নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দীর্ঘদিন ধরেই গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের মধ্যে বিবাদ চলছে। একে অপরকে অব্যাহতি-পাল্টা অব্যাহতির ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। সবশেষ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে দল থেকে অপসারণ করেছে নুরপন্থীরা। এর প্রতিক্রিয়ায় রেজা কিবরিয়া বলেছেন, নুর ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে যেতে চায়। অন্যদিকে নুরের অভিযোগ, রেজা কিবরিয়া সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরোধীদের আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত করতে তৎপর।
আজ রোববার দুপুরে গুলশানের নিজ বাসভবনে রেজা কিবরিয়া ও বিজয়নগরের গণ অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নুরুল হক নুর পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের কথা জানান।
গণ অধিকার পরিষদ থেকে সদ্য অপসারিত ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘ও (নুর) সরকারি কিছু লোকের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা করছে এবং নির্বাচনে যাওয়ার জন্য সে পাঁয়তারা করছে। আমার জানা মতে সে জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দেখা করেছে। সে বোধ হয় ওদের মতো হতে চায়। মন্ত্রী হবে কিছু টাকা পয়সা বানাবে। আর এটাতেই সে সন্তুষ্ট।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণ অধিকার পরিষদের নেতা মির্জা আফসারিকে দেখিয়ে তিনি বলেন, নুর ওনার কাছে জানতে চেয়েছেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে কেমন হয়। সরকার দুই কোটি টাকা দেবে নির্বাচনের জন্য। আর ওকে (নুর) এক কোটি টাকা দেবে।
নুর বিশ্বাসঘাতক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নুর সরকারের ইন্ধনে অনেক কিছু করে, তাই তাঁর প্রতি অন্যরকম আচরণ করছে সরকার।
সরকার নুরকে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদকে নির্বাচনে নেওয়ার চেষ্টা করছে জানিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘তাঁদের একটা সাজানো পাতানো নির্বাচনে কিছু লোককে পয়সা এবং আসনের লোভ দেখিয়ে নির্বাচনে আনতে চেষ্টা করছে। এই অবস্থায়তো আমাকে দলে রাখা যায় না। কারণ আমিতো শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে, ভোট চোরের নির্বাচনে যাব না।’
ভুয়া স্বাক্ষরে দলে ভাঙন সৃষ্টি করার অভিযোগে নুরুল হক নুরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের সদস্যসচিব নুর, ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান গঠনতন্ত্র ও সংবিধান না মেনেই ভুয়া স্বাক্ষর দেখিয়ে দলে ভাঙন সৃষ্টি করেছেন। আমাকে পদ থেকে সরানোর জন্য সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে ভোট দরকার, তা হয়নি। যার ফলে মিথ্যা স্বাক্ষর দিয়েছে, এটা অপরাধ।’
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে নুরুল হক নুর বলেন, ‘সরকারতো অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিল গণ অধিকার পরিষদকে নির্মূল করার জন্য বা বিতর্কিত করার জন্য। সে চেষ্টা সফল হয়নি। এখন রেজা কিবরিয়াতো এই সরকারেরই সাবেক অর্থমন্ত্রীর ছেলে। তাঁকে ব্যবহার করে সরকার এই কাজ করতে পারে।’
নুর বলেন, ‘বিএনপির দলছুট কিছু নেতাদের নিয়ে নির্বাচনে গিয়ে রেজা কিবরিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন এমন স্বপ্ন দেখিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা বিভ্রান্ত করছে এবং বিপথে পরিচালিত করছে। আমরা তাঁকে একাধিকবার বলেছি, এখান থেকে বের হয়ে আসেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পেরেছি, তিনি তাঁদের কাছে ব্ল্যাকমেল হয়ে আছে।’
ভয়ভীতি দেখাতে ও হয়রানির উদ্দেশ্যে রেজা কিবরিয়া মামলার কথা বলছেন জানিয়ে নুর বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন? ওনার বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার গত ১৫ বছরেও নিশ্চিত হয়নি। সেই সরকারের কাছে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এটা খুব সন্দেহজনক যে, তাঁকে এই কাজগুলো কে, কেন করাচ্ছে? তিনি এখন সরকারের সঙ্গে আপস করে গণ অধিকার পরিষদকে আদালতে বন্দী করতে চাইছেন।’
রেজা কিবরিয়া দলের সাবেক হয়ে গেছেন জানিয়ে নুর বলেন, ‘তাঁর বাসায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাঁর যদি সাংগঠনিক সমর্থন থাকত তিনি অফিসে আসতেন, মিটিং করতেন। তিনি আগে গণফোরাম ভেঙেছিলেন। সেই ভাঙা গণফোরাম আর তাঁর আত্মীয় দুই তিনজন নিয়ে তিনি প্রেস ব্রিফিং করেছেন। এটা কোনো দলীয় বক্তব্য না। তিনি এখন দলের কেউ নন।’
দীর্ঘদিন ধরেই গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরের মধ্যে বিবাদ চলছে। একে অপরকে অব্যাহতি-পাল্টা অব্যাহতির ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। সবশেষ দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রেজা কিবরিয়ার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনে তাঁকে দল থেকে অপসারণ করেছে নুরপন্থীরা। এর প্রতিক্রিয়ায় রেজা কিবরিয়া বলেছেন, নুর ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচনে যেতে চায়। অন্যদিকে নুরের অভিযোগ, রেজা কিবরিয়া সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিরোধীদের আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত করতে তৎপর।
আজ রোববার দুপুরে গুলশানের নিজ বাসভবনে রেজা কিবরিয়া ও বিজয়নগরের গণ অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নুরুল হক নুর পৃথক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগের কথা জানান।
গণ অধিকার পরিষদ থেকে সদ্য অপসারিত ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘ও (নুর) সরকারি কিছু লোকের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনা করছে এবং নির্বাচনে যাওয়ার জন্য সে পাঁয়তারা করছে। আমার জানা মতে সে জাহাঙ্গীর কবির নানক, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনুর সঙ্গে দেখা করেছে। সে বোধ হয় ওদের মতো হতে চায়। মন্ত্রী হবে কিছু টাকা পয়সা বানাবে। আর এটাতেই সে সন্তুষ্ট।’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত গণ অধিকার পরিষদের নেতা মির্জা আফসারিকে দেখিয়ে তিনি বলেন, নুর ওনার কাছে জানতে চেয়েছেন এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে কেমন হয়। সরকার দুই কোটি টাকা দেবে নির্বাচনের জন্য। আর ওকে (নুর) এক কোটি টাকা দেবে।
নুর বিশ্বাসঘাতক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, নুর সরকারের ইন্ধনে অনেক কিছু করে, তাই তাঁর প্রতি অন্যরকম আচরণ করছে সরকার।
সরকার নুরকে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদকে নির্বাচনে নেওয়ার চেষ্টা করছে জানিয়ে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘তাঁদের একটা সাজানো পাতানো নির্বাচনে কিছু লোককে পয়সা এবং আসনের লোভ দেখিয়ে নির্বাচনে আনতে চেষ্টা করছে। এই অবস্থায়তো আমাকে দলে রাখা যায় না। কারণ আমিতো শেখ হাসিনার পাতানো নির্বাচনে, ভোট চোরের নির্বাচনে যাব না।’
ভুয়া স্বাক্ষরে দলে ভাঙন সৃষ্টি করার অভিযোগে নুরুল হক নুরসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দলের সদস্যসচিব নুর, ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান গঠনতন্ত্র ও সংবিধান না মেনেই ভুয়া স্বাক্ষর দেখিয়ে দলে ভাঙন সৃষ্টি করেছেন। আমাকে পদ থেকে সরানোর জন্য সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে ভোট দরকার, তা হয়নি। যার ফলে মিথ্যা স্বাক্ষর দিয়েছে, এটা অপরাধ।’
এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে নুরুল হক নুর বলেন, ‘সরকারতো অনেক দিন ধরেই চেষ্টা করছিল গণ অধিকার পরিষদকে নির্মূল করার জন্য বা বিতর্কিত করার জন্য। সে চেষ্টা সফল হয়নি। এখন রেজা কিবরিয়াতো এই সরকারেরই সাবেক অর্থমন্ত্রীর ছেলে। তাঁকে ব্যবহার করে সরকার এই কাজ করতে পারে।’
নুর বলেন, ‘বিএনপির দলছুট কিছু নেতাদের নিয়ে নির্বাচনে গিয়ে রেজা কিবরিয়া প্রধানমন্ত্রী হবেন এমন স্বপ্ন দেখিয়ে গোয়েন্দা সংস্থা বিভ্রান্ত করছে এবং বিপথে পরিচালিত করছে। আমরা তাঁকে একাধিকবার বলেছি, এখান থেকে বের হয়ে আসেন। কিন্তু আমরা বুঝতে পেরেছি, তিনি তাঁদের কাছে ব্ল্যাকমেল হয়ে আছে।’
ভয়ভীতি দেখাতে ও হয়রানির উদ্দেশ্যে রেজা কিবরিয়া মামলার কথা বলছেন জানিয়ে নুর বলেন, ‘এই সরকারের অধীনে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন? ওনার বাবার হত্যাকাণ্ডের বিচার গত ১৫ বছরেও নিশ্চিত হয়নি। সেই সরকারের কাছে তিনি আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। এটা খুব সন্দেহজনক যে, তাঁকে এই কাজগুলো কে, কেন করাচ্ছে? তিনি এখন সরকারের সঙ্গে আপস করে গণ অধিকার পরিষদকে আদালতে বন্দী করতে চাইছেন।’
রেজা কিবরিয়া দলের সাবেক হয়ে গেছেন জানিয়ে নুর বলেন, ‘তাঁর বাসায় তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তাঁর যদি সাংগঠনিক সমর্থন থাকত তিনি অফিসে আসতেন, মিটিং করতেন। তিনি আগে গণফোরাম ভেঙেছিলেন। সেই ভাঙা গণফোরাম আর তাঁর আত্মীয় দুই তিনজন নিয়ে তিনি প্রেস ব্রিফিং করেছেন। এটা কোনো দলীয় বক্তব্য না। তিনি এখন দলের কেউ নন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) যুক্তরাজ্য থেকে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
১২ ঘণ্টা আগেনির্বাচন পেছাতে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এই অভিযোগের কথা জানান।
১৩ ঘণ্টা আগেসামনে গণপরিষদ এবং সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এতে দেশের পুরোনো শাসনকাঠামো, সংবিধান পরিবর্তন করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
১৬ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, দেশের মাটিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে নির্বাচন নিয়ে কথা না বলে। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে