নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভুটানের বিপক্ষে একটা পয়েন্ট হলেই হয়ে যেত বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে একই সমীকরণ ছিল ভারতেরও। কিন্তু ভারতের হারে একটা হালকা সতর্কবাণী কিছুটা হলেও যেন শুনতে পাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তাই তেড়েফুঁড়ে খেলা শুরু থেকেই। আর সেই খেলার ফল বড় ব্যবধানে জয়।
আগের দুই ম্যাচে ১৬ গোল হজম করার সঙ্গে দলের একাধিক ফুটবলারের চোট দুর্বল থেকে দুর্বলতর বানিয়েছিল ভুটানকে। কোনোরকমে মাঠে নামা দলটাকে নিয়ে নিজেরাই খেললেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও আকলিমা খাতুন। হ্যাটট্রিক করেছেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। জোড়া গোল করেছেন আকলিমা। দুজনের গোলে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ৫-০ গোলে।
ভুটানকে হারিয়ে টানা তিন টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপালকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গত সেপ্টেম্বরে নেপালকে তাদের মাটিতে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই মাস পর নভেম্বরে বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে কাঁদিয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ শিরোপা জিতে নেয় নেপালের কিশোরীরা। অনূর্ধ্ব-২০ সাফের ফাইনাল জিতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এখন দুই দলের সামনেই।
আগের দুই ম্যাচের একাদশ থেকে দুই পরিবর্তন ছিল ভুটানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পান আইরিন খাতুন ও উন্নতি খাতুন। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শুরু হয় ম্যাচ।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরুতে ৭ মিনিটের মধ্যে তিনবার অফসাইডের ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড। সেই ফাঁদ ভেঙে ৮ মিনিটে ভুটান গোলরক্ষককে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে বল জালে ঠেলতে পারেননি আকলিমা খাতুন। ১৭ মিনিটে শামসুন্নাহার সুযোগ নষ্ট করেন ভুটানি গোলরক্ষকের গায়ে বল মেরে।
সুযোগ নষ্ট করলেও ২২ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম গোলের মূল উৎস শামসুন্নাহারই। প্রায় মাঝমাঠ থেকে ক্ষিপ্র গতিতে ভুটানের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্স থেকে আকলিমার দিকে কাছে বল পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাটি কামড়ানো শটে বল জালে পাঠান আকলিমা।
পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। বক্সে শামসুন্নাহার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ২৫ মিনিটে স্পট কিক নেন শাহেদা আক্তার রিপা। তাঁর শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
তবে সেই আক্ষেপকে বড় হতে দেননি শামসুন্নাহার। ২৯ মিনিটে উন্নতি খাতুনের কর্নার থেকে হেডে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন লাল-সবুজ অধিনায়ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ বাংলাদেশের। এবার বক্সের ভেতর থেকে আকলিমার শটও খুঁজে পায়নি জাল।
তবে ৫৩ মিনিটে স্বাগতিকদের তৃতীয় গোলের আনন্দে ভাসান অধিনায়ক। মাঝমাঠ থেকে রিপার বাড়ানো বলে নিপুণ ক্ষিপ্রতায় গায়ে লেগে থাকা ভুটানি ডিফেন্ডারকে হার মানান শামসুন্নাহার। এগিয়ে এসেছিলেন ভুটানি গোলরক্ষক, তাঁকে আসতে দেখে আড়াআড়ি শটে বল জালে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৫৬ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ নিজেই নষ্ট করেন শামসুন্নাহার। ইতি খাতুনের বাড়ানো বল থেকে ভুটান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করেন শামসুন্নাহার। গতি থাকায় এবার আর জাল খুঁজে পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর দুই মিনিটের ব্যবধানে ভুটানের জালে দুবার বল ঠেলেন আকলিমা খাতুন ও শামসুন্নাহার। ৬০ মিনিটে আইরিন খাতুনের পাস ধরে একক দক্ষতায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আকলিমা। পরের মিনিটে প্রায় একই রকম আক্রমণ থেকে হ্যাটট্রিক তুলে নেন শামসুন্নাহার।
ভুটানের বিপক্ষে একটা পয়েন্ট হলেই হয়ে যেত বাংলাদেশের। আগের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে একই সমীকরণ ছিল ভারতেরও। কিন্তু ভারতের হারে একটা হালকা সতর্কবাণী কিছুটা হলেও যেন শুনতে পাচ্ছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তাই তেড়েফুঁড়ে খেলা শুরু থেকেই। আর সেই খেলার ফল বড় ব্যবধানে জয়।
আগের দুই ম্যাচে ১৬ গোল হজম করার সঙ্গে দলের একাধিক ফুটবলারের চোট দুর্বল থেকে দুর্বলতর বানিয়েছিল ভুটানকে। কোনোরকমে মাঠে নামা দলটাকে নিয়ে নিজেরাই খেললেন শামসুন্নাহার জুনিয়র ও আকলিমা খাতুন। হ্যাটট্রিক করেছেন অধিনায়ক শামসুন্নাহার। জোড়া গোল করেছেন আকলিমা। দুজনের গোলে ভুটানের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ৫-০ গোলে।
ভুটানকে হারিয়ে টানা তিন টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপালকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বাংলাদেশের মেয়েরা। গত সেপ্টেম্বরে নেপালকে তাদের মাটিতে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী সাফ জিতেছিল বাংলাদেশ। দুই মাস পর নভেম্বরে বাংলাদেশকে ঘরের মাঠে কাঁদিয়ে অনূর্ধ্ব-১৫ সাফ শিরোপা জিতে নেয় নেপালের কিশোরীরা। অনূর্ধ্ব-২০ সাফের ফাইনাল জিতে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এখন দুই দলের সামনেই।
আগের দুই ম্যাচের একাদশ থেকে দুই পরিবর্তন ছিল ভুটানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে। টুর্নামেন্টে প্রথমবারের মতো একাদশে সুযোগ পান আইরিন খাতুন ও উন্নতি খাতুন। তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতদের স্মরণ করে এক মিনিট নীরবতা পালন করে শুরু হয় ম্যাচ।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে আক্রমণাত্মক ফুটবলে শুরুতে ৭ মিনিটের মধ্যে তিনবার অফসাইডের ফাঁদে পড়েন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড। সেই ফাঁদ ভেঙে ৮ মিনিটে ভুটান গোলরক্ষককে একা পেয়েও তালগোল পাকিয়ে বল জালে ঠেলতে পারেননি আকলিমা খাতুন। ১৭ মিনিটে শামসুন্নাহার সুযোগ নষ্ট করেন ভুটানি গোলরক্ষকের গায়ে বল মেরে।
সুযোগ নষ্ট করলেও ২২ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম গোলের মূল উৎস শামসুন্নাহারই। প্রায় মাঝমাঠ থেকে ক্ষিপ্র গতিতে ভুটানের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বক্স থেকে আকলিমার দিকে কাছে বল পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক। মাটি কামড়ানো শটে বল জালে পাঠান আকলিমা।
পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। বক্সে শামসুন্নাহার ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ২৫ মিনিটে স্পট কিক নেন শাহেদা আক্তার রিপা। তাঁর শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
তবে সেই আক্ষেপকে বড় হতে দেননি শামসুন্নাহার। ২৯ মিনিটে উন্নতি খাতুনের কর্নার থেকে হেডে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন লাল-সবুজ অধিনায়ক।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমণ বাংলাদেশের। এবার বক্সের ভেতর থেকে আকলিমার শটও খুঁজে পায়নি জাল।
তবে ৫৩ মিনিটে স্বাগতিকদের তৃতীয় গোলের আনন্দে ভাসান অধিনায়ক। মাঝমাঠ থেকে রিপার বাড়ানো বলে নিপুণ ক্ষিপ্রতায় গায়ে লেগে থাকা ভুটানি ডিফেন্ডারকে হার মানান শামসুন্নাহার। এগিয়ে এসেছিলেন ভুটানি গোলরক্ষক, তাঁকে আসতে দেখে আড়াআড়ি শটে বল জালে পাঠান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
৫৬ মিনিটে হ্যাটট্রিকের সুযোগ নিজেই নষ্ট করেন শামসুন্নাহার। ইতি খাতুনের বাড়ানো বল থেকে ভুটান গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে চিপ করেন শামসুন্নাহার। গতি থাকায় এবার আর জাল খুঁজে পাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর দুই মিনিটের ব্যবধানে ভুটানের জালে দুবার বল ঠেলেন আকলিমা খাতুন ও শামসুন্নাহার। ৬০ মিনিটে আইরিন খাতুনের পাস ধরে একক দক্ষতায় নিজের দ্বিতীয় গোল করেন আকলিমা। পরের মিনিটে প্রায় একই রকম আক্রমণ থেকে হ্যাটট্রিক তুলে নেন শামসুন্নাহার।
ব্রোঞ্জ জেতার স্বপ্ন নিয়েই এশিয়ান নারী চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে ইরানে পা রেখেছিল বাংলাদেশ। তবে সুযোগ ছিল স্বপ্নকে আরও দূর নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু সেমিফাইনালে স্বাগতিক ইরানের কাছে বাংলাদেশ হেরে যায় ৪১-১৮ পয়েন্টে।
১ ঘণ্টা আগেসাত বছর ধরে ফিফার আর্থিক অস্বচ্ছতার তালিকায় ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তাই ফিফা ফান্ডের অর্থ আসতো বেশ কয়েকটি কিস্তিতে। তবে আজ সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ফিফা...
২ ঘণ্টা আগেখেলোয়াড়দের দুঃসময়ে পরিবারের ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। সামাজিক মাধ্যমে হোক বা কোনো কথার মাধ্যমে বাবা-মা থেকে শুরু করে প্রেমিক-প্রেমিকা, আত্মীয়স্বজন সবাই সেই খেলোয়াড়ের পাশে দাঁড়ান। বাবর আজমের বাবাও করেছেন এমন কিছু। তবে বাবরের বাবার কাজটা মোটেও পছন্দ হয়নি কামরান আকমলের...
২ ঘণ্টা আগেদুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট চলছে পুরোপুরি ভিন্নভাবে। পাকিস্তান ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থতার গল্প লিখে চলেছে। অন্যদিকে ভারত খেলছে দাপট দেখিয়ে। দুই দলের ক্রিকেটের মধ্যে যে আকাশ-পাতাল পার্থক্য দেখা যাচ্ছে, সেটা মোহাম্মদ হাফিজ বোঝাতে চেয়েছেন...
৩ ঘণ্টা আগে