নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশ দলের সাবেক টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের সৌজন্যে দেশের ক্রিকেটে বেশ পরিচিতি পায় ‘ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়’ শব্দ দুটি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যাঁরা বোলিং-ব্যাটিংয়ে আলাদাভাবে মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন, এমন পারফরমারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ‘ইমপ্যাক্ট’ হিসেবে দেখা হয়।
২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শ্রীরাম বাংলাদেশ দলে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের অভাবের কথা তুলে ধরেছিলেন বারবার। আগামী জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির ভালো মঞ্চ বলা যায়। নিজেদের প্রমাণ ও ইমপ্যাক্টফুল হয়ে ওঠার সুযোগও তাঁদের সামনে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তো!
চলতি বিপিএল মাঝপথে এসে পড়লেও দেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটাররা এই সুযোগ নিতে পারেননি। কজন খেলোয়াড় ভালো খেলছেন, তাঁরা আবার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন কিংবা জাতীয় দলে তাঁদের সুযোগ হয় না। আর জাতীয় দলের কেউ কেউ ভালো করলেও তাঁদের পারফরম্যান্স আবার দলের জয়ে তেমন প্রভাব রাখছে না!
এবারের বিপিএলে হওয়া ২০ ম্যাচে দলের জয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা তালিকায় ১০ ক্রিকেটারের মধ্যে সাতজনই আছেন বিদেশি। সেরা দশে থাকা স্থানীয় তিন ক্রিকেটার হচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান ও জাকির হাসান। জাকির জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১টি, সেটিও ২০১৮ সালে। যদিও গত বছর এশিয়ান গেমসে ৩টি ম্যাচ খেলেছেন। সেরা ১০ জনের ৬ জন আবার অলরাউন্ডার এবং লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করেন। যাঁরা কবজির মোচড়ে কিংবা বোলিং-ঝলকে খেলার গতিপথ বদলে দেন।
পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে ইম্প্যাক্ট রাখা ক্রিকেটার যে দলে বেশি, তাদের ফলও পাচ্ছে ভালো। বিপিএলে ৩২৯ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে বেশি ইম্প্যাক্ট রেখে শীর্ষে আছেন রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৬ ম্যাচে ১৪৭ রান করেছেন ১৫৩.১২ স্ট্রাইকরেটে, নিয়েছেন ৫ উইকেট। তালিকায় রংপুরেরই সর্বোচ্চ চার ক্রিকেটার—ওমরজাই, শেখ মেহেদী, বাবর আজম ও মোহাম্মদ নবি। তাঁদের প্রভাবের যোগফল, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রংপুর (৮ পয়েন্ট)। শেখ মেহেদী ৪৯ রানের পাশাপাশি ১০ উইকেট নিয়ে এ পর্যন্ত যৌথ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
তালিকায় খুলনার রয়েছেন তিন খেলোয়াড় মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ ও এভিন লুইস। খুলনা ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে। দুর্দান্ত ঢাকার শরীফুল ইসলাম-সিলেট স্ট্রাইকার্সের রিচার্ড এনগারাভারা যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (১০টি) হলেও তাঁরা এই তালিকায় সেরা দশে নেই। দলকে জেতাতে পারছেন না তাঁরা। দলও পয়েন্ট টেবিলের নিচে। তাসকিন-হাসান মাহমুদরা তো আরও নিচে। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, রনি তালুকদাররা বিপিএলে ব্যাট হাতে দুঃসময় পার করছেন। তালিকায় তাঁদের খুঁজতেও আছে ঝক্কি! শান্ত ৯৩, লিটন ৯৪ ও রনি আছেন ৯৭ নম্বরে।
তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েসরা ভালো রান পেলেও দলের জয়ে তাঁদের ইনিংসের প্রভাব কমই। বরিশালের তামিম ১৪৯ রান করেছেন; স্ট্রাইকরেট ১১৫.৫০। কুমিল্লার ইমরুলের রান ১৪৮, স্ট্রাইকরেট ১১৮.৪০। খুলনার অধিনায়ক বিজয়ের ১৪২ রান, স্ট্রাইকরেট ১১৮.৩৩।
অন্যদিকে তালিকায় শীর্ষে থাকা আজমতউল্লাহ ১৫৩.১২ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৪৪ রান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আভিশকা ফার্নান্দো ১৭৪ রান করেছেন ১৫৯.৬৩ স্ট্রাইকরেটে। বাবর ২০৪ রান করেছেন, কিন্তু স্ট্রাইকরেট ১১৫.৯০-এর পরও তালিকায় ৭ নম্বরে আছেন। কারণ, দল যখন দ্রুত উইকেট হারাল, কয়েক ম্যাচে রংপুরকে জিতিয়েছেন বাবরই।
বাংলাদেশ দলের সাবেক টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরামের সৌজন্যে দেশের ক্রিকেটে বেশ পরিচিতি পায় ‘ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড়’ শব্দ দুটি। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে যাঁরা বোলিং-ব্যাটিংয়ে আলাদাভাবে মুহূর্তে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন, এমন পারফরমারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ‘ইমপ্যাক্ট’ হিসেবে দেখা হয়।
২০২২ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে শ্রীরাম বাংলাদেশ দলে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটারের অভাবের কথা তুলে ধরেছিলেন বারবার। আগামী জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তার আগে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) মতো ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের প্রস্তুতির ভালো মঞ্চ বলা যায়। নিজেদের প্রমাণ ও ইমপ্যাক্টফুল হয়ে ওঠার সুযোগও তাঁদের সামনে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে তো!
চলতি বিপিএল মাঝপথে এসে পড়লেও দেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটাররা এই সুযোগ নিতে পারেননি। কজন খেলোয়াড় ভালো খেলছেন, তাঁরা আবার টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন কিংবা জাতীয় দলে তাঁদের সুযোগ হয় না। আর জাতীয় দলের কেউ কেউ ভালো করলেও তাঁদের পারফরম্যান্স আবার দলের জয়ে তেমন প্রভাব রাখছে না!
এবারের বিপিএলে হওয়া ২০ ম্যাচে দলের জয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাব রাখা তালিকায় ১০ ক্রিকেটারের মধ্যে সাতজনই আছেন বিদেশি। সেরা দশে থাকা স্থানীয় তিন ক্রিকেটার হচ্ছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসান ও জাকির হাসান। জাকির জাতীয় দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১টি, সেটিও ২০১৮ সালে। যদিও গত বছর এশিয়ান গেমসে ৩টি ম্যাচ খেলেছেন। সেরা ১০ জনের ৬ জন আবার অলরাউন্ডার এবং লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করেন। যাঁরা কবজির মোচড়ে কিংবা বোলিং-ঝলকে খেলার গতিপথ বদলে দেন।
পরিসংখ্যান বলছে, সবচেয়ে ইম্প্যাক্ট রাখা ক্রিকেটার যে দলে বেশি, তাদের ফলও পাচ্ছে ভালো। বিপিএলে ৩২৯ স্কোর নিয়ে সবচেয়ে বেশি ইম্প্যাক্ট রেখে শীর্ষে আছেন রংপুর রাইডার্সের অলরাউন্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ৬ ম্যাচে ১৪৭ রান করেছেন ১৫৩.১২ স্ট্রাইকরেটে, নিয়েছেন ৫ উইকেট। তালিকায় রংপুরেরই সর্বোচ্চ চার ক্রিকেটার—ওমরজাই, শেখ মেহেদী, বাবর আজম ও মোহাম্মদ নবি। তাঁদের প্রভাবের যোগফল, পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রংপুর (৮ পয়েন্ট)। শেখ মেহেদী ৪৯ রানের পাশাপাশি ১০ উইকেট নিয়ে এ পর্যন্ত যৌথ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি।
তালিকায় খুলনার রয়েছেন তিন খেলোয়াড় মোহাম্মদ নওয়াজ, ফাহিম আশরাফ ও এভিন লুইস। খুলনা ৮ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে। দুর্দান্ত ঢাকার শরীফুল ইসলাম-সিলেট স্ট্রাইকার্সের রিচার্ড এনগারাভারা যৌথভাবে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (১০টি) হলেও তাঁরা এই তালিকায় সেরা দশে নেই। দলকে জেতাতে পারছেন না তাঁরা। দলও পয়েন্ট টেবিলের নিচে। তাসকিন-হাসান মাহমুদরা তো আরও নিচে। লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, রনি তালুকদাররা বিপিএলে ব্যাট হাতে দুঃসময় পার করছেন। তালিকায় তাঁদের খুঁজতেও আছে ঝক্কি! শান্ত ৯৩, লিটন ৯৪ ও রনি আছেন ৯৭ নম্বরে।
তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, ইমরুল কায়েসরা ভালো রান পেলেও দলের জয়ে তাঁদের ইনিংসের প্রভাব কমই। বরিশালের তামিম ১৪৯ রান করেছেন; স্ট্রাইকরেট ১১৫.৫০। কুমিল্লার ইমরুলের রান ১৪৮, স্ট্রাইকরেট ১১৮.৪০। খুলনার অধিনায়ক বিজয়ের ১৪২ রান, স্ট্রাইকরেট ১১৮.৩৩।
অন্যদিকে তালিকায় শীর্ষে থাকা আজমতউল্লাহ ১৫৩.১২ স্ট্রাইকরেটে করেছেন ১৪৪ রান। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আভিশকা ফার্নান্দো ১৭৪ রান করেছেন ১৫৯.৬৩ স্ট্রাইকরেটে। বাবর ২০৪ রান করেছেন, কিন্তু স্ট্রাইকরেট ১১৫.৯০-এর পরও তালিকায় ৭ নম্বরে আছেন। কারণ, দল যখন দ্রুত উইকেট হারাল, কয়েক ম্যাচে রংপুরকে জিতিয়েছেন বাবরই।
সৌদি আরবের আল হিলালে থাকলেও নেইমার এরপর কোথায় যাবেন, সেটা নিয়ে চলছে আলাপ-আলোচনা। কারণ, চোটে পড়ায় সৌদি ক্লাবটির হয়ে তিনি বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের সঙ্গে তাঁর চুক্তি শেষ হবে...
১ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্যাম কনস্টাস খেলেছেন কেবল এক সিরিজ। ভারতের বিপক্ষে সদ্য শেষ হওয়া বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে দুই ম্যাচ খেলেই আলোড়ন তোলেন কনস্টাস।অস্ট্রেলিয়ার তরুণ এই ক্রিকেটারের সঙ্গে যা ঘটল, সেটা চমকে যাওয়ার মতোই।
২ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়াল এখন আছেন ইংল্যান্ডে। লেস্টার সিটিতে খেলা হামজা চৌধুরীও আছেন সেখানে। ব্যাটে-বলে যখন সবকিছু মিলে গেল, তখন একসঙ্গে ডিনারের সুযোগ হাতছাড়া করেননি তাবিথ ও হামজা।
৩ ঘণ্টা আগেদুর্বার রাজশাহীকে সামাজিক মাধ্যমে ব্যঙ্গ করে অনেকে ‘দুর্বল রাজশাহী’ বলে থাকেন। বিদ্রুপ করে বলা কথারই এখন বাস্তব প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। টুর্নামেন্টের মাঝপথেই ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। তাসকিন আহমেদ, এনামুল হক বিজয়রা তাদের পাওনা টাকা কীভাবে পাবেন, সেই ব্যাপরে কথা বলেছেন রাজশাহীর...
৪ ঘণ্টা আগে