Ajker Patrika

সেমিতে যেতে ২২৯ বলে ১৫৬ করতে হবে বাংলাদেশকে

ক্রীড়া ডেস্ক
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২৩: ০৬
সেমিতে যেতে ২২৯ বলে ১৫৬ করতে হবে বাংলাদেশকে

শুধু জয়ই নয়, বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে নজর রাখতে হচ্ছে নেট রানরেটের দিকেও। সেটাই যেন উজ্জীবিত করেছে বাংলাদেশের যুবাদের। বেনোনিতে আজ দুর্দান্ত বোলিং, ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের সামনে বেশ অসহায় লাগছিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে। বোলিংয়ে অর্ধেক কাজ সেরে রাখা বাংলাদেশের এখন বাকি পথ পাড়ি দেওয়ার দায়িত্ব ব্যাটারদের।   

রহনত দৌল্লাহ বর্ষণ-শেখ পারভেজ জীবনদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আজ পাকিস্তান খেলতে পারেনি পুরো ৫০ ওভারও। ৪০.৪ ওভারে পাকিস্তান অলআউট হয়েছে ১৫৫ রানে। ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোতে জানা গেছে,  সেমিতে যেতে হলে বাংলাদেশকে  জিততে হবে ৩৮.১ ওভারে। তাতেই পাকিস্তানের নেট রানরেটকে টপকাতে পারবে বাংলাদেশ। কেননা বাংলাদেশ জিতলে দুটি দলেরই পয়েন্ট তখন হবে ৬। যেখানে পাকিস্তানের বর্তমানে নেট রানরেট: ‍+১.০৬৪ ও বাংলাদেশের  নেট রানরেট: ‍+০.৩৪৮।

টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি। বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরু থেকেই রানের জন্য ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। প্রথম ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬ রান। পঞ্চম ওভারে প্রথম বাউন্ডারির দেখা পায় পাকিস্তান। পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ইকবাল হোসেন ইমনকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে চার মেরে প্রথম বাউন্ডারি মারেন শামিল হুসেইন। এরপর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম—তিন ওভারেই চার মেরেছে পাকিস্তান। যার মধ্যে সপ্তম ওভারে  ইকবাল হোসেন ইমনকে দুই চার মারেন পাকিস্তানি ওপেনার শামিল। দলীয় ৩৭ রানে ভেঙে যায় পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি। নবম ওভারের চতুর্থ বলে শামিলকে বোল্ড করেন রহনত দৌল্লাহ বর্ষণ।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর ব্যাটিংয়ে নামেন আজান আওয়াইস। তিন নম্বরে নামা আওয়াইসের উইকেটও তুলে নেন বর্ষণ। ১১তম ওভারের চতুর্থ বলে বর্ষণের অসাধারণ এক বাউন্সারে বিভ্রান্ত হয়ে ব্যাটে লেগে যায় আওয়াইসের। আউটসাইড এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক আশিকুর রহমান শিবলি। এরপর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন পাকিস্তানি অধিনায়ক সাদ বাইগ। তিনিও আউট হয়েছেন রান আউটের ফাঁদে কাটা পড়ে। ১৭ তম ওভারের শেষ বলে বর্ষণকে পয়েন্টে ঠেলে সিঙ্গেল নিতে যান শাহজাইব খান। পয়েন্ট থেকে স্ট্রাইক প্রান্তে  আরিফুল ইসলামের দুর্দান্ত থ্রোতে রানআউট হয়েছেন  বাইগ। তাতে পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায় ১৭ ওভারে ৩ উইকেটে ৬৬ রান।   

৩ উইকেট হারিয়ে ফেলা পাকিস্তানের পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন আহমাদ হাসান। ওপেনার শাহজাইব খানের সঙ্গে চতুর্থ উইকেট জুটিতে হাসান খেলেন ৪০ বল। তবে এই জুটি যোগ করতে পেরেছে মাত্র ১০ রান। ২৪ তম ওভারের চতুর্থ বলে শেখ পারভেজ জীবনের বল কাট করতে যান শাহজাইব।  ক্যাচ ধরেছেন শিবলি। ৬৭ বলে ৩ চারে ২৬ রান করেন শাহজাইব।  শাহজাইবের সঙ্গী হাসানও দ্রুত বিদায় নিয়েছেন। ২৬ তম ওভারের শেষ বলে বর্ষণকে পুল করতে যান হাসান। টপ এজ হওয়া বল ক্যাচ ধরেছেন শিবলি।  

জীবন-বর্ষণ-জীবন, এভাবে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের বোলাররা উইকেট নিতে থাকেন পাকিস্তানের। ২৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে হারুন আরশাদ সুইপ করেছেন জীবনকে। লং অন থেকে দৌড়ে এসে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন আহরার আমিন। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো পাকিস্তানের স্কোর হয়ে যায়  ২৬.২ ওভারে ৬ উইকেটে ৮৯ রান।  এরপর সপ্তম উইকেটে আলি আসফান্দ ও আরাফাত মিনহাজ গড়েন ৫৭ বলে ৪৩ রানের জুটি। আসফান্দকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন জীবন।  এখান থেকেই পাকিস্তানের ইনিংসের ভাঙনের শুরু। ২৩ রানে শেষ ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তানিরা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন মিনহাজ।বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি করে উইকেট নিয়েছেন বর্ষণ ও জীবন।  

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত