রেজা করিম, ঢাকা
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী সাধারণ নির্বাচনের দাবি নিয়ে যেন দোলাচলে ভুগছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছিল বিএনপি। তবে মাঝে মাঝে ভিন্ন সুর শোনা গেলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ও অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মতো বিষয়ে দৃশ্যত ক্রমেই সুর নরম করছে দলটি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগের দিনই রাজধানীর নয়াপল্টনের সমাবেশে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যোগ দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান সেদিন কোনো সময়ের উল্লেখ না করলেও সে সমাবেশেই অন্তর্বর্তী সরকারের (তখনো অনাগত) অধীনে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘...দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার মাসপূর্তি হয়েছে গতকাল রোববার। গত এক মাসে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে বিএনপি। ১২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে সরকারকে ‘যৌক্তিক সময়’ দেওয়ার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি তখন বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা তাদের সেই সময়টি অবশ্যই দিয়েছি। আমরা সরকারের সব বিষয়ে সমর্থন দিয়েছি।’
এর কয়েক দিন পরেই আবার অন্য সুরে কথা বলতে দেখা যায় বিএনপির নেতাদের। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেরি না করে নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। যুগপৎ আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায়ও নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনার কথা জানান বিএনপির নেতারা।
২৯ আগস্ট আবারও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসে বিএনপির প্রতিনিধিদল। সেখান থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’ নির্বাচনের কোনো সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কোনো তারিখ নিয়ে আলোচনা করিনি। আমরা কোনো তারিখ বলব না। এটা উনারা (সরকার) বলবেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের মাসপূর্তির দিনে গতকাল রোববার রাজধানীতে এবি পার্টির এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারের প্রতি সমর্থনের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, আমরা অনেক কথা বলি, অনেক বক্তব্য দেই, যার যার প্রেক্ষাপট থেকে আমাদের কথাগুলো বলি এবং বলব। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমাদের জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সমর্থন করে কাজগুলো (সংস্কার) সম্পন্ন করতে হবে।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যে শক্তি বাংলাদেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে—সেই শক্তিকে যদি পরাহত করতে হয়–যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। বর্তমান সরকারকে সমর্থন করতে হবে।’
এর আগের দিনই অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন বিএনপির মহাসচিব। শনিবার রাতে চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। তাঁরা ভালোই করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছেন। অনেক সমস্যার সমাধানও করেছেন।’
রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সরকারের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে বিএনপি। তবে সেই সরকারে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের উপস্থিতি চায় না তারা। ৪ সেপ্টেম্বর দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ অবস্থানের কথা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রযুক্তি, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের সহযোগিতা ও সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচিত বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচন অবশ্যই চাই একটা যৌক্তিক সময়ে। কিন্তু এটা চিন্তা করতে হবে, একটা স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। স্বৈরাচারী সরকার যেভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখে গেছে, সেখান থেকে উত্তরণের জন্য কিছুটা সময় এই সরকারকে দিতে হবে। এ অবস্থায় সরকারকে সহযোগিতা করতেই হবে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সে জন্যই আমরা চিন্তা করেছি, আরও কিছুটা সময় দেব।’
দলের নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখেন, এমন একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে দেখেশুনে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এত বছরের অপেক্ষা শেষে যে অর্জন এসেছে, তাকে কোনো ভুলের কারণে হারানো ঠিক হবে না। আর এ বিবেচনা থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তুললেও এ নিয়ে বেশি দর-কষাকষি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাচ্ছেন না নেতারা।
দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি আগামী সাধারণ নির্বাচনের দাবি নিয়ে যেন দোলাচলে ভুগছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই, তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছিল বিএনপি। তবে মাঝে মাঝে ভিন্ন সুর শোনা গেলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ও অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদের মতো বিষয়ে দৃশ্যত ক্রমেই সুর নরম করছে দলটি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দায়িত্ব নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগের দিনই রাজধানীর নয়াপল্টনের সমাবেশে ভিডিও লিংকের মাধ্যমে যোগ দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান সেদিন কোনো সময়ের উল্লেখ না করলেও সে সমাবেশেই অন্তর্বর্তী সরকারের (তখনো অনাগত) অধীনে তিন মাসের মধ্যে নির্বাচনের আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সমাবেশে তিনি বলেন, ‘...দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করে তিন মাসের মধ্যে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দিন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার মাসপূর্তি হয়েছে গতকাল রোববার। গত এক মাসে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে বিএনপি। ১২ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করে সরকারকে ‘যৌক্তিক সময়’ দেওয়ার কথা জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি তখন বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় লাগবে নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে। আমরা তাদের সেই সময়টি অবশ্যই দিয়েছি। আমরা সরকারের সব বিষয়ে সমর্থন দিয়েছি।’
এর কয়েক দিন পরেই আবার অন্য সুরে কথা বলতে দেখা যায় বিএনপির নেতাদের। জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দেরি না করে নির্বাচন ও রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে রোডম্যাপ প্রকাশের আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব। যুগপৎ আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায়ও নির্বাচন ও সংস্কার বিষয়ে রোডম্যাপ নিয়ে আলোচনার কথা জানান বিএনপির নেতারা।
২৯ আগস্ট আবারও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বসে বিএনপির প্রতিনিধিদল। সেখান থেকে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’ নির্বাচনের কোনো সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা কোনো তারিখ নিয়ে আলোচনা করিনি। আমরা কোনো তারিখ বলব না। এটা উনারা (সরকার) বলবেন।’
অন্তর্বর্তী সরকারের মাসপূর্তির দিনে গতকাল রোববার রাজধানীতে এবি পার্টির এক আলোচনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সরকারের প্রতি সমর্থনের পুনরাবৃত্তি করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি, আমরা অনেক কথা বলি, অনেক বক্তব্য দেই, যার যার প্রেক্ষাপট থেকে আমাদের কথাগুলো বলি এবং বলব। কিন্তু মূল কথা হচ্ছে, আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমাদের জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে সমর্থন করে কাজগুলো (সংস্কার) সম্পন্ন করতে হবে।’
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘যে শক্তি বাংলাদেশকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে—সেই শক্তিকে যদি পরাহত করতে হয়–যে ঐকমত্য সৃষ্টি হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে। বর্তমান সরকারকে সমর্থন করতে হবে।’
এর আগের দিনই অন্তর্বর্তী সরকারের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন বিএনপির মহাসচিব। শনিবার রাতে চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। তাঁরা ভালোই করছেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁরা সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করছেন। অনেক সমস্যার সমাধানও করেছেন।’
রাষ্ট্র পরিচালনায় বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্বশীল জাতীয় সরকারের পক্ষে মত প্রকাশ করেছে বিএনপি। তবে সেই সরকারে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের উপস্থিতি চায় না তারা। ৪ সেপ্টেম্বর দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ অবস্থানের কথা জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ইরানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য শামা ওবায়েদ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রযুক্তি, সংস্কৃতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের সহযোগিতা ও সম্পর্ক কীভাবে আরও বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আলোচিত বিষয়টি নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচন অবশ্যই চাই একটা যৌক্তিক সময়ে। কিন্তু এটা চিন্তা করতে হবে, একটা স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর কঠিন অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। স্বৈরাচারী সরকার যেভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করে রেখে গেছে, সেখান থেকে উত্তরণের জন্য কিছুটা সময় এই সরকারকে দিতে হবে। এ অবস্থায় সরকারকে সহযোগিতা করতেই হবে। সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে সে জন্যই আমরা চিন্তা করেছি, আরও কিছুটা সময় দেব।’
দলের নীতিনির্ধারণে ভূমিকা রাখেন, এমন একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতির আলোকে দেখেশুনে পথ চলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। এত বছরের অপেক্ষা শেষে যে অর্জন এসেছে, তাকে কোনো ভুলের কারণে হারানো ঠিক হবে না। আর এ বিবেচনা থেকেই দলীয় নেতা-কর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি তুললেও এ নিয়ে বেশি দর-কষাকষি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাচ্ছেন না নেতারা।
ড. কামাল হোসেন আর গণফোরামের সঙ্গে যুক্ত নন এবং তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিয়েছেন—বলে জানিয়েছেন নিজেকে গণফোরামের সভাপতি দাবি করা এবং সাবেক সংসদ সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল।
১৩ ঘণ্টা আগেনতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত বলতে তারা কী বোঝাচ্ছে? তাদের এই ধারণা স্পষ্ট করা উচিত। আমি জানতে চাই, তাদের নতুন রাজনৈতিক মীমাংসা আসলে কী? আমি এ বিষয়ে কোথাও কিছু লেখা নথিভুক্ত পাইনি। তাদের প্রস্তাব কী, সেটা স্পষ্ট নয়। আমাদের যে ধরনের রাজনীতি আমরা কল্পনা করি, তা আমাদের সংবিধানে স্পষ্টভাবে নথিভুক্ত।
১ দিন আগেছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা সেনানিবাসে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দীর্ঘ এক যুগ পর গুরুত্বপূর্ণ এ দিবসের কর্মসূচিতে তাঁর অংশগ্রহণকে রাজনীতির জন্য ইতিবাচক ঘটনা বলে মনে করছেন বিশ্লেষক ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা
১ দিন আগেমানবমুক্তির মহান সংগ্রামে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কমরেড হেনা দাস অবিচল ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স। তিনি বলেন, ‘বঞ্চিত-নিপীড়িত মানুষের মুক্তির সংগ্রামে কমরেড হেনা দাস ছিলেন অগ্রসৈনিক।’
২ দিন আগে