নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সুষ্ঠু নির্বাচন করে শেখ হাসিনা ইতিহাসের অংশ হতে পারেন। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আলোচনায় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করে শেখ হাসিনা ইতিহাসের অংশ হতে পারেন। আপনি ভয় পাবেন না, আপনার কিছু হবে না। শুধু একটা মামলা হবে, সেটা হলো অপচয়ের। আমি জানি না, আপনি কোনো দুর্নীতি করেছেন কিনা। তবে এতটুকু বলব, খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, সেটা আপনার সঙ্গে হবে না। যদি হয়, তাহলে আমি আপনার পাশেই দাঁড়াব।’
বিএনপির উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, “এখন থেকেই রাজপথে আন্দোলন শুরু করুন। ‘দলীয় সরকারকে হটাব, নির্বাচন করব।’ এই হোক আপনাদের স্লোগান। এখন থেকেই আন্দোলন করুন, আমাদের পাশে পাবেন।’ এ সময় আলেম, ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মীদের জেল থেকে ছেড়ে দিতে শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আধিপত্যবাদী ভারতকে বের করতে হবে।’ সরকারের ওপর ভারতের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন নিয়ম ছিল সপ্তাহে এক দিন যে কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবে। কিন্তু এখন তিনি সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, দলের কারও সঙ্গেই দেখা করেন না। অন্তরীণ হয়ে আছেন তিনি।’
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আপনার পিতা কবরে বসে কষ্ট পাচ্ছেন। আপনার পিতা ভারতকে চিনেছিলেন বলেই দেশে এসেই তিনি ভারতীয় সেনা ফিরিয়ে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আপনি ভারতকে চিনলেন না। আজ কিছু হলেই বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। আজ বঙ্গবন্ধুর কথা শুনি না, কিন্তু তাঁকে পূজা করি।’
সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফেলানী দিয়েই শেষ হয়নি, প্রতিদিন তারা দু-একজন বাংলাদেশিকে হত্যা করে। তাহলে তারা আমাদের কেমন বন্ধু? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত হবে র এবং মোসাহেবের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। পর্দার আড়ালে থেকে তিনি সব করেন। এত দিন অজুহাত ছিল করোনা। এখন তো করোনা নেই। এখন উনি বের হচ্ছেন না কেন? ওনাকে যা লিখে দেওয়া হয়, উনি সেটাই বলেন।’
অনুষ্ঠানে সার্চ কমিটির সঙ্গে মিটিংয়ের বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমিও সার্চ কমিটির মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। কমিটিকে বলেছিলাম, আপনারা সফল নাকি ব্যর্থ, তা বোঝা যাবে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। জনগণ হলো আসল সার্চের মালিক। হানিফ বললেন, আমি বিএনপির হয়ে নাম প্রস্তাব করেছি। উনি কেন এটা বললেন, আমি জানি না।’
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাঁর প্রস্তাবিত নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আটটা নাম প্রস্তাব করেছিলাম। এগুলো হলো ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সেনাপ্রধান ইকবালুর রহিম ভূঁইয়া, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, শেখ হাসিনার ছোটবেলার খেলার সাথী সুলতানা কামাল ও সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব হাবিবুল আলম আউয়াল। ওনার নাম দিয়েছি কারণ, উনি তদবির করে এক্সটেনশন নেননি। উনি প্রতিরক্ষাসচিব থাকাকালে সেনাবাহিনীর বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাই বুঝলাম ওনার জোর আছে। উনি পারবেন। আর ড. শওকত আলীর নাম আমি দিয়েছি। উনি মতিয়া চৌধুরী যখন কৃষিমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁর সচিব ছিলেন। আর দিয়েছি খালেদ শামসের নাম। উনি একমাত্র সিএসপি, যিনি পাকিস্তান আমলে বাংলায় নাম লিখতেন। মোনায়েম খান তখন সবকিছুতে নাক গলাতেন। মোনায়ামের কথা শোনেননি বলে ওনাকে বান্দরবানে ট্রান্সফার করা হয়েছিল।’
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘হানিফ আবিষ্কার করলেন, এটা বিএনপির দেওয়া নাম। আমার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারও গত তিন মাসে কথাও হয়নি। আরেকটা কথা বলা হয়েছে, আমি বিএনপির উপদেষ্টা। আমি বিএনপির কিছু নই। খালেদা জিয়া আমাকে বলেছিলেন, আপনি বিএনপিতে আসেন। আমি হাসতে হাসতে বলেছিলাম, যদি কাউন্সিলের মাধ্যমে হয়, তাহলে যাব। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এটা হতে হবে, না হলে নয়।’
সুষ্ঠু নির্বাচন করে শেখ হাসিনা ইতিহাসের অংশ হতে পারেন। শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ‘কাশ্মীর ও দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
আলোচনায় ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচন করে শেখ হাসিনা ইতিহাসের অংশ হতে পারেন। আপনি ভয় পাবেন না, আপনার কিছু হবে না। শুধু একটা মামলা হবে, সেটা হলো অপচয়ের। আমি জানি না, আপনি কোনো দুর্নীতি করেছেন কিনা। তবে এতটুকু বলব, খালেদা জিয়ার সঙ্গে যে অন্যায় হয়েছে, সেটা আপনার সঙ্গে হবে না। যদি হয়, তাহলে আমি আপনার পাশেই দাঁড়াব।’
বিএনপির উদ্দেশে জাফরুল্লাহ বলেন, “এখন থেকেই রাজপথে আন্দোলন শুরু করুন। ‘দলীয় সরকারকে হটাব, নির্বাচন করব।’ এই হোক আপনাদের স্লোগান। এখন থেকেই আন্দোলন করুন, আমাদের পাশে পাবেন।’ এ সময় আলেম, ছাত্র ও রাজনৈতিক কর্মীদের জেল থেকে ছেড়ে দিতে শেখ হাসিনার প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আধিপত্যবাদী ভারতকে বের করতে হবে।’ সরকারের ওপর ভারতের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন নিয়ম ছিল সপ্তাহে এক দিন যে কেউ তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারবে। কিন্তু এখন তিনি সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, দলের কারও সঙ্গেই দেখা করেন না। অন্তরীণ হয়ে আছেন তিনি।’
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আপনার পিতা কবরে বসে কষ্ট পাচ্ছেন। আপনার পিতা ভারতকে চিনেছিলেন বলেই দেশে এসেই তিনি ভারতীয় সেনা ফিরিয়ে নিতে বলেছিলেন। কিন্তু আপনি ভারতকে চিনলেন না। আজ কিছু হলেই বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। মামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা চলছে। আজ বঙ্গবন্ধুর কথা শুনি না, কিন্তু তাঁকে পূজা করি।’
সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ফেলানী দিয়েই শেষ হয়নি, প্রতিদিন তারা দু-একজন বাংলাদেশিকে হত্যা করে। তাহলে তারা আমাদের কেমন বন্ধু? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত হবে র এবং মোসাহেবের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। পর্দার আড়ালে থেকে তিনি সব করেন। এত দিন অজুহাত ছিল করোনা। এখন তো করোনা নেই। এখন উনি বের হচ্ছেন না কেন? ওনাকে যা লিখে দেওয়া হয়, উনি সেটাই বলেন।’
অনুষ্ঠানে সার্চ কমিটির সঙ্গে মিটিংয়ের বিষয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমিও সার্চ কমিটির মিটিংয়ে গিয়েছিলাম। কমিটিকে বলেছিলাম, আপনারা সফল নাকি ব্যর্থ, তা বোঝা যাবে যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। জনগণ হলো আসল সার্চের মালিক। হানিফ বললেন, আমি বিএনপির হয়ে নাম প্রস্তাব করেছি। উনি কেন এটা বললেন, আমি জানি না।’
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে তাঁর প্রস্তাবিত নাম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আটটা নাম প্রস্তাব করেছিলাম। এগুলো হলো ব্রিগেডিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, সাবেক সেনাপ্রধান ইকবালুর রহিম ভূঁইয়া, বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, শেখ হাসিনার ছোটবেলার খেলার সাথী সুলতানা কামাল ও সাবেক প্রতিরক্ষাসচিব হাবিবুল আলম আউয়াল। ওনার নাম দিয়েছি কারণ, উনি তদবির করে এক্সটেনশন নেননি। উনি প্রতিরক্ষাসচিব থাকাকালে সেনাবাহিনীর বিদ্যুৎ বিল নিয়ে কাজ করেছিলেন। তাই বুঝলাম ওনার জোর আছে। উনি পারবেন। আর ড. শওকত আলীর নাম আমি দিয়েছি। উনি মতিয়া চৌধুরী যখন কৃষিমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁর সচিব ছিলেন। আর দিয়েছি খালেদ শামসের নাম। উনি একমাত্র সিএসপি, যিনি পাকিস্তান আমলে বাংলায় নাম লিখতেন। মোনায়েম খান তখন সবকিছুতে নাক গলাতেন। মোনায়ামের কথা শোনেননি বলে ওনাকে বান্দরবানে ট্রান্সফার করা হয়েছিল।’
জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘হানিফ আবিষ্কার করলেন, এটা বিএনপির দেওয়া নাম। আমার সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের কারও গত তিন মাসে কথাও হয়নি। আরেকটা কথা বলা হয়েছে, আমি বিএনপির উপদেষ্টা। আমি বিএনপির কিছু নই। খালেদা জিয়া আমাকে বলেছিলেন, আপনি বিএনপিতে আসেন। আমি হাসতে হাসতে বলেছিলাম, যদি কাউন্সিলের মাধ্যমে হয়, তাহলে যাব। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এটা হতে হবে, না হলে নয়।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এখন আগের চেয়ে অনেকটা ভালো আছেন। তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা স্থিতিশীল। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) যুক্তরাজ্য থেকে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান।
১৭ ঘণ্টা আগেনির্বাচন পেছাতে দেশে-বিদেশে চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেখতে এসে তিনি সাংবাদিকদের এই অভিযোগের কথা জানান।
১৮ ঘণ্টা আগেসামনে গণপরিষদ এবং সংসদ নির্বাচন একই সঙ্গে করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এতে দেশের পুরোনো শাসনকাঠামো, সংবিধান পরিবর্তন করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
২১ ঘণ্টা আগেজাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, দেশের মাটিতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কেউ যাতে নির্বাচন নিয়ে কথা না বলে। আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) সকালে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ছাত্র-জনতার কবর জিয়ারত শেষে এ কথা বলেন তিনি।
২১ ঘণ্টা আগে