নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সন্দেহ আসতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আবারও জোর দিলেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফোকাস একটাই এখন। সেই ফোকাসটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ঠিক করে, প্রশাসনকে ঠিক করে, বিচারব্যবস্থা ঠিক করে নির্বাচন দিন। বাকি কাজ যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা করবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন প্রায়োরিটি হচ্ছে দেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা চাইছি দ্রুত নির্বাচন। বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। কারণ নির্বাচন দেরি হলে সমস্যাগুলো বাড়বে। যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কিছু করতে পারছে না। কেন পারছে না? কারণ রাজনৈতিক শক্তি নাই।’
ফখরুল বলেন, ‘সন্দেহ কিন্তু আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) ওপর আসতে শুরু করেছে। আমরা তো চাই, সরকার সাফল্য অর্জন করুক, তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হব। আমরা চাই না, শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই না, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক।’
সংস্কার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি এটাই দেশের সুস্থ ধারা প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট। এখন নতুন যাঁরা আসছেন, তাঁরা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁরা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাঁদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। রাজনীতি একটি সায়েন্স, এ জন্যই তো বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স। বিএনপি কি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে? নো। দ্রুত নির্বাচন দিলেই দেশের অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।’
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে তথ্য ছিল না? তারা কি ব্যবস্থা আগে নিতে পারতেন না? আসলে সরকার এখনো স্ট্যাবল হতে পারেনি। তাই বলছি, নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দেন, একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দেন, কবে কী করবেন জানান। তাহলে মানুষের মনে আস্থা আসবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন, অনেকে বলাবলি করেন, এ জন্যই কি সংগ্রাম করেছি? এতে করে আমাদের শত্রুরা সুযোগ নেবে। সরকার থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে।’
‘নির্বাচিত হয়ে এলে আমরা একা দেশ চালাব না’—এ কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটি জাতীয় সরকার গড়ে, যারা আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিল তাদের নিয়ে দেশ চালাব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশীদ প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারকে নিয়ে সন্দেহ আসতে শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ অবস্থায় দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বিবেচনায় দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আবারও জোর দিলেন তিনি।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ফোকাস একটাই এখন। সেই ফোকাসটা হচ্ছে নির্বাচন কমিশন ঠিক করে, প্রশাসনকে ঠিক করে, বিচারব্যবস্থা ঠিক করে নির্বাচন দিন। বাকি কাজ যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা করবে।’
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এখন প্রায়োরিটি হচ্ছে দেশে একটা গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। আমরা যারা রাজনীতি করি, তারা চাইছি দ্রুত নির্বাচন। বিএনপির ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়। কারণ নির্বাচন দেরি হলে সমস্যাগুলো বাড়বে। যারা বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায়, তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। অনেক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কিন্তু কিছু করতে পারছে না। কেন পারছে না? কারণ রাজনৈতিক শক্তি নাই।’
ফখরুল বলেন, ‘সন্দেহ কিন্তু আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) ওপর আসতে শুরু করেছে। আমরা তো চাই, সরকার সাফল্য অর্জন করুক, তাদের সাফল্য মানে আমাদের সাফল্য। তারা ব্যর্থ হলে আমরা ব্যর্থ হব। আমরা চাই না, শেখ হাসিনা আবার ফিরে আসুক। আমরা চাই না, আওয়ামী লীগের দুঃশাসন আবার ফিরে আসুক।’
সংস্কার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘আমরা সংস্কারের ৩১ দফা তুলে ধরেছি। আমরা মনে করি এটাই দেশের সুস্থ ধারা প্রতিষ্ঠার জন্য যথেষ্ট। এখন নতুন যাঁরা আসছেন, তাঁরা একেকজন একেক কথা বলে যাচ্ছেন। অন্তর্বর্তী সরকারে যাঁরা আছেন, তাঁরা তো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন। তাঁদের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাও নেই। রাজনীতি একটি সায়েন্স, এ জন্যই তো বলা হয় পলিটিক্যাল সায়েন্স। বিএনপি কি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে? নো। দ্রুত নির্বাচন দিলেই দেশের অনেক সমস্যায় সমাধান হয়ে যাবে।’
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের ইন্টেলিজেন্সের ভেতরে তথ্য ছিল না? তারা কি ব্যবস্থা আগে নিতে পারতেন না? আসলে সরকার এখনো স্ট্যাবল হতে পারেনি। তাই বলছি, নির্বাচন কমিশন ঠিক করে নির্বাচন দেন, একটি রোডম্যাপ ঘোষণা দেন, কবে কী করবেন জানান। তাহলে মানুষের মনে আস্থা আসবে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকে হতাশ হয়ে পড়েছেন, অনেকে বলাবলি করেন, এ জন্যই কি সংগ্রাম করেছি? এতে করে আমাদের শত্রুরা সুযোগ নেবে। সরকার থেকে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে।’
‘নির্বাচিত হয়ে এলে আমরা একা দেশ চালাব না’—এ কথা জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটি জাতীয় সরকার গড়ে, যারা আমাদের সঙ্গে আন্দোলনে ছিল তাদের নিয়ে দেশ চালাব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও পরিষদের আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরীর সঞ্চালনায় এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ শিক্ষক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম ভূঁইয়া, ড্যাবের সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, ড্যাবের সভাপতি হারুন আল রশীদ প্রমুখ।
আজ থেকে দুই বছর আগেই বিএনপি সংস্কারের রূপরেখা দিয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। সুতরাং সংস্কারের পর নির্বাচনের আয়োজন করা কোনো যৌক্তিক কথা নয়।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি ক্ষমতায় গেলে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের নামকরণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা জানান। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পঙ্গুত্ববরণকারীদের মধ্যে হুইল...
২০ ঘণ্টা আগেবস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার জন্য আর কখনোই মামলা-হামলা, জুলুম-নির্যাতন হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আহ্বায়ক আমিনুল হক। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন
২১ ঘণ্টা আগেনবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে শক্তিশালী ও পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১০ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি। আজ সোমবার দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত জ্বালানি খাত নিয়ে সরকারের করণীয় বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব প্রস্তাবনা তুলে ধরেন দলের যুগ্ম সদস্যসচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ
১ দিন আগে