Ajker Patrika

সিজারের সময় রোগীর জরায়ু কাটার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

কাঠালিয়া (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
সিজারের সময় রোগীর জরায়ু কাটার অভিযোগ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদারের বিরুদ্ধে সিজার করতে গিয়ে রোগীর জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ উঠছে। বর্তমানে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নারী ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ক্রমাগত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। মাহিনুরের ২৬ দিনের শিশু সন্তানটিও মায়ের সঙ্গে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বজনেরা। 

ভুক্তভোগী মাহিনুর (২৩) বেতাগী উপজেলার নিজাম উদ্দিনের স্ত্রী ও কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাঠালিয়া গ্রামের মৃত শাহজাহানের মেয়ে। গত রোববার মাহিনুরের মা রুনু বেগম সাংবাদিকদের কাছে ভুল চিকিৎসার বর্ণনা দেন এবং ডাক্তার তাপস কুমার তালুকদারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। 

মাহিনুরের স্বামী নিজাম উদ্দিন জানান, ‘আমার স্ত্রী মাহিনুরের প্রসব ব্যথা দেখা দিলে গত ০৯ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (আমুয়া) নেওয়া হয়। সেখানকার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার রোগীকে হাসপাতাল সংলগ্ন আমুয়া অ্যাপোলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। ক্লিনিকে ডাক্তার সাহেব নিজেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সিজার করার সিদ্ধান্ত নেন। সিজার করতে গিয়ে ভুলবশত মাহিনুরের জরায়ু কেটে ফেলেন। রোগী অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ দেখা দিলে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখ ডা. তাপস ক্লিনিক থেকে মাহিনুরের নাম কেটে দিয়ে অন্যত্র চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু কোন ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি। উল্টো ডাক্তার তাপস ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মাহিনুরের স্বজনদের বিষয়টি সাংবাদিক কিংবা প্রশাসনের লোকদের না জানানোর জন্য শাসিয়ে দেন।’ 

নিজাম উদ্দিন আরও বলেন, ‘ডাক্তার তাপস আমাদের কাছে প্রথমে ভুল চিকিৎসার কথা স্বীকার করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আমার ভুল হয়েছে; আপনারা আমাকে মামলাও দিতে পারেন বা মারও দিতে পারেন। এখন কী করবেন? ক্রমাগত রোগীর অবস্থা অবনতি হতে থাকায় ডাক্তার তাপসের বুলি পাল্টে যায়; তিনি চিকিৎসার সকল কাগজপত্র আটকে দেন এবং জরায়ু কেটে ফেলার কথা অস্বীকার করেন।’ 

এদিকে মাহিনুরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁর স্বামীর বাড়ি বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা পাঠিয়ে দিলে গত রোববার (০২ জানুয়ারি ২০২২) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরও বলেন, ডাক্তার জানিয়েছেন—রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন, মাহিনুরের সিজার ও কেটে ফেলা জরায়ুর স্থানে পচন ধরেছে। আগামীকাল ৫ জানুয়ারি ২০২১ পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টের ভিত্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন পুনরায় তাঁর অপারেশন প্রয়োজন আছে কীনা। আর এই মুহূর্তে অপারেশন করা যাবে কীনা। 

মাহিনুরের মা রুনু বেগম জানান, ‘ডা. তাপস কুমার তালুকদার সিজার করার জন্য আমাদের কাছ থেকে ৩৬ হাজার টাকা নিয়েছে। সিজারের পূর্বে ডাক্তার সাহেব বলেছিলেন ১৬ হাজার টাকা লাগবে। ভুল চিকিৎসা করে জরায়ু কেটে ফেলায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে ৩৬ হাজার টাকা দাবি করেন। আমরা ৩৬ হাজার টাকাই পরিশোধ করেছি। কাঠালিয়া ব্লাড ব্যাংকের পরিচালক তুহিন সিকদারের মাধ্যমে ১১ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেছি, সব মিলিয়ে ওই দিন আমার মেয়েকে ১৭ ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছিল। আমার মেয়ে এখন জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে রয়েছেন। আমাদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে, তাই মামলা করতে পারিনি। আমরা গরিব এ জন্য মামলা করতে সাহস পাইনি। আমি ডাক্তার তাপসের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ন্যায় বিচারের দাবি করছি।’ 

এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। নিজ উপজেলায় কর্মস্থল হওয়ায় ডা. তাপস কুমার তালুকদার কাউকে তোয়াক্কা করেন না। হাসপাতালে রোগীদের সেবা না দিয়ে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে প্রাইভেট ক্লিনিকে রোগী দেখেন। এবং ব্যক্তিগত কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। এ ছাড়া রোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা, হাসপাতালে বসে রোগী দেখে ভিজিট নেওয়া, সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ, হাসপাতাল ভবন নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন রাখা, ইনজুরি সার্টিফিকেট দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়াসহ অনেক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে 

এ প্রসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সামাজিক আন্দোলন কাঠালিয়ার সভাপতি মো. তুহিন সিকদার বলেন, আমাদের সহযোগী সংগঠন ব্লাড ব্যাংক কাঠালিয়ার মাধ্যমে ওই মহিলাকে ১১ ব্যাগ ব্লাডের ব্যবস্থা করে দিয়েছি এবং আমি নিজেও ব্লাড দিয়েছি। আমি যখন ব্লাড দিতে গিয়েছি তখন ওখানের সবাইকে অনেক চিন্তিত দেখাচ্ছিল। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

অভিযোগ প্রসঙ্গে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তাপস কুমার তালুকদার বলেন, ‘পূর্বে তাঁর সিজার করা থাকায় ফুলটা পজিশনে ছিল না এবং জরায়ুর মধ্যে একটা টিউমার ছিল। এটা অপারেশন করতে গেলে খুব ব্লিডিং হয়। এটা আগে আলট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়েনি। অপারেশন করে বাচ্চা বের করার পরে যখন ফুলটা জরায়ু থেকে আলাদা করতে হয় তখন ফুলটা জরায়ুর মধ্যে ঢুকে থাকে। ওটা ছাড়ালেও ব্লিডিং হয় এবং না ছাড়ালেও ব্লিডিং হয়। না ছাড়ালে ফুলটা থেকে গেলে প্রচুর ব্লিডিং হয়। সেই মুহূর্তে জরায়ুর পার্সিয়ালী কিছু অংশ কেটে ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না। সেটা তখন করতে হয়েছে।’ 

ওই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘ওটা করতে গেলে যেহেতু তাঁর প্রচুর ব্লিডিং হয়েছিল তখন জরুরি ভিত্তিতে অনেক ব্যাগ ব্লাড দেওয়া লাগছে। ব্লাড দিয়ে রোগীকে সেভ করা হয়েছে। পরবর্তীতে নাকি তাঁর ইনফেকশন হয়েছে আমি দেখিনি। আমাকে ফোন দিয়েছিল আমি বলেছি, ক্লিনিকে আসেন কয়েক দিন ড্রেসিং করলে ওটা ঠিক হয়ে যাবে। যেহেতু বড় ধরনের একটা ধকল গেছে ইনফেকশন হতেই পারে। এ রকমের অনেক রোগী আমাদের কাছে আসে এবং আমরা ভালো করে দেই। সে ওই ক্লিনিকে একবার গিয়ে ড্রেসিং করিয়ে কোথায় গেছে তাঁকে আর খুঁজে পাওয়া যায় নাই। পরের দিন আমি ক্লিনিকের মালিকের কাছে জিজ্ঞেস করলে সে বলে ওই রোগী আসছিল এবং ড্রেসিং করে চলে গেছে। সে থাকলে তার আরও চিকিৎসা করতাম, ইনফেকশনের জন্য ওষুধ লাগলে ওষুধ দিতাম। সে আমাদের না জানিয়ে চলে গেছে। সে থাকলে যা লাগত করতাম। এখন বিভিন্ন মহলের মাধ্যমে আমার মানসম্মান নষ্ট করে। আমি অপারেশন করতে এ রোগীর কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেই নাই।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।

আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ঢামেকে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পদ্মায় ড্রেজিং চলায় দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’

দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।

সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত