Ajker Patrika

বরিশালে আওয়ামী লীগ-আনসারের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩০

প্রতিনিধি, বরিশাল
আপডেট : ১৯ আগস্ট ২০২১, ১৭: ০৫
বরিশালে আওয়ামী লীগ-আনসারের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৩০

বরিশালে উপজেলা নির্বাহী অফিসের সামনে জাতীয় শোক দিবসের ব্যানার খোলাকে কেন্দ্র করে আনসার বাহিনী সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গোলাগুলি ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা–কর্মীরা দাবি করেছেন, সদর উপজেলার আনসারদের গোলাগুলিতে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন। তবে মেয়রের গুলিবিদ্ধ হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিম। বুধবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে নগরীর সদর উপজেলার সামনে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন। 

বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি আতিকুল্লাহ মুনিম জানান, সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমারের নেতৃত্বে কর্মচারীরা সদর উপজেলা চত্বরে এসে ব্যানার ও পোস্টার অপসারণের চেষ্টা করেন। এ সময় সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসাররা বাধা দেন। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান সোভনও ব্যানার নামানোর কারণ জানতে চান। পরে সিটি করপোরেশনের লোকজন এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বের করে দেন। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ এসে পরিচয় দিলেও আনসাররা ইউএনও’র নির্দেশে গুলি করেন। এতে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবুসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। 

তবে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানিয়েছে, উপজেলা পরিষদে সাঁটানো ব্যানার সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর ছিল। মেয়রের অনুগত ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা ওই ব্যানার খুলতে গেলে প্রথমে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা ও পরে ইউএনও এসে বাধা দেন। বাধা পেয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা ফিরে গিয়ে বিপুলসংখ্যক নেতা কর্মী সংঘবদ্ধ হয়ে পুনরায় উপজেলা পরিষদে হামলা করে। এ সময় উভয় পক্ষ থেকে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। 

এ প্রসঙ্গে বরিশাল সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, আকস্মিক এ ঘটনায় তিনি হতবাক। তাঁর বাবা-মা করোনায় আক্রান্ত। অথচ একদল লোক গভীর রাতে তাঁর বাংলোতে হামলা করেছে। তিনি তাদের কাছে জানতে চান আমার বাংলোয় এত লোক কেন এসেছে। 

তাঁর নির্দেশে আনাসার বাহিনী গুলি করেছেন কি–না জানতে চাইলে তিনি বলেন, `আমার নির্দেশে কেন গুলি হবে।' এত রাতে ৬০–৭০ জন লোক কেন আমার বাংলোর চত্বরে এসে জড়ো হয়েছে। 

বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র গাজী নইমুল ইসলাম লিটু বলেন, `ইউএনও নিজে সিটি করপোরেশনের কাজে বাধা দেন এবং অশোভন আচরণ করেন। তার প্রতিবাদ করলে গুলিবর্ষণ করা হয়।' 

এ বিষয়ে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম বলেন, `তুচ্ছ ঘটনায় সদর উপজেলায় ঝামেলা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দিয়েছে।' 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ: কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি কর্মকর্তার

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
নওগাঁ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
নওগাঁ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

নওগাঁর মান্দায় কাবিখা প্রকল্পে লুটপাট-সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর সাংবাদিকদের ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলাম। গতকাল বুধবার প্রকল্পের তথ্য দেওয়ার নামে ডেকে নিয়ে সাংবাদিকদের হুমকি দেন তিনি।

পিআইও আরিফুল ইসলাম দম্ভোক্তি দেখিয়ে বলেন, ‘আমাকে না জানিয়ে আপনারা কেন সংবাদ প্রকাশ করেছেন। আপনাদের দেখে নেওয়া হবে। আমি মনে করলে আপনারা কেউ এখান থেকে যেতে পারবেন না। আমি এই স্টেশন থেকে চলে গেলে আপনারা কেউ ভালো থাকবেন না।’

এ সময় ছয়জন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে পিআইও আরিফুল ইসলাম উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মনসুর রহমানকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে প্রকল্পের কাজ কারচুপির বিষয়ে গালিগালাজ করেন। পরে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের কাছ থেকে সাংবাদিকদের সামনে ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে পকেটস্থ করেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে।’

এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে পরে জানানো হবে।’

নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আশেকুর রহমান বলেন, ‘প্রকল্পের কাজে অসংগতি থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন কর্মকর্তা হয়ে তিনি কখনোই সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ বা হুমকি দিতে পারেন না। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাবিখার চার প্রকল্পের মাধ্যমে সাড়ে ৩০ টন চাল লুটপাট করা হয়, যার বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা। এ নিয়ে গতকাল আজকের পত্রিকায় ‘দায়সারা কাজে কাবিখার চার প্রকল্পে হরিলুট’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব প্রকল্পের বিষয়ে তথ্য দেওয়ার নামে সাংবাদিকদের ডেকে নিয়ে হুমকি দেন আরিফুল ইসলাম। এ ঘটনার পর স্থানীয় সচেতন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের হার ২৯ শতাংশ বৃদ্ধি, অর্ধেকই পথচারী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামে সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫ এর প্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা
চট্টগ্রামে সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫ এর প্রকাশ অনুষ্ঠান। ছবি: আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রাম নগরীতে ২০১৭ সাল থেকে সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৬৬২ জন নিহত হয়েছে, যা আগের একই সময় ব্যবধানের তুলনায় ২৯ শতাংশ বেশি। এই সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানির অর্ধেকেই ছিলেন পথচারী। আজ বুধবার নগরীর দামপাড়া পুলিশ লাইনসের সম্মেলনকক্ষে একটি অনুষ্ঠানে প্রকাশিত চট্টগ্রাম সিটি রোড সেফটি রিপোর্ট-২০২৫-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে।

২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) যৌথভাবে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) কর্মসূচির আওতায় প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য সংস্থা ভাইটাল স্ট্যাটেজিস।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে প্রাণহানির হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। ২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটি প্রায় অপরিবর্তিত ছিল। দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে ছিল পথচারীরা। এই সাত বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৩ জন পথচারী নিহত হয়েছে। পথচারীদের পর সবচেয়ে ঝুঁকিতে ছিল দুই ও তিন চাকার যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা। এসব যানবাহনের দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত হয়েছে।

এ ছাড়া প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম নগরীতে ২০টি উচ্চঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বড়পোল মোড়, অলংকার মোড়, সিইপিজেড গেট, সিটি গেট, নিউমার্কেট বাসস্টপ, কালামিয়া বাজার বাসস্টপ এবং সাগরিকা গোলচত্বর। দ্রুত বিজ্ঞানভিত্তিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে স্থানগুলোর ত্রুটি চিহ্নিত করে পুনর্নির্মাণের প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে মতামত দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তথ্যভিত্তিক ও বিজ্ঞানসম্মত উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শহরের সড়কে প্রাণহানি প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষ করে পথচারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ফুটপাত প্রশস্তকরণ, উঁচু জেব্রা ক্রসিং নির্মাণ, নিরবচ্ছিন্ন ফুটপাত নিশ্চিতকরণ, স্পিড হাম্প স্থাপন এবং পথচারী দ্বীপ নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে মোটরযান গতিসীমা নির্দেশিকা-২০২৪ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম ও অপারেশন) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সড়ক নিরাপত্তা শুধু আইন প্রয়োগের বিষয় নয়, এটি নগরপরিকল্পনা ও সড়ক নকশার সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সিএমপি রোড সেফটি সেল গঠন এবং রোড ক্র্যাশের তথ্য সংগ্রহে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে, যা সড়ক নিরাপত্তায় গতি আনছে।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. আনিসুর রহমান সোহেল বলেন, প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে সিএমপির সঙ্গে যৌথভাবে চট্টগ্রাম শহরের সড়ক নিরাপত্তা উন্নয়নে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রণয়নের পরিকল্পনা করছে চসিক।

বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের ইনিশিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর লাবিব তাজওয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ওয়াহিদুল হক চৌধুরী। প্রতিবেদনের মূল তথ্য উপস্থাপন করেন বিআইজিআরএস চট্টগ্রামের সার্ভেইল্যান্স কো-অর্ডিনেটর কাজী সাইফুন নেওয়াজ। উপস্থিত ছিলেন বিআইজিআরএস এনফোর্সমেন্ট কো-অর্ডিনেটর কাজী হেলাল উদ্দিনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, একাডেমিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোলায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ভোলা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ০৬
সিফাত হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত
সিফাত হাওলাদার। ছবি: সংগৃহীত

ভোলায় সাবেক ছাত্রদল নেতা সিফাত হাওলাদারকে (২১) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করেছে বলে জানা গেছে। নিহত সিফাত ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি। তাঁর বাবা আলাউদ্দিন হাওলাদার ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ক্লোজার বাজার এলাকার বাসিন্দা।

বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ক্লোজার বাজার এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে সিফাত হাওলাদারের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাইদের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এর জেরে আজ দুপুরের দিকে সিফাতের সঙ্গে তার চাচাতো ভাই হাসিব ও সাকিবের হাতাহাতি হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে ক্লোজার বাজার এলাকায় সিফাতকে একা পেয়ে তারা কয়েকজন মিলে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়।

এ সময় সিফাতের চিৎকারে তাঁর পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন।

পরে তাঁকে ভোলা সদরের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ মনিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মণিপুরীদের জীবনধারার আলোকচিত্র প্রদর্শনীর সময় বাড়ল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রদর্শনীতে মণিপুরী সমাজের দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম নান্দনিকতা ও মাধুর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
প্রদর্শনীতে মণিপুরী সমাজের দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম নান্দনিকতা ও মাধুর্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

‘মণিপুরী: এন এথনিক কমিউনিটি অব বাংলাদেশ’ শিরোনামের প্রদর্শনীর সময় বাড়ল। প্রদর্শনীটি গত ১২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। দর্শকের আগ্রহের কারণে আগামী ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বরও প্রদর্শনী দেখার সুযোগ থাকছে। বিকেল ৪টা থেকে ৯টা পর্যন্ত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আর্ট গ্যালারি ৪০২ নম্বর কক্ষে সকল দর্শনার্থীর জন্য প্রদর্শনীটি উন্মুক্ত থাকবে।

প্রদর্শনীতে ৩ জন আলোকচিত্রীর তোলা ১০২টি আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে। তারা হলেন—মো. কাউছার হাবিব সোমেল, মোহা. আসহাবুল হক নান্নু ও মোহাম্মদ হারুন আর রশীদ। চলমান একটি মেন্টরশিপ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

প্রদর্শনীতে মণিপুরী সমাজের দৈনন্দিন জীবনের সূক্ষ্ম নান্দনিকতা ও মাধুর্য ফুটিয়ে তোলা হয়। সীমাহীন আকাশ আর সবুজের অনন্ত সমারোহে শ্রীভূমির প্রকৃতির অপূর্ব বিস্তার, গ্রামের আঙিনায় কাজের ব্যস্ততা, নারীদের বয়নচক্রে সুতো কাটা, কৃষিকাজ ও ধর্মীয় প্রস্তুতি, আর শিশুদের হাসি–খেলার রঙিন চঞ্চলতা মিলেমিশে গড়ে ওঠা এক প্রশান্ত পরিবেশ এই প্রদর্শনীতে দেখা যাবে। আচার-অনুষ্ঠান, ঐতিহ্যবাহী পোশাক, সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতিটি ছবি স্মরণ করিয়ে দেবে—সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যই একটি জাতির সত্যিকারের সৌন্দর্য্য।

মেন্টরশিপ কার্যক্রমটি পরিচালনা করছেন বিশিষ্ট প্রশিক্ষক ও আলোকচিত্রী কে এম জাহাঙ্গীর আলম। সার্বিক সমন্বয় করেছেন আলোকচিত্রী ও সংগঠক মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সুমন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত