের যেসব সদস্য আত্মহত্যা করেছেন, তাঁদের বিস্তারিত এবং এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার সর্বশেষ অবস্থা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোতে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু গবেষণা করে পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে না। এ জন্য গবেষণার মাধ্যমে যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত হবে, সেগুলো সমাধানে কর্মকর্তাদের সচেতন হতে হবে।
গবেষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আত্মহত্যার কারণ ও প্রতিকার নিয়ে পুলিশের গবেষণা ও উন্নয়ন সেল গবেষণা করছে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মুনতাসীর মারুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেশির ভাগ আত্মহত্যাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। আগে থেকে সঠিক ব্যবস্থা নিলে আত্মহত্যার এই প্রবণতা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। পুলিশের গবেষণায় আত্মহত্যার কারণগুলো উঠে এলে সেই অনুযায়ী বাহিনীর সদস্যদের নিয়মিত কাউন্সেলিং এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসিকভাবে দক্ষ ও ইতিবাচক হিসেবে গড়ে তুলতে পারলে সমস্যার সমাধান হবে।
গত জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, এই তিন মাসে পুলিশের চারজন সদস্য আত্মহত্যা করেন। তাঁরা তুলনামূলকভাবে পুলিশের তরুণ সদস্য ছিলেন। বয়স ২২ থেকে ৩৪ বছরের মধ্যে। পরিবার থেকে দূরে থাকা, অতিরিক্ত ডিউটি, ছুটি কিংবা পদোন্নতি না পাওয়ায় মানসিক হতাশা আত্মহত্যার কারণ হিসেবে জানিয়েছেন মৃত ব্যক্তিদের স্বজন ও সহকর্মীরা। পুলিশের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে ‘মানসিক অবসাদে পুলিশ’ ও ‘ছুটি পায় না পুলিশ’ শিরোনামে আজকের পত্রিকায় সম্প্রতি দুইটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর বিধিমোতাবেক পুলিশের সব সদস্যকে ছুটি দিতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব ইউনিটে চিঠি পাঠানো হয়।
এবার নেওয়া হলো গবেষণার উদ্যোগ। এর অংশ হিসেবে ৬ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের পাঠানো চিঠিতে ছক আকারে ১৩টি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে। পারিবারিক কলহ, পদোন্নতি বঞ্চনা, প্রেমে ব্যর্থতা কিংবা অন্য কোনো কারণে কোনো সদস্য আত্মহত্যা করে থাকলে সেটা নির্দিষ্ট করে লিখতে বলা হয়েছে। কীভাবে এবং কোথায় আত্মহত্যা করেছে, সে ব্যাপারেও বর্ণনা দিতে বলা হয়েছে।
আত্মহত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। মৃত ব্যক্তির স্বজন-সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলাসহ তদন্তে আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে বলেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, অতিরিক্ত কাজের চাপসহ বিভিন্ন কারণে পুলিশের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ে। মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। মানসিক চাপ নিয়ে কাজও সঠিকভাবে করা যায় না। পুলিশের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আগেও গবেষণা হয়েছে। পুলিশের আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে গবেষণার বিষয়টি অবশ্যই ইতিবাচক। তবে গবেষণার পর যে সমস্যাগুলো উঠে আসে, সেগুলোর সমাধানের কাজ করতে হবে। তবেই গবেষণার সার্থকতা।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক ১৮৭ জন পুলিশ সদস্যের বেতন বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। একই সঙ্গে তাঁদের বিরুদ্ধে অন্যান্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে থানায় মামলা করা হচ্ছে। এমনকি তাঁদের গ্রেপ্তারে আলাদা টিমও গঠন করেছে পুলিশ।
১০ মিনিট আগেযুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ: গণতন্ত্র ও মানবাধিকার সংকট’ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. এম সাখাওয়াত হোসেন শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্ট দেশত্যাগ না করলে বিক্ষুব্ধ জনতার সহিংসতার শিকার হতে পারতেন হাসিনা। বিস্তারিত জানুন এই
২ ঘণ্টা আগেদেশে বর্তমানে সরকারি চাকরিজীবীর সংখ্যা সাড়ে ১৫ লাখের মতো। তাদের সবাইকে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সম্পদের হিসাব বিবরণী জমা দিতে হবে। তবে এরপর প্রতিবছর ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা জমা দিতে হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে গত ১ সেপ্টেম্বর এমনটাই জানানো হয়েছে।
১২ ঘণ্টা আগেফরিদপুরের মল্লিকপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে খাগড়াছড়ি পরিবহন ও গ্রিন এক্সপ্রেস বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষের দুর্ঘটনাস্থলকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা বারংবার দুর্ঘটনাপ্রবণ স্থান হিসেবে চিহ্নিত করেছে জাতীয় তদন্ত কমিটি। মৃতুফাঁদে পরিণত ওই সড়কটির কাঠামোগত ত্রুটি সারানোসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করে জরুরি ভিত্তিতে তা বাস্তবায়নের
১৩ ঘণ্টা আগে