Ajker Patrika

স্ত্রীদের বাধায় পছন্দের ক্লাবে যেতে পারেননি রামোস-মুলাররা

ক্রীড়া ডেস্ক
স্ত্রীদের বাধায় পছন্দের ক্লাবে যেতে পারেননি রামোস-মুলাররা

জিনেদিন জিদানের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার পথে বাধা হয়ে সম্প্রতি আলোচনায় এসেছেন স্ত্রী ভেরোনিক জিদান। ম্যানচেস্টারের জীবনযাত্রা পছন্দ না হওয়ার কারণে মূলত বেঁকে বসেছেন ভেরোনিক। তবে স্ত্রীর কারণে পছন্দের দলে যেতে না পারার তালিকায় শুধু জিদানই নন, আছেন এই সময়ের অনেক সেরা তারকাও। তেমনই কয়েকজনকে নিয়ে এই আয়োজন।

ramosসার্জিও রামোস (ম্যানইউ) 
পিএসজিতে নয়, সার্জিও রামোস যেতে পারতেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। তাঁকে পেতে উন্মুখ ছিল ‘রেড ডেভিল’রাও। তবে রামোসের ম্যানইউতে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ান তাঁর স্ত্রী টিভি উপস্থাপক পিলার রুবিও। নিজের ও পরিবারের উন্নত জীবন-যাপনের লক্ষ্যে তিনি ম্যানচেস্টারের বদলে প্যারিসকেই বেছে নিতে বলেন রামোসকে। 

levaলেভানডফস্কি (পিএসজি) 
নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপ্পেকে দলে টানার আগে ফরাসি ক্লাব পিএসজি কিনতে চেয়েছিল রবার্ট লেভানডফস্কিকে। ২০১৭ সালে তাঁকে নেওয়ার জন্য বেশ ভালোভাবেই মাঠে নেমেছিল পিএসজি। কিন্তু তবে লেভার পুষ্টিবিদ স্ত্রী আনা বাধা হয়ে দাঁড়াতে আর প্যারিসে যাওয়া হয়নি লেভার। তাঁকে থেকে যেতে হয় বায়ার্নেই। স্ত্রীর কারণে পিএসজিতে না যাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন এই পোলিশ তারকা। 

zirudঅলিভিয়ের জিরু (এভারটন) 
২০১৭ সালে এভারটনের প্রস্তাবটা অলিভিয়ের জিরুর টেবিলেই ছিল। সেখানে গেলে খেলার সুযোগও অনেক বেশি পেতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এভারটনে যাওয়া হয়নি এই ফরাসি তারকার। এরপর এভারটনের তখনকার কোচ স্যাম অ্যালডেরিক সন্দেহ পোষণ করে বলেছিলেন, হয়তো স্ত্রী জেনিফার না চাওয়াতে জিরুর এভারটনে যাওয়া হয়নি। 

icardiমাউরো ইকার্দি (নিউক্যাসেল) 
মাউরো ইকার্দির স্ত্রী ওয়ান্ডা নারা ফুটবল জগতের আলোচিত নাম। মাঠের বাইরে ইকার্দির অনেক সিদ্ধান্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে তাঁর। সম্প্রতি ধনী ক্লাবের তালিকায় নাম ওঠানো নিউক্যাসেল ইকার্দিকে পিএসজি থেকে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছিল। তবে গুঞ্জন আছে, ওয়ান্ডার অনীহার কারণে নিউক্যাসেলকে না বলতে হয়েছে ইকার্দির। 

mularথমাস মুলার (ম্যানইউ) 
স্ত্রীর কারণে ম্যানইউতে যেতে না পারা আরেকটি থমাস মুলার। ২০১৫ সালে লুই ফন গাল এই জার্মান স্ট্রাইকারকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্ত্রী লিসার বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় আলোর মুখ দেখেনি সেই চুক্তি। ফন গাল বলেছেন, ‘২০১৫ সালে এই চুক্তি সম্ভব হতো, যদি তার (মুলার) স্ত্রী আরেকটু উদারতা দেখাত।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত