নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে অনুসন্ধানে আসা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন টিমের সঙ্গে বৈঠক করে এ কথা জানান দলটির নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘ অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই গণবিপ্লবের সময় সরকার যে হত্যা, জুলুম, নির্যাতন করেছিল, সেই বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং টিম বাংলাদেশ সফর করছে। তাঁরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে, গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিচারের জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কতিপয় আইন সংশোধনের মাধ্যমে ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি এই নামে ট্রাইব্যুনাল করে তদন্ত ও সঠিকভাবে এর বিচার নিশ্চিত হতে পারে, সেভাবে বাংলাদেশকে তাঁরা যেন সহযোগিতা করে, সেই বিষয়ে আমরা অনুরোধ করে এসেছি।’
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিডিআরের ঘটনায় ৫৭ সামরিক অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও স্বৈরাচারী জনবিচ্ছিন্ন সরকার জড়িত ছিল। রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যে গণহত্যা করেছিল, আমরা সেটার কথাও তাঁদের বলেছি। সর্বশেষ এই ছাত্র-জনতার মহাবিপ্লবকে ব্যর্থ করার জন্য তারা নির্বিচারে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, সেটাও তাঁদের অবহিত করেছি। সে সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয় সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজ জনগণের ওপর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সারা বিশ্বে নজিরবিহীন। সেখানে দেড় বছরের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা এটাকে বলেছি, গণহত্যা। এটাকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছি।’
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয় এশিয়া-প্যাসিফিক সেকশনের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন। প্রতিনিধি দলের অপর সদস্যরা হলেন—এশিয়া-প্যাসিফিক সেকশনের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা লিভিয়া কসেনজা এবং আলেক্সান্ডার জেমস আমির এই জুঙদি।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বিচারে জাতিসংঘের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বাংলাদেশে গণহত্যার বিষয়ে অনুসন্ধানে আসা জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন টিমের সঙ্গে বৈঠক করে এ কথা জানান দলটির নেতারা।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে জাতিসংঘ অফিসে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ অংশ নেন।
বৈঠক শেষে সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সাংবাদিকদের বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ নতুনভাবে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেই গণবিপ্লবের সময় সরকার যে হত্যা, জুলুম, নির্যাতন করেছিল, সেই বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং টিম বাংলাদেশ সফর করছে। তাঁরা বিভিন্ন দলের সঙ্গে, গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিচারের জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কতিপয় আইন সংশোধনের মাধ্যমে ক্রাইম অ্যাগেইনস্ট হিউম্যানিটি এই নামে ট্রাইব্যুনাল করে তদন্ত ও সঠিকভাবে এর বিচার নিশ্চিত হতে পারে, সেভাবে বাংলাদেশকে তাঁরা যেন সহযোগিতা করে, সেই বিষয়ে আমরা অনুরোধ করে এসেছি।’
বৈঠকের আলোচনা প্রসঙ্গে জামায়াতের এই নেতা আরও বলেন, ‘২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বিডিআরের ঘটনায় ৫৭ সামরিক অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গেও স্বৈরাচারী জনবিচ্ছিন্ন সরকার জড়িত ছিল। রাজধানীর শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে যে গণহত্যা করেছিল, আমরা সেটার কথাও তাঁদের বলেছি। সর্বশেষ এই ছাত্র-জনতার মহাবিপ্লবকে ব্যর্থ করার জন্য তারা নির্বিচারে যে গণহত্যা চালিয়েছিল, সেটাও তাঁদের অবহিত করেছি। সে সময় হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয় সাধারণ ছাত্র-জনতার ওপর। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজ জনগণের ওপর এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সারা বিশ্বে নজিরবিহীন। সেখানে দেড় বছরের শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা এটাকে বলেছি, গণহত্যা। এটাকে গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছি।’
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার কার্যালয় এশিয়া-প্যাসিফিক সেকশনের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন। প্রতিনিধি দলের অপর সদস্যরা হলেন—এশিয়া-প্যাসিফিক সেকশনের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তা লিভিয়া কসেনজা এবং আলেক্সান্ডার জেমস আমির এই জুঙদি।
আত্মপ্রকাশের পর সংবিধান পুনর্লিখনের দাবি তুলেছে জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির নেতারা বলছেন, দেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি বিরাজ করছে, তার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য নতুন সংবিধান বা পুনর্লিখন প্রয়োজন। একমাত্র গণপরিষদ নির্বাচনই সংবিধান পুনর্লি
৬ ঘণ্টা আগেআওয়ামী লীগবিহীন রাজনীতির মাঠে সম্প্রতি নির্বাচন নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামী এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের নবগঠিত জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং আরও কয়েকটি দল নির্বাচনের কথা বলছে। তবে আগে জাতীয় সংসদ না স্থানীয় সরকারের নির্বাচন—এ নিয়ে
৬ ঘণ্টা আগেসাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারের দলীয় প্রাথমিক সদস্যসহ সকল পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
১১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও তাঁর দোসরেরা এখনো দেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী। আজ বুধবার সকালে লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ঢেউটিন বিতরণকালে এ্যানী এই অভিযোগ করেন। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সাহাবুদ্দিন সাবু সভাপতিত্ব করেন।
১৪ ঘণ্টা আগে