Ajker Patrika

হাসপাতালে সুস্থতা নয়, যেন মৃত্যুর ক্ষণ গুনছেন বৃদ্ধা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ০৪
হাসপাতালে সুস্থতা নয়, যেন মৃত্যুর ক্ষণ গুনছেন বৃদ্ধা

হাসপাতালে সুস্থ হতে নয়, যেন মৃত্যুর প্রহর গুনছেন অজ্ঞাত এক বৃদ্ধা। কয়েক মাস ধরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিঁড়ির নিচেই চিকিৎসাধীন তিনি। হাঁটাচলা করতে পারেন না, কেবল শরীরের বিভিন্ন অংশের তীব্র ব্যথার কথা ব্যক্ত করতে পারেন। যে সিঁড়ির নিচে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, সেখানে শুয়েই মলমূত্র ত্যাগ করেন তিনি। তাই দুর্গন্ধে চিকিৎসক, নার্স এমনকি পরিচ্ছন্নতাকর্মীরাও তাঁর কাছে যেতে পারেন না। 

তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গত কয়েক মাস যাবৎ অজ্ঞাতপরিচয়েই ওই বৃদ্ধা হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের দায়িত্বে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। চিকিৎসকেরা ঠিকঠাক চিকিৎসাও দিয়ে যাচ্ছেন। 

জানা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসের ১৯ তারিখে একটি পাখি ভ্যানচালক কম্বলে মোড়ানো অবস্থায় ওই বৃদ্ধাকে হাসপাতালের নতুন জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে রেখে যায়। পরে অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী ওই বৃদ্ধাকে জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন জরুরি বিভাগেরই কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক।

সদর হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, ঝিনাইদহ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) একটি দল চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে বৃদ্ধা রোগীটির পরিচয় শনাক্তের জন্য ছবি ও আঙুলের ছাপ নিয়ে যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের জেসমিন নামের এক স্বেচ্ছাসেবিকা বলেন, ‘তিনি প্রায় চার মাস ধরে এই ওয়ার্ডে আছেন। তাঁর নাম পর্যন্ত এখনো জানা যায়নি। প্রথমে তাঁকে ওয়ার্ডের মধ্যে রাখলেও তিনি চলাচল করতে না পারায় এবং অপরিচ্ছন্ন থাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছেন। যে কারণে অন্য রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বিরক্ত হচ্ছিলেন। তাই তাঁকে বারান্দার পাশে সিঁড়ির নিচে বিছানা করে দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এই বৃদ্ধা চলাচল করতে না পারলেও মাঝেমধ্যে ‘ব্যথা ব্যথা’ শব্দ উচ্চারণ করেন।’ 

মহিলা মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন বলেন, ‘আমার মা অসুস্থ হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। এখানে আসার পর থেকেই সিঁড়ির নিচে একটি অসুস্থ মহিলাকে দেখতে পাচ্ছি। এই কয়দিনে সে একটিবারের জন্য হলেও ওখান থেকে অন্য কোথাও যায়নি। তার শরীর থেকে প্রচণ্ড দুর্গন্ধ ছড়ানোর কারণে কেউ তাঁর কাছে যেতে পারছে না। মাঝেমধ্যে হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর স্বজনেরা তাঁকে কিছু খাবার কিনে দিয়ে যেতে দেখেছি।’ 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জুনিয়র কার্ডিওলজি কনসালট্যান্ট ডা. আবুল হোসেন বলেন, ‘কয়েক মাস আগে রোগীটিকে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয়। তিনি শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। মাঝেমধ্যে দু-একটা কথা বললেও হাঁটাচলা করতে পারেন না। আমি নিয়মিত তাঁকে দেখছি। তবে উনি চলাচল করতে না পারায় নিজ বিছানাতেই মলমূত্র ত্যাগ করে অপরিচ্ছন্ন হয়ে যান। যে কারণে তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এখন তাঁর সার্বক্ষণিক সেবার জন্য একজন মানুষ প্রয়োজন।’ 

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, ‘রোগীটির ভালো চিকিৎসা ও সেবার প্রয়োজন। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি রোগীটির নাম পর্যন্ত আমরা জানি না। অজ্ঞাতপরিচয় এই রোগীকে প্রথমে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ভেতরে রাখা হলেও তিনি নিজ বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ করে অনেক দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছেন। এতে করে ওই ওয়ার্ডের অন্য রোগীরা ওয়ার্ডের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তবে আমরা রোগীটিকে যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি। তাঁর প্রয়োজনীয় সব ওষুধপত্র ও খাবারের ব্যবস্থাও নিয়মিত করা হচ্ছে। আর হাসপাতালে জনবলের সংকটের কারণে তাঁর সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার জন্য কোনো স্টাফকেও আমরা রাখতে পারছি না তাঁর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।

আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ঢামেকে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পদ্মায় ড্রেজিং চলায় দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’

দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।

সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত