নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যকে তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ হিসেবে ধরে নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ১৭ কোটি মানুষের ওপর চাপাতে পারেন না।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) কোথায় যাবেন-না যাবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ, তারা কোথায় যাবে, সে সিদ্ধান্ত তো তারা নেবে। একটা জাতি কোথায় যাবে-না যাবে, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নেবেন, এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী তো এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে’ বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের প্রসঙ্গ তুলে গতকাল শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলীয় অনুষ্ঠানে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিজের পায়ে চলব। নিজের দেশকে গড়ে তুলব। কারও মুখাপেক্ষী হয়ে না। কে আমাদের ভিসা দেবে, না নিষেধাজ্ঞা দেবে—ও নিয়ে মাথা ব্যথা করে লাভ নাই। ৩০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে ওই আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। সেখানেই আমরা যাতায়াত করব, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে, মজবুত হবে, আরও চাঙা হবে।’
বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ভিসা দেওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের কাছে যদি মনে হয়, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে কেউ বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাহলে তাঁর ভিসা দেওয়া হবে না।
নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার বিষয়টি ৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে জানান। সেই বৈঠকে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি তখন জানা না গেলেও প্রধানমন্ত্রী মাসের শুরুর দিকে দেশে ফিরেই নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা তুলে ধরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। কোনো দেশ ‘নিষেধাজ্ঞা দিলে তার কাছ থেকে কেনাকাটা বন্ধ করার’ ঘোষণাও দেন। তবে ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর সরকার বলেছিল, এটা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়।
আজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক করে। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমীর খসরু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও জাপান দূতাবাসের প্রথম রাজনৈতিক সচিব মিস ইগাইও ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের নির্বাচনব্যবস্থা, মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন, জাপানও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে বর্তমানে কী হচ্ছে এবং আগামী দিনে কী হতে যাচ্ছে, তারা জানতে চাইছে। বাংলাদেশে যা হচ্ছে আমরা তাদের কাছে তা-ই বলেছি।’
‘আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যকে তাঁর ‘ব্যক্তিগত মত’ হিসেবে ধরে নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত ১৭ কোটি মানুষের ওপর চাপাতে পারেন না।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
খসরু বলেন, ‘উনি (প্রধানমন্ত্রী) কোথায় যাবেন-না যাবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। কিন্তু বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ, তারা কোথায় যাবে, সে সিদ্ধান্ত তো তারা নেবে। একটা জাতি কোথায় যাবে-না যাবে, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নেবেন, এটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী তো এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার লক্ষ্যে’ বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের প্রসঙ্গ তুলে গতকাল শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দলীয় অনুষ্ঠানে কথা বলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিজের পায়ে চলব। নিজের দেশকে গড়ে তুলব। কারও মুখাপেক্ষী হয়ে না। কে আমাদের ভিসা দেবে, না নিষেধাজ্ঞা দেবে—ও নিয়ে মাথা ব্যথা করে লাভ নাই। ৩০ ঘণ্টা প্লেনে জার্নি করে, আটলান্টিক পার হয়ে ওই আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, অনেক মহাদেশ আছে। সেখানেই আমরা যাতায়াত করব, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করব। আমাদের অর্থনীতি আরও উন্নত হবে, মজবুত হবে, আরও চাঙা হবে।’
বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থায় অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের ভিসা দেওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপের ঘোষণা দিয়ে গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তাদের কাছে যদি মনে হয়, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে কেউ বাধা সৃষ্টি করেছেন, তাহলে তাঁর ভিসা দেওয়া হবে না।
নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার বিষয়টি ৩ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটন ডিসিতে থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানকে জানান। সেই বৈঠকে বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি তখন জানা না গেলেও প্রধানমন্ত্রী মাসের শুরুর দিকে দেশে ফিরেই নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কা তুলে ধরে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। কোনো দেশ ‘নিষেধাজ্ঞা দিলে তার কাছ থেকে কেনাকাটা বন্ধ করার’ ঘোষণাও দেন। তবে ২৪ মে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর সরকার বলেছিল, এটা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়।
আজ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরির সঙ্গে বৈঠক করে। গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আমীর খসরু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ও জাপান দূতাবাসের প্রথম রাজনৈতিক সচিব মিস ইগাইও ছিলেন।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আমীর খসরু বলেন, ‘দেশের নির্বাচনব্যবস্থা, মানবাধিকার পরিস্থিতি, আইনের শাসনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন, জাপানও উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে বর্তমানে কী হচ্ছে এবং আগামী দিনে কী হতে যাচ্ছে, তারা জানতে চাইছে। বাংলাদেশে যা হচ্ছে আমরা তাদের কাছে তা-ই বলেছি।’
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৩ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে