নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা দেশে ডেঙ্গু সংক্রামকের মতো ছড়িয়েছে। অথচ রাজধানীর দুই মেয়র ও স্থানীয় সরকারের বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতেও মেয়রেরা অবকাশ যাপন করছেন এবং তাদের অধস্তনরা মশা নিধনের নামে দুর্নীতি করছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় অবস্থিত দুটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রাজধানীর দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং উত্তর সিটি নির্বাচনে তাবিথ আউয়াল রক্তদানের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনার সময়েও সরকার সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। স্থানীয় সরকার যখন নির্বাচিত না হয়, জনগণের কাছে যখন দায়বদ্ধতা থাকে না—তখন এই বিষয়গুলোর ওপর নজর থাকে না। আমি মনে করি, দুই মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত।’
ডেঙ্গু সারা দেশে সংক্রামকের মতো ছড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে শিশুরা অসহায় অবস্থায় পড়েছে। তারা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে না, মারা যাচ্ছে।’
সরকার জনগণের জনস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা শুধু কীভাবে নতুন নতুন বাজার তৈরি করবে, নতুন নতুন মাঠ ধ্বংস করে শপিং মল তৈরি করবে, রাস্তার পুরোনো গাছ কেটে নতুন করে গাছ লাগাবে এই সব দিকে নজর। জনগণের ন্যূনতম সেবা দেওয়া যে তাদের দায়িত্ব সে দায়িত্ব তারা পালন করছে না।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব কিছু নয় দাবি করে ফখরুল বলেন, কলকাতার মতো জনবহুল একটা শহরেও তারা ডেঙ্গুকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের। ঢাকার দুজন মেয়র জনগণের দ্বারা নির্বাচিত মেয়র নয়। এর ফলে জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মেয়র বিদেশে অবকাশ যাপনে চলে গেছেন। আর তাদের অধস্তন কর্মকর্তারা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ আমদানি করেছে এবং বলেছে যে এটা অত্যন্ত ভালো ওষুধ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এটার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ক্ষমতাই নেই। আমদানি করতে গিয়েও তারা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি। দুর্নীতি করেই তারা আজকে দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি খাতে আজকে দুর্নীতি যে পর্যায়ে চলে গেছে, যে বিষয়টাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি আয় হয়, গার্মেন্টস মালিকেরা এখন ডলার পাচ্ছে না। ডলারের দাম এমনভাবে বেড়ে গেছে যে তারা এখন ডলার পাচ্ছে না, পেমেন্টও করতে পারছে না। প্রত্যেকটি ব্যবসার ক্ষেত্রে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মানুষের একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বেহাল অবস্থা, শিক্ষা খাতে করুণ অবস্থা, অর্থনীতি চরমভাবে ধ্বংসের পথে চলে গেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন মানুষের জন্য একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা ওপর থেকে নামছে তারা নেমে বলছে, দুই ঘণ্টা ধরে ফার্মগেট পার হতে পারছে না।
আন্দোলন থেকে দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সড়াতে ড. ইউনূসের ইস্যু সামনে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের ব্যাপারটা আমরা এভাবে দেখি, এখানে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ব্যাপার রয়েছে। এই মুহূর্তে এটা দ্রুত বিচারে নিয়ে আসা এটা ডাইভারশন। অর্থাৎ আমাদের প্রধান যে ইস্যুটা সরকারের পদত্যাগ সেটাকে ডাইভার্ট করার জন্য ড. ইউনূসের ইস্যুটাকে আনা হয়েছে। তার পক্ষে কথা বলার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, এমন একটা রাষ্ট্র যেখানে সত্য কথা বলার কোনো উপায় নেই, মানুষের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই সেই রাষ্ট্র অবশ্যই ভেঙে পড়ছে। অবিলম্বে দেশকে এই সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে এই দেশ রক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে যাবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সারা দেশে ডেঙ্গু সংক্রামকের মতো ছড়িয়েছে। অথচ রাজধানীর দুই মেয়র ও স্থানীয় সরকারের বিশেষ কোনো উদ্যোগ নেই। এমন পরিস্থিতিতেও মেয়রেরা অবকাশ যাপন করছেন এবং তাদের অধস্তনরা মশা নিধনের নামে দুর্নীতি করছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর পান্থপথ এলাকায় অবস্থিত দুটি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি রাজধানীর দুই মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন এবং উত্তর সিটি নির্বাচনে তাবিথ আউয়াল রক্তদানের মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘করোনার সময়েও সরকার সেবা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। স্থানীয় সরকার যখন নির্বাচিত না হয়, জনগণের কাছে যখন দায়বদ্ধতা থাকে না—তখন এই বিষয়গুলোর ওপর নজর থাকে না। আমি মনে করি, দুই মেয়রের পদত্যাগ করা উচিত।’
ডেঙ্গু সারা দেশে সংক্রামকের মতো ছড়িয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে শিশুরা অসহায় অবস্থায় পড়েছে। তারা ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছে না, মারা যাচ্ছে।’
সরকার জনগণের জনস্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তারা শুধু কীভাবে নতুন নতুন বাজার তৈরি করবে, নতুন নতুন মাঠ ধ্বংস করে শপিং মল তৈরি করবে, রাস্তার পুরোনো গাছ কেটে নতুন করে গাছ লাগাবে এই সব দিকে নজর। জনগণের ন্যূনতম সেবা দেওয়া যে তাদের দায়িত্ব সে দায়িত্ব তারা পালন করছে না।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব কিছু নয় দাবি করে ফখরুল বলেন, কলকাতার মতো জনবহুল একটা শহরেও তারা ডেঙ্গুকে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছে। আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের। ঢাকার দুজন মেয়র জনগণের দ্বারা নির্বাচিত মেয়র নয়। এর ফলে জনগণের কাছে তাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, মেয়র বিদেশে অবকাশ যাপনে চলে গেছেন। আর তাদের অধস্তন কর্মকর্তারা এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ওষুধ আমদানি করেছে এবং বলেছে যে এটা অত্যন্ত ভালো ওষুধ। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, এটার নিয়ন্ত্রণ করার কোনো ক্ষমতাই নেই। আমদানি করতে গিয়েও তারা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছে। এই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য দুর্নীতি। দুর্নীতি করেই তারা আজকে দেশটাকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটি খাতে আজকে দুর্নীতি যে পর্যায়ে চলে গেছে, যে বিষয়টাতে আমাদের সবচেয়ে বেশি আয় হয়, গার্মেন্টস মালিকেরা এখন ডলার পাচ্ছে না। ডলারের দাম এমনভাবে বেড়ে গেছে যে তারা এখন ডলার পাচ্ছে না, পেমেন্টও করতে পারছে না। প্রত্যেকটি ব্যবসার ক্ষেত্রে এমন অবস্থা তৈরি হয়েছে।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মানুষের একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, স্বাস্থ্য খাতে বেহাল অবস্থা, শিক্ষা খাতে করুণ অবস্থা, অর্থনীতি চরমভাবে ধ্বংসের পথে চলে গেছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এখন মানুষের জন্য একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা ওপর থেকে নামছে তারা নেমে বলছে, দুই ঘণ্টা ধরে ফার্মগেট পার হতে পারছে না।
আন্দোলন থেকে দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টি ভিন্ন দিকে সড়াতে ড. ইউনূসের ইস্যু সামনে আনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূসের ব্যাপারটা আমরা এভাবে দেখি, এখানে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার ব্যাপার রয়েছে। এই মুহূর্তে এটা দ্রুত বিচারে নিয়ে আসা এটা ডাইভারশন। অর্থাৎ আমাদের প্রধান যে ইস্যুটা সরকারের পদত্যাগ সেটাকে ডাইভার্ট করার জন্য ড. ইউনূসের ইস্যুটাকে আনা হয়েছে। তার পক্ষে কথা বলার জন্য ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, এমন একটা রাষ্ট্র যেখানে সত্য কথা বলার কোনো উপায় নেই, মানুষের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, ন্যায়বিচার পাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই সেই রাষ্ট্র অবশ্যই ভেঙে পড়ছে। অবিলম্বে দেশকে এই সরকারের হাত থেকে রক্ষা করতে না পারলে এই দেশ রক্ষা করা খুব কঠিন হয়ে যাবে।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৩ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে