নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নুছরাত ফেরদৌস রিমু (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছত্রিশ ও পিঠাইটিকর গ্রামের মাঝামাঝি বুড়িকেয়ারি বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নুছরাত ফেরদৌস রিমু উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের সেজু মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এর আগেই স্থানীয় জেলেরা জাল দিয়ে খুঁজে রিমুকে উদ্ধার করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার বিকেলে রিমুর বাড়িতে গিয়ে দেখা মিলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। মা আমেনা খাতুন বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। রিমুরা দুই বোন, এক ভাই। রিমু ছিল সবার বড়। পরিবারের সবার সঙ্গে কান্নাকাটি করছে অবুঝ ভাইবোন নুসরাত ফেরদৌস সিমু (৭), আহবাব হাসানও (৩)। বাবা সেজু মিয়া দুবাই প্রবাসী।
রিমুর চাচা কামাল আহমদ অভিযোগ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের মতো যেন আর কারও সন্তান এভাবে না হারায়। এখন আমার ভাইকে কী বলব!’
উদ্ধারকারী স্থানীয় দুই যুবক জানান, ‘নৌকাটা পার থেকে বেশি দূরে ছিল না। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা পানিতে নেমে সাঁতরে তাদের উদ্ধার করতে যাই। ছাত্রীরা পানিতে পড়ে ভয়ে এলোমেলো হয়ে যায়। পিঠের স্কুল ব্যাগের জন্য অনেকেই সাঁতরাতে পারছিল না। আমরা একজন দুজন করে টেনে ও নৌকা দিয়ে তীরে তুলছিলাম। সবশেষে জানলাম একজন নিখোঁজ আছে। আমরা জাল ফেলে নিখোঁজ রিমুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।’
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এমাজুর রহমান রিপন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টায় ওই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯ টায় স্কুলে যাওয়ার জন্য নৌকাযোগে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বুড়িকেয়ারি বিল পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৭-১৮ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও পানিতে তলিয়ে যায় রিমু। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে রিমুর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের জন্য অনুমতি দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।’

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নুছরাত ফেরদৌস রিমু (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছত্রিশ ও পিঠাইটিকর গ্রামের মাঝামাঝি বুড়িকেয়ারি বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নুছরাত ফেরদৌস রিমু উপজেলার ছত্রিশ গ্রামের সেজু মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় ফরিজা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
খবর পেয়ে ফেঞ্চুগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এর আগেই স্থানীয় জেলেরা জাল দিয়ে খুঁজে রিমুকে উদ্ধার করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার বিকেলে রিমুর বাড়িতে গিয়ে দেখা মিলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের। মা আমেনা খাতুন বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। রিমুরা দুই বোন, এক ভাই। রিমু ছিল সবার বড়। পরিবারের সবার সঙ্গে কান্নাকাটি করছে অবুঝ ভাইবোন নুসরাত ফেরদৌস সিমু (৭), আহবাব হাসানও (৩)। বাবা সেজু মিয়া দুবাই প্রবাসী।
রিমুর চাচা কামাল আহমদ অভিযোগ করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের মতো যেন আর কারও সন্তান এভাবে না হারায়। এখন আমার ভাইকে কী বলব!’
উদ্ধারকারী স্থানীয় দুই যুবক জানান, ‘নৌকাটা পার থেকে বেশি দূরে ছিল না। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা পানিতে নেমে সাঁতরে তাদের উদ্ধার করতে যাই। ছাত্রীরা পানিতে পড়ে ভয়ে এলোমেলো হয়ে যায়। পিঠের স্কুল ব্যাগের জন্য অনেকেই সাঁতরাতে পারছিল না। আমরা একজন দুজন করে টেনে ও নৌকা দিয়ে তীরে তুলছিলাম। সবশেষে জানলাম একজন নিখোঁজ আছে। আমরা জাল ফেলে নিখোঁজ রিমুকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।’
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. এমাজুর রহমান রিপন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১১টায় ওই শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯ টায় স্কুলে যাওয়ার জন্য নৌকাযোগে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বুড়িকেয়ারি বিল পাড়ি দেওয়ার সময় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৭-১৮ জনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করলেও পানিতে তলিয়ে যায় রিমু। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের আবেদনের ভিত্তিতে রিমুর মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের জন্য অনুমতি দিয়েছেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।’

ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আজমির হোসেন আকাশ (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগে
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
২ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আজমির হোসেন আকাশ (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৩ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, স্টিলের গেইট ও কাঁচের দরজা ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের আজমির হোসেন আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বাবার নাম আলমগীর হোসেন। তিনি ঢাকার তেজগাঁওয়ের তেজতুরি বাজার এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী দেশি অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠিসোঁটা, দাহ্য পদার্থসহ সজ্জিত হয়ে মিছিল নিয়ে জনরোষ, দাঙ্গা ও অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে বেআইনিভাবে সমবেত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে।
দুষ্কৃতিকারীরা পরস্পরের যোগসাজশে ওইদিন রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে দ্য ডেইলি স্টার ভবনের স্টিলের গেইট ও কাঁচের দরজা ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থানরত কর্মীদের মারধর করার চেষ্টা করে এবং কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিভিন্ন মালামাল লুণ্ঠন করে।
আসামিরা ভবনের সামনের কাচ ভেঙে সোফা, টেবিল ও চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র, সরঞ্জাম ও নথিপত্রে অনিষ্ট করে নিচে ফেলে দেয় এবং সেগুলো একটি জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আসামিরা দ্য ডেইলি স্টার ভবনের বিভিন্ন তলায় রাখা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ক্যামেরা, লেন্স, টিভি, স্ক্যানার, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও ইকুইপমেন্টসসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যার মূল্য অনুমান ৫ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন তলায় থাকা একাধিক লকারে রক্ষিত প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ভবনের বিভিন্ন তলায় অবস্থান করা দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা ও ভবন ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগ করে।
ওই ঘটনায় পরবর্তীতে তেজগাঁও থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ধারা ৬ (১), তৎসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) এবং তৎসহ সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ২৬ (১) ধারায় গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে একটি মামলা দায়ের রুজু হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু করে র্যাব। এরই অংশ হিসেবে গতকাল আজমির হোসেন আকাশকে রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার আকাশের কাছ থেকে ২টি মনিটর,১টি সিপিইউ,১টি হার্ডডিক্স,৩টি ক্যাবল,১টি সুইচ অ্যাডাপটার ও ১টি মাউস উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আজমির হোসেন আকাশ (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-৩ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডেইলি স্টার ভবনে হামলা, স্টিলের গেইট ও কাঁচের দরজা ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের আজমির হোসেন আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর বাবার নাম আলমগীর হোসেন। তিনি ঢাকার তেজগাঁওয়ের তেজতুরি বাজার এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারী দেশি অস্ত্র-শস্ত্র, লাঠিসোঁটা, দাহ্য পদার্থসহ সজ্জিত হয়ে মিছিল নিয়ে জনরোষ, দাঙ্গা ও অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম সৃষ্টির উদ্দেশ্যে দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে বেআইনিভাবে সমবেত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী স্লোগান দিতে থাকে।
দুষ্কৃতিকারীরা পরস্পরের যোগসাজশে ওইদিন রাত আনুমানিক ১২টা ৩৫ মিনিটে দ্য ডেইলি স্টার ভবনের স্টিলের গেইট ও কাঁচের দরজা ভেঙে অনধিকার প্রবেশ করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থানরত কর্মীদের মারধর করার চেষ্টা করে এবং কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিভিন্ন মালামাল লুণ্ঠন করে।
আসামিরা ভবনের সামনের কাচ ভেঙে সোফা, টেবিল ও চেয়ারসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র, সরঞ্জাম ও নথিপত্রে অনিষ্ট করে নিচে ফেলে দেয় এবং সেগুলো একটি জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
আসামিরা দ্য ডেইলি স্টার ভবনের বিভিন্ন তলায় রাখা দুই শতাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ক্যামেরা, লেন্স, টিভি, স্ক্যানার, সার্ভার, প্রিন্টার, স্টুডিও ইকুইপমেন্টসসহ বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, যার মূল্য অনুমান ৫ কোটি টাকা এবং বিভিন্ন তলায় থাকা একাধিক লকারে রক্ষিত প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ৩৫ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। সন্ত্রাসীরা ভবনের বিভিন্ন তলায় অবস্থান করা দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মীদের অগ্নিদগ্ধ করে হত্যা ও ভবন ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে অগ্নিসংযোগ করে।
ওই ঘটনায় পরবর্তীতে তেজগাঁও থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩) এর ধারা ৬ (১), তৎসহ ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) এবং তৎসহ সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ২৬ (১) ধারায় গত ২২ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে একটি মামলা দায়ের রুজু হয়।
সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চিহ্নিত আসামিদের গ্রেপ্তার কার্যক্রম শুরু করে র্যাব। এরই অংশ হিসেবে গতকাল আজমির হোসেন আকাশকে রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তার আকাশের কাছ থেকে ২টি মনিটর,১টি সিপিইউ,১টি হার্ডডিক্স,৩টি ক্যাবল,১টি সুইচ অ্যাডাপটার ও ১টি মাউস উদ্ধার করা হয়।
র্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে প্রথম আলো-ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মোট ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নুছরাত ফেরদৌস রিমু (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছত্রিশ ও পিঠাইটিকর গ্রামের মাঝামাঝি বুড়িকেয়ারি বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ আগস্ট ২০২২
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
২ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৭ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতির নির্বাচনে ১৮টি পদের সব পদেই জয় পেয়েছে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত আনারুল-রিয়াজ-বিদ্যুৎ পরিষদ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে অফিসার সমিতি দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৬-২৭-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। সহসভাপতি পদে মো. রোকনুজ্জামান মামুন ৫১৬ ভোট ও কোষাধ্যক্ষ পদে মো. আল-আমিন বিদ্যুৎ ৫০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপিপন্থী প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্যরা হলেন যুগ্ম সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন উৎপল, দপ্তর সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল মানিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন শামীম, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরমান আলী।
এ ছাড়াও নির্বাচিত সদস্যরা হলেন মো. আলী রেজা, মো. আব্দুল মতিন, মোসা. রোকসানা বেগম টুকটুকি, মো. মাইনুল ইসলাম দুলাল, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোছা. হাবিবা হায়দার লিচু ও মো. নাসির উদ্দীন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতির নির্বাচনে ১৮টি পদের সব পদেই জয় পেয়েছে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত আনারুল-রিয়াজ-বিদ্যুৎ পরিষদ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে অফিসার সমিতি দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৬-২৭-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। সহসভাপতি পদে মো. রোকনুজ্জামান মামুন ৫১৬ ভোট ও কোষাধ্যক্ষ পদে মো. আল-আমিন বিদ্যুৎ ৫০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপিপন্থী প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্যরা হলেন যুগ্ম সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন উৎপল, দপ্তর সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল মানিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন শামীম, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরমান আলী।
এ ছাড়াও নির্বাচিত সদস্যরা হলেন মো. আলী রেজা, মো. আব্দুল মতিন, মোসা. রোকসানা বেগম টুকটুকি, মো. মাইনুল ইসলাম দুলাল, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোছা. হাবিবা হায়দার লিচু ও মো. নাসির উদ্দীন।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নুছরাত ফেরদৌস রিমু (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছত্রিশ ও পিঠাইটিকর গ্রামের মাঝামাঝি বুড়িকেয়ারি বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ আগস্ট ২০২২
ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আজমির হোসেন আকাশ (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৭ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়। ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জেলার সড়ক ও জনপথ। তীব্র শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতেও। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাত্র ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় দিন ও রাত—দুই সময়েই সমানভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে।’
একই এলাকার দিনমজুর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সকালে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। এত ঠান্ডায় শরীর অবশ হয়ে যায়। কাজ না করলে সংসার চলে না, আবার এই শীতে কাজ করাও কঠিন।’
এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর ভিড় বেড়েছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীত শুরুর পর থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পরবর্তী দিনগুলোতে তা আবার কমেছে। আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়। ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জেলার সড়ক ও জনপথ। তীব্র শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতেও। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাত্র ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় দিন ও রাত—দুই সময়েই সমানভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে।’
একই এলাকার দিনমজুর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সকালে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। এত ঠান্ডায় শরীর অবশ হয়ে যায়। কাজ না করলে সংসার চলে না, আবার এই শীতে কাজ করাও কঠিন।’
এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর ভিড় বেড়েছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীত শুরুর পর থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পরবর্তী দিনগুলোতে তা আবার কমেছে। আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নুছরাত ফেরদৌস রিমু (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছত্রিশ ও পিঠাইটিকর গ্রামের মাঝামাঝি বুড়িকেয়ারি বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ আগস্ট ২০২২
ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আজমির হোসেন আকাশ (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগে
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
২ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৭ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে। জেলার ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক এই নদী বর্তমানে পরিণত হয়েছে শহরের এক বিশালাকার ড্রেনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মাথাভাঙ্গা আজ শুধু নামেই নদী। ক্রমাগত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া আর যথাযথ খননের অভাবে নদীটি সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এর বুক চিরে এখন আর জাহাজ চলে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাথাভাঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি চিত্রা, নবগঙ্গা ও ভৈরবের মতো নদ-নদীগুলোর উৎস। ফলে মাথাভাঙ্গা মারা গেলে এই অঞ্চলের পুরো নদী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে। বর্তমানে নদীর পানি এতটাই দূষিত, তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ে তবুও অনেক প্রান্তিক মানুষ এই পানিতেই নিত্যকাজ সারছেন। অন্যদিকে দূষণের কারণে প্রায় হারিয়ে গেছে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ড্রেনের নোংরা পানি শোধন না করে নদীতে ফেলা বন্ধ করা এবং সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত খননকাজ শুরু করাই এখন সময়ের দাবি। চুয়াডাঙ্গাবাসী চান, প্রশাসন যেন শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবেই মাথাভাঙ্গাকে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেয়।
জেলার প্রবীণ বাসিন্দাদের স্মৃতি হাতড়ালে পাওয়া যায় এক টইটম্বুর মাথাভাঙ্গার ছবি। মালোপাড়ার প্রবীণ জামাত আলী বিষণ্ণ মনে বলেন, ‘ছোটবেলায় এই নদীর স্রোত দেখে ভয় পেতাম। বড় বড় জাহাজ চলত এখানে। আজ নদীটার এই হাল দেখে মনটা কষ্টে ফেটে যায়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর এই মরণদশার অন্যতম কারণ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরের প্রায় সব কটি প্রধান ড্রেনের মুখ সরাসরি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নদীর সঙ্গে। দিনরাত পৌরসভার নোংরা পানি, হোটেলের আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং বাজারের পচা বর্জ্য মিশছে নদীর স্বচ্ছ জলে। বিশেষ করে নিচের বাজার এলাকার মাংসপট্টির বর্জ্য এবং ব্রিজসংলগ্ন হোটেলগুলোর উচ্ছিষ্ট সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি কালো হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করলেই নাকে আসে উৎকট দুর্গন্ধ।
স্থানীয় যুবক রিমন আলী বলেন, ‘আগে যেখানে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতাম, আজ সেখানে দুর্গন্ধের চোটে দাঁড়ানোই দায়।’
নদীটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে। বড় বড় এনজিওর ভবনও নদীর সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পৌরসভার দিকে। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর গলার কাঁটা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। তারা নদীটিকে ড্রেন বানিয়ে ছাড়ছে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।
নদীটির এমন শোচনীয় অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদী হওয়ার কারণে বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘নদীদূষণকারীদের কোনো ছাড় নেই। জরিমানা নয়, এখন থেকে সরাসরি জেল হবে। পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নিয়ে আমি এই নদীকে বাঁচাতে চাই।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনগুলো নদীতে গিয়ে পড়েছে। আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে নোটিশ করেছি। তবে এখনো আমরা বিকল্প পাইনি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করব। আপনাদের সঙ্গে বসব।’

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে। জেলার ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক এই নদী বর্তমানে পরিণত হয়েছে শহরের এক বিশালাকার ড্রেনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মাথাভাঙ্গা আজ শুধু নামেই নদী। ক্রমাগত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া আর যথাযথ খননের অভাবে নদীটি সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এর বুক চিরে এখন আর জাহাজ চলে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাথাভাঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি চিত্রা, নবগঙ্গা ও ভৈরবের মতো নদ-নদীগুলোর উৎস। ফলে মাথাভাঙ্গা মারা গেলে এই অঞ্চলের পুরো নদী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে। বর্তমানে নদীর পানি এতটাই দূষিত, তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ে তবুও অনেক প্রান্তিক মানুষ এই পানিতেই নিত্যকাজ সারছেন। অন্যদিকে দূষণের কারণে প্রায় হারিয়ে গেছে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ড্রেনের নোংরা পানি শোধন না করে নদীতে ফেলা বন্ধ করা এবং সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত খননকাজ শুরু করাই এখন সময়ের দাবি। চুয়াডাঙ্গাবাসী চান, প্রশাসন যেন শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবেই মাথাভাঙ্গাকে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেয়।
জেলার প্রবীণ বাসিন্দাদের স্মৃতি হাতড়ালে পাওয়া যায় এক টইটম্বুর মাথাভাঙ্গার ছবি। মালোপাড়ার প্রবীণ জামাত আলী বিষণ্ণ মনে বলেন, ‘ছোটবেলায় এই নদীর স্রোত দেখে ভয় পেতাম। বড় বড় জাহাজ চলত এখানে। আজ নদীটার এই হাল দেখে মনটা কষ্টে ফেটে যায়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর এই মরণদশার অন্যতম কারণ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরের প্রায় সব কটি প্রধান ড্রেনের মুখ সরাসরি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নদীর সঙ্গে। দিনরাত পৌরসভার নোংরা পানি, হোটেলের আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং বাজারের পচা বর্জ্য মিশছে নদীর স্বচ্ছ জলে। বিশেষ করে নিচের বাজার এলাকার মাংসপট্টির বর্জ্য এবং ব্রিজসংলগ্ন হোটেলগুলোর উচ্ছিষ্ট সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি কালো হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করলেই নাকে আসে উৎকট দুর্গন্ধ।
স্থানীয় যুবক রিমন আলী বলেন, ‘আগে যেখানে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতাম, আজ সেখানে দুর্গন্ধের চোটে দাঁড়ানোই দায়।’
নদীটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে। বড় বড় এনজিওর ভবনও নদীর সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পৌরসভার দিকে। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর গলার কাঁটা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। তারা নদীটিকে ড্রেন বানিয়ে ছাড়ছে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।
নদীটির এমন শোচনীয় অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদী হওয়ার কারণে বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘নদীদূষণকারীদের কোনো ছাড় নেই। জরিমানা নয়, এখন থেকে সরাসরি জেল হবে। পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নিয়ে আমি এই নদীকে বাঁচাতে চাই।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনগুলো নদীতে গিয়ে পড়েছে। আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে নোটিশ করেছি। তবে এখনো আমরা বিকল্প পাইনি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করব। আপনাদের সঙ্গে বসব।’

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় স্কুলে যাওয়ার পথে নৌকাডুবিতে নুছরাত ফেরদৌস রিমু (১৩) নামে এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ছত্রিশ ও পিঠাইটিকর গ্রামের মাঝামাঝি বুড়িকেয়ারি বিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
১০ আগস্ট ২০২২
ডেইলি স্টারে হামলার ঘটনায় আজমির হোসেন আকাশ (২৭) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও থানাধীন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৭ মিনিট আগে
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
২ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে