অনলাইন ডেস্ক
আজ থেকে ২৩৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এত বছর ধরে প্রায় একই পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করে আসছে দেশটি। তবে মজার ব্যাপার হলো, সাম্প্রতিক সময়ে সর্বাধিকসংখ্যক ভোট না পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, সেই প্রথম নির্বাচনেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। অনেকেই পপুলার ভোটের গণতন্ত্রচর্চার এটি একটি বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন।
১৭৮৯ সালের ৭ জানুয়ারি কংগ্রেস প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। অঙ্গরাজ্যগুলোকে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেকটোরাল (নির্বাচক) প্রতিনিধি নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। এর এক মাস পর ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে জর্জ ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একই বছরের ৩০ এপ্রিল তিনি শপথ নেন।
যেমনটি ১৭৮৯ সালে হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র এখনো সংবিধান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি ব্যবহার করে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব আমেরিকান নাগরিককে ভোটদানের অধিকার দিয়েছে সংবিধান। তাঁরাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। অবশ্য তখনো কৃষ্ণাঙ্গরা ভোটাধিকার পাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন একমাত্র নির্বাচিত ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা, যারা সরাসরি জনপ্রিয় ভোটের পরিবর্তে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে নির্বাচিত হন।
বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত তাদের অঙ্গরাজ্যের সম্মেলনগুলোতে বা দলের কেন্দ্রীয় রাজ্য কমিটির ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচকদের মনোনীত করে। সাধারণত দলীয় অনুগতদেরই এই দায়িত্বের জন্য বাছাই করা হয়। যদিও মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা নির্বাচক হতে পারেন না। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসে সিনেটর এবং রিপ্রেজেনটেটিভদের (প্রতিনিধি) মতো অনেক নির্বাচক বাছাই করার অনুমতি রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর, ভোটের দিনে (নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পরে প্রথম মঙ্গলবার) সবচেয়ে বেশি সাধারণ ভোট পাওয়া প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে মেইন এবং নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যে প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় ভোটার সংখ্যার অনুপাতে। প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার জন্য, একজন প্রার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ৫৩৮টির মধ্যে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়।
ইলেকটোরাল কলেজ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২ নং অনুচ্ছেদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হোন ইলেকটররা। যে অঙ্গরাজ্যে যেই প্রার্থী জয়ী হন, জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত রাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোটই সেই প্রার্থী পান। সংবিধানের ১২তম সংশোধনের মাধ্যমে প্রত্যেক ইলেকটোরাল প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য একটি করে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বুধবারের পর প্রথম সোমবার, প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচকেরা সাধারণত তাঁদের নিজ নিজ অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে মিলিত হন এবং একই সঙ্গে দেশব্যাপী তাঁদের ব্যালটে ভোট দেন। এটি মূলত আনুষ্ঠানিকতা। কারণ, নির্বাচকেরা সাধারণত তাঁদের দলকেই ভোট দেন। ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূলত নির্বাচনের দিনেই আসল সিদ্ধান্ত হয়।
অবশ্য নির্বাচকদের (ইলেকটোরাল কলেজ) সাংবিধানিকভাবে তাঁদের রাজ্যে জনপ্রিয় ভোটে বিজয়ীকে ভোট দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ঐতিহ্যগতভাবে এটিই ঘটে এবং ২৬টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়াতে আইন দিয়ে বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হয়েছে। এমনকি কিছু রাজ্যে এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে ১ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে সমস্ত ইলেকটোরাল কলেজের ৯৯ শতাংশের বেশি পপুলার ভোটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তাঁদের ব্যালট কাস্ট করেন। ৬ জানুয়ারি একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে, কংগ্রেসের সামনে ভোট গণনা করা হয় এবং ২০ জানুয়ারি কমান্ডার ইন চিফ (প্রেসিডেন্ট) শপথ নেন।
ইলেকটোরাল কলেজ ব্যবস্থার সমালোচকেরা যুক্তি দেন, সর্বাধিক ভোট পাওয়া একজন প্রার্থী ওই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে কম জনপ্রিয় ভোট পেলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন। এমন ঘটনা ঘটেছে ১৮২৪, ১৮৭৬, ১৮৮৮, ২০০০ ও ২০১৬ সালে।
আজ থেকে ২৩৪ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এত বছর ধরে প্রায় একই পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করে আসছে দেশটি। তবে মজার ব্যাপার হলো, সাম্প্রতিক সময়ে সর্বাধিকসংখ্যক ভোট না পেয়েও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়া নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, সেই প্রথম নির্বাচনেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। অনেকেই পপুলার ভোটের গণতন্ত্রচর্চার এটি একটি বড় দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন।
১৭৮৯ সালের ৭ জানুয়ারি কংগ্রেস প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে। অঙ্গরাজ্যগুলোকে দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ইলেকটোরাল (নির্বাচক) প্রতিনিধি নির্বাচনের নির্দেশ দেয়। এর এক মাস পর ৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনে জর্জ ওয়াশিংটন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। একই বছরের ৩০ এপ্রিল তিনি শপথ নেন।
যেমনটি ১৭৮৯ সালে হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র এখনো সংবিধান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতি ব্যবহার করে। ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব আমেরিকান নাগরিককে ভোটদানের অধিকার দিয়েছে সংবিধান। তাঁরাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন। অবশ্য তখনো কৃষ্ণাঙ্গরা ভোটাধিকার পাননি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন একমাত্র নির্বাচিত ফেডারেল বা কেন্দ্রীয় কর্মকর্তা, যারা সরাসরি জনপ্রিয় ভোটের পরিবর্তে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে নির্বাচিত হন।
বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত তাদের অঙ্গরাজ্যের সম্মেলনগুলোতে বা দলের কেন্দ্রীয় রাজ্য কমিটির ভোটের মাধ্যমে তাদের নির্বাচকদের মনোনীত করে। সাধারণত দলীয় অনুগতদেরই এই দায়িত্বের জন্য বাছাই করা হয়। যদিও মার্কিন কংগ্রেসের সদস্যরা নির্বাচক হতে পারেন না। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের কংগ্রেসে সিনেটর এবং রিপ্রেজেনটেটিভদের (প্রতিনিধি) মতো অনেক নির্বাচক বাছাই করার অনুমতি রয়েছে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছর, ভোটের দিনে (নভেম্বরের প্রথম সোমবারের পরে প্রথম মঙ্গলবার) সবচেয়ে বেশি সাধারণ ভোট পাওয়া প্রেসিডেন্ট প্রার্থী সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়। তবে মেইন এবং নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যে প্রাপ্ত ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় ভোটার সংখ্যার অনুপাতে। প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হওয়ার জন্য, একজন প্রার্থীর সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে ৫৩৮টির মধ্যে ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেতে হয়।
ইলেকটোরাল কলেজ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের পরোক্ষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করা হয়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ২ নং অনুচ্ছেদ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হোন ইলেকটররা। যে অঙ্গরাজ্যে যেই প্রার্থী জয়ী হন, জনসংখ্যার অনুপাতে নির্ধারিত রাজ্যের সব ইলেকটোরাল ভোটই সেই প্রার্থী পান। সংবিধানের ১২তম সংশোধনের মাধ্যমে প্রত্যেক ইলেকটোরাল প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য একটি করে ভোট দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরের ডিসেম্বরের দ্বিতীয় বুধবারের পর প্রথম সোমবার, প্রতিটি রাজ্যের নির্বাচকেরা সাধারণত তাঁদের নিজ নিজ অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে মিলিত হন এবং একই সঙ্গে দেশব্যাপী তাঁদের ব্যালটে ভোট দেন। এটি মূলত আনুষ্ঠানিকতা। কারণ, নির্বাচকেরা সাধারণত তাঁদের দলকেই ভোট দেন। ফলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মূলত নির্বাচনের দিনেই আসল সিদ্ধান্ত হয়।
অবশ্য নির্বাচকদের (ইলেকটোরাল কলেজ) সাংবিধানিকভাবে তাঁদের রাজ্যে জনপ্রিয় ভোটে বিজয়ীকে ভোট দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। তবে ঐতিহ্যগতভাবে এটিই ঘটে এবং ২৬টি অঙ্গরাজ্য এবং ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়াতে আইন দিয়ে বাধ্যবাধকতা তৈরি করা হয়েছে। এমনকি কিছু রাজ্যে এই নিয়ম লঙ্ঘন করলে ১ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে সমস্ত ইলেকটোরাল কলেজের ৯৯ শতাংশের বেশি পপুলার ভোটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই তাঁদের ব্যালট কাস্ট করেন। ৬ জানুয়ারি একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে, কংগ্রেসের সামনে ভোট গণনা করা হয় এবং ২০ জানুয়ারি কমান্ডার ইন চিফ (প্রেসিডেন্ট) শপথ নেন।
ইলেকটোরাল কলেজ ব্যবস্থার সমালোচকেরা যুক্তি দেন, সর্বাধিক ভোট পাওয়া একজন প্রার্থী ওই অঙ্গরাজ্যের সব ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন বলে ধরে নেওয়া হয়। ফলে প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে কম জনপ্রিয় ভোট পেলেও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে পারেন। এমন ঘটনা ঘটেছে ১৮২৪, ১৮৭৬, ১৮৮৮, ২০০০ ও ২০১৬ সালে।
৯১১-তে ফোন দিয়ে কত জরুরি প্রয়োজনেই তো সাহায্য চায় মানুষ। তাই বলে নিশ্চয় আশা করবেন না কেউ অঙ্ক মিলিয়ে দিতে বলবে। কিন্তু ৯১১-তে ফোন দিয়ে এ আবদারই করে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনের ১০ বছরের এক বালক।
২ দিন আগেযুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ এক ফ্লাইটের যাত্রীরা অপর এক যাত্রীকে মাঝপথে চেপে ধরে হাত-পা টেপ দিয়ে আটকে দেন। অবশ্য ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গুরুতর। তিনি উড়োজাহাজটি ৩০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় দরজা খুলে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
২ দিন আগেবিষধর মাকড়সা হিসেবে আলাদা পরিচিতি আছে ট্যারানটুলার। কাজেই একে এড়িয়ে চলাটাই স্বাভাবিক। ট্যারানটুলা একই সঙ্গে বেশ দুষ্প্রাপ্য এক প্রাণীও। তবে সম্প্রতি পেরুতে এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করেছে ৩২০টি ট্যারানটুলা মাকড়সাসহ আরও কিছু দুষ্প্রাপ্য প্রাণী শরীরের সঙ্গে বেঁধে দেশ থেকে পালানোর চেষ্টা...
৪ দিন আগেপাঠকেরা পড়ার পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিয়ে দেবেন এটাই নিয়ম। কারও কারও সময়মতো বই ফেরত না দেওয়ার অভ্যাসও আছে। তবে তাই বলে আপনি নিশ্চয় আশা করবেন না অর্ধ শতাব্দী পর কেউ বই ফেরত দেবেন। কিন্তু সত্যি মার্কিন মুলুকে এমন একটি কাণ্ড হয়েছে।
৪ দিন আগে