নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে চারদিক থেকে জনগণ বিশাল চাপের মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁর দাবি প্রস্তাবিত বাজেটে লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যার বলি হবে জনগণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজধানীর বনানীতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই যে এত বড় একটা বাজেট দেওয়া হয়েছে, এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে জনগণের পকেট থেকেই টাকা যাবে। বিভিন্নভাবে যে ট্যাক্সের কথা বলা হচ্ছে, এগুলো সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই যাচ্ছে। লুটপাটের জন্য যে টাকাটা ব্যয় হচ্ছে, সেই টাকাটাও জনগণের পকেট থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য যে টাকা সরকারের তহবিলে থাকার কথা, সেই টাকা আজকে নেই। ফলে চাপটা আরও বেড়ে যাবে।’
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, ‘অনির্বাচিত হলে, অবৈধ হলে, দখলদার হলে দেশের মানুষকে যে উপেক্ষা করে যেকোনো কিছু করা যায়, সেটা তারা (সরকার) এই বাজেটে প্রমাণ করেছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০ হাজার কোটি টাকা কার পকেটে গেছে। তাঁদের (সরকার) লুটপাটের টাকা আনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে এই বাজেটের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আজকে যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, লুটপাটের ওই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করা যেত। দেখা যাচ্ছে একটা বাজেটের অর্ধেকের বেশি টাকা তারা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। অথচ এই টাকা দিয়ে দেশে আরও চার-পাঁচটা পদ্মা সেতু করা যেত। সামাজিক সুরক্ষা বলয় বাড়ানো যেত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করা যেত। বিভিন্নভাবে যে ট্যাক্সের কথা বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের পকেট থেকে যাচ্ছে। ভ্যাট, উচ্চ মূল্যের বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলের মাধ্যমে যাচ্ছে। মানুষ সবদিক থেকে আক্রান্ত।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য যেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যেখানে যাচ্ছে—সরকারের উচিত ছিল সবচেয়ে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দেওয়া, কৃষক থেকে শুরু করে যারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের ভর্তুকি দেওয়া। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে লুটপাট বন্ধ করা। কারণ লুটপাট বন্ধ না হলে এই টাকা জনগণকেই দিতে হবে।’
বাজেটের আকার নিয়ে প্রশ্ন না তুলে আমীর খসরু বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট জনগণ এবং দেশের জন্য কতটা ব্যয় হচ্ছে, সেটাই মুখ্য। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেটের কত অংশ আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য খরচ হচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুতে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আজকে সে কারণেই প্রশ্ন এই বিশাল অঙ্কের বাজেট থেকে দেশ ও জনগণের জন্য ২-৩ লাখ কোটি টাকা খরচ হবে কিনা? কারণ যে ধরনের দুর্নীতির মধ্য দিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে, যে ধরনের লুটপাট চলছে, বাজেটের বড় অংশতো লুটপাটের মধ্য দিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। বিদেশে যে টাকা পাচার হয়েছে, সেই টাকা লুটপাটের জন্য যারা সহযোগিতা করেছে, সেই টাকা এনে লুটপাটের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে।’
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
এর আগে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির অনাগ্রহের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাজেট আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ না। এ জন্য যে, এই লুটেরা দুর্বৃত্ত সরকারের বাজেট মানেই হচ্ছে আরও লুট, আরও ডাকাতি। আমরা ওই বিষয় নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নই।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে চারদিক থেকে জনগণ বিশাল চাপের মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁর দাবি প্রস্তাবিত বাজেটে লুটপাটের সুযোগ দেওয়া হয়েছে, যার বলি হবে জনগণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেটের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজধানীর বনানীতে নিজের বাসায় সংবাদ সম্মেলন করেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘এই যে এত বড় একটা বাজেট দেওয়া হয়েছে, এটি বাস্তবায়ন করতে গেলে জনগণের পকেট থেকেই টাকা যাবে। বিভিন্নভাবে যে ট্যাক্সের কথা বলা হচ্ছে, এগুলো সাধারণ মানুষের পকেট থেকেই যাচ্ছে। লুটপাটের জন্য যে টাকাটা ব্যয় হচ্ছে, সেই টাকাটাও জনগণের পকেট থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য যে টাকা সরকারের তহবিলে থাকার কথা, সেই টাকা আজকে নেই। ফলে চাপটা আরও বেড়ে যাবে।’
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, ‘অনির্বাচিত হলে, অবৈধ হলে, দখলদার হলে দেশের মানুষকে যে উপেক্ষা করে যেকোনো কিছু করা যায়, সেটা তারা (সরকার) এই বাজেটে প্রমাণ করেছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ২০ হাজার কোটি টাকা কার পকেটে গেছে। তাঁদের (সরকার) লুটপাটের টাকা আনার সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে এই বাজেটের মাধ্যমে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আজকে যেখানে এসে দাঁড়িয়েছে, লুটপাটের ওই টাকা দিয়ে সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করা যেত। দেখা যাচ্ছে একটা বাজেটের অর্ধেকের বেশি টাকা তারা দুর্নীতির মাধ্যমে লুটপাট করে বিদেশে পাচার করেছে। অথচ এই টাকা দিয়ে দেশে আরও চার-পাঁচটা পদ্মা সেতু করা যেত। সামাজিক সুরক্ষা বলয় বাড়ানো যেত, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের জন্য ব্যয় করা যেত। বিভিন্নভাবে যে ট্যাক্সের কথা বলা হচ্ছে, সাধারণ মানুষের পকেট থেকে যাচ্ছে। ভ্যাট, উচ্চ মূল্যের বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিলের মাধ্যমে যাচ্ছে। মানুষ সবদিক থেকে আক্রান্ত।’
আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য যেখানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে এবং যেখানে যাচ্ছে—সরকারের উচিত ছিল সবচেয়ে বড় অঙ্কের ভর্তুকি দেওয়া, কৃষক থেকে শুরু করে যারা উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত, তাঁদের ভর্তুকি দেওয়া। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে লুটপাট বন্ধ করা। কারণ লুটপাট বন্ধ না হলে এই টাকা জনগণকেই দিতে হবে।’
বাজেটের আকার নিয়ে প্রশ্ন না তুলে আমীর খসরু বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট জনগণ এবং দেশের জন্য কতটা ব্যয় হচ্ছে, সেটাই মুখ্য। আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে প্রায় ৭ লাখ কোটি টাকার বাজেটের কত অংশ আমাদের দেশ ও জনগণের জন্য খরচ হচ্ছে। ১০ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুতে ৩০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। আজকে সে কারণেই প্রশ্ন এই বিশাল অঙ্কের বাজেট থেকে দেশ ও জনগণের জন্য ২-৩ লাখ কোটি টাকা খরচ হবে কিনা? কারণ যে ধরনের দুর্নীতির মধ্য দিয়ে বিদেশে টাকা পাচার করা হচ্ছে, যে ধরনের লুটপাট চলছে, বাজেটের বড় অংশতো লুটপাটের মধ্য দিয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছে। বিদেশে যে টাকা পাচার হয়েছে, সেই টাকা লুটপাটের জন্য যারা সহযোগিতা করেছে, সেই টাকা এনে লুটপাটের জন্য সুযোগ দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে।’
জাতীয় বাজেট সম্পর্কে জানতে: এখানে ক্লিক করুন
এর আগে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বিএনপির অনাগ্রহের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘বাজেট আমাদের কাছে এখন গুরুত্বপূর্ণ না। এ জন্য যে, এই লুটেরা দুর্বৃত্ত সরকারের বাজেট মানেই হচ্ছে আরও লুট, আরও ডাকাতি। আমরা ওই বিষয় নিয়ে খুব বেশি আগ্রহী নই।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১১ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
২০ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগে