ইতিহাসে জিয়া খুনি ও বিশ্বাসঘাতক: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২২, ১৮: ২৭
আপডেট : ৩১ মে ২০২২, ১৮: ৪৬

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে।’ আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানী শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ও শিল্পকলা একাডেমির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও রূপসী বাংলা আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিকে কলুষিত করেছিল জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে দুর্নীতি, লুটপাটের অর্থনীতি চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। আর জিয়াউর রহমান ছিল বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান কুশীলব। শুধু তা-ই নয় জিয়াউর রহমান নিজের ক্ষমতাকে নিষ্কণ্টক করার জন্য সেনাবাহিনীর হাজার হাজার অফিসার এবং জওয়ানকে হত্যা করেছে। তাই জিয়াউর রহমান ইতিহাসের পাতায় একজন খুনি এবং বিশ্বাসঘাতক হিসেবেই থাকবে।’ 

এ সময় তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে আসতে পারে সে জন্যই বিএনপি জিয়া হত্যার বিচার করেনি।’ তিনি বলেন, ‘গতকাল জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী ছিল, কিন্তু লক্ষ্য করবেন বিএনপি জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করেনি। জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিএনপি ক্ষমতায় ছিল, এর পরে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেও দুই দফা ক্ষমতায় ছিল কিন্তু জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের বিচার করে নাই।’ 

বিএনপির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘ইদানীং বিএনপি নামসর্বস্ব নানা দল যেসব দলের সভাপতি আছে কিন্তু সাধারণ সম্পাদক কে তা কেউ বলতে পারে না তাদের সঙ্গে বৈঠক করছে, বিষয়টা হাস্যকর। এ সমস্ত সাইনবোর্ডসর্বস্ব দলের সঙ্গে বৈঠক করে সংবাদ পরিবেশন করা ছাড়া আর কী হবে আমি জানি না, কারণ তাদের শুধু সাইনবোর্ড ছাড়া আর কিছুই নেই।’ 

এর আগে অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, ‘একটি ছবি হাজারো শব্দের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী। ফটোসাংবাদিকেরা অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন, অনেকে একটি ছবির জন্য দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন। আমি আশা করব, আজকে যে বাংলাদেশ বহুদূর এগিয়ে গেছে, করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকে ছাড়িয়েছে, আকাশ থেকেও কুঁড়ে ঘর দেখা যায় না, খালি পায়ে মানুষ নেই। মানুষকে সত্য জানানোর জন্য বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের এই চিত্রগুলোও আপনাদের আলোকচিত্রে উঠে আসা প্রয়োজন।’ 

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনের নানা ঘটনা ও মুহূর্তকে নতুন প্রজন্মসহ আমাদের মাঝে তুলে ধরে জাতির সঠিক ইতিহাস বিকাশে ফটোসাংবাদিকেরা তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থান, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন ঘটনার দলিলকে ক্যামেরার ফ্রেমে ধারণ করে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্বাধীনতা ও সংগ্রামী প্রেরণা জুগিয়েছেন ফটোসাংবাদিকেরা।’ 

শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে একাডেমির পরিচালক (চারুকলা) মিনি করিম, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক কাজল হাজরা, অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক মঈন উদ্দীন আহমদ বক্তব্য রাখেন। আলোকচিত্রীদের মাঝে পুরস্কার ও সম্মাননা বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। 

বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের এক শ ছবি এবং দেশের প্রকৃতির এক শ ছবি নিয়ে সপ্তাহব্যাপী এ প্রদর্শনী প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮ টা, শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে রাত ৮টা শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার তিন নম্বর গ্যালারিতে সকলের জন্য উন্মুক্ত।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত