Ajker Patrika

ভুক্তভোগী ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ বন্ধ করুন: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

আপডেট : ০৮ এপ্রিল ২০২২, ১২: ৫২
ভুক্তভোগী ও মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ বন্ধ করুন: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

আন্তর্জাতিক ১২টি সংস্থা অভিযোগ করে বলেছে, বাংলাদেশের বিশেষায়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) ওপর মার্কিন অর্থ দপ্তরের নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় বাহিনীটি ভুক্তভোগীদের স্বজন, মানবাধিকারকর্মী, তাদের পরিবার ও মানবাধিকার সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক আচরণ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।

অভিযোগকারী সংস্থাগুলো হচ্ছে—অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, অ্যান্টি ডেথ পেনাল্টি এশিয়া নেটওয়ার্ক, এশিয়ান ফেডারেশন অ্যাগেইনস্ট ইনভলান্টারি ডিসঅ্যাপেয়ারেন্স, এশিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ফোরাম-এশিয়া), এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইলেনকশন্স, ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্ট, সিভিকাস: ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর সিটিজেন পার্টিসিপেশন, ইলিওস জাস্টিস, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন ফর হিউম্যান রাইটস, রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটস এবং ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন অ্যাগেইনস্ট টর্চার।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন এবং জোরপূর্বক গুমসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় ২০২১ সালের ১০ ডিসেম্বর র‍্যাব এবং এর ছয়জন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর থেকে র‍্যাব এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স (এনএসআই) ভুক্তভোগী এবং মানবাধিকারকর্মীদের হুমকিমূলক ফোন কল করছে, তাঁদের স্থানীয় অফিসে ডেকে পাঠাচ্ছে এবং মধ্যরাতে তাঁদের কর্মস্থল ও বাড়িতে হানা দিচ্ছে। 

একটি ঘটনায় দেখা যায়, র‍্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থা একজন মানবাধিকারকর্মীর আত্মীয়কে এ বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে মার্চের শুরু পর্যন্ত হয়রানি করেছে। ওই আত্মীয় যেহেতু গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারকে সমর্থন করতেন, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে। আরেকজন মানবাধিকারকর্মী বলেছেন, র‍্যাব কর্মকর্তারা মধ্যরাতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছেন এবং গুমের শিকার ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। র‍্যাবের কর্মকর্তারা এই কর্মীর কর্মস্থলেও যান এবং এই বলে হুমকি দেন, ‘তথ্য গোপন করলে নিজের জন্য আরও সমস্যা হবে।’ 

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আরও লিখেছে, মানবাধিকারকর্মীদের হয়রানি করার জন্য সরকার কঠোর আইন ও আদালতকে ব্যবহার করছে। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি পাটকেলঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাংবাদিক জহুরুল হকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে সরকার ও পুলিশের সমালোচনামূলক পোস্ট করার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর এবং নির্বাসিত সাংবাদিক তাসনীম খলিলের বিরুদ্ধে ‘গুজব ছড়ানো’ এবং ‘সরকারবিরোধী’ কার্যকলাপে অংশ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ গঠন করে। 

এ ছাড়া বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের নেতা আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসিরুদ্দিন এলান ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন। মানবাধিকারকর্মীদের পরিস্থিতি নিয়ে গত ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক মেরি ললর উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ন্যায্য বিচারের নিশ্চয়তা বজায় রাখতে আদালত ব্যর্থ হয়েছে এবং এর স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।’ 

বেসরকারি সংস্থা অ্যাফেয়ার্স ব্যুরোর সঙ্গে অধিকারের চুক্তি নবায়নের আবেদনটি ২০১৪ সাল থেকে মুলতুবি হয়ে ছিল। বছরের পর বছর নিষ্ক্রিয় থাকার পর গত ফেব্রুয়ারিতে আবেদনটি পাস হলে অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো অধিকারকে একটি চিঠি পাঠায়, যেখানে ২০০৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত নিখোঁজ হওয়া প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা, সুনির্দিষ্ট তথ্য ও নথিপত্র চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। 

গত ১৪ মার্চ জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা উদ্বেগ প্রকাশ করে এক বিবৃতিতে বলেছেন, মানবাধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ গ্রহণ মানবাধিকারের কাজকে নিরুৎসাহিত করতে ও বাধা দিতে পারে। বাংলাদেশের উচিত অবিলম্বে মানবাধিকারকর্মী, গুম হওয়া ব্যক্তিদের আত্মীয় এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে সব কার্যক্রম বন্ধ করা। মানবাধিকার সংস্থাগুলো জাতিসংঘের উদ্বেগের প্রতি সাড়া দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে র‍্যাবে কর্মরত কাউকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে না পাঠানোরও আহ্বান জানিয়েছে। 

আন্তর্জাতিক ওই ১২টি সংস্থা বলেছে, বাংলাদেশের উচিত অবিলম্বে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তি, মানবাধিকারকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে সব প্রতিশোধমূলক কার্যক্রম বন্ধ করা। এসবের পরিবর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন রোধে পূর্ণ জবাবদিহি নিশ্চিত করার প্রতি সরকারের মনোনিবেশ করা উচিত। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দায়িত্ব নিল সরকার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
মঙ্গলবার সরকারের পক্ষে ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
মঙ্গলবার সরকারের পক্ষে ময়মনসিংহে দিপু চন্দ্র দাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে পিটিয়ে হত্যার শিকার দীপু চন্দ্র দাসের পরিবারের দেখভাল নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে রাষ্ট্র। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়াকান্দা গ্রামে দীপুর বাড়িতে সহমর্মিতা জানাতে গিয়ে এই খবর জানান শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক সি আর আবরার। উপদেষ্টা বলেন, ‘দীপুর দাসের সন্তান ও স্ত্রী এবং বাবা-মায়ের দেখভালের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করল। আমি আসার আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা হয়েছে। তিনি আমাকে পরিবারটির সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন। পরিবারের কী চাহিদা, তা পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে নিরূপণ করা হবে। আমাদের স্থানীয় প্রশাসন আছে, তাদের মাধ্যমে এই যোগাযোগ হবে।’

দিপু চন্দ্র দাসের হত্যাকান্ডকে ’নৃশংস অপরাধ’ আখ্যা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি আইন শাসিত রাষ্ট। কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার অধিকার রাখে না। অন্যায় হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ বসবাস করে। সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে এবং তার রাষ্ট্র যথাযথ সম্মান করে।’

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সি আর আবরার বলেন, ‘অভিযোগ, গুজব বা বিশ্বাসগত পার্থক্য এই ধরণের বর্বরতার অজুহাত হতে পারে না। সরকার সর্বোচ্চ আইনপ্রয়োগ করার ক্ষমতা রাখে। ইতিমধ্যে দিপু হত্যাকান্ডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। এর সঙ্গে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’

এসব ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে কোনোভাবেই প্রভাব পড়বে না এবং বাইরের দেশের উসকানিতেও নির্বাচনে কোনো প্রভাবে পড়বে না।’

গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপু চন্দ্র দাসকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করে উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ বিবস্ত্র করে গাছে ঝুলিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। এই ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই অপু দাস ১৯ ডিসেম্বর বাদী হয়ে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা দায়ের করেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী এখন পর্যন্ত এই হত্যাকান্ডে জড়িত ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত দিপু চন্দ্র দাস ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। দুই বছর ধরে তিনি ভালুকার জামিরদিয়া পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানিতে কাজ করছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিমানবন্দর এলাকায় ড্রোন উড্ডয়ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। ফাইল ছবি

জাতীয় নিরাপত্তা ও নিরাপদ বিমান চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় ড্রোন উড্ডয়ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এক তথ্যবিবরণীতে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করেছে।

তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা-২০২০ অনুযায়ী বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় অনুমোদনহীন ড্রোন উড্ডয়ন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। তবে নীতিমালা থাকা সত্ত্বেও ১৯ ডিসেম্বর শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ গ্রহণ উপলক্ষে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনজন উপদেষ্টা ও অন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে কয়েকটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ছাড়া ড্রোন উড্ডয়ন করে ছবি ধারণ করে।

বেবিচক জানায়, এ ধরনের অননুমোদিত ড্রোন উড্ডয়ন বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি করতে পারে এবং জাতীয় নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিমানবন্দর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিসহ সর্বসাধারণকে ড্রোন উড্ডয়ন থেকে বিরত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বেবিচক সতর্ক করে জানায়, ভবিষ্যতে এ ধরনের বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিস ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয়। ছবি: ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল

সম্ভাব্য অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া নিশ্চিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই স্বাক্ষর অনুষ্ঠান হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল।

এতে বলা হয়, সমঝোতার আওতায় দেশের কেপিআই প্রতিষ্ঠান (কি পয়েন্ট ইনস্টলেশন–অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা) বাংলাদেশ ব্যাংক ও এর আশপাশের এলাকায় সম্ভাব্য অগ্নিদুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে একটি স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের মতো সার্বক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের জনবল ও গাড়ি-পাম্প মোতায়েন থাকবে।

এ লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদের ১৩ জন সদস্য প্রয়োজনীয় সাজ-সরঞ্জামসহ সেখানে দায়িত্ব পালন করবেন।

সমঝোতা স্মারকে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পক্ষে ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মো. ছালেহ উদ্দিন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে যুগ্ম পরিচালক (এইচআরডি-১) মো. রিয়াদ ফারজান্দ স্বাক্ষর করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. নিয়ামুল কবির, নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. ফারুক হাওলাদার, পরিচালক (এইচআরডি-১) মো. জবদুল ইসলামসহ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।

এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী, উপপরিচালক মো. মামুনুর রশিদ, সহকারী পরিচালক কাজী নজমুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ০৫
পররাষ্ট্রের ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে নতুন কমিটি

দুর্নীতির অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ ১০টি দেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত ৩৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান দল পুনর্গঠন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির একটি সূত্র আজ মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এ অনুসন্ধানে অষ্টমবারের মতো দল পরিবর্তন করা হলো।

গতকাল সোমবার দুদকের কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমিশনের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেনকে প্রধান করে অনুসন্ধান দল পুনর্গঠন করা হয়। দলের অপর দুই সদস্য হলেন উপসহকারী পরিচালক সুবিমল চাকমা ও রোমান উদ্দিন।

সূত্রটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা ছাড়াও সৌদি আরব, চীন, দুবাই, ইতালি, সুইজারল্যান্ড ও ফিলিপাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত রাষ্ট্রদূত, হেড অব চ্যান্সারি ও কনস্যুলার প্রধান পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।

অভিযোগ ওঠা ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে আছেন—প্রথম সচিব মো. হালিমুজ্জামান, কাউন্সেলর ডা. মো. জাকির হোসেন খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. জসিম উদ্দিন, সহকারী সচিব কাজী মুনতাসির মোর্শেদ, পিও আব্দুল লতিফ ফকির, এমএলএসএস মো. আতিকুর রহমান, স্টেনোটাইপিস্ট মো. ইব্রাহিম খলিল, সচিব মো. আসগার হোসেন, মো. লুৎফর রহমান, পিও মো. কামাল হোসেন ও গাড়িচালক মো. আব্দুল কাদের।

এ ছাড়া আছেন সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, জেদ্দার কনস্যুলার জেনারেল এ কে এম শহিদুল করিম, লেবার উইংয়ের কনস্যুলার এ কে এম মোকাম্মেল হোসেন, রিয়াদের কনস্যুলার (লেবার উইং) সরোয়ার হোসেন, চীনের রাষ্ট্রদূত এম ফজলুল করিম, এম দেলোয়ার হুসাইন, কনস্যুলার তারেক আহম্মেদ, ইতালির কনস্যুলার জেনারেল রোজিনা আহমেদ, ইতালির ভাইস কনস্যুলার নাফিসা মনসুর, ইতালির রাষ্ট্রদূত মো. শাহাদাত হোসেন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম, ফ্রান্সের কনস্যুলার ও হেড অব চ্যান্সারি হযরত আলী খান, সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মো. শামিম আহসান, সুইজারল্যান্ডের মিনিস্টার অ্যান্ড এইচওসি মো. নজরুল ইসলাম ও কনস্যুলার মো. আলিমুজ্জামান।

এ তালিকায় আরও আছেন ওয়াশিংটনের রাষ্ট্রদূত মো. আকরামুল কাদের, কানাডার অটোয়ার রাষ্ট্রদূত কামরুল আহসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত ইয়াকুব আলী, ওয়াশিংটন ডিসির রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, ওয়াশিংটন ডিসির কনস্যুলার মো. সামসুল আলম, নিউইয়র্কের কনস্যুলার ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন, কনস্যুলার জেনারেল শামীম আহসান, লস অ্যাঞ্জেলেসের কনস্যুলার জেনারেল সুলতানা লায়লা হোসাইন, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হান্নান, ডেপুটি রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা, কনস্যুলার জেনারেল (বাণিজ্যিক) সরিফা খান ও সহকারী রাষ্ট্রদূত (বাকিংহাম) ফয়সাল আহম্মেদ।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়ে অভিযুক্ত ওই ৩৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য চায় দুদক।

এতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থল, পদবি, স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সরবরাহ করার অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়া তাঁদের ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আগের কর্মস্থল, দায়িত্বপ্রাপ্ত শাখা ও তৎকালীন পদবির তথ্য দিতে বলা হয়।

২০১৬ সালে দায়ের হওয়া একটি অভিযোগের ভিত্তিতে এ অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। অভিযোগে বলা হয়, বিভিন্ন দেশে কর্মরত বাংলাদেশি দূতাবাস ও হাইকমিশনের রাষ্ট্রদূত, সচিব ও অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ আত্মসাৎ ও সরকারের আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ভোটের জোট: আসন সমঝোতা শেষ পর্যায়ে

উপদেষ্টা পরিষদে রদবদল হচ্ছে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নিয়ে গুঞ্জন

১১৯ আসনে প্রার্থী ঘোষণা জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের, মনোনয়ন পেলেন যাঁরা

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩২-এর বেশি বহাল থাকছে যেসব প্রতিষ্ঠানে

দিল্লিতে ব্যারিকেড ভেঙে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রবেশের চেষ্টা হিন্দুত্ববাদীদের, উত্তেজনা

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত