নাজিম আল শমষের, ঢাকা
স্বাধীনতার আগে ও পরে এলাকা বা মহল্লার মানুষের আবেগ-ভালোবাসা নিয়ে জন্ম নিত একেকটি ফুটবল ক্লাব। এলাকার মানুষের চাঁদা ও সামর্থ্যবানদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব ক্লাব চলত।
সময়ের পরিক্রমায় ‘ঐতিহ্যবাহী’ তকমা ধারণ করে ক্লাবগুলো এখনো টিকে আছে ঠিকই, তবে নতুন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তাল হারিয়ে এসব ক্লাব এখন ধুঁকছে নিজেদের সোনালি অতীত আঁকড়ে ধরে। ঐতিহ্যবাহী এই দলগুলোকে পেছনে ঠেলে দেওয়া নতুন প্রতিযোগী হচ্ছে ‘করপোরেট ক্লাব’।
যেভাবে এগিয়ে করপোরেট দলগুলো
২০১৬ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ দিয়ে ঘরোয়া লিগে প্রবেশ দেশের প্রথম করপোরেট দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের। দেশের শীর্ষস্থানীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক এই ক্লাবের স্বত্বাধিকারী। ঘরোয়া ফুটবলে বড় কোনো সাফল্য না পেলেও প্রযুক্তির ব্যবহার, খেলোয়াড়দের পেছনে বিনিয়োগে ঐতিহ্যবাহী অন্য দলগুলোর চেয়ে বেশ এগিয়ে সাইফ। জাতীয় দলের পাইপলাইনও সমৃদ্ধ করছেন এই ক্লাবের ফুটবলাররা।
শিরোপা জয়ের চেয়ে জাতীয় দল সমৃদ্ধ করাটাই নিজেদের বড় সাফল্য মনে করেন সাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘সাইফ নতুন নতুন প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরি করছে। এরই মধ্যে ছয়-সাতজন ফুটবলার জাতীয় দলে সুযোগও পেয়েছেন। করপোরেট দলগুলো ফুটবলে আসায় ফুটবলীয় সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক ফুটবল, ফিজিও, খেলার বিশ্লেষক, ট্র্যাকারসহ ঘরোয়া ফুটবলে উন্নত বেতনকাঠামো তৈরি করেছে সাইফ।’
বিপিএল ফুটবলে সাইফের পরে এসেছে বসুন্ধরা। তবে শিরোপা সাফল্য আর খেলোয়াড়দের পেছনে বিপুল বিনিয়োগে এখন সবার ওপরে দেশের দ্বিতীয় করপোরেট দল বসুন্ধরা কিংস। ২০১৮ সালে নিজেদের প্রথম লিগেই শিরোপা জিতেছে বসুন্ধরা। লিগের প্রথম মৌসুমেই কোস্টারিকার জাতীয় দলের খেলোয়াড় ড্যানিয়েল কলিয়েন্দ্রেসকে এনেছিল বসুন্ধরা। ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন আর্জেন্টিনা দলের সাবেক ফুটবলার হার্নান বার্কোস। শুধু বিদেশি নয়, স্থানীয় ফুটবলারদের পেছনে দুহাতে টাকা ঢালছে বসুন্ধরা। ভালো মানের বিদেশি ফুটবলার, উন্নত আবাসনব্যবস্থা, আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা—সবকিছুতেই এগিয়ে তারা। পুরুষদের পাশাপাশি নারী দলও গড়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানটি। এই ক্লাবে জাতীয় দলের ফুটবলারের ছড়াছড়ি। শেখ রাসেল, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষকও তারা।
বসুন্ধরার বাইরে জাতীয় দলের অন্য ফুটবলারদের নিয়ে এবার বেশ শক্তিশালী দল গড়েছে শেখ রাসেল। আবাহনী থেকে রাসেলে চলে এসেছেন জাতীয় দলের উইঙ্গার সাদ উদ্দিন। দলটিতে আছেন সুমন রেজা, মোহাম্মদ জুয়েল, রহমত মিয়া, হাবিবুর রহমান সোহাগের মতো জাতীয় দলে খেলা ফুটবলাররা। আগামী মৌসুমে জাতীয় দলের প্রায় সব ফুটবলারই খেলবেন করপোরেট দলগুলো কিংবা এর পৃষ্ঠপোষকতায় চলা ক্লাবগুলোর হয়ে।
যেখানে পিছিয়ে ঐতিহ্যবাহী দলগুলো
২০০৭ সালে পেশাদার লিগ চালুর পর লিগে একচ্ছত্র দাপট ছিল দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনীর। আরেক ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান এখনো লিগ জিততে না পারলেও শুরুতে লড়াইয়ে ছিল। সাইফ স্পোর্টিং, বসুন্ধরা কিংসের মতো করপোরেট দলগুলোর লিগে আবির্ভাবের পর শিরোপা জয়ের দৌড় থেকে ক্রমেই ছিটকে পড়ছে আবাহনী। ধীরে ধীরে লড়াই থেকে দূরে সরে গেছে মোহামেডানও। পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে থেকে এবারের লিগ শেষ করেছে দলটি।
বসুন্ধরা কিংস, শেখ রাসেল, সাইফ স্পোর্টিংয়ে অধিকাংশ জাতীয় দলের ফুটবলার চলে যাওয়ায় এখন বিদেশিদের দিয়ে আগামী মৌসুমে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখছে মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী দলগুলো। ‘বসুন্ধরা, শেখ রাসেলের মতো দলগুলো খেলোয়াড়দের জন্য দুই হাতে খরচ করেছে। জাতীয় দলের বেশির ভাগ ফুটবলার নিয়ে গেছে। যে খেলোয়াড়কে আগে ১০-১২ লাখ টাকায় পাওয়া যেত, এখন করপোরেট দলগুলো ২৫-৩০ লাখ টাকায় সেই সব খেলোয়াড়কে নিয়ে যাচ্ছে’—শক্তিশালী দল না করতে পারার ব্যাখ্যায় নিজেদের আর্থিক দুর্বলতা সামনে আনলেন মোহামেডান ফুটবল দলের ম্যানেজার ও জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব।
দেশের আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন বলছিলেন, ‘লিগ থেকে অবনমন হয়েছে আরামবাগ-ব্রাদার্সের। ফুটবলাররা তাদের জীবিকার তাগিদে ফুটবল খেলে। ফুটবলারদের বলা যাবে না ঐতিহ্যের টানে খেলো! ভালো ফুটবলার এখন করপোরেট দলগুলোর দখলে। নিজেদের চাহিদা মেটাতে হলে এখন ক্লাবগুলোর নিজস্ব একাডেমির দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
ক্লাবগুলোর ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি বর্তমান সময়ের উন্নত ফুটবলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পরামর্শ সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিনের। বললেন, অবশ্যই ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে তাকাতে হবে বর্তমান বিশ্বের দিকেও। ফুটবল-বিশ্ব কোন দিকে এগোচ্ছে, সেটা লক্ষ রাখতে হবে।
স্বাধীনতার আগে ও পরে এলাকা বা মহল্লার মানুষের আবেগ-ভালোবাসা নিয়ে জন্ম নিত একেকটি ফুটবল ক্লাব। এলাকার মানুষের চাঁদা ও সামর্থ্যবানদের পৃষ্ঠপোষকতায় এসব ক্লাব চলত।
সময়ের পরিক্রমায় ‘ঐতিহ্যবাহী’ তকমা ধারণ করে ক্লাবগুলো এখনো টিকে আছে ঠিকই, তবে নতুন ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’র সঙ্গে প্রতিযোগিতায় তাল হারিয়ে এসব ক্লাব এখন ধুঁকছে নিজেদের সোনালি অতীত আঁকড়ে ধরে। ঐতিহ্যবাহী এই দলগুলোকে পেছনে ঠেলে দেওয়া নতুন প্রতিযোগী হচ্ছে ‘করপোরেট ক্লাব’।
যেভাবে এগিয়ে করপোরেট দলগুলো
২০১৬ সালে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ দিয়ে ঘরোয়া লিগে প্রবেশ দেশের প্রথম করপোরেট দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের। দেশের শীর্ষস্থানীয় করপোরেট প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক এই ক্লাবের স্বত্বাধিকারী। ঘরোয়া ফুটবলে বড় কোনো সাফল্য না পেলেও প্রযুক্তির ব্যবহার, খেলোয়াড়দের পেছনে বিনিয়োগে ঐতিহ্যবাহী অন্য দলগুলোর চেয়ে বেশ এগিয়ে সাইফ। জাতীয় দলের পাইপলাইনও সমৃদ্ধ করছেন এই ক্লাবের ফুটবলাররা।
শিরোপা জয়ের চেয়ে জাতীয় দল সমৃদ্ধ করাটাই নিজেদের বড় সাফল্য মনে করেন সাইফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধুরী। আজকের পত্রিকাকে বললেন, ‘সাইফ নতুন নতুন প্রতিভাবান ফুটবলার তৈরি করছে। এরই মধ্যে ছয়-সাতজন ফুটবলার জাতীয় দলে সুযোগও পেয়েছেন। করপোরেট দলগুলো ফুটবলে আসায় ফুটবলীয় সংস্কৃতিতেও পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক ফুটবল, ফিজিও, খেলার বিশ্লেষক, ট্র্যাকারসহ ঘরোয়া ফুটবলে উন্নত বেতনকাঠামো তৈরি করেছে সাইফ।’
বিপিএল ফুটবলে সাইফের পরে এসেছে বসুন্ধরা। তবে শিরোপা সাফল্য আর খেলোয়াড়দের পেছনে বিপুল বিনিয়োগে এখন সবার ওপরে দেশের দ্বিতীয় করপোরেট দল বসুন্ধরা কিংস। ২০১৮ সালে নিজেদের প্রথম লিগেই শিরোপা জিতেছে বসুন্ধরা। লিগের প্রথম মৌসুমেই কোস্টারিকার জাতীয় দলের খেলোয়াড় ড্যানিয়েল কলিয়েন্দ্রেসকে এনেছিল বসুন্ধরা। ক্লাবটির হয়ে খেলেছেন আর্জেন্টিনা দলের সাবেক ফুটবলার হার্নান বার্কোস। শুধু বিদেশি নয়, স্থানীয় ফুটবলারদের পেছনে দুহাতে টাকা ঢালছে বসুন্ধরা। ভালো মানের বিদেশি ফুটবলার, উন্নত আবাসনব্যবস্থা, আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা—সবকিছুতেই এগিয়ে তারা। পুরুষদের পাশাপাশি নারী দলও গড়েছে করপোরেট প্রতিষ্ঠানটি। এই ক্লাবে জাতীয় দলের ফুটবলারের ছড়াছড়ি। শেখ রাসেল, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের প্রধান পৃষ্ঠপোষকও তারা।
বসুন্ধরার বাইরে জাতীয় দলের অন্য ফুটবলারদের নিয়ে এবার বেশ শক্তিশালী দল গড়েছে শেখ রাসেল। আবাহনী থেকে রাসেলে চলে এসেছেন জাতীয় দলের উইঙ্গার সাদ উদ্দিন। দলটিতে আছেন সুমন রেজা, মোহাম্মদ জুয়েল, রহমত মিয়া, হাবিবুর রহমান সোহাগের মতো জাতীয় দলে খেলা ফুটবলাররা। আগামী মৌসুমে জাতীয় দলের প্রায় সব ফুটবলারই খেলবেন করপোরেট দলগুলো কিংবা এর পৃষ্ঠপোষকতায় চলা ক্লাবগুলোর হয়ে।
যেখানে পিছিয়ে ঐতিহ্যবাহী দলগুলো
২০০৭ সালে পেশাদার লিগ চালুর পর লিগে একচ্ছত্র দাপট ছিল দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী দল আবাহনীর। আরেক ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান এখনো লিগ জিততে না পারলেও শুরুতে লড়াইয়ে ছিল। সাইফ স্পোর্টিং, বসুন্ধরা কিংসের মতো করপোরেট দলগুলোর লিগে আবির্ভাবের পর শিরোপা জয়ের দৌড় থেকে ক্রমেই ছিটকে পড়ছে আবাহনী। ধীরে ধীরে লড়াই থেকে দূরে সরে গেছে মোহামেডানও। পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে থেকে এবারের লিগ শেষ করেছে দলটি।
বসুন্ধরা কিংস, শেখ রাসেল, সাইফ স্পোর্টিংয়ে অধিকাংশ জাতীয় দলের ফুটবলার চলে যাওয়ায় এখন বিদেশিদের দিয়ে আগামী মৌসুমে লড়াইয়ের স্বপ্ন দেখছে মোহামেডানের মতো ঐতিহ্যবাহী দলগুলো। ‘বসুন্ধরা, শেখ রাসেলের মতো দলগুলো খেলোয়াড়দের জন্য দুই হাতে খরচ করেছে। জাতীয় দলের বেশির ভাগ ফুটবলার নিয়ে গেছে। যে খেলোয়াড়কে আগে ১০-১২ লাখ টাকায় পাওয়া যেত, এখন করপোরেট দলগুলো ২৫-৩০ লাখ টাকায় সেই সব খেলোয়াড়কে নিয়ে যাচ্ছে’—শক্তিশালী দল না করতে পারার ব্যাখ্যায় নিজেদের আর্থিক দুর্বলতা সামনে আনলেন মোহামেডান ফুটবল দলের ম্যানেজার ও জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার ইমতিয়াজ আহমেদ নকিব।
দেশের আরেক ঐতিহ্যবাহী ক্লাব ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম তুহিন বলছিলেন, ‘লিগ থেকে অবনমন হয়েছে আরামবাগ-ব্রাদার্সের। ফুটবলাররা তাদের জীবিকার তাগিদে ফুটবল খেলে। ফুটবলারদের বলা যাবে না ঐতিহ্যের টানে খেলো! ভালো ফুটবলার এখন করপোরেট দলগুলোর দখলে। নিজেদের চাহিদা মেটাতে হলে এখন ক্লাবগুলোর নিজস্ব একাডেমির দিকে নজর দেওয়া উচিত।’
ক্লাবগুলোর ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার পাশাপাশি বর্তমান সময়ের উন্নত ফুটবলের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পরামর্শ সাইফ স্পোর্টিংয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিনের। বললেন, অবশ্যই ঐতিহ্যকে গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে তাকাতে হবে বর্তমান বিশ্বের দিকেও। ফুটবল-বিশ্ব কোন দিকে এগোচ্ছে, সেটা লক্ষ রাখতে হবে।
অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে পিচ করেছিল বল। ভেতরে ঢুকে মুখে লাইনে না গিয়েই খেলতে গেলেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে তাসকিনের সেই বল লাগল ব্যাটারের প্যাডে।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রথম সেশন বেশ ভালো কাটল বাংলাদেশের। মধ্যাহ্নভোজের আগে নিয়েছে ২ উইকেট। দুটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
১১ ঘণ্টা আগেপেপ গার্দিওলাকে প্রধান কোচের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিল ইংল্যান্ড। কদিন আগে রোনালদো নাজারিও জানিয়েছিলেন, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশনের আগামী নির্বাচনে সভাপতি হলে সেলেসাওদের জন্য নিয়ে আসবেন স্প্যানিশ কোচকে। তবে আপাতত কোথাও যাচ্ছেন না গার্দিওলা। থাকছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগেই।
১২ ঘণ্টা আগেউয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে পেল গতবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন। মুখোমুখি হবে চারবারের দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইতালি-জার্মানি।
১২ ঘণ্টা আগে