খায়রুল বাসার নির্ঝর, ঢাকা

বায়োপিক বানানোর জন্য অনেকেই তো ছিলেন, যাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয় এবং যাঁদের জীবনের গল্প আরও ড্রামাটিক। জীবনানন্দ দাশকে বেছে নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে?
সায়ন্তন: আমরা যাঁরা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, তাঁদের কাছে জীবনানন্দ তো একজন বাঙালি হিসেবে খুবই এমিনেন্ট ফ্যাক্টর। তাঁকে নিয়ে চিন্তাভাবনাটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু ছবি করব, সেটা যখন আমি ম্যাচিউরড হই, তারপর সেই ভাবনাচিন্তাটা গ্রো করে। সিনেমার জগতে যখন ঢুকি, তখন থেকেই এটা আমাকে হন্ট করত। যদি সত্যিই কবির একটা বায়োপিক বানানো যায়! এবং সেটা শুধুমাত্র কবি কখন জন্মেছিলেন, জন্মে এই করেছিলেন, সেই করেছিলেন, লিখেছিলেন, তাঁর এই এই সমস্যা ঘটেছিল… হ্যানাত্যানা না।
আপনি আরও ব্যাপকভাবে কবিকে ধরতে চেয়েছিলেন চিত্রনাট্যে, সেটা ‘ঝরা পালক’-এর ট্রেলার দেখে বোঝা গেছে। জীবনানন্দকে পর্দায় আনতে গিয়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে?
সায়ন্তন: একজন কবির বায়োপিক বানাতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় যেটা অবস্ট্রাকল বা সবচেয়ে বড় যে জটিলতা, সেটা হচ্ছে—কবির বায়োপিক তো তাঁর কবিতাও। মানে তাঁর শিল্পজীবন এবং তাঁর যে রিয়েল টাইমলাইন—এই দুটোই তো ইমপর্ট্যান্ট।
একটা গ্যাংস্টারের জীবনী বানাতে গেলে… তিনি কখন জন্মেছিলেন, কার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল, কাকে কাকে মেরেছিলেন—এসব বললেই হয়ে যায়। কিন্তু একজন কবির জীবনে সেই অর্থে কোনো ড্রামা থাকে না। হ্যাঁ, জীবনানন্দের জীবনে এনাফ ড্রামা ছিল, তাঁর বৈবাহিক জীবন ঘিরে এবং তাঁর প্রেমজীবন ঘিরে। তো যেটা গল্প সেটা হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে, কবির জীবনী এবং কবির এন্টায়ার শিল্পকর্ম—এই দুটোকে কী করে মার্জ করা যায়! কবিতাও তো তাঁর জীবন। সৃষ্টি তাঁর জীবনের চেয়েও বড়; বিশেষ করে জীবনানন্দের মতো একজন শিল্পীর কাছে।
তো এই দুটোকে মার্জ করাটা, আমাদের সিনেমার ল্যাঙ্গুয়েজে, চিত্রনাট্যে এবং এক্সিকিউশনে কীভাবে সেই ভাষাটা খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
জীবনানন্দের ‘মাল্যবান’ আপনার সিনেমার মূল সূত্র। এ ছাড়া আর কোনো রিসোর্সের সাহায্য নিয়েছেন চিত্রনাট্য করতে গিয়ে?
সায়ন্তন: জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে অনেক বই রয়েছে। দুটো ইমপর্ট্যান্ট বই, যেটা তাঁর লিটারারি বায়োপিক। (একটি) ক্লিনটন বি সিলি বলে একজন লেখক লিখেছেন। তিনিও কবি ছিলেন; দীর্ঘদিন বরিশালে ছিলেন। বাংলা ভাষাটা প্রায় বাঙালির মতোই রপ্ত করছিলেন ক্লিনটন। তাঁর একটা বই ‘আ পোয়েট অ্যাপার্ট’। এবং আপনাদের বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটা বই ‘একজন কমলালেবু’, যেটা জয়া আহসান আমাকে এনে দিয়েছিল; ইন্ডিয়াতে পাওয়া যায় না। এই দুটো বই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল চিত্রনাট্য করতে গিয়ে। তা ছাড়া এখানকার এমিনেন্ট জীবনীকার ভূমেন্দ্র গুহর একটা বই আছে জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা, ‘আলেখ্য: জীবনানন্দ’ নামে। এবং আরও বেশ কয়েকটি বই আমাকে প্রচণ্ড সাহায্য করেছে ‘ঝরা পালক’ সিনেমার চিত্রনাট্য করতে গিয়ে।
‘ঝরা পালক’-এ জীবনানন্দকে কতখানি ধরেছেন? আমি দেখলাম রাহুল করেছেন তাঁর যুবকবেলার চরিত্রটা। পরিণত বয়সে ব্রাত্য বসু। তার মানে যৌবন থেকে শুরু করে কবির পুরো জীবনটাই থাকছে সিনেমায়?
সায়ন্তন: জীবনানন্দের জীবন এবং তাঁর শিল্পজীবন; এই দুটোই ক্রমাগত মার্জ করতে করতে গেছে পুরো ছবিতে। এবং এই ছবিটা এ কারণে প্লেইন ন্যারেটিভ নয়। একটা রিল টাইম, একটা রিয়েল টাইম এবং তার সঙ্গে রিসেন্ট টাইম; তিনটে সময়ের সংযোগ ঘটেছে চিত্রনাট্যে। ছবিটা দেখলে সেটা বোঝা যাবে। আসলে একজন ফিল্মমেকারের কাছে এ ধরনের একটা ছবি বানিয়ে সেটা নিয়ে বলা খুবই ডিফিকাল্ট।
‘ঝরা পালক’-এর শুটিং কোথায়, কীভাবে হয়েছে? সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলেন…
সায়ন্তন: শুটিং আমরা অলমোস্ট (পুরোটাই) কলকাতায় করেছি। কিছুটা শুটিং করেছি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, তেহট্ট থেকে অনেক দূরে গিয়ে। সেখানে জীবনানন্দের রূপসী বাংলার যে চিত্রকল্প, সেগুলো পেয়েছি। বরিশাল যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই সময় যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরিশালের যে অভাব, সেটা খানিকটা বর্ডারের কাছাকাছি গিয়ে ধানসিঁড়ি নদীর বদলে জলঙ্গী নদীকে আমরা ব্যবহার করেছি। জলঙ্গী নদীও জীবনানন্দের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে। সেটা আমরা ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করেছি। সো দ্যাট ওয়াজ ভেরি উইয়ার্ড এক্সপেরিয়েন্স।
জলঙ্গী নদীতে শুট করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার, সিনেমাটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী ও এডিটর প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের কনফিউশন হচ্ছিল, বোধ হয় আমরা ধানসিঁড়িতে আছি। আমরা তিনজনে মিলে গেছিলাম শুটিংয়ে। আমার মনে হয় কোনো এডিটর (এর আগে) শুটিংয়ে গেছে কিনা! এটা যদি কাইন্ডলি লিখেন খুব ভালো হয়। কারণ, প্রদীপ্ত নিজেও একজন ফিল্মমেকার। সে এতটাই ইনভলভ ছিল পুরো ছবিতে! ধানসিঁড়ির খোঁজে আমরা গেছিলাম, সত্যিই আমরা জলঙ্গী নদীটিকে ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করতে পারি কি না! আমাদের ভেতরে সেই প্যাশনটা আছে কি না! সেটা ছবিটা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন আমরা তার সঙ্গে জাস্টিস করতে পেরেছি কি না।
কলকাতা ফেস্টে তো দেখানো হলো ছবিটা এ বছর…
সায়ন্তন: কলকাতা ফেস্টে দেখানো হয়েছে। দেখে অনেকেই খুব প্রশংসা করেছেন। কবি জয় গোস্বামী ছবিটাকে বাংলা চলচ্চিত্রে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটা ‘এমিনেন্ট পিস অব ওয়ার্ক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ছবিটা উনি দুবার দেখেছেন। এ ছাড়া আরও অনেক গুণীজন—সুমন মুখোপাধ্যায়, পরিচালক, যিনি জয়া আহসানকে নিয়ে ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ বলে আরেকটা ছবি করেছেন। তিনি ছবিটা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে ছবিটা দেখানো হয়েছিল। তিনিও ছবিটা দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পরে আমরা ছবিটা নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী। ‘ঝরা পালক’ বাংলাদেশেও রিলিজ করার প্ল্যান করছি আমরা।
কবির স্ত্রী লাবণ্য চরিত্রে জয়া আহসানকে কাস্ট করার কারণ কী?
সায়ন্তন: প্রথম যখন লাবণ্য চরিত্রের ভিজুয়ালাইজেশন শুরু করি, তখন জয়া ছাড়া ইনফ্যাক্ট আর কারও মুখই আমার সামনে আসেনি। এই রকম পানপাতা একটা অদ্ভুত বাঙালি মুখ, যেটা একই সঙ্গে বনলতা সেন, সুরঞ্জনা এবং লাবণ্য। লাবণ্যর সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের যে কেমিস্ট্রি ছিল। লাবণ্য অসামান্য বিদুষী এবং সুন্দরী নারী ছিলেন। জীবনানন্দ সারা জীবন বলে গেছেন, তাঁর তুলনায় জীবনানন্দ নিজে তাঁর কাছে খুব অযোগ্য। জীবনানন্দকে ক্রিয়েটিভ সাপোর্ট এবং ফ্যামিলিগতভাবে… এসব নিয়ে অনেক ধরনের গুজব আছে যে, উনাকে অত্যাচার করা হয়েছিল। লাবণ্য উনাকে নিজের ঘরে অবধি ঢুকতে দিতেন না। ‘মাল্যবান’ উপন্যাসে এসব এসেছে। যে জন্য লাবণ্য তাঁর জীবদ্দশায় এই বইটি প্রকাশ করতে খুব দ্বিধাবোধ করেছিলেন।
তো সে ক্ষেত্রে লাবণ্য চরিত্রের যে ব্যক্তিত্ব, যে সৌন্দর্য এবং তাঁর যে বিদূষীয়ানা—এই তিনটির সংমিশ্রণ জয়া আহসান ছাড়া আর কারও কথা আমার মাথায় আসেনি পরিচালক হিসেবে। আরও একটা প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি। বাংলাদেশের মাটির যে গন্ধ, সেটা জয়া আহসানের পারফরমেন্সের মধ্য দিয়েই ছবিতে ফুটে উঠেছে। সেটা একটা অমূল্য প্রাপ্তি একজন পরিচালক হিসেবে আমার কাছে। এবং দর্শকের কাছেও সেটা অবশ্যই একটা প্রাপ্তি হবে বলে আশা করছি।
সে কারণে লাবণ্য এবং জয়া আহসান এখানে একাকার হয়ে গেছেন।
জয়া আহসান নিজে এ চরিত্রটা করতে করতে মাঝেমধ্যেই ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বাইরে লাবণ্য হয়ে উঠতেন। সেটা আমরা দেখেছি। এবং তাঁর যে ইনভলভমেন্ট, যেটা আমি আগেও বললাম, শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, আমাকে বেশ কিছু বই দিয়ে উনি সাহায্য করেছেন। চিত্রনাট্যে উনি অনেক ইনপুট দিয়েছেন একজন নারী হিসেবে নারীর পারস্পেকটিভ।
আমরা প্র্যাকটিক্যালি চেয়েছিলাম, মাল্যবানের একটা অ্যান্টিথিসিস বানাতে। মাল্যবানই তো এই ছবির মূল টেক্সট। কারণ, এটি কবির লেখা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস, যেখানে জীবন এবং শিল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেখানে মাল্যবানের অ্যান্টিথিসিস তৈরি করার জন্য লাবণ্যরূপী জয়া আহসান বা জয়া আহসানরূপী লাবণ্য এই ছবিতে একটা মূল্যবান সম্পদ হয়ে আছে।
দেখুন ‘ঝরা পালক’ সিনেমার ট্রেলার:

বায়োপিক বানানোর জন্য অনেকেই তো ছিলেন, যাঁরা তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয় এবং যাঁদের জীবনের গল্প আরও ড্রামাটিক। জীবনানন্দ দাশকে বেছে নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে?
সায়ন্তন: আমরা যাঁরা বাংলা সাহিত্যের ছাত্র, তাঁদের কাছে জীবনানন্দ তো একজন বাঙালি হিসেবে খুবই এমিনেন্ট ফ্যাক্টর। তাঁকে নিয়ে চিন্তাভাবনাটা ছোটবেলা থেকেই ছিল। কিন্তু ছবি করব, সেটা যখন আমি ম্যাচিউরড হই, তারপর সেই ভাবনাচিন্তাটা গ্রো করে। সিনেমার জগতে যখন ঢুকি, তখন থেকেই এটা আমাকে হন্ট করত। যদি সত্যিই কবির একটা বায়োপিক বানানো যায়! এবং সেটা শুধুমাত্র কবি কখন জন্মেছিলেন, জন্মে এই করেছিলেন, সেই করেছিলেন, লিখেছিলেন, তাঁর এই এই সমস্যা ঘটেছিল… হ্যানাত্যানা না।
আপনি আরও ব্যাপকভাবে কবিকে ধরতে চেয়েছিলেন চিত্রনাট্যে, সেটা ‘ঝরা পালক’-এর ট্রেলার দেখে বোঝা গেছে। জীবনানন্দকে পর্দায় আনতে গিয়ে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ ফেস করতে হয়েছে?
সায়ন্তন: একজন কবির বায়োপিক বানাতে যাওয়ার সবচেয়ে বড় যেটা অবস্ট্রাকল বা সবচেয়ে বড় যে জটিলতা, সেটা হচ্ছে—কবির বায়োপিক তো তাঁর কবিতাও। মানে তাঁর শিল্পজীবন এবং তাঁর যে রিয়েল টাইমলাইন—এই দুটোই তো ইমপর্ট্যান্ট।
একটা গ্যাংস্টারের জীবনী বানাতে গেলে… তিনি কখন জন্মেছিলেন, কার সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল, কাকে কাকে মেরেছিলেন—এসব বললেই হয়ে যায়। কিন্তু একজন কবির জীবনে সেই অর্থে কোনো ড্রামা থাকে না। হ্যাঁ, জীবনানন্দের জীবনে এনাফ ড্রামা ছিল, তাঁর বৈবাহিক জীবন ঘিরে এবং তাঁর প্রেমজীবন ঘিরে। তো যেটা গল্প সেটা হচ্ছে, এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল যে, কবির জীবনী এবং কবির এন্টায়ার শিল্পকর্ম—এই দুটোকে কী করে মার্জ করা যায়! কবিতাও তো তাঁর জীবন। সৃষ্টি তাঁর জীবনের চেয়েও বড়; বিশেষ করে জীবনানন্দের মতো একজন শিল্পীর কাছে।
তো এই দুটোকে মার্জ করাটা, আমাদের সিনেমার ল্যাঙ্গুয়েজে, চিত্রনাট্যে এবং এক্সিকিউশনে কীভাবে সেই ভাষাটা খুঁজে পাওয়া যাবে, সেটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
জীবনানন্দের ‘মাল্যবান’ আপনার সিনেমার মূল সূত্র। এ ছাড়া আর কোনো রিসোর্সের সাহায্য নিয়েছেন চিত্রনাট্য করতে গিয়ে?
সায়ন্তন: জীবনানন্দ দাশকে নিয়ে অনেক বই রয়েছে। দুটো ইমপর্ট্যান্ট বই, যেটা তাঁর লিটারারি বায়োপিক। (একটি) ক্লিনটন বি সিলি বলে একজন লেখক লিখেছেন। তিনিও কবি ছিলেন; দীর্ঘদিন বরিশালে ছিলেন। বাংলা ভাষাটা প্রায় বাঙালির মতোই রপ্ত করছিলেন ক্লিনটন। তাঁর একটা বই ‘আ পোয়েট অ্যাপার্ট’। এবং আপনাদের বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত একটা বই ‘একজন কমলালেবু’, যেটা জয়া আহসান আমাকে এনে দিয়েছিল; ইন্ডিয়াতে পাওয়া যায় না। এই দুটো বই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল চিত্রনাট্য করতে গিয়ে। তা ছাড়া এখানকার এমিনেন্ট জীবনীকার ভূমেন্দ্র গুহর একটা বই আছে জীবনানন্দকে নিয়ে লেখা, ‘আলেখ্য: জীবনানন্দ’ নামে। এবং আরও বেশ কয়েকটি বই আমাকে প্রচণ্ড সাহায্য করেছে ‘ঝরা পালক’ সিনেমার চিত্রনাট্য করতে গিয়ে।
‘ঝরা পালক’-এ জীবনানন্দকে কতখানি ধরেছেন? আমি দেখলাম রাহুল করেছেন তাঁর যুবকবেলার চরিত্রটা। পরিণত বয়সে ব্রাত্য বসু। তার মানে যৌবন থেকে শুরু করে কবির পুরো জীবনটাই থাকছে সিনেমায়?
সায়ন্তন: জীবনানন্দের জীবন এবং তাঁর শিল্পজীবন; এই দুটোই ক্রমাগত মার্জ করতে করতে গেছে পুরো ছবিতে। এবং এই ছবিটা এ কারণে প্লেইন ন্যারেটিভ নয়। একটা রিল টাইম, একটা রিয়েল টাইম এবং তার সঙ্গে রিসেন্ট টাইম; তিনটে সময়ের সংযোগ ঘটেছে চিত্রনাট্যে। ছবিটা দেখলে সেটা বোঝা যাবে। আসলে একজন ফিল্মমেকারের কাছে এ ধরনের একটা ছবি বানিয়ে সেটা নিয়ে বলা খুবই ডিফিকাল্ট।
‘ঝরা পালক’-এর শুটিং কোথায়, কীভাবে হয়েছে? সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলেন…
সায়ন্তন: শুটিং আমরা অলমোস্ট (পুরোটাই) কলকাতায় করেছি। কিছুটা শুটিং করেছি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে, তেহট্ট থেকে অনেক দূরে গিয়ে। সেখানে জীবনানন্দের রূপসী বাংলার যে চিত্রকল্প, সেগুলো পেয়েছি। বরিশাল যাওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে সেই সময় যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি। বরিশালের যে অভাব, সেটা খানিকটা বর্ডারের কাছাকাছি গিয়ে ধানসিঁড়ি নদীর বদলে জলঙ্গী নদীকে আমরা ব্যবহার করেছি। জলঙ্গী নদীও জীবনানন্দের কবিতায় ঘুরেফিরে এসেছে। সেটা আমরা ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করেছি। সো দ্যাট ওয়াজ ভেরি উইয়ার্ড এক্সপেরিয়েন্স।
জলঙ্গী নদীতে শুট করতে গিয়ে মাঝেমধ্যেই আমার, সিনেমাটোগ্রাফার অভিজিৎ নন্দী ও এডিটর প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের কনফিউশন হচ্ছিল, বোধ হয় আমরা ধানসিঁড়িতে আছি। আমরা তিনজনে মিলে গেছিলাম শুটিংয়ে। আমার মনে হয় কোনো এডিটর (এর আগে) শুটিংয়ে গেছে কিনা! এটা যদি কাইন্ডলি লিখেন খুব ভালো হয়। কারণ, প্রদীপ্ত নিজেও একজন ফিল্মমেকার। সে এতটাই ইনভলভ ছিল পুরো ছবিতে! ধানসিঁড়ির খোঁজে আমরা গেছিলাম, সত্যিই আমরা জলঙ্গী নদীটিকে ধানসিঁড়ি হিসেবে ট্রিট করতে পারি কি না! আমাদের ভেতরে সেই প্যাশনটা আছে কি না! সেটা ছবিটা দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন আমরা তার সঙ্গে জাস্টিস করতে পেরেছি কি না।
কলকাতা ফেস্টে তো দেখানো হলো ছবিটা এ বছর…
সায়ন্তন: কলকাতা ফেস্টে দেখানো হয়েছে। দেখে অনেকেই খুব প্রশংসা করেছেন। কবি জয় গোস্বামী ছবিটাকে বাংলা চলচ্চিত্রে এবং ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটা ‘এমিনেন্ট পিস অব ওয়ার্ক’ বলে বর্ণনা করেছেন। ছবিটা উনি দুবার দেখেছেন। এ ছাড়া আরও অনেক গুণীজন—সুমন মুখোপাধ্যায়, পরিচালক, যিনি জয়া আহসানকে নিয়ে ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ বলে আরেকটা ছবি করেছেন। তিনি ছবিটা দেখে খুবই উচ্ছ্বসিত। পরিচালক বুদ্ধদেব দাশগুপ্তকে ছবিটা দেখানো হয়েছিল। তিনিও ছবিটা দেখে খুবই প্রশংসা করেছিলেন। কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের পরে আমরা ছবিটা নিয়ে আরও বেশি আশাবাদী। ‘ঝরা পালক’ বাংলাদেশেও রিলিজ করার প্ল্যান করছি আমরা।
কবির স্ত্রী লাবণ্য চরিত্রে জয়া আহসানকে কাস্ট করার কারণ কী?
সায়ন্তন: প্রথম যখন লাবণ্য চরিত্রের ভিজুয়ালাইজেশন শুরু করি, তখন জয়া ছাড়া ইনফ্যাক্ট আর কারও মুখই আমার সামনে আসেনি। এই রকম পানপাতা একটা অদ্ভুত বাঙালি মুখ, যেটা একই সঙ্গে বনলতা সেন, সুরঞ্জনা এবং লাবণ্য। লাবণ্যর সঙ্গে জীবনানন্দ দাশের যে কেমিস্ট্রি ছিল। লাবণ্য অসামান্য বিদুষী এবং সুন্দরী নারী ছিলেন। জীবনানন্দ সারা জীবন বলে গেছেন, তাঁর তুলনায় জীবনানন্দ নিজে তাঁর কাছে খুব অযোগ্য। জীবনানন্দকে ক্রিয়েটিভ সাপোর্ট এবং ফ্যামিলিগতভাবে… এসব নিয়ে অনেক ধরনের গুজব আছে যে, উনাকে অত্যাচার করা হয়েছিল। লাবণ্য উনাকে নিজের ঘরে অবধি ঢুকতে দিতেন না। ‘মাল্যবান’ উপন্যাসে এসব এসেছে। যে জন্য লাবণ্য তাঁর জীবদ্দশায় এই বইটি প্রকাশ করতে খুব দ্বিধাবোধ করেছিলেন।
তো সে ক্ষেত্রে লাবণ্য চরিত্রের যে ব্যক্তিত্ব, যে সৌন্দর্য এবং তাঁর যে বিদূষীয়ানা—এই তিনটির সংমিশ্রণ জয়া আহসান ছাড়া আর কারও কথা আমার মাথায় আসেনি পরিচালক হিসেবে। আরও একটা প্রধান কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের মাটি। বাংলাদেশের মাটির যে গন্ধ, সেটা জয়া আহসানের পারফরমেন্সের মধ্য দিয়েই ছবিতে ফুটে উঠেছে। সেটা একটা অমূল্য প্রাপ্তি একজন পরিচালক হিসেবে আমার কাছে। এবং দর্শকের কাছেও সেটা অবশ্যই একটা প্রাপ্তি হবে বলে আশা করছি।
সে কারণে লাবণ্য এবং জয়া আহসান এখানে একাকার হয়ে গেছেন।
জয়া আহসান নিজে এ চরিত্রটা করতে করতে মাঝেমধ্যেই ক্যামেরা এবং ক্যামেরার বাইরে লাবণ্য হয়ে উঠতেন। সেটা আমরা দেখেছি। এবং তাঁর যে ইনভলভমেন্ট, যেটা আমি আগেও বললাম, শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, আমাকে বেশ কিছু বই দিয়ে উনি সাহায্য করেছেন। চিত্রনাট্যে উনি অনেক ইনপুট দিয়েছেন একজন নারী হিসেবে নারীর পারস্পেকটিভ।
আমরা প্র্যাকটিক্যালি চেয়েছিলাম, মাল্যবানের একটা অ্যান্টিথিসিস বানাতে। মাল্যবানই তো এই ছবির মূল টেক্সট। কারণ, এটি কবির লেখা আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস, যেখানে জীবন এবং শিল্প মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। সেখানে মাল্যবানের অ্যান্টিথিসিস তৈরি করার জন্য লাবণ্যরূপী জয়া আহসান বা জয়া আহসানরূপী লাবণ্য এই ছবিতে একটা মূল্যবান সম্পদ হয়ে আছে।
দেখুন ‘ঝরা পালক’ সিনেমার ট্রেলার:

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই।
১২ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
১২ ঘণ্টা আগে
নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে।
১২ ঘণ্টা আগে
১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই। তাঁর এবারের গানের শিরোনাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’।
এই সময়ের অস্থিরতা ও হতাশা ফুটে উঠেছে পান্থর নতুন এই গানে। মানুষ যেন তাদের বিবেককে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, সে প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে গানের কথায়। ফারুক আনোয়ারের লেখা গানটিতে সুর দিয়েছেন কামাল আহমেদ, সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ। গানের ভিডিও বানিয়েছেন সম্রাট আহমেদ। জানা গেছে, এফ এ মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে শিগগির প্রকাশ পাবে গানটি।
আবার তোরা মানুষ হ গানটি নিয়ে গীতিকার ফারুক আনোয়ার বলেন, ‘সময়টা অস্বস্তিকর। চারপাশে এত শব্দ, অথচ সত্যি কথাগুলো যেন আরও একা হয়ে পড়ছে। ভাঙচুর শুধু রাস্তায় নয়, মানুষের ভেতরেও চলছে। এই গান কাউকে দোষারোপ করতে নয়, নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করাতে। সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর মধ্যে কোনো সফলতা নেই। বরং ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মঙ্গলে পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় বহন করে।’
আবার তোরা মানুষ হ ছাড়াও পান্থ কানাইয়ের আরও কিছু নতুন গান রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে ৩০টির বেশি গান আছে, সব আমার নিজের সুর ও সংগীতে। সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, কোন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করব। তবে তিনটি গানের রেকর্ডিং আর ভিডিওর শুটিং পুরোপুরি শেষ।’ গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর বিটিভিতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র যে নতুন পর্বটি প্রচারিত হবে, তাতেও রয়েছে পান্থ কানাইয়ের গান। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ওই গানে তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি।
ছোটদের মধ্যে সংগীতকে ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সালে পান্থ কানাই শুরু করেছিলেন সংগীত শেখানোর স্কুল ‘ড্রামবাজ’। তবে করোনার সময় থেমে যায় এ উদ্যোগ। এখন আবার প্রতিষ্ঠানটি শুরুর স্বপ্ন দেখছেন পান্থ কানাই। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নটা এখনো মরেনি। মনমতো জায়গা পেলে আবার শুরু করব। আবার ড্রামস, গিটার, গান শেখানো হবে।’

দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই। তাঁর এবারের গানের শিরোনাম ‘আবার তোরা মানুষ হ’।
এই সময়ের অস্থিরতা ও হতাশা ফুটে উঠেছে পান্থর নতুন এই গানে। মানুষ যেন তাদের বিবেককে কাজে লাগিয়ে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে, সে প্রত্যাশা ফুটে উঠেছে গানের কথায়। ফারুক আনোয়ারের লেখা গানটিতে সুর দিয়েছেন কামাল আহমেদ, সংগীতায়োজন করেছেন জাহিদ বাশার পংকজ। গানের ভিডিও বানিয়েছেন সম্রাট আহমেদ। জানা গেছে, এফ এ মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে শিগগির প্রকাশ পাবে গানটি।
আবার তোরা মানুষ হ গানটি নিয়ে গীতিকার ফারুক আনোয়ার বলেন, ‘সময়টা অস্বস্তিকর। চারপাশে এত শব্দ, অথচ সত্যি কথাগুলো যেন আরও একা হয়ে পড়ছে। ভাঙচুর শুধু রাস্তায় নয়, মানুষের ভেতরেও চলছে। এই গান কাউকে দোষারোপ করতে নয়, নিজেদের আয়নার সামনে দাঁড় করাতে। সমাজে বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর মধ্যে কোনো সফলতা নেই। বরং ভেদাভেদ ভুলে মানুষের মঙ্গলে পাশে দাঁড়ানোটাই মানুষ হিসেবে আমাদের পরিচয় বহন করে।’
আবার তোরা মানুষ হ ছাড়াও পান্থ কানাইয়ের আরও কিছু নতুন গান রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়। তিনি বলেন, ‘আমার কম্পিউটারে ৩০টির বেশি গান আছে, সব আমার নিজের সুর ও সংগীতে। সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি, কোন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশ করব। তবে তিনটি গানের রেকর্ডিং আর ভিডিওর শুটিং পুরোপুরি শেষ।’ গানগুলো পর্যায়ক্রমে প্রকাশ পাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ছাড়া ২৬ ডিসেম্বর বিটিভিতে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র যে নতুন পর্বটি প্রচারিত হবে, তাতেও রয়েছে পান্থ কানাইয়ের গান। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের লেখা ওই গানে তাঁর সহশিল্পী হিসেবে আছেন লোকসংগীতশিল্পী বিউটি।
ছোটদের মধ্যে সংগীতকে ছড়িয়ে দিতে ২০১৮ সালে পান্থ কানাই শুরু করেছিলেন সংগীত শেখানোর স্কুল ‘ড্রামবাজ’। তবে করোনার সময় থেমে যায় এ উদ্যোগ। এখন আবার প্রতিষ্ঠানটি শুরুর স্বপ্ন দেখছেন পান্থ কানাই। তিনি বলেন, ‘স্বপ্নটা এখনো মরেনি। মনমতো জায়গা পেলে আবার শুরু করব। আবার ড্রামস, গিটার, গান শেখানো হবে।’

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
১২ ঘণ্টা আগে
নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে।
১২ ঘণ্টা আগে
১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। টানা তিন দিনের শুটিং শেষে এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। নতুন বছর উপলক্ষে নাটকটি প্রকাশ করা হবে রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে।
লাইফ ইজ বিউটিফুল নিয়ে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘কমেডি আর থ্রিলার গল্পের ভিড়ে দর্শক এখন পারিবারিক গল্পের নাটকে স্বস্তি খোঁজেন। প্রযোজক আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নতুন করে ঝুঁকছে পারিবারিক সম্পর্কের গল্পে। ২৪ বছর ধরে আমি সম্পর্ক, ভালোবাসা আর জীবনের নানা টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক, টেলিফিল্ম বানিয়েছি। সে কারণেই প্রযোজক জামাল ভাই আমাকে নব্বইয়ের দশকের আবেগ নিয়ে একটি নাটক নির্মাণের জন্য বললেন। গল্পটা তিনি খুব পছন্দ করেছেন। শান্তনু ভালো লেখে। আমি কী চাই তা ভালো বোঝে সে। চমৎকার একটি চিত্রনাট্য লিখেছে সে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই বেছে নিয়েছি আবুল হায়াত আর ডলি জহুরের মতো গুণী দুই শিল্পীকে। দারুণ একটি নাটক হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, দর্শকের মন জয় করতে পারব।’
অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে চয়নিকা সব সময়ই ভীষণ সচেতন, বিচক্ষণ। তাঁর নাটকে গল্পই হচ্ছে প্রাণ। আর যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে নিজের মতো করে অভিনয়টা করার সুযোগ পান। লাইফ ইজ বিউটিফুল নাটকটি নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেক দিন পর ডলির সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগল।’
ডলি জহুর বলেন, ‘হায়াত ভাই বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে বহু নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছি। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ চয়নকে এত সুন্দর একটি গল্প নির্বাচনের জন্য। নাটকটি প্রচারে এলে আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।’

অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’। নাটকটি রচনা করেছেন শফিকুর রহমান শান্তনু। পরিচালনায় চয়নিকা চৌধুরী। টানা তিন দিনের শুটিং শেষে এখন চলছে সম্পাদনার কাজ। নতুন বছর উপলক্ষে নাটকটি প্রকাশ করা হবে রঙ্গন মিউজিকের ইউটিউব চ্যানেলে।
লাইফ ইজ বিউটিফুল নিয়ে নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী বলেন, ‘কমেডি আর থ্রিলার গল্পের ভিড়ে দর্শক এখন পারিবারিক গল্পের নাটকে স্বস্তি খোঁজেন। প্রযোজক আর চ্যানেল কর্তৃপক্ষও নতুন করে ঝুঁকছে পারিবারিক সম্পর্কের গল্পে। ২৪ বছর ধরে আমি সম্পর্ক, ভালোবাসা আর জীবনের নানা টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক, টেলিফিল্ম বানিয়েছি। সে কারণেই প্রযোজক জামাল ভাই আমাকে নব্বইয়ের দশকের আবেগ নিয়ে একটি নাটক নির্মাণের জন্য বললেন। গল্পটা তিনি খুব পছন্দ করেছেন। শান্তনু ভালো লেখে। আমি কী চাই তা ভালো বোঝে সে। চমৎকার একটি চিত্রনাট্য লিখেছে সে। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনেই বেছে নিয়েছি আবুল হায়াত আর ডলি জহুরের মতো গুণী দুই শিল্পীকে। দারুণ একটি নাটক হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, দর্শকের মন জয় করতে পারব।’
অভিনেতা আবুল হায়াত বলেন, ‘নির্মাতা হিসেবে চয়নিকা সব সময়ই ভীষণ সচেতন, বিচক্ষণ। তাঁর নাটকে গল্পই হচ্ছে প্রাণ। আর যাঁরা কাজ করেন তাঁরা সবাই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে নিজের মতো করে অভিনয়টা করার সুযোগ পান। লাইফ ইজ বিউটিফুল নাটকটি নিয়ে আমি আশাবাদী। অনেক দিন পর ডলির সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগল।’
ডলি জহুর বলেন, ‘হায়াত ভাই বাংলাদেশের একজন কিংবদন্তি অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে বহু নাটক-সিনেমায় অভিনয় করেছি। অনেক স্মৃতি তাঁর সঙ্গে। হায়াত ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করলে গল্পের ফাঁকে ফাঁকে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ হয়ে যায়। ধন্যবাদ চয়নকে এত সুন্দর একটি গল্প নির্বাচনের জন্য। নাটকটি প্রচারে এলে আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।’

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই।
১২ ঘণ্টা আগে
নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে।
১২ ঘণ্টা আগে
১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে। বড়দিনের ছুটিতে রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকের দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বটতলা নাট্যদল।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে রাইজ অ্যান্ড শাইন। ইতালীয় নাট্যকার যুগল দারিও ফো ও ফ্র্যাঙ্কা রামের লেখা নাটকটি ইংরেজি থেকে রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম, নির্দেশনা দিয়েছেন ম. সাঈদ।
বটতলা নাট্যদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাইজ অ্যান্ড শাইন মূলত একজন শ্রমজীবী নারীর দৈনন্দিন জীবনসংগ্রামের মোড়কে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের গল্প। ক্ষমতাচর্চার বিবিধ সমীকরণে পিষ্ট মানুষ কীভাবে বাঁচে, তারই শিল্পিত উপস্থাপন এই নাটক। মঞ্চে একজন মরিয়মের মা প্রতিনিধিত্ব করেন দীপু চন্দ্র দাসের মতো যেকোনো শ্রমজীবী, প্রান্তিক, ভাগ্যাহত মানুষের।
নির্দেশক বলেন, ‘এটি আমাদের সবার গল্প। প্রায় সব নারীর, সব মায়ের, সব কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীবনাচার, তার রোজনামচা, সংসারের যন্ত্রণা চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন।’
এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা, তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, হাফিজা আক্তার ঝুমা, শাহ নেওয়াজ ইফতিসহ অনেকে।

নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে। বড়দিনের ছুটিতে রাইজ অ্যান্ড শাইন নাটকের দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বটতলা নাট্যদল।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে ২৪ ও ২৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে রাইজ অ্যান্ড শাইন। ইতালীয় নাট্যকার যুগল দারিও ফো ও ফ্র্যাঙ্কা রামের লেখা নাটকটি ইংরেজি থেকে রূপান্তর করেছেন অধ্যাপক আবদুস সেলিম, নির্দেশনা দিয়েছেন ম. সাঈদ।
বটতলা নাট্যদলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাইজ অ্যান্ড শাইন মূলত একজন শ্রমজীবী নারীর দৈনন্দিন জীবনসংগ্রামের মোড়কে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের গল্প। ক্ষমতাচর্চার বিবিধ সমীকরণে পিষ্ট মানুষ কীভাবে বাঁচে, তারই শিল্পিত উপস্থাপন এই নাটক। মঞ্চে একজন মরিয়মের মা প্রতিনিধিত্ব করেন দীপু চন্দ্র দাসের মতো যেকোনো শ্রমজীবী, প্রান্তিক, ভাগ্যাহত মানুষের।
নির্দেশক বলেন, ‘এটি আমাদের সবার গল্প। প্রায় সব নারীর, সব মায়ের, সব কর্মজীবী নারীর গাথা। মঞ্চে হয়তো শুধুই একজন অভিনেত্রীকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি আপনার চেনা যেকোনো নারীর সঙ্গে মিলিয়ে নিতে পারবেন তার জীবন। এক নারীর সকাল থেকে শুরু হওয়া জীবনাচার, তার রোজনামচা, সংসারের যন্ত্রণা চুপচাপ সয়ে যাওয়া জীবন, মাল্টিন্যাশনাল ক্রেতার জন্য তৈরি পোশাকের কারখানায় ওভারটাইম, স্বামীর বদমেজাজ এবং একদিন সব ছেড়ে জ্বলে ওঠার চেষ্টার নাম রাইজ অ্যান্ড শাইন।’
এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন কাজী রোকসানা রুমা, তৌফিক হাসান ভুঁইয়া, হাফিজা আক্তার ঝুমা, শাহ নেওয়াজ ইফতিসহ অনেকে।

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই।
১২ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
১২ ঘণ্টা আগে
১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
১২ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জিয়ার লেখা আরও এক গান ‘এই হাদি একা নয়, হাদি কোটি লক্ষ’। ১৮ ডিসেম্বর মারা গেছেন হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতি ও বিপ্লবী চেতনাকে সংগীতে ধারণ করে এবার নতুন গান লিখেছেন জিয়া হক। মুনাইম বিল্লাহর কণ্ঠে গতকাল ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘কোটি হাদির ডাক’ শিরোনামের গানটি। সুর করেছেন আবু উবায়দা।
নতুন গানটি প্রসঙ্গে মুনাইম বিল্লাহ বলেন, ‘কোটি হাদির ডাক শুধু একটি গান নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি বিপ্লবের প্রতিধ্বনি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের যে চেতনা, যে সাহস, এই গান তারই স্বীকৃতি। এই গান শুধু বিপ্লবী মানুষের নয়, সাধারণ মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলবে এবং হাদি ভাইকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।’
অন্যদিকে ব্যান্ড বাংলাদেশ রেবেলস তাদের দুটি গান উৎসর্গ করেছে শরিফ ওসমান হাদিকে। গান দুটি হলো ‘এ কোন লাশ যায় না চেনা’ ও ‘আমি হুংকার দিয়ে আসব’। এখন থেকে প্রতিটি শোতে তারা হাদির স্মরণে গান দুটি গাইবে বলে জানিয়েছে। ব্যান্ডের ভোকাল মালিহা তাবাসসুম খেয়া বলেন, ‘হাদি ছিলেন নিখুঁত দেশপ্রেমিক। আমাদের গান তিনি খুব পছন্দ করতেন। ঢাকায় আমাদের শো মানেই হাদি ভাই উপস্থিত! এই দুটি গান তিনি সব সময় গাইবার জন্য বলতেন। তাই গান দুটি তাঁকে উৎসর্গ করলাম। এখন থেকে আমাদের ব্যান্ড প্রতিটি শোতে গান দুটি পরিবেশন করবে এবং হাদি ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

১৪ ডিসেম্বর জিয়া হক লিখেছিলেন ‘হাদি তুই ফিরে আয়’ শিরোনামের গান। আবু উবায়দার সুর ও কণ্ঠের গানটি জনপ্রিয় হয়েছে। যখন গানটি প্রকাশিত হয়, হাদি তখনো হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। ১৭ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় জিয়ার লেখা আরও এক গান ‘এই হাদি একা নয়, হাদি কোটি লক্ষ’। ১৮ ডিসেম্বর মারা গেছেন হাদি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মৃতি ও বিপ্লবী চেতনাকে সংগীতে ধারণ করে এবার নতুন গান লিখেছেন জিয়া হক। মুনাইম বিল্লাহর কণ্ঠে গতকাল ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে ‘কোটি হাদির ডাক’ শিরোনামের গানটি। সুর করেছেন আবু উবায়দা।
নতুন গানটি প্রসঙ্গে মুনাইম বিল্লাহ বলেন, ‘কোটি হাদির ডাক শুধু একটি গান নয়, এটি একটি ইতিহাস, একটি বিপ্লবের প্রতিধ্বনি। শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ভাইয়ের যে চেতনা, যে সাহস, এই গান তারই স্বীকৃতি। এই গান শুধু বিপ্লবী মানুষের নয়, সাধারণ মানুষের মনেও গভীর প্রভাব ফেলবে এবং হাদি ভাইকে চিরকাল স্মরণীয় করে রাখবে।’
অন্যদিকে ব্যান্ড বাংলাদেশ রেবেলস তাদের দুটি গান উৎসর্গ করেছে শরিফ ওসমান হাদিকে। গান দুটি হলো ‘এ কোন লাশ যায় না চেনা’ ও ‘আমি হুংকার দিয়ে আসব’। এখন থেকে প্রতিটি শোতে তারা হাদির স্মরণে গান দুটি গাইবে বলে জানিয়েছে। ব্যান্ডের ভোকাল মালিহা তাবাসসুম খেয়া বলেন, ‘হাদি ছিলেন নিখুঁত দেশপ্রেমিক। আমাদের গান তিনি খুব পছন্দ করতেন। ঢাকায় আমাদের শো মানেই হাদি ভাই উপস্থিত! এই দুটি গান তিনি সব সময় গাইবার জন্য বলতেন। তাই গান দুটি তাঁকে উৎসর্গ করলাম। এখন থেকে আমাদের ব্যান্ড প্রতিটি শোতে গান দুটি পরিবেশন করবে এবং হাদি ভাইকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।’

নির্মাতা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় তখন ক্লাস সেভেনে। তাঁর জন্মদিনে বাবা নীলকান্ত মুখোপাধ্যায় একটি বই উপহার দেন— জীবনানন্দ দাশের ‘সাতটি তারার তিমির’। সেই থেকে জীবনানন্দে আচ্ছন্ন সায়ন্তন। বানিয়েছেন কবিকে নিয়ে সিনেমা ‘ঝরা পালক’। ২৪ জুন পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পাচ্ছে জীবনানন্দের এই বায়োপিক। কলকাতা থেকে হোয়াটসঅ্যাপ
২০ জুন ২০২২
দুই দশকের বেশি সময় ধরে গান গাইছেন পান্থ কানাই। এখনো সংগীতের সঙ্গেই কাটে তাঁর পুরোটা সময়। সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত নতুন গান প্রকাশ করছেন তিনি। অক্টোবরে প্রকাশিত ‘সেই এক সময় ছিল’ ব্যাপক আলোচিত হওয়ার পর আবারও নতুন গান নিয়ে আসছেন পান্থ কানাই।
১২ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের দুই কিংবদন্তি শিল্পী আবুল হায়াত ও ডলি জহুর। নাটক কিংবা সিনেমায় বহুবার একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা। তাই সহশিল্পী হিসেবে পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভালো তাঁদের। এবার এই শিল্পীদ্বয়কে নিয়ে তৈরি হলো পারিবারিক টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে নাটক ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
১২ ঘণ্টা আগে
নাট্যদল বটতলার অন্যতম আলোচিত নাটক ‘রাইজ অ্যান্ড শাইন’ প্রথম মঞ্চে আসে ২০২২ সালের জুনে। এরপর বিভিন্ন সময়ে দর্শকপ্রিয় এ নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। জীবনযুদ্ধ আর সংসারের খাঁচায় আটক এক নারীর গল্প নিয়ে লেখা নাটকটি আবার আসছে মঞ্চে।
১২ ঘণ্টা আগে