নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা: পরিসংখ্যান বলবে, ম্যাচের দখলে ছিল আফগানিস্তান। বলের দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ—সবকিছুতেই ছড়ি ঘুরিয়েছে তাঁরাই। যা লেখা থাকবে না তা হলো, ৪২ বছর পর আফগানদের হারানোর দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। ৩৬ শতাংশ বলের দখল আর ৪৮ মিনিটে ১–০ গোলে পিছিয়ে পড়েও পেয়েছে জয়ের সমান ১–১ গোলের ড্র।
দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, যাদের বিপক্ষে ১৯৭৯ সালের পর আর জয় পাওয়া হয়নি। ৪৮ মিনিটে গোল করে সেই রেকর্ডকে আরও দীর্ঘ করেছে আফগানরা। ৮৫ মিনিটে তপু বর্মণের শটে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ আফগানদের রুখে দিলেও জয়ের একটা আফসোস ঠিকই থেকে গেল। শেষ ১০ মিনিটে যে গতিতে আক্রমণ করে গেছেন জামাল ভূঁইয়ারা, ম্যাচের অর্ধেকও সেই ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তো পাল্টে যেত ম্যাচের ফল!
দারুণ ড্র করলেও পাল্টাচ্ছে না পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান। ছয় ম্যাচে দুই ড্রয়ে জেমি ডে শিষ্যদের পয়েন্ট দুই। আছে টেবিলের তলানিতে। সমান ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আফগানরা।
ম্যাচের শুরুতে জেমি ডের পছন্দের ৪-২-৩-১ ফরমেশনে বাংলাদেশের রক্ষণে সেন্টার ব্যাক হিসেবে ছিলেন তপু বর্মণ ও রিয়াদুল হাসান রাফি। অভিজ্ঞ রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় অভিষেক হয়েছে ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী। লেফটব্যাকে ছিলেন রহমত মিয়া। মাঝমাঠের খানিকটা নিচে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে আরেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে সোহেল রানা, বিপলু আহমেদ ও মতিন মিয়া। দলের একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেছেন রাকিব হোসেন।
বিপরীতে আফগানিস্তানের ফরমেশন ছিল সোজাসাপ্টা, ৪-৩-৩। প্রথম ৪৫ মিনিটে ৭৮ শতাংশ বলের দখল রাখা আফগানদের গোল করতে না দেওয়াই বাংলাদেশের কৃতিত্ব। ২০১৯ সালে দুশানবতে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন আফগান অধিনায়ক ফারশাদ নূর। আজও প্রায় বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন জামালদের। ২৯ মিনিট ডি-বক্সের বাইরে তাঁর ডান পায়ের উড়িয়ে মারা শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। নইলে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ত বাংলাদেশ।
বিরতির পর আর আটকে রাখা যায়নি আফগানিস্তানকে। ৪৮ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে ডেভিড নাজিমকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ শরিফ। নাজিম কাটব্যাক করেন আমির শরিফির পায়ে। ডিফেন্ডার রহমত মিয়া ছিলেন মার্কিংয়ের দায়িত্বে। তাঁকে ছিটকে দিয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান আমির শরিফি।
৬১ মিনিটে বাংলাদেশকে আবারও প্রায় বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন আমির শরিফি। ডি–বক্সের বাইরে থেকে গোলার বেগে এক শট নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো, লক্ষ্যে ছিল না সে শট।
গোল পাওয়ার পর অধিনায়ক নূরকে তুলে নেন আফগান কোচ আনুশ দস্তগির। মাঠে নামান একাধিক ডিফেন্ডারকে। ম্যাচে প্রথমবারের আফগানদের মতো রক্ষণাত্মক হওয়ার সুযোগে দুই ফরোয়ার্ডসহ আক্রমণের তিন খেলোয়াড়কে নামান জেমি ডে। তাতেই পাল্টে যায় ম্যাচের মোড়।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে রাকিব হোসেনের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অভিষিক্ত মিডফিল্ডার মো. আবদুল্লাহ। পরের মিনিটেই হাতছাড়া করেছেন সমতায় ফেরার বড় সুযোগ। মানিক মোল্লার বাড়ানো লম্বা শটে আফগান গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন, কিন্তু বল মেরেছেন গোলরক্ষকের গায়ে।
৫ মিনিট পরই অবশ্য আক্ষেপ মেটান তপু বর্মণ। ডিফেন্ডার হয়েও আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করার কীর্তি আছে তাঁর। বাংলাদেশকে বাঁচালেন আফগানদের বিপক্ষেও। সেট পিস থেকে রিয়াদুল হাসান রাফির হেড থেকে ডি-বক্সে বল পেয়েছিলেন তপু। তাঁকে ঘিরে ছিলেন আফগানদের তিন খেলোয়াড়। তিনজনকেই দারুণভাবে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠিয়ে বাংলাদেশ ড্র এনে দেন অভিজ্ঞ সেন্টারব্যাক।
ঢাকা: পরিসংখ্যান বলবে, ম্যাচের দখলে ছিল আফগানিস্তান। বলের দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ—সবকিছুতেই ছড়ি ঘুরিয়েছে তাঁরাই। যা লেখা থাকবে না তা হলো, ৪২ বছর পর আফগানদের হারানোর দারুণ এক সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। ৩৬ শতাংশ বলের দখল আর ৪৮ মিনিটে ১–০ গোলে পিছিয়ে পড়েও পেয়েছে জয়ের সমান ১–১ গোলের ড্র।
দোহার জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে আজ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচ খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান, যাদের বিপক্ষে ১৯৭৯ সালের পর আর জয় পাওয়া হয়নি। ৪৮ মিনিটে গোল করে সেই রেকর্ডকে আরও দীর্ঘ করেছে আফগানরা। ৮৫ মিনিটে তপু বর্মণের শটে ১-১ গোলে ড্র করে বাংলাদেশ আফগানদের রুখে দিলেও জয়ের একটা আফসোস ঠিকই থেকে গেল। শেষ ১০ মিনিটে যে গতিতে আক্রমণ করে গেছেন জামাল ভূঁইয়ারা, ম্যাচের অর্ধেকও সেই ধারা অব্যাহত থাকলে হয়তো পাল্টে যেত ম্যাচের ফল!
দারুণ ড্র করলেও পাল্টাচ্ছে না পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের অবস্থান। ছয় ম্যাচে দুই ড্রয়ে জেমি ডে শিষ্যদের পয়েন্ট দুই। আছে টেবিলের তলানিতে। সমান ম্যাচে পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আফগানরা।
ম্যাচের শুরুতে জেমি ডের পছন্দের ৪-২-৩-১ ফরমেশনে বাংলাদেশের রক্ষণে সেন্টার ব্যাক হিসেবে ছিলেন তপু বর্মণ ও রিয়াদুল হাসান রাফি। অভিজ্ঞ রাইটব্যাক বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় অভিষেক হয়েছে ফিনল্যান্ড প্রবাসী তারিক কাজী। লেফটব্যাকে ছিলেন রহমত মিয়া। মাঝমাঠের খানিকটা নিচে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে আরেক ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার মাসুক মিয়া জনি। অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে সোহেল রানা, বিপলু আহমেদ ও মতিন মিয়া। দলের একমাত্র ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলেছেন রাকিব হোসেন।
বিপরীতে আফগানিস্তানের ফরমেশন ছিল সোজাসাপ্টা, ৪-৩-৩। প্রথম ৪৫ মিনিটে ৭৮ শতাংশ বলের দখল রাখা আফগানদের গোল করতে না দেওয়াই বাংলাদেশের কৃতিত্ব। ২০১৯ সালে দুশানবতে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন আফগান অধিনায়ক ফারশাদ নূর। আজও প্রায় বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন জামালদের। ২৯ মিনিট ডি-বক্সের বাইরে তাঁর ডান পায়ের উড়িয়ে মারা শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। নইলে প্রথমার্ধেই পিছিয়ে পড়ত বাংলাদেশ।
বিরতির পর আর আটকে রাখা যায়নি আফগানিস্তানকে। ৪৮ মিনিটে প্রায় মাঝমাঠ থেকে ডেভিড নাজিমকে বল বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ শরিফ। নাজিম কাটব্যাক করেন আমির শরিফির পায়ে। ডিফেন্ডার রহমত মিয়া ছিলেন মার্কিংয়ের দায়িত্বে। তাঁকে ছিটকে দিয়ে জায়গায় দাঁড়িয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জালে পাঠান আমির শরিফি।
৬১ মিনিটে বাংলাদেশকে আবারও প্রায় বিপদে ফেলে দিয়েছিলেন আমির শরিফি। ডি–বক্সের বাইরে থেকে গোলার বেগে এক শট নিয়েছিলেন। বাংলাদেশের ভাগ্য ভালো, লক্ষ্যে ছিল না সে শট।
গোল পাওয়ার পর অধিনায়ক নূরকে তুলে নেন আফগান কোচ আনুশ দস্তগির। মাঠে নামান একাধিক ডিফেন্ডারকে। ম্যাচে প্রথমবারের আফগানদের মতো রক্ষণাত্মক হওয়ার সুযোগে দুই ফরোয়ার্ডসহ আক্রমণের তিন খেলোয়াড়কে নামান জেমি ডে। তাতেই পাল্টে যায় ম্যাচের মোড়।
ম্যাচের ৭৯ মিনিটে রাকিব হোসেনের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন অভিষিক্ত মিডফিল্ডার মো. আবদুল্লাহ। পরের মিনিটেই হাতছাড়া করেছেন সমতায় ফেরার বড় সুযোগ। মানিক মোল্লার বাড়ানো লম্বা শটে আফগান গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন, কিন্তু বল মেরেছেন গোলরক্ষকের গায়ে।
৫ মিনিট পরই অবশ্য আক্ষেপ মেটান তপু বর্মণ। ডিফেন্ডার হয়েও আন্তর্জাতিক ম্যাচে গোল করার কীর্তি আছে তাঁর। বাংলাদেশকে বাঁচালেন আফগানদের বিপক্ষেও। সেট পিস থেকে রিয়াদুল হাসান রাফির হেড থেকে ডি-বক্সে বল পেয়েছিলেন তপু। তাঁকে ঘিরে ছিলেন আফগানদের তিন খেলোয়াড়। তিনজনকেই দারুণভাবে বোকা বানিয়ে ডান পায়ের শটে বল জালে পাঠিয়ে বাংলাদেশ ড্র এনে দেন অভিজ্ঞ সেন্টারব্যাক।
প্রথম দিন সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়েছেন দুই ক্যারিবীয় ব্যাটার মিকাইল লুইস ও আলিক আথানেজ। আশা জাগিয়েও দুজনে আউট হয়েছেন নড়বড়ে নব্বইয়ে। তবে লুইস ও আথানেজের পথে হাঁটেননি জাস্টিন গ্রিভস। বাংলাদেশ বোলারদের হতাশ করে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০২ রানে ব্যাট
৫ ঘণ্টা আগেব্যাটিংয়ে পাঁচে নেমে ১২ বলে ১ চার ও ১ ছয়ে ১৯ রান। বোলিংয়ে ১ ওভারে ১ রান দিয়ে ২ উইকেট। এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের পরও হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সাকিব আল হাসানকে। আজ আবুধাবি টি-টেনে নিউইয়র্ক স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হেরেছে তাঁর দল বাংলা টাইগার্স।
৭ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ফিল্ডিংয়ের সময় বাঁ হাতের আঙুলে চোট পেয়ে সিরিজ থেকে ছিটকে যান বাংলাদেশ দলের অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। বর্তমানে পুনর্বাসনে আছেন তিনি। চিকিৎসকের পরামর্শে চলছে নিয়মিত ট্রেনিং। তবে তাঁর মাঠে ফেরার জন্য আরও সময় লাগবে—এমনটা জানিয়েছে বিসিবি।
৮ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক বিরতি থেকে ফেরার প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছে চেলসি। আজ ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লেস্টার সিটিকে তাদের মাঠ কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে ২-১ গোলে হারিয়েছে ব্লুজরা।
৯ ঘণ্টা আগে