নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময় সামরিক অফিসার হত্যাকাণ্ড, বিগত বছরগুলোতে অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িতদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অন্যায় যারা করেছে তারা কিন্তু শাস্তি পাবে। শাস্তি পেয়েছে, পাচ্ছে, পাবে। আরও যারা বাকি আছে সেটা (বিচার) আমরা অবশ্যই করব।’
আজ মঙ্গলবার গণভবনে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নিহত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পরিবার, বিগত বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে অগ্নিদগ্ধ, আহত এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এরপরও কী করে এদের পাশে লোক থাকে! তাদের জন্য মানুষের কাছে…আমি এটা বুঝে উঠতে পারি না।’
অগ্নিসন্ত্রাস এবং জিয়াউর রহমানের আমলে নিহতদের স্বজনদের সান্ত্বনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও আপনাদের মতো একজন। আমিও একদিন শুনলাম আমার কেউ নেই। আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম, এতিম হয়ে গেলাম। কী বর্বরভাবে আমার বাবা-মা, ভাই সবাইকে হারালাম!’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৭ সালে বিমানবাহিনী, আর্মি কর্মকর্তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার গ্রামেও একজনকে খুঁজে পেয়েছিলাম, তাঁর ছেলেমেয়েদের আমি দেখতাম। এরপর আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম এসব নামধাম জোগাড় করতে। শুরুতে পাওয়া কষ্টকর ছিল। পরে আস্তে আস্তে নামগুলো পাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কী বর্বরতা ১৯৭৫ সালের পরে! প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, আমার ভাই, আত্মীয়স্বজনকে মারল, এরপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করল। এর পর থেকে বারবার সেনাবাহিনীতে যত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার থেকে শুরু করে তাঁদের হত্যা করল। শুধু তাই না, আমাদের আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মীকে হত্যা করল। যখন আমি অপজিশনে ছিলাম, এমন দিন নাই যে লাশ টানতে হয়নি। আমাদের এত নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। তারপরও কী করে এদের পাশে লোক থাকে! তাদের জন্য মানুষের কাছে…আমি এটা বুঝে উঠতে পারি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা যে অপরাধ করেছে তার বিচার হবে। দিনের পর দিন ফাঁসির ঘটনা, আমরা বিদেশে থেকেও এই খবরগুলো শুনতাম। কোনো অপরাধ নেই, ধরে নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দেওয়া। জিয়াউর রহমান তো হাসতে হাসতে মানুষের ফাঁসির রায় লিখত। কোনো বিচার ছিল না।’
পরে প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজন এবং অগ্নিদগ্ধদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাঁদের ঈদ উপহার দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানের আমলে সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ড এবং বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে আলাদা দুটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহতদের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সময় সামরিক অফিসার হত্যাকাণ্ড, বিগত বছরগুলোতে অগ্নিসন্ত্রাসে জড়িতদের বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘অন্যায় যারা করেছে তারা কিন্তু শাস্তি পাবে। শাস্তি পেয়েছে, পাচ্ছে, পাবে। আরও যারা বাকি আছে সেটা (বিচার) আমরা অবশ্যই করব।’
আজ মঙ্গলবার গণভবনে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে নিহত সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পরিবার, বিগত বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে অগ্নিদগ্ধ, আহত এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এ সময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘এরপরও কী করে এদের পাশে লোক থাকে! তাদের জন্য মানুষের কাছে…আমি এটা বুঝে উঠতে পারি না।’
অগ্নিসন্ত্রাস এবং জিয়াউর রহমানের আমলে নিহতদের স্বজনদের সান্ত্বনা দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমিও আপনাদের মতো একজন। আমিও একদিন শুনলাম আমার কেউ নেই। আমরা দুই বোন বিদেশে ছিলাম, এতিম হয়ে গেলাম। কী বর্বরভাবে আমার বাবা-মা, ভাই সবাইকে হারালাম!’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৭ সালে বিমানবাহিনী, আর্মি কর্মকর্তাদের নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আমি আমার গ্রামেও একজনকে খুঁজে পেয়েছিলাম, তাঁর ছেলেমেয়েদের আমি দেখতাম। এরপর আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম এসব নামধাম জোগাড় করতে। শুরুতে পাওয়া কষ্টকর ছিল। পরে আস্তে আস্তে নামগুলো পাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কী বর্বরতা ১৯৭৫ সালের পরে! প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, আমার ভাই, আত্মীয়স্বজনকে মারল, এরপর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করল। এর পর থেকে বারবার সেনাবাহিনীতে যত মুক্তিযোদ্ধা অফিসার থেকে শুরু করে তাঁদের হত্যা করল। শুধু তাই না, আমাদের আওয়ামী লীগের অগণিত নেতা-কর্মীকে হত্যা করল। যখন আমি অপজিশনে ছিলাম, এমন দিন নাই যে লাশ টানতে হয়নি। আমাদের এত নেতা-কর্মীকে হত্যা করেছে, সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। তারপরও কী করে এদের পাশে লোক থাকে! তাদের জন্য মানুষের কাছে…আমি এটা বুঝে উঠতে পারি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এরা যে অপরাধ করেছে তার বিচার হবে। দিনের পর দিন ফাঁসির ঘটনা, আমরা বিদেশে থেকেও এই খবরগুলো শুনতাম। কোনো অপরাধ নেই, ধরে নিয়ে গিয়ে ফাঁসি দেওয়া। জিয়াউর রহমান তো হাসতে হাসতে মানুষের ফাঁসির রায় লিখত। কোনো বিচার ছিল না।’
পরে প্রধানমন্ত্রী নিহতদের স্বজন এবং অগ্নিদগ্ধদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাঁদের ঈদ উপহার দেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।
অনুষ্ঠানে জিয়াউর রহমানের আমলে সামরিক কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ড এবং বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের সময় ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে আলাদা দুটি ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং আহতদের কথা শোনেন প্রধানমন্ত্রী।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
২ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১৩ ঘণ্টা আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১৬ ঘণ্টা আগেকঠিন সময়ে দলের প্রতি নেতা–কর্মীদের একাগ্রতা ও ত্যাগ আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকুন, আমাদের পেজ থেকে প্রকাশিত প্রতিটি বার্তা ছড়িয়ে দিন। সে জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগে