নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় দণ্ড স্থগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই আদেশের কোনো পরিবর্তনের কথা আমি জানি না। কারণ, তাঁর আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এখন তিনি যদি বলেন সুস্থ, তাহলে তাঁকে সাজা খাটার জন্য কারাগারে যেতে হবে।’
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সুস্থ হলে তাঁর অসুস্থতার যে আবেদন সেটা আর থাকবে না উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘রাজনীতি করার জন্য প্রয়োজন সুস্থতা। তিনি যদি সুস্থ হন তাহলে বাকি সাজা খাটতে অসুবিধা কোথায়?’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে। যদি কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য দণ্ডিত হন, তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
জামায়াতের বিচার ও রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারব না জামায়াত দোষী। বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমি আজকেই বলব না কী হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যেসব তথ্য এসেছে তাতে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে বিচার করার যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। বিচার করার পরই এটা বলা যাবে তারা দোষী নাকি নির্দোষ। এ-সংক্রান্ত আইনটি সংশোধনের জন্য কিছুদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। তাই জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া সাংঘর্ষিক মনে করি না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সব মামলার নিষ্পত্তি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থাকবে। তবে এখনো যত মামলা আছে, তাতে আরও ১০ থেকে ১৫ বছর ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটি অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক। সেটা যার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদি বিরোধী দলের বিরুদ্ধেও এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, এই ভিসা নীতি যদি যুক্তিসংগতভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তাঁদের কোনো বক্তব্য নেই। আর যদি ইচ্ছেমতো একটি দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়, তাহলে আপত্তি আছে। আর ভিসা নীতি নিয়ে সরকার বিচলিত নয়। কেননা, আওয়ামী লীগ সরকারের অঙ্গীকার আছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার হয়রানিমূলক মামলা করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী দৃষ্টি বলেন, সেটা ঠিক নয়। তাঁদের অপরাধের জন্য মামলা হচ্ছে। কোনো অপরাধ ছাড়া মামলা হয় না।
গুমের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাঁদের পরিবার তো সহযোগিতা করছে না। এতে কী করার আছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে তিন দল আছে। একদল চায় আইনটি বাতিল হোক, এক দল চায় সংশোধন হোক। আরেক দল চায় যেভাবে আছে সেভাবেই থাকুক। তবে শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ মানুষের মনে যাতে এই আইন নিয়ে ভয় কাজ না করে, সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
ল রিপোর্টার্স ফোরাম ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনসচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ফোরামের সাবেক সভাপতি এম বদি উজ জামান ও ওয়াকিল আহমেদ হিরণ, বর্তমান কমিটির সহসভাপতি দিদারুল আলম দিদার, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল হক মৃধা, অর্থ সম্পাদক আব্দুল জাব্বার খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত মুন্না, দপ্তর সম্পাদক এস এম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদ হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুল আলম প্রমুখ।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় দণ্ড স্থগিত রেখে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই আদেশের কোনো পরিবর্তনের কথা আমি জানি না। কারণ, তাঁর আবেদনে বলা হয়েছে, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। এখন তিনি যদি বলেন সুস্থ, তাহলে তাঁকে সাজা খাটার জন্য কারাগারে যেতে হবে।’
আজ রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ল রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সুস্থ হলে তাঁর অসুস্থতার যে আবেদন সেটা আর থাকবে না উল্লেখ করে আনিসুল হক বলেন, ‘রাজনীতি করার জন্য প্রয়োজন সুস্থতা। তিনি যদি সুস্থ হন তাহলে বাকি সাজা খাটতে অসুবিধা কোথায়?’
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট করে বলা আছে। যদি কোনো ব্যক্তি নৈতিক স্খলনের কারণে দুই বছরের বেশি সময়ের জন্য দণ্ডিত হন, তাহলে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।
জামায়াতের বিচার ও রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিচার করার পরে যতক্ষণ পর্যন্ত রায় না হয়, দোষী সাব্যস্ত না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি বলতে পারব না জামায়াত দোষী। বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে। আমি আজকেই বলব না কী হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যেসব তথ্য এসেছে তাতে জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে বিচার করার যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। বিচার করার পরই এটা বলা যাবে তারা দোষী নাকি নির্দোষ। এ-সংক্রান্ত আইনটি সংশোধনের জন্য কিছুদিনের মধ্যে মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে। তাই জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া সাংঘর্ষিক মনে করি না।’
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত সব মামলার নিষ্পত্তি না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থাকবে। তবে এখনো যত মামলা আছে, তাতে আরও ১০ থেকে ১৫ বছর ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এটি অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক। সেটা যার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হোক। যদি বিরোধী দলের বিরুদ্ধেও এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’ তিনি বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, এই ভিসা নীতি যদি যুক্তিসংগতভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে তাঁদের কোনো বক্তব্য নেই। আর যদি ইচ্ছেমতো একটি দলের বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়, তাহলে আপত্তি আছে। আর ভিসা নীতি নিয়ে সরকার বিচলিত নয়। কেননা, আওয়ামী লীগ সরকারের অঙ্গীকার আছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।
বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের পরিকল্পনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমন কোনো পরিকল্পনা সরকারের নেই।
বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকার হয়রানিমূলক মামলা করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী দৃষ্টি বলেন, সেটা ঠিক নয়। তাঁদের অপরাধের জন্য মামলা হচ্ছে। কোনো অপরাধ ছাড়া মামলা হয় না।
গুমের প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তাঁদের পরিবার তো সহযোগিতা করছে না। এতে কী করার আছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের হয়রানির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আইনমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে তিন দল আছে। একদল চায় আইনটি বাতিল হোক, এক দল চায় সংশোধন হোক। আরেক দল চায় যেভাবে আছে সেভাবেই থাকুক। তবে শুধু সাংবাদিক নয়, সাধারণ মানুষের মনে যাতে এই আইন নিয়ে ভয় কাজ না করে, সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
ল রিপোর্টার্স ফোরাম ফোরামের সভাপতি আশুতোষ সরকারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভূঁঞার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইনসচিব মো. গোলাম সারওয়ার ও যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, ফোরামের সাবেক সভাপতি এম বদি উজ জামান ও ওয়াকিল আহমেদ হিরণ, বর্তমান কমিটির সহসভাপতি দিদারুল আলম দিদার, যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল হক মৃধা, অর্থ সম্পাদক আব্দুল জাব্বার খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আরাফাত মুন্না, দপ্তর সম্পাদক এস এম নূর মোহাম্মদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদ হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য মাহমুদুল আলম প্রমুখ।
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
৭ ঘণ্টা আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১০ ঘণ্টা আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
১ দিন আগেসবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়—নীতি অনুসরণ করে ভারতসহ প্রতিবেশী সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সুসম্পর্ক বজায় রাখতে চায় বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান। আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
১ দিন আগে