আবাহনী-মোহামেডানকে নারী দল গড়তেই হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২১, ২৩: ০৫

ঢাকা: মেয়েদের লিগের প্রথম দুই আসরে দল ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব আবাহনী ও মোহামেডানের। ২০২০ সালে তৃতীয় আসরে এসে মেয়েদের দল করার ব্যাপারে নিজেদের সরিয়ে রেখেছিল দেশের ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দুই ক্লাব। এবারের লিগেও নেই দুই ক্লাবের নারী দল। তবে আগামী মৌসুমের আগে এএফসির নির্দেশনা, পেশাদার লিগে খেলতে হলে পুরুষদের পাশাপাশি প্রত্যেকটি দলে থাকতে হবে নারী দল। থাকতে হবে ক্লাবের লাইসেন্স।

পুরুষদের পাশাপাশি নারী ফুটবল জনপ্রিয় করতে ২০২৩ সালের মধ্যে সব পেশাদার ক্লাবকে নারী দল গড়ার নির্দেশ দিয়েছে এএফসি। একই সঙ্গে এএফসির শর্তপূরণ করে লাইসেন্সও নিতে হবে দলগুলোকে। বর্তমান লিগে খেলা ১৩ ক্লাবের মধ্যে শুধু চার দলেরই আছে এএফসি লাইসেন্স। প্রশ্ন হচ্ছে, এত দিনে যা হয়নি, মাত্র দেড় বছরে কি লাইসেন্সের শর্তপূরণ করতে পারবে দলগুলো?

‘আইনের মধ্যে পড়লে লাইসেন্স করতে বাধ্য হবে ক্লাবগুলো’—সংবাদমাধ্যমকে আজ এটাই বলছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। তিনি আরও বলেছেন, ‘এটা খুব কঠিন কিছু নয়। লাইসেন্স করা থাকলে ক্লাবগুলো একটা শৃঙ্খলার মধ্যে চলে আসবে। লাইসেন্স করা থাকলে ক্লাবগুলোর সুবিধা ফেডারেশনের জন্যও। আর ফিফা-এএফসির সব শর্ত যদি পূরণ করা হয়, আমরাও ভবিষ্যতে অনেক সুবিধা পাব।’

আট দল নিয়ে চলছে এবারের মেয়েদের লিগ। এই আট দলের মধ্যে নারী-পুরুষ দল আছে শুধু বসুন্ধরা কিংসের। আবাহনী-মোহামেডান কিংবা প্রথম চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব দুই আসর অংশ নিয়ে গুটিয়ে নিয়েছে নারী লিগ থেকে। করপোরেট পেশাদারি দেখানো সাইফ স্পোর্টিংকেও আগ্রহী হতে দেখা যায়নি মেয়েদের ফুটবল নিয়ে। হাতে গোনা কটি দল ছাড়া বেশির ভাগ ক্লাবই হাবুডুবু খাচ্ছে আর্থিক সংকটে। নড়বড়ে কাঠামো নিয়ে এসব ক্লাব কীভাবে গড়বে নারী দল?

আতাউর রহমান বলছেন, ‘ভালোবাসা! অর্থের অভাবের মাঝেও বেশির ভাগ ক্লাব চলে ভালোবাসার টানে। যদি ফেডারেশন এ ক্ষেত্রে নারী দল গড়া ক্লাবগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা করে কিংবা ম্যাচ মানি হিসেবে বেশি টাকা দেয়, হয়তো ক্লাবগুলোর কিছুটা উপকার হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত