Ajker Patrika

২০১৬-এর পর এটাই কি মোস্তাফিজের সেরা আইপিএল

আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১৬: ৫৯
২০১৬-এর পর এটাই কি মোস্তাফিজের সেরা আইপিএল

২০১৬ আইপিএলে মোস্তাফিজুর রহমানের প্রথম মৌসুমটা মনে রাখার মতো। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে সেবার ১৬ ম্যাচে নেন ১৭ উইকেট। ক্যারিয়ারের প্রথম আইপিএলেই পান শিরোপা জয়ের স্বাদ। তিনি নিজেও জেতেন উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার।

সময়ের পরিক্রমায় আইপিএলে মোস্তাফিজের কেটে গেছে আট বছর। চেন্নাই সুপার কিংসের জার্সিতে এবার তিনি খেলার সুযোগ পেয়েছেন ৯ ম্যাচ। ৯.২৬ ইকোনমিতে নিয়েছেন ১৪ উইকেট। এখনো পর্যন্ত যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী হয়ে শেষ করেছেন ২০২৪ আইপিএল। পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে গত রাতে শেষ হয় তাঁর এবারের আইপিএল। ৪ ওভারে ২২ রান খরচ করেছেন। কোনো উইকেট না পেলেও এক ওভার মেডেন দিয়েছেন। তবে ফিজের শেষটা দারুণ হলেও জিততে পারেনি চেন্নাই। চেন্নাইয়ের চিদম্বরম স্টেডিয়ামে আইপিএল পর্ব শেষ করে বাংলাদেশে ফিরবেন আজ বিকেলে।

এবারের আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে মোস্তাফিজ  ৪৮ শতাংশ ডট বল করেছেন ৷ পেয়েছেন ৩ উইকেট ৷ পাওয়ার প্লেতে যেখানে এবারের আইপিএলে বিধ্বংসী ব্যাটিং করছে দলগুলো, সেখানে প্রায় অর্ধেক ডট বল করা ফিজের জন্য চাট্টিখানি কথা নয়। তাঁর মূল অস্ত্র স্লোয়ার-কাটারে পেয়েছেন ৮টি উইকেট ৷  ৪৮ শতাংশ বলই করেছেন স্লোয়ার। ফিজের এমন পারফরম্যান্সের পর তাকে ছাড়তে নিশ্চয়ই কষ্ট হচ্ছে চেন্নাইয়ের ৷ কিন্তু বিসিবি থেকে যেহেতু ১ মে পর্যন্ত ম্যাচ খেলার অনাপত্তিপত্র (এনওসি) পেয়েছেন, সেখানে চেন্নাইয়ের কী আর করার।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে এবারের আইপিএলের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন মোস্তাফিজ। বাংলাদেশের বাহাতি পেসারের আইপিএল ক্যারিয়ারে এটাই সেরা বোলিং। ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে উইকেটের ফিফটি পূর্ণ করেন সেই ম্যাচেই। সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর পার্পল ক্যাপ তিনি ধরে রাখেন প্রায় দুই সপ্তাহ। প্রথম চার ম্যাচে নেন ৯ উইকেট। সেখানে ১৬ ওভার বোলিং করে খরচ করেন ১২৮ রান। ৮ ইকোনমিতে বোলিংটাও দারুণ বলতে হবে। যেখানে এবারের আইপিএলে শুরু থেকেই বয়ে যাচ্ছে রানের বন্যা। আইপিএলে রানবন্যার মতো ফিজও খরুচে হয়ে উঠতে শুরু করেন। প্রথম চার ম্যাচে গড়ে যেখানে মোস্তাফিজ দুটির বেশি উইকেট পেয়েছেন, সেখানে টানা তিন ম্যাচে নেন একটি করে উইকেট। মুম্বাই ইন্ডিয়ানস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে দুই ম্যাচ—এই তিন ম্যাচে ফিজ খরচ করেন ৫৫,৪৩ ও ৫১ রান। ডেথ ওভারেও চাপ সামলাতে ব্যর্থ বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার। তাঁকে (মোস্তাফিজ) তুলোধুনো করে তিন বলে ১৮ রান নিয়ে মার্কাস স্টয়নিস চেন্নাইয়ের হাসি কেড়ে নেন। চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠ চিপকে আইপিএলের শুরুর দিকে তাঁর ইকোনমি ছিল ৬ এর একটু বেশি। সেই মাঠেই লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে তিনি ৫০ এর বেশি রান দিয়েছেন।

পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে ম্যাচের পর আজ সকালে নিজেদের ফেসবুক পেজে এই পোস্ট করেছে চেন্নাই সুপার কিংসমোস্তাফিজের ২০২৪ আইপিএল মিশন যখন শেষের দিকে, তখন আবারও দুর্দান্ত হয়ে ওঠেন তিনি। চিপকে সাবেক ফ্র্যাঞ্চাইজি হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৯ রান খরচ করে নেন ২ উইকেট। একই মাঠ চিপকে গত রাতে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে নিজের ২৪ বলের মধ্যে দিয়েছেন ১৪ ডট। হজম করেছেন ২টি চার। মেডেন দেওয়া ওভারটি করেছেন ১৫তম ওভারে। সে সময় বোলিংয়ে এসে পাঞ্জাবের বিস্ফোরক ব্যাটার শশাঙ্ক সিংকে রীতিমতো নাচিয়ে ছেড়েছেন তিনি।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস, চেন্নাই সুপার কিংস—আইপিএলে পাচটি ভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেন মোস্তাফিজ। ৫৭ ম্যাচে ৮.১৪ ইকোনমিতে নেন ৬১ উইকেট। ২০১৬ আইপিএলে ১৭ উইকেটই এক আইপিএলে মোস্তাফিজের সর্বোচ্চ উইকেট। নিজের প্রথম আইপিএলে ফিজ বোলিং করেন ৬.৯০ ইকোনমিতে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪টি করে উইকেট পেয়েছেন ২০২১ ও ২০২৪ আইপিএলে। রাজস্থানের জার্সিতে ২০২১ সালে ১৪ ম্যাচে ফিজ ১৪ উইকেট নেন ৮.৪১ ইকোনমিতে। সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন ২০১৭ ও ২০২৩ আইপিএলে। ২০১৭ আইপিএলে হায়দরাবাদের হয়ে মোস্তাফিজ ১২.৭৫ ইকোনমিতে বোলিং করেও কোনো উইকেট পাননি। খেলেন মাত্র এক ম্যাচ। দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে গত আইপিএলে ২ ম্যাচ খেলে ১১.২৯ ইকোনমিতে নেন ১ উইকেট।

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান

ক্রীড়া ডেস্ক    
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি
শুরুতে উইকেট ফেললেও পাকিস্তানকে চেপে ধরতে পারেনি বাংলাদেশ। ৮ উইকেটে হেরে সেমি থেকেই বিদায় বাংলাদেশের। ছবি: এসিসি

নকআউট পর্বে যেমন প্রত্যাশা ছিল, আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ সেটা পূরণ করতে পারেনি। দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তামিম-জাওয়াদ আবরারদের হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে পাকিস্তান।

২০২৩, ২০২৪ সালে টানা দুইবার অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপজয়ী বাংলাদেশ এবার নেমেছিল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছিল তামিমের দল। তবে বাংলাদেশকে হ্যাটট্রিক ফাইনাল খেলতে দিল না পাকিস্তান। ৮ উইকেটে জিতে চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠল পাকিস্তান।

দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে চার ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল। ম্যাচের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমিয়ে ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। ২৭ ওভারে ১২২ রানের লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যায় ১ রানেই। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ বলে ইকবাল হোসেন ইমনের অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল খোঁচা দিতে যান পাকিস্তানি ওপেনার হামজা জহুর। বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ সহজেই সেটা তালুবন্দী করেছেন। দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি হামজা।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে শুরু হলে ম্যাচটা ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা আহসান নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তানের বিপক্ষে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ০৯
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি
পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ছবি: এসিসি

গ্রুপ পর্বে টানা তিন ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশকে আজ বড্ড অচেনা লেগেছে। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রীতিমতো মুখ থুবড়ে পড়ল আজিজুল হাকিম তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। বলের লাইন না বুঝে খেলতে গিয়েই বেশির ভাগ উইকেট হারিয়েছে তামিমের দল।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দুবাইয়ের দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির কারণে সময়মতো শুরু হয়নি। বিকেল ৩টার দিকে যখন ম্যাচ শুরু হয়, তখন দৈর্ঘ্য ২৭ ওভারে নিয়ে আসা হয়। টস হেরে আগে ব্যাটিং পাওয়া বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১২১ রানে।

পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫.১ ওভারে ২ উইকেটে ২৪ রানে পরিণত হয় বাংলাদেশ। দুই ওপেনারই দ্রুত ড্রেসিংরুমের পথ ধরেছেন। রিফাত বেগ ১৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ১৪ রান। ওপেনিংয়ে তাঁর আরেক সঙ্গী জাওয়াদ আবরার করেছেন ৯ রান। দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক তামিম ও কালাম সিদ্দিকী। ৪৩ বলে ৩১ রানের জুটি গড়েন তাঁরা (তামিম-কালাম)। ১৩তম ওভারের প্রথম বলে তামিমকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আব্দুল সুবহান। ২৬ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।

তামিমের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। বড় শট খেলতে গিয়েই আকাশে বল তুলে দেন আবরার-শেখ পারভেজ জীবনরা। পাকিস্তানি ফিল্ডাররা সেই ক্যাচগুলো তালুবন্দী করেছেন। ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে গুটিয়ে গেছে তামিমের বাংলাদেশ। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন সামিউন বশির রাতুল। ৩৭ বলের ইনিংসে একটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন তিনি।

পাকিস্তানের সুবহান ৬ ওভারে ২০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। এক ওভার মেডেন দিয়েছেন তিনি। হুজাইফা নিয়েছেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সায়েম, আহমেদ হুসেইন ও আলী রাজা। ২৭তম ওভারের তৃতীয় বলে রাতুল রানআউট হওয়াতেই শেষ বাংলাদেশের ইনিংস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেয়েদের বিসিএলে রোমাঞ্চের এক দিন

ক্রীড়া ডেস্ক    
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি
আজ তিনটি ফিফটি এসেছে। ছবি: বিসিবি

মেয়েদের বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) আজ তিনটি ফিফটি হয়েছে। অর্ধশতকের দেখা পেয়েছেন দিলারা দোলা, সোবহানা মোস্তারি ও রুবাইয়া হায়দার ঝিলিক। এর মধ্যে বৃথা গেছে ঝিলিকের ফিফটি। তবে ঠিকই জিতেছে দোলা ও মোস্তারির দল। তিন ফিফটি ছাপিয়ে শেষ ওভারের রোমাঞ্চে আলোচনায় এসেছে দুটি ম্যাচ।

টানটান উত্তেজনার পর শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে সেন্ট্রাল জোন এবং ইস্ট জোনের ম্যাচ। রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে ১ রানে জিতেছে সেন্ট্রাল জোন। তাদের করা ১৫৬ রানের জবাবে ১৫৫ রানে থামে ইস্ট জোন। জয়ের জন্য শেষ ওভারে তাদের সামনে ১২ রানের সমীকরণ ছিল। জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনার করা সে ওভারে ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি ইস্ট জোনের দুই ব্যাটার ফাহিমা খাতুন ও মুরশিদা খাতুন।

প্রথম ৪ বলে সমান রান দেন সুমনা। তাঁর করা পঞ্চম বল থেকে বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ফাহিমা। জেতার জন্য শেষ বলে করতে হতো ৪ রান। এ যাত্রায় ২ রানের বেশি নিতে পারেননি ফাহিমা। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সেন্ট্রাল জোন। এর আগে দোলা ও নিগার সুলতানা জ্যোতির ব্যাটে চড়ে এই পুঁজি পায় তারা। ৫৫ বলে ১৩ চারে ৮৫ রান করেন দোলা। জ্যোতির অবদান ৪৬ রান।

একই ভেন্যুতে সাউথ জোনকে ৪ রানে হারিয়েছে নর্থ জোন। মোস্তারির ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে ১৩১ রানের সংগ্রহ পায় তারা। শারমিন সুলতানার অবদান ৩৭ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি সাউথ জোন। ৬ উইকেট হাতে রেখে শেষ ওভারে তাদের করতে হতো ১৩ রান। উইকেটে লতা মন্ডল ও সুলতানা খাতুনের মতো দুই সেট ব্যাটার থাকায় জেতার স্বপ্ন বুনছিল সাউথ জোন।

সানজিদা আক্তার মেঘলার প্রথম বলে চার মেরে দারুণ শুরু করেন সুলতানা। দ্বিতীয় বলে নেন ২ রান। শেষ ৪ বলে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল ৭ রানের। এমন সময়ই ছন্দপতন। তৃতীয় বলে রান আউট হন ১৬ বলে ২৬ রান করা সুলতানা। পরের বলে মারুফা আক্তারকে ফেরান মেঘলা। পঞ্চম বলে ২ রান নেন আয়শা আক্তার। শেষ বলে তাঁকেও আউট করেন মেঘলা। শেষ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মেঘলা। ৪ ওভারে ২২ রান দেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইরানে ম্যাচ না খেলে দুই বছর নিষিদ্ধ ভারতের মোহনবাগান

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত
মোহনবাগানকে শাস্তি দিল এএফসি। ছবি: সংগৃহীত

সেপ্টেম্বরে ইরানে ম্যাচ খেলার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু তিন মাস আগে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের টুর্নামেন্টের ম্যাচ খেলতে যায়নি ভারতের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব। সেই ঘটনার কঠিন শাস্তি পেল মোহনবাগান। নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি মোটা অঙ্কের টাকা জরিমানা গুনতে হবে তাদের।

এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা কমিটি পরশু মোহনবাগানকে কঠিন শাস্তি দিয়েছে। ২০২৭-২৮ মৌসুম পর্যন্ত কোনো এশিয়ান প্রতিযোগিতায় খেলতে পারবে না। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ ৭২৯ ডলার জরিমানা করা হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ১ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এই ১ লাখ ডলারের মধ্যে ৫০ হাজার ডলারের (৬১ লাখ টাকা) জরিমানার শাস্তিটা মূলত সেপ্টেম্বরে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে। এএফসি ও ইরানি ক্লাব সেপাহান এসসি’র যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে, সেক্ষেত্রে আরও বেশি ৫০৭২৯ ডলার দিতে হবে বলে এএফসির নির্দেশ। বাংলাদেশি মুদ্রায় সেটা ৬২ লাখ টাকা।

সেপাহানের বিপক্ষে সেপ্টেম্বরে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নস লিগের দ্বিতীয় গ্রুপের ম্যাচ খেলতে ইরানে যাওয়ার কথা ছিল মোহনবাগানের। কিন্তু ইরানে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও চিকিৎসা বিমা কভারেজের সমস্যার কথা উল্লেখ করেছিল মোহনবাগান। এএফসি এরপর তাদের সব ম্যাচ বাতিল করেছে। এএফসির দ্বিতীয় স্তরের এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের ব্যাপারে কোনো ধরনের ভর্তুকিও পাবে না ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাব।

মোহনবাগান ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) নিরপেক্ষ ভেন্যুতে সেপাহান এসসির বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ভারতের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছিল সিএএস। গত বছর ইরানের আরেক ক্লাব ট্র্যাকটর এসসির বিপক্ষে খেলেনি মোহনবাগান। ট্র্যাকটর এসসি-মোহনবাগান ম্যাচটি ইরানেই হওয়ার কথা ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত