Ajker Patrika

জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিভ্রান্তিকর: ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ মে ২০২৪, ১৮: ৪১
জেনারেল আজিজের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিভ্রান্তিকর: ফখরুল

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টিকে বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

আজ মঙ্গলবার দুপুরে সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার একাংশের উদ্যোগে দলটির প্রতিষ্ঠাতা শফিউল আলম প্রধানের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

‘গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে শফিউল আলম প্রধানের ভূমিকা’-শীর্ষক এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের স্যাংশনে অনেকে খুশি হয়েছে। কিন্তু এটা আরেকটা বিভ্রান্তি করা। র‍্যাবের ওপরও এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে তাদের কিছুই হয়নি। তাতে তাদের অপকর্ম থামেনি। 

এ সময় বিদেশি শক্তির ওপর ভরসা না করার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমার ঘর যদি নিজে সামলাতে না পারি, কেউ এসে সামলে দেবে না। নিজেদের শক্তি নিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে।’ 

চলমান উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে। দেখেছেন তো তাঁরা নিজেরা কীভাবে লড়াই করছে, কীভাবে ভোট নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, ভোটের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করছে। এরপরও ভোটকেন্দ্রে ভোটার আসছে না। 

তিনি আরও বলেন, এই নির্বাচনে মানুষ অংশ নিচ্ছে না কারণ তারা বুঝে গেছে যে এই নির্বাচনে কোনো লাভ নেই। যে নির্বাচনে কোনো প্রতিযোগিতা নেই, যে নির্বাচনে কোনো পরিবর্তন আসবে না, সেই নির্বাচনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠীরা ক্ষমতাকে আরও প্রতিষ্ঠিত করবে, সেই নির্বাচনে গিয়ে কী লাভ? 

সরকারের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে সরকার অনেক দূর এগিয়ে গেছে। এটা তাদের সুকৌশল। গণতন্ত্রের আলখাল্লা পরে নির্বাচন নাটক দেখাচ্ছে, এটা কোনো নির্বাচন হচ্ছে না। গত ১৫ বছরে যে অপকর্ম করেছে, সেই ভয়ে তারা সুষ্ঠু ভোট দিতে ভয় পায়। এখন যে উপজেলা নির্বাচন হচ্ছে, তাতেও জনগণের সায় নেই। প্রকৃত অর্থে এর মাধ্যমে কোনো জনগণের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না। 

সরকার উৎখাত নয় বরং সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায় বিএনপি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘অনেক সময় ভুল ব্যাখ্যা করা হয় যে আমরা নাকি উৎখাত করতে চাই। আমরা বারবার বলেছি, একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। ভোটের অধিকার চাই।’ 

আওয়ামী লীগ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে ভয় পায় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগের এত ভয় কেন একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে? ভয় এ জন্যে যে তারা গত ১৫-১৬ বছরে যে অপকর্মগুলো করেছে সেগুলোর পর সারা দেশে তন্ন তন্ন করে খুঁজলেও তাদের সমর্থন খুঁজে পাবে না। 

জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, এনডিপির চেয়ারম্যান আবু তাহের, গণদলের এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দুই মামলা থেকে মির্জা আব্বাস-আমান-গয়েশ্বরসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মির্জা আব্বাস, আমান উল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত
মির্জা আব্বাস, আমান উল্লাহ আমান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টন ও শাহজাহানপুর থানায় নাশকতার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনে দায়ের করা দুই মামলা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা-৮ আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী মির্জা আব্বাস ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত এই আদেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘দ্রুত বিচার আইনের পৃথক দুই থানার মামলায় শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। আমরা তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করি। শুনানি শেষে আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে তাদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন।’

অব্যাহতিপ্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাকা-১২ আসনের বিএনপির প্রার্থী সাইফুল আলম নীরব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, ঢাকা-১৮ আসনের বিএনপি প্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা-৯ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সেক্রেটারি হাবিবুর রশিদ হাবিব।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, পুলিশের কাজে বাধা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ২০১৩ সালের মার্চে পুলিশের উপপরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৬ মার্চ পল্টন থানার উপপরিদর্শক মো. আমিনুল ইসলাম বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এ ছাড়া একই অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফ আলী মামলা করেন। ওই বছরের ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক মো. রুহুল আমিন মুন্সি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তবে দুই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে মির্জা ফখরুল আগেই অব্যাহতি পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তারেক রহমানের জন্য বিএনপির অভ্যর্থনা কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা উপলক্ষে অভ্যর্থনা কমিটি করেছে বিএনপি। গত সোমবার গঠিত এই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদকে আর সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। দলীয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

সূত্র বলছে, অভ্যর্থনা কমিটিতে বিএনপির ১০ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবেরা সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অভ্যর্থনা কমিটির প্রথম বৈঠক হয়। এ বৈঠকে তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অভ্যর্থনার কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সদস্যরা আলোচনা করেন। এর আগের দিন সোমবার গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথ সভা হয়। ওই সভায় তারেক রহমানকে কীভাবে অভ্যর্থনা দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে এ তথ্য। তারেক রহমান নিজেও ওই তারিখে দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন। বিমানবন্দরে নেমে সেখান থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে যাওয়ার কথা রয়েছে তারেক রহমানের। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ওই দিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীরা সংবর্ধনা জানাতে উপস্থিত থাকবেন। বিমানবন্দর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে তারেক রহমানকে সংবর্ধনা জানাবেন।

তারেক রহমানের ঢাকায় আসার পর গুলশান অ্যাভিনিউর ১৯৬ নম্বর বাসায় উঠবেন বলেও জানিয়েছে সূত্র।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামছুল ইসলাম

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ১৬
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ নিযুক্ত করা হয়েছে। আজ বুধবার দলের পক্ষ থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহিল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নিমিত্তে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এ কে এম শামছুল ইসলামকে ‘প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা’ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

তিনি আগেও বিএনপি চেয়ারপার্সনের নিরাপত্তা বিষয়ক টিমের চিফ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করেছেন।

এদিকে, আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফেরা উপলক্ষে তিনি যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতাকর্মীদের বিমানবন্দরে বিদায় জানাতে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি নেতাকর্মীদের প্রতি এই অনুরোধ জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে: মঈন খান

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
সভায় বক্তব্য দেন ড. আবদুল মঈন খান।  ছবি: আজকের পত্রিকা
সভায় বক্তব্য দেন ড. আবদুল মঈন খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, ‘৫৪ বছরে আমাদের অর্জন কী? আমি বিশ্বাস করি, আমাদের চিন্তা ধারার পরিবর্তন আনতে হবে। মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রথমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সেটা না পারলে এত কিছু করে কী লাভ? মানুষের কথা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ মানুষ না খেয়ে থাকতে পারে কিন্তু কথা না বলে থাকতে পারে না।’

আজ বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।

ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘সাম্প্রতিক হিসেবে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। ৩ কোটি ৬৬ লাখ মানুষ বসবাস করে। ২০৫০ সালে ঢাকা শহর হবে সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ বৃহত্তম শহর। তবে সেই শহরকে আমরা কীভাবে পরিচালনা করব সেটি ভাবার বিষয়। আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখনো শক্তিশালী না হলেও ইনফরমাল ইকোনমি দিয়ে ডাল-ভাত খেয়ে বেঁচে আছি। ভবিষ্যতে যারা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেবেন তাদের এসব বিষয়ে কাজ করতে হবে। যে কাজ মাত্র সাড়ে তিন বছরে করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ সেবার পরিবর্তে আত্মসেবা শুরু করেছিলে। যাকে অলিগার্কি ব্যবস্থা বলা যায়। তারা মূলত সমাজের ধনী লোকদের দিয়ে অলিগার্ক কায়েম করেছিল। ফলে দরিদ্র মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছেন।’

ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছরে এসেও গণতন্ত্র খুঁজে ফিরি। এই গণতন্ত্রের জন্য তো একাত্তরে বাংলাদেশের মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করেছিলে। দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক অধিকার তথা মুক্তির জন্য তো মানুষ যুদ্ধ করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, যারা অতীতে দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং বর্তমানে দিচ্ছেন তাদের এ জন্য জবাবদিহি করতে হবে তারা কেন ব্যর্থ? ভবিষ্যতে যারা নেতৃত্ব দেবেন তাদের সেই প্রতিশ্রুতি বা আশার কথা বলবেন যে তারা ক্ষমতায় গেলে এসবের সমাধান করবেন।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের জন্য অবিরাম যুদ্ধ চলছে। মনে হয় চিরন্তন সংগ্রাম। আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলছে তারা সংস্কারের মাধ্যমে দেশকে স্বাপ্নিক দেশে পরিণত করবে। তবে সংস্কার হলো চলমান প্রক্রিয়া। এটা থেমে থাকেনি। সংস্কারের মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এসে পৌঁছেছি।’

মঈন খান বলেন, ‘মানুষকে ধোঁকা দিয়ে কাজ হবে না। আমরা আবারও ফ্যাসিবাদী দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিত হতে চাই না। অপশাসনের বিরুদ্ধে লড়ে যাব ইনশা আল্লাহ। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫৪ বছরে যখনই কোনো স্বৈরশাসক দেশের মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে তখনই কিন্তু বিদ্রোহ হয়েছে। প্রতিবার প্রতিবাদ করেছে। আজকে আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা হলো নিষ্ঠুর। কারণ মানুষের অনুভূতিরে ভোঁতা করে দেয়। মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। ভবিষ্যতে যারা ক্ষমতায় আসবেন তাদের সে বিষয়টি পরিষ্কার করতে হবে।’

ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদের সভাপতিত্বে ও কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসান, এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবুল কেনান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. খালেকুজ্জামান দীপু প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত