তানিম আহমেদ ও সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ থেকে

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী নতুন নগর পিতা নির্বাচন করবেন সেটাই নারায়ণগঞ্জ তথা দেশবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার সহিংসতার আশঙ্কা করলে তা উড়িয়ে দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। তাঁদের দাবি ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থাই করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোটদের দাবি, তাঁরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে, সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন।
নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সাতজন হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের হাতি প্রতীকের। নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা।
অন্য পাঁচজন মেয়র প্রার্থী হলেন খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
চ্যালেঞ্জের সামনে আইভী
আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, নারায়ণগঞ্জের যেকোনো অধিকার আদায়ে আইভী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগও ওঠেনি। এই কারণে তাঁর ওপরেই আস্থা রেখেছে দল। নির্বাচনী প্রচারণায়ও আমরা বিপুল সাড়া পেয়েছি। প্রার্থী যেমন আশা করছে লক্ষাধিক ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন, আমাদের তেমন না থাকলে আশা রাখছি ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে সমন্বয়ক করে একটি টিম করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ২৭ ওয়ার্ড ভিত্তিক আলাদা কমিটি করে তাঁরা। নেতারা প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। প্রচারণার শেষদিন শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লাবে সবাই বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটের একটি চিত্র তুলে ধরেন। সেখানকার চিত্র অনুযায়ী আইভী ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
তবে, এই চিত্রের বিপরীত কথাও বলছেন দলটির কেউ কেউ। তাঁদের দাবি গত দুইবারের নির্বাচনে আইভী যত সহজে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এইবার তত সহজ হবে না। টানা তিন মেয়াদে তিনি নারায়ণগঞ্জের নগরপিতার দায়িত্বে রয়েছেন। এতে অনেকই লাভক্ষতির হিসাব মেলাচ্ছেন। এ ছাড়া গত দুইবারের তুলনায় এইবার এখানে দলীয় কোন্দল বেশিই ভোগাচ্ছে। এই হিসাবে নৌকা তীরে ভিড়তে কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত দুই মেয়াদে আইভী নারায়ণগঞ্জের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করেছেন। দলের একপক্ষের বাধার মধ্যে শেখ রাসেল পার্ক করেছেন। এতে উন্নয়নেও নির্ভার থাকতে পারছি না। কারণ বিগত কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত বিএনপিবিহীন ইউপি নির্বাচনের নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবিতে আমাদের ভাবাচ্ছে। কারণ দেশে এখন দুই ধরনের মানুষ আছে। একটা আওয়ামী লীগ। আরেকটা অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনগুলোতে বিএনপিসহ তাঁদের জোটের কিছু ভোট আইভী পেয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও বেশিরভাগ ভোটগুলো তৈমুরের হাতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ওসমান ও চুনকা পরিবার আওয়ামী লীগ করলেও তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রজন্মের পর প্রজন্মের। সেই ধারাবাহিকতা ওসমান পরিবারের সদস্য সরকার দলীয় সাংসদ শামীম ওসমান ও চুনকা পরিবারের সদস্য মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যে বিদ্যনাম। দুজনেরই সাপে নেউলে সম্পর্ক। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে শামীম ওসমানকে গডফাদার বলেও আখ্যা দেন আইভী। তৈমুরকে ওসমান পরিবারের প্রার্থী বলেও দাবি করেন তিনি। আইভীর এমন দাবির পরে সংবাদ সম্মেলন বিরোধ থাকা সত্ত্বেও নৌকার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন সাংসদ শামীম ওসমান।
আইভীর অনুসারীদের দাবি ঘোষণা দিলেও শামীম ওসমানের অনুসারীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়নি। কাজও করেনি। তাঁদের অনুসারী যেসব নেতা সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হাজিরা দিচ্ছেন। এর বাইরে তেমন কাজ করছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় ও উপদলীয় কোন্দল প্রকট। কোন্দলের কারণে অনেকই আইভীর পক্ষে তেমন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আইভীর ভোটের ওপর।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, যে যাই বলুক না কেন নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের একটা প্রভাব ও নিজস্ব কিছু ভোটব্যাংক রয়েছে। আইভী শামীম ওসমানকে গডফাদারে আখ্যায়িতসহ নানান কটূক্তি করেছেন। নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত সেটা অব্যাহত ছিল। তাঁর এমন অহংকারী আচরণ তাঁদের বিক্ষুব্ধ করতে পারে। যার জবাব তাঁরা ব্যালটে দিতে পারেন।
ওই নেতা বলেন, এখানে শামীম ওসমান বিরোধী একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে সেটা সত্য। এই ব্যাংকের বেশি ভোট কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের। সেই ভোট ব্যাংকগুলোকে কাছে রাখতে আইভী নিয়মিতই শামীম বিরোধিতা করে গেছেন। আবার প্রচার-প্রচারণায় তিনি দলীয় নেতাদের তেমন গুরুত্বও দেন নাই। ভোটের রাজনীতিতে বেশিরভাগের মনজয় করে চলতে হয়।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী আইভী নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রার্থী। তাঁর বিজয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তিনি এবার বিজয়ে হ্যাটট্রিক করবেন।’
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই নির্বাচনে আইভীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় সরকার।’
পরাজিত হলে সারা দেশে সরকারের ভাবমূর্তি কিছুটা হুমকির সম্মুখীন হবে জেনেও জয়-পরাজয়ের চিন্তা মাথায় নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। আইভীকে আস্থায় নিয়ে এই সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হচ্ছে।
বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুরও
আওয়ামী লীগের মতো নারায়ণগঞ্জের বিএনপিতেও কোন্দল রয়েছে। সিটি এলাকার দুই সাবেক সাংসদ আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারের। সেটি এখনো না মিটলেও বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুই নেতার বেশকিছু অনুসারীদের হাতির পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। তাতে নিজের বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুর।
হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুরকে আজ শনিবার আরও ফুরফুরে আচরণ করতে দেখা গেছে। আইভী-শামীমের ভেতরে বিরোধ মীমাংসা হয়নি এখনো। বিরোধের মীমাংসা না হওয়ায় নির্বাচনে তাঁর জয়ের ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি হয়েছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ তুললেও হতাশ নন তৈমুর।
হাতির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার তৎপরতা থাকলেও শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভীর বিরোধ শেষ না হলে শামীম অনুসারীদের ভোট তাঁর বক্সেই পড়বে। পুলিশি তৎপরতায় তৈমুর কিছু অনুসারী না পেলেও সেই শূন্যতা শামীম ওসমানের অনুসারীরাই পূর্ণ করবে।
তাঁর ওই কর্মী বলেন, হাতির লোককে কেন্দ্র থেকে দূরে রাখতে পারে একমাত্র শামীম ওসমানের অনুসারীরাই। পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাষ্ট্রীয়বাহিনী অতিরঞ্জিত অবস্থানে থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আইভীর অনুসারীর পক্ষে তা সম্ভব নয়।
আজ শনিবার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর বলেন, ‘মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না। নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। মাঠে থাকব, পালিয়ে যাইনি।’ সংবাদ সম্মেলনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক এই উপদেষ্টা।
ভোটারদের ভাবনা
আজ শনিবার নগরীর কালী বাজার, চাষাঢ়া, টানবাজার, দেওভোগ ও মাসদাইর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁদের অনেকই সুষ্ঠু ও সহিংসমুক্ত ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন তিনি হয়তো নিজের ভোটটা দিতে পারবেন না। তবে তাঁদের ধারণা, সুষ্ঠু ভোট হলে এবার নৌকা-হাতির লড়াই হবে জমজমাট। কারণ আইভী দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আবার তৈমুর আলম খন্দকারও মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তাই কেউ কাউকে সহজে হারাতে পারবেন না।
টানবাজার শীতলক্ষ্যার পাড়ের কয়েকজন ভোটার বলেন, নৌকার প্রার্থী আইভী টানা ১৮ বছর ধরে দায়িত্ব ছিলেন। এই সময় অবকাঠামো অনেক উন্নয়নই করেছেন। কিন্তু গত নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, শীতলক্ষ্যা ও কদম রসুল ব্রিজ করে সিটি করপোরেশনের দুই পাড়ের মানুষের মাঝে জোড়া লাগাবেন। কিন্তু সেটা তিনি পারেননি। এখনো নৌকায় করে বন্দর যেতে হয়। বৃষ্টির সময়ের ভোগান্তি শুধু ভুক্তভোগীর জানেন। এবার ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।
চাষাঢ়া মোড়ের চা দোকানে আড্ডারত আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত নির্বাচনেও আমরা আইভীকে ভোট দিয়েছি। এবার নতুন প্রার্থীকে দিতে চাই। তবে আমার স্ত্রী বলতেছেন, আইভীকে ভোট দিতে। কালকে সকালেই চিন্তা করব কাকে ভোট দেব।’
তবে নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ ভোটারই জানিয়েছেন, আইভীর বিজয়ে সব সময় নিয়ামক থাকেন নারী ভোটাররা। এবারও সেই ধারা আছে। আইভী নিজেও সেটা মনে করেন। শুক্রবার নিজ বাস ভবনে আইভী বলেছিলেন, ‘আমি প্রশাসনের কাছে বরাবরই বলে আসছি যে, ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর থাকে। আমার নারী ভোটাররা যেন আসতে পারে। আমার ইয়াং ভোটাররা যেন আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই ইনশাল্লাহ।’
শনিবার যেভাবে পার করলেন আইভী-তৈমুর
শনিবার অনেকটা নীরবেই দেওভোগের নিজ বাসভবনেই কাটিয়েছেন নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। সারা দিনে গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পারেননি। অনেককেই ফিরতে হয়েছে বাসার সামনে থেকে। রাত সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইভী বাসাতেই ছিলেন। রোববার সকালে আইভী বাড়ির পাশের শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন বলে জানা গেছে। পরে তিনি বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন।
এদিকে ভোটের আগের দিন বাসায় ছিলেন হাতির মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। বেলা ১২টার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালুর আবেদন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ নয়; বরং প্রশাসনকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমার গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মীদের আটক করছে। আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
ক্লাবে আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক
নাসিক নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সমন্বয় করা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন শনিবার সারা দিনই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ছিলেন। নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ একাধিক নেতা দফায় দফায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে আইভীর প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইমাত্র ক্লাবে নানক ভাইদের সঙ্গে বৈঠক করে বাসায় আসালাম। ফ্রেশ হয়ে আইভীর বাসায় যাব। আওয়ামী লীগের নেতারা কি এখনো ক্লাবেই আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, শুনেছি বের হয়ে যাবে। এখন আছে কিনা জানি না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাস্টিং ভোটের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী জয়ী হবে। তবে আজ (শনিবার) কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমরা কোনো বৈঠক করিনি। তাঁরা কোথায় আছেন সেটাও আমি জানি না।’
ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ ইসি ও প্রশাসনের
ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালু রাখার যে আবেদন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার করেছেন তা নাকচ করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা কাজ করবে না। কেন্দ্রে যদি সিসি ক্যামেরা কাজ করে, তাহলে তো কেন্দ্রের ভেতরে বুথের গোপনীয়তা রক্ষা হলো না। কাজেই কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকবে। সব কেন্দ্রে তো নেই। যেখানে আছে সেখানে বন্ধ থাকবে।
প্রার্থীরা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা মনে করছেন না। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে করার জন্য সব প্রস্তুতি ইসি নিয়েছেন বলেনও জানান মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, ভোটাররা তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে আসবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে আসবেন, ভোট দেবেন। ভোট শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরে যাবেন।
সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে রোববার (ভোটগ্রহণের দিন) নারায়ণগঞ্জে বহিরাগতরা ‘অ্যালাউ’ না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল ইসলাম। পুলিশ লাইনে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, কোনো বহিরাগতকে আমরা ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেব না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আমাদের যে মোবাইল টিম থাকবে, আমাদের চেকপোস্ট থাকবে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আমরা মানুষকে চলাচল করতে দেব। রোববার নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকার যে বা যারা বের হবেন দয়া করে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন, যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে।’
তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান, কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা না করে। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, কঠোর অবস্থানেই থাকব। মা-বোনেরাসহ যাঁরা আছেন, আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। কেউ বাধা দিলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
গণগ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জায়েদুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনসংক্রান্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী নতুন নগর পিতা নির্বাচন করবেন সেটাই নারায়ণগঞ্জ তথা দেশবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকার সহিংসতার আশঙ্কা করলে তা উড়িয়ে দিচ্ছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। তাঁদের দাবি ভোটাররা ভোট দিয়ে নির্বিঘ্নে বাসায় ফিরতে পারেন, তার ব্যবস্থাই করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোটদের দাবি, তাঁরা যাতে উৎসবমুখর পরিবেশে, সুষ্ঠুভাবে ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন।
নাসিক নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী সাতজন হলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও বিএনপি থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া নেতা তৈমুর আলম খন্দকারের হাতি প্রতীকের। নির্বাচনী প্রচারণায় এগিয়ে ছিলেন এই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা।
অন্য পাঁচজন মেয়র প্রার্থী হলেন খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
চ্যালেঞ্জের সামনে আইভী
আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, নারায়ণগঞ্জের যেকোনো অধিকার আদায়ে আইভী সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির তেমন অভিযোগও ওঠেনি। এই কারণে তাঁর ওপরেই আস্থা রেখেছে দল। নির্বাচনী প্রচারণায়ও আমরা বিপুল সাড়া পেয়েছি। প্রার্থী যেমন আশা করছে লক্ষাধিক ভোটে তিনি বিজয়ী হবেন, আমাদের তেমন না থাকলে আশা রাখছি ৬০ থেকে ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব।
নির্বাচন পরিচালনার জন্য সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানককে সমন্বয়ক করে একটি টিম করে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ২৭ ওয়ার্ড ভিত্তিক আলাদা কমিটি করে তাঁরা। নেতারা প্রতিদিনই প্রচার-প্রচারণায় অংশ নেন। প্রচারণার শেষদিন শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের একটি ক্লাবে সবাই বৈঠক করেন। সেখানে তাঁরা ওয়ার্ডভিত্তিক ভোটের একটি চিত্র তুলে ধরেন। সেখানকার চিত্র অনুযায়ী আইভী ৭০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন।
তবে, এই চিত্রের বিপরীত কথাও বলছেন দলটির কেউ কেউ। তাঁদের দাবি গত দুইবারের নির্বাচনে আইভী যত সহজে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। এইবার তত সহজ হবে না। টানা তিন মেয়াদে তিনি নারায়ণগঞ্জের নগরপিতার দায়িত্বে রয়েছেন। এতে অনেকই লাভক্ষতির হিসাব মেলাচ্ছেন। এ ছাড়া গত দুইবারের তুলনায় এইবার এখানে দলীয় কোন্দল বেশিই ভোগাচ্ছে। এই হিসাবে নৌকা তীরে ভিড়তে কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।
আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিগত দুই মেয়াদে আইভী নারায়ণগঞ্জের চেহারাই বদলে দিয়েছেন। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করেছেন। দলের একপক্ষের বাধার মধ্যে শেখ রাসেল পার্ক করেছেন। এতে উন্নয়নেও নির্ভার থাকতে পারছি না। কারণ বিগত কয়েক ধাপে অনুষ্ঠিত বিএনপিবিহীন ইউপি নির্বাচনের নৌকার প্রার্থীর ভরাডুবিতে আমাদের ভাবাচ্ছে। কারণ দেশে এখন দুই ধরনের মানুষ আছে। একটা আওয়ামী লীগ। আরেকটা অ্যান্টি-আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনগুলোতে বিএনপিসহ তাঁদের জোটের কিছু ভোট আইভী পেয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও বেশিরভাগ ভোটগুলো তৈমুরের হাতিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের ওসমান ও চুনকা পরিবার আওয়ামী লীগ করলেও তাঁদের মধ্যে দ্বন্দ্ব প্রজন্মের পর প্রজন্মের। সেই ধারাবাহিকতা ওসমান পরিবারের সদস্য সরকার দলীয় সাংসদ শামীম ওসমান ও চুনকা পরিবারের সদস্য মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর মধ্যে বিদ্যনাম। দুজনেরই সাপে নেউলে সম্পর্ক। নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়ে শামীম ওসমানকে গডফাদার বলেও আখ্যা দেন আইভী। তৈমুরকে ওসমান পরিবারের প্রার্থী বলেও দাবি করেন তিনি। আইভীর এমন দাবির পরে সংবাদ সম্মেলন বিরোধ থাকা সত্ত্বেও নৌকার পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন সাংসদ শামীম ওসমান।
আইভীর অনুসারীদের দাবি ঘোষণা দিলেও শামীম ওসমানের অনুসারীরা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়নি। কাজও করেনি। তাঁদের অনুসারী যেসব নেতা সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন তাঁরা শুধু কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে হাজিরা দিচ্ছেন। এর বাইরে তেমন কাজ করছেন না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দলীয় ও উপদলীয় কোন্দল প্রকট। কোন্দলের কারণে অনেকই আইভীর পক্ষে তেমন সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আইভীর ভোটের ওপর।
নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, যে যাই বলুক না কেন নারায়ণগঞ্জে ওসমান পরিবারের একটা প্রভাব ও নিজস্ব কিছু ভোটব্যাংক রয়েছে। আইভী শামীম ওসমানকে গডফাদারে আখ্যায়িতসহ নানান কটূক্তি করেছেন। নির্বাচনের প্রচারণার শেষ দিন পর্যন্ত সেটা অব্যাহত ছিল। তাঁর এমন অহংকারী আচরণ তাঁদের বিক্ষুব্ধ করতে পারে। যার জবাব তাঁরা ব্যালটে দিতে পারেন।
ওই নেতা বলেন, এখানে শামীম ওসমান বিরোধী একটা বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে সেটা সত্য। এই ব্যাংকের বেশি ভোট কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের। সেই ভোট ব্যাংকগুলোকে কাছে রাখতে আইভী নিয়মিতই শামীম বিরোধিতা করে গেছেন। আবার প্রচার-প্রচারণায় তিনি দলীয় নেতাদের তেমন গুরুত্বও দেন নাই। ভোটের রাজনীতিতে বেশিরভাগের মনজয় করে চলতে হয়।
আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান দীপু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের প্রার্থী আইভী নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষের প্রার্থী। তাঁর বিজয়ে আমরা শতভাগ আশাবাদী। তিনি এবার বিজয়ে হ্যাটট্রিক করবেন।’
আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। এই নির্বাচনে আইভীর বিজয়ের মধ্য দিয়ে আরও একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চায় সরকার।’
পরাজিত হলে সারা দেশে সরকারের ভাবমূর্তি কিছুটা হুমকির সম্মুখীন হবে জেনেও জয়-পরাজয়ের চিন্তা মাথায় নিয়ে রেখেছে আওয়ামী লীগ। আইভীকে আস্থায় নিয়ে এই সিটি নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হচ্ছে।
বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুরও
আওয়ামী লীগের মতো নারায়ণগঞ্জের বিএনপিতেও কোন্দল রয়েছে। সিটি এলাকার দুই সাবেক সাংসদ আবুল কালাম ও গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে তৈমুর আলম খন্দকারের। সেটি এখনো না মিটলেও বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জের দুই নেতার বেশকিছু অনুসারীদের হাতির পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে। তাতে নিজের বিজয়ে আত্মবিশ্বাসী তৈমুর।
হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুরকে আজ শনিবার আরও ফুরফুরে আচরণ করতে দেখা গেছে। আইভী-শামীমের ভেতরে বিরোধ মীমাংসা হয়নি এখনো। বিরোধের মীমাংসা না হওয়ায় নির্বাচনে তাঁর জয়ের ক্ষেত্রে আস্থা তৈরি হয়েছে। তাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে তাঁর নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করার অভিযোগ তুললেও হতাশ নন তৈমুর।
হাতির নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গ্রেপ্তার তৎপরতা থাকলেও শামীম ওসমানের সঙ্গে আইভীর বিরোধ শেষ না হলে শামীম অনুসারীদের ভোট তাঁর বক্সেই পড়বে। পুলিশি তৎপরতায় তৈমুর কিছু অনুসারী না পেলেও সেই শূন্যতা শামীম ওসমানের অনুসারীরাই পূর্ণ করবে।
তাঁর ওই কর্মী বলেন, হাতির লোককে কেন্দ্র থেকে দূরে রাখতে পারে একমাত্র শামীম ওসমানের অনুসারীরাই। পারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রাষ্ট্রীয়বাহিনী অতিরঞ্জিত অবস্থানে থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। আইভীর অনুসারীর পক্ষে তা সম্ভব নয়।
আজ শনিবার নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তৈমুর বলেন, ‘মরে গেলেও মাঠ ছাড়ব না। নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকবে। আমরা ঐক্যবদ্ধ আছি। মাঠে থাকব, পালিয়ে যাইনি।’ সংবাদ সম্মেলনে লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হওয়ার আশা প্রকাশ করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক এই উপদেষ্টা।
ভোটারদের ভাবনা
আজ শনিবার নগরীর কালী বাজার, চাষাঢ়া, টানবাজার, দেওভোগ ও মাসদাইর এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁদের অনেকই সুষ্ঠু ও সহিংসমুক্ত ভোট নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আবার কেউ কেউ মনে করেছেন তিনি হয়তো নিজের ভোটটা দিতে পারবেন না। তবে তাঁদের ধারণা, সুষ্ঠু ভোট হলে এবার নৌকা-হাতির লড়াই হবে জমজমাট। কারণ আইভী দীর্ঘদিন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেছেন। আবার তৈমুর আলম খন্দকারও মানুষের সঙ্গে ছিলেন। তাই কেউ কাউকে সহজে হারাতে পারবেন না।
টানবাজার শীতলক্ষ্যার পাড়ের কয়েকজন ভোটার বলেন, নৌকার প্রার্থী আইভী টানা ১৮ বছর ধরে দায়িত্ব ছিলেন। এই সময় অবকাঠামো অনেক উন্নয়নই করেছেন। কিন্তু গত নির্বাচনের আগে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, শীতলক্ষ্যা ও কদম রসুল ব্রিজ করে সিটি করপোরেশনের দুই পাড়ের মানুষের মাঝে জোড়া লাগাবেন। কিন্তু সেটা তিনি পারেননি। এখনো নৌকায় করে বন্দর যেতে হয়। বৃষ্টির সময়ের ভোগান্তি শুধু ভুক্তভোগীর জানেন। এবার ভোটে তার প্রভাব পড়তে পারে।
চাষাঢ়া মোড়ের চা দোকানে আড্ডারত আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত নির্বাচনেও আমরা আইভীকে ভোট দিয়েছি। এবার নতুন প্রার্থীকে দিতে চাই। তবে আমার স্ত্রী বলতেছেন, আইভীকে ভোট দিতে। কালকে সকালেই চিন্তা করব কাকে ভোট দেব।’
তবে নারায়ণগঞ্জের বেশির ভাগ ভোটারই জানিয়েছেন, আইভীর বিজয়ে সব সময় নিয়ামক থাকেন নারী ভোটাররা। এবারও সেই ধারা আছে। আইভী নিজেও সেটা মনে করেন। শুক্রবার নিজ বাস ভবনে আইভী বলেছিলেন, ‘আমি প্রশাসনের কাছে বরাবরই বলে আসছি যে, ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর থাকে। আমার নারী ভোটাররা যেন আসতে পারে। আমার ইয়াং ভোটাররা যেন আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই ইনশাল্লাহ।’
শনিবার যেভাবে পার করলেন আইভী-তৈমুর
শনিবার অনেকটা নীরবেই দেওভোগের নিজ বাসভবনেই কাটিয়েছেন নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী। সারা দিনে গণমাধ্যম কর্মীরা তাঁর সঙ্গে কথা বলতে একাধিকবার চেষ্টা করেও পারেননি। অনেককেই ফিরতে হয়েছে বাসার সামনে থেকে। রাত সাড়ে ৭টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আইভী বাসাতেই ছিলেন। রোববার সকালে আইভী বাড়ির পাশের শিশুবাগ স্কুল কেন্দ্রে ভোট দেবেন বলে জানা গেছে। পরে তিনি বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন।
এদিকে ভোটের আগের দিন বাসায় ছিলেন হাতির মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। বেলা ১২টার আগে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি সুষ্ঠু ভোটের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালুর আবেদন করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ নয়; বরং প্রশাসনকেই ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমার গুরুত্বপূর্ণ নেতা কর্মীদের আটক করছে। আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
ক্লাবে আ. লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের বৈঠক
নাসিক নির্বাচনের দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় সমন্বয় করা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের কয়েকজন শনিবার সারা দিনই নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে ছিলেন। নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ একাধিক নেতা দফায় দফায় স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন।
শনিবার বিকেলে আইভীর প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইমাত্র ক্লাবে নানক ভাইদের সঙ্গে বৈঠক করে বাসায় আসালাম। ফ্রেশ হয়ে আইভীর বাসায় যাব। আওয়ামী লীগের নেতারা কি এখনো ক্লাবেই আছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, শুনেছি বের হয়ে যাবে। এখন আছে কিনা জানি না।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাস্টিং ভোটের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ ভোট পেয়ে নৌকার প্রার্থী জয়ী হবে। তবে আজ (শনিবার) কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আমরা কোনো বৈঠক করিনি। তাঁরা কোথায় আছেন সেটাও আমি জানি না।’
ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ ইসি ও প্রশাসনের
ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা চালু রাখার যে আবেদন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার করেছেন তা নাকচ করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা কাজ করবে না। কেন্দ্রে যদি সিসি ক্যামেরা কাজ করে, তাহলে তো কেন্দ্রের ভেতরে বুথের গোপনীয়তা রক্ষা হলো না। কাজেই কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বন্ধ থাকবে। সব কেন্দ্রে তো নেই। যেখানে আছে সেখানে বন্ধ থাকবে।
প্রার্থীরা নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তা তা মনে করছেন না। ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে করার জন্য সব প্রস্তুতি ইসি নিয়েছেন বলেনও জানান মাহফুজা আক্তার। তিনি বলেন, ভোটাররা তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে আসবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে আসবেন, ভোট দেবেন। ভোট শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যে ফিরে যাবেন।
সুষ্ঠু ভোটের স্বার্থে রোববার (ভোটগ্রহণের দিন) নারায়ণগঞ্জে বহিরাগতরা ‘অ্যালাউ’ না বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল ইসলাম। পুলিশ লাইনে ব্রিফিংকালে তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, কোনো বহিরাগতকে আমরা ভোটের দিন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করতে দেব না। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় আমাদের যে মোবাইল টিম থাকবে, আমাদের চেকপোস্ট থাকবে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে আমরা মানুষকে চলাচল করতে দেব। রোববার নারায়ণগঞ্জ মহানগর এলাকার যে বা যারা বের হবেন দয়া করে অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে বের হবেন, যাদের বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে।’
তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান, কেউ যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা না করে। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করে, তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে।’ পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘আমরা কঠোর অবস্থানে আছি, কঠোর অবস্থানেই থাকব। মা-বোনেরাসহ যাঁরা আছেন, আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে আসবেন। কেউ বাধা দিলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।’
গণগ্রেপ্তার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জায়েদুল আলম বলেন, ‘নির্বাচনসংক্রান্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী
১৫ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী
১৫ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী
১৫ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

রাত পোহালে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দেশের অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। সদ্য সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী কি জয়ের হ্যাটট্রিক করবেন নাকি নগরবাসী
১৫ জানুয়ারি ২০২২
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে