টিকটক নিষিদ্ধের পক্ষে বেশির ভাগ আমেরিকান: জরিপ 

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ১৩: ১৬
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১৬: ০৭

যুক্তরাষ্ট্রের জনমত গঠনের জন্য চীন টিকটককে ব্যবহার করেছে বলে বেশির ভাগ আমেরিকান বিশ্বাস করে। এ জন্য টিকটক নিষিদ্ধের পক্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ বিষয়ে রয়টার্স বা ইপসোসের এক জরিপে এসব তথ্য জানা যায়।

গত মঙ্গলবার দুদিনের জরিপটি শেষ হয়। জরিপটিতে দেখা যায়, ৫০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা টিকটককে নিষিদ্ধ করার পক্ষে ভোট দিয়েছে, ৩২ শতাংশ এই নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে ও বাকিরা বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নয়। জরিপে কেবল যুক্তরাষ্ট্রের প্রাপ্ত বয়স্করা অংশ নিয়েছে ও ১৮ বছরের কম বয়সীরা এতে অংশ নেয়নি। এই জরিপে যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ ব্যবহারকারীদের মতামত উঠে আসেনি। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের টিকটক ব্যবহারকারীদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে।

এই জরিপে ৪০ বছর বা এর বেশি বয়সীর প্রতি দশ জনের মধ্যে ছয়জন উত্তরদাতা নিষেধাজ্ঞার পক্ষে মত দিয়েছে। অন্যদিকে ১৮–৩৯ বছর বয়সীর প্রতি দশ জনের মধ্যে চারজন এর বিপক্ষে মত দিয়েছে।

জরিপে প্রায় ৫৮ শতাংশ উত্তরদাতা চীন সরকার ‘আমেরিকান জনমতকে প্রভাবিত করতে’ চীনের বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটককে ব্যবহার করে–এমন বিবৃতির সঙ্গে একমত হয়েছে। তবে ১৩ শতাংশ উত্তরদাতা এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন ও বাকিরা বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চিত ছিল বা উত্তর দেয়নি।

জরিপে আরও দেখা যায়, চীন টিকটককে ব্যবহার করে আমেরিকানদের ওপর নজরদারি করে–এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬ শতাংশ নাগরিকেরা। তবে এই অভিযোগ সব সময় অস্বীকার করে আসছে টিকটক।

ডেমোক্র্যাটদের চেয়ে বেশি রিপাবলিকানরা মনে করেন যে, চীন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের মতামতকে প্রভাবিত করতে অ্যাপটি ব্যবহার করে।

টিকটক বলে, ডেটা সুরক্ষা প্রচেষ্টার জন্য কোম্পানিটি ১৫০ কোটি ডলারেরও বেশি অর্থ ব্যয় করেছে ও চীন সরকারের সঙ্গে ১৭ কোটি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীদের ডেটা ভাগ করবে না।

গত বছর কংগ্রেসকে কোম্পানিটি বলেছিল, এটি ‘চীনা সরকারের অনুরোধে কোনো কনটেন্টের প্রচার বা অপসারণ করে না।’ তবে জরিপের ফলাফল নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি টিকটক।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত সপ্তাহে একটি বিলে স্বাক্ষর করেন, যেখানে বাইটড্যান্সকে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বিক্রি করতে ২৭০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। আর এ সময়ে মধ্যে শেয়ার বিক্রি না করলে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটককে নিষিদ্ধ করা হবে।

মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে অন্তর্ভুক্ত স্বাধীন মতপ্রকাশের সুরক্ষার লঙ্ঘন হিসেবে নিষেধাজ্ঞাকে চ্যালেঞ্জ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টিকটক। অ্যাপটির ব্যবহারকারীরা আইনি ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা করা হচ্ছে। গত নভেম্বরে মন্টানার এক মার্কিন বিচারক বাক–স্বাধীনতার উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ওই অঙ্গরাজ্যে টিকটককে নিষিদ্ধ করে।

যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এমনকি ৫ নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ভোটারদের মন জয় করা টুল হিসেবে টিকটককে ব্যবহার করছে বাইডেন। অপরদিকে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প টিকটকের নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন। ট্রুথ সোশ্যাল নামের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে ট্রাম্পের।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত