Ajker Patrika

সীমান্তে ফের উত্তেজনা: গুলি পড়ল বাংলাদেশে, ২০ পরিবারকে স্থানান্তর

বান্দরবান ও নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ অক্টোবর ২০২২, ০০: ৫৬
সীমান্তে ফের উত্তেজনা: গুলি পড়ল বাংলাদেশে, ২০ পরিবারকে স্থানান্তর

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ও দোছড়ি ইউনিয়নের পরিস্থিতি গত কয়েকদিন স্বাভাবিক থাকলেও আজ শনিবার নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তর থেকে মর্টার ও ভারী গোলা বর্ষণের পাশাপাশি প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ভূখণ্ডে দুটি ভারী অস্ত্রের গুলি এসে পড়েছে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে দুই ইউনিয়নের ২০ পরিবারকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার ইমন ও মোহাম্মদ ইমরান। 

নাইক্ষ‍্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার ইমন আজ রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপুরের পর থেকে তার ইউনিয়ন এলাকার পার্শ্ববর্তী মিয়ানমার সীমান্তের অভ‍্যন্তরের ব্যাপক গোলাগুলির শব্দে এপার কেঁপে ওঠে। লোকজন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে।’

নুরুল আবছার বলেন, ‘গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তার স্বার্থে তার ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের চেরারমাঠ এলাকার ১৫ পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১২ পরিবারকে ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বারের বাড়িতে ও অন্যত্র রাখা হয়েছে।’

নুরুল আবছার আরও বলেন, ‘সরিয়ে নেওয়া পরিবারের নারী ও শিশুদের সরানো হলেও পুরুষেরা এখনো নিজ বাড়িতে রয়েছেন। তবে সমস্যা হলে যেকোনো সময় আরও পরিবারকে নিরাপদস্থানে সরানো হবে। এ জন্য দুজন ইউপি মেম্বার ও গ্রাম পুলিশকে (ভিডিপি) সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রাখা হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া পরিবারগুলোর খাওয়ার ব্যবস্থা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা হবে।’

দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নের মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন বাহিরমাঠ এলিকায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে রাতে পাঁচ পরিবারকে নিরাপত্তার স্বার্থে সরিয়ে আত্মীয়স্বজনের বাসায় রাখা হয়েছে। তাদের খাবারের ব‍্যবস্থা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে করা হবে। 

চেয়ারম্যান ইমরান বলেন, ‘যদি গোলাগুলি বেড়ে যায় তাহলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে আরও লোকজনকে নিরাপদস্থানে সরানোর প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।’

এর আগে সদর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন জানান, তাঁরা নাইক্ষ‍্যংছড়ির কয়েকজন সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে চেরারমাঠ এলাকায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন‍্য শনিবার বিকেলে যান, তখন সীমান্তের ওপার থেকে গুলি তাদের মাথার ওপর দিয়ে যায়। অল্পের জন‍্য তারা রক্ষা পেয়েছেন। আজ শনিবার দুপুর ১টা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৪,৬, ৮ এব ৯ নং ওয়ার্ডের চেরারমাঠ সীমান্তের ৪৪,৪৫, ৪৬ ও দোছড়ি ইউনিয়নের ৪৭,৪৮ এবং ৪৯ পিলার পুরান মাইজ্জা ক্যাম্প, অংচাফ্রী ক্যাম্প এবং সালি ডং ক্যাম্পের তাদের চৌকি থেকে অগণিত মর্টার ও আর্টিলারি বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজে মনে হয় এপারে যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘দুপুর একটা থেকে ওপার থেকে গোলাগুলি ও আর্টিলারি মর্টারশেল বিস্ফোরণের আওয়াজে এপারের বেশ কয়েকটা গ্রাম কেঁপে উঠেছে।’

এলাকাবাসী ছোটাছুটি করছেন এবং সীমান্তে অবস্থানরত সবাই আতঙ্কিত। কারণ এত দিন নাইক্ষ‍্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন ও সোনাইছড়ির কিছু এলাকায় সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে গোলাগুলি হতো। আজ দুপুর থেকে দোছড়ি ও সদর ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারে ব্যাপক মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দে এপারে লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দু শুক্কুর বলেন, ‘ভারী অস্ত্রের দুটি গুলি আমাদের ভূখণ্ডে পড়েছে।’ 

আব্দু শুক্কুর জানান, সকালে ধান খেতে কাজ করার সময় হঠাৎ মিয়ানমারে ভূখণ্ডে প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পান তিনি। তখন গোলাগুলির আওয়াজ শুনে ধান খেত থেকে সরে আসার পর পরই দুটি ভারী অস্ত্রের গুলি লেমুছড়ি বিজিবি ক্যাম্পের প্রায় তিন শত গজ দূরত্বে এসে পড়ে। 

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দুই মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্তের বিপরীতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের ওয়ালিডং এবং খ্য মং সেক পাহাড়ে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির তুমুল লড়াই শুরু হয়। দেড় মাস পর এ যুদ্ধের ব্যাপ্তি ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিকের জেলা শহর মংডু এবং তার আশপাশের এলাকায়। বর্তমানে দক্ষিণ মংডুর বুচিডং, রাচিডং এলাকায় উভয় পক্ষের তুমুল লড়াই চলছে। ১২ থেকে ১৪ দিন আগে দোছড়ি ইউনিয়নে দক্ষিণ বাহির মাঠ সীমান্তের বিপরীতে রাখাইন রাজ্যের পাহাড়ে স্থাপিত বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) একাধিক চৌকি দখলে নেয় আরাকান আর্মি। এখন চৌকিগুলো পুনরুদ্ধার করার জন্য দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। গুলিবর্ষণের পাশাপাশি মর্টারের গোলা নিক্ষেপ করা হচ্ছে।

এদিকে জামছড়ি জামে মসজিদে যোহর নামাজ পড়তে আসা মুসল্লি, মোয়াজ্জেম ও ইমাম জানান, ‘ওপারে বিস্ফোরণের আওয়াজে যোহরের নামাজের সময় অনেকটা ভয় কাজ করেছিল। কারণ কখন জানি মর্টারশেল আমাদের মসজিদে এসে পড়ে।’

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা ফেরদৌসের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সদর ইউনিয়ন ও দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে মর্টারশেলের আওয়াজের কথা শুনেছেন। আতংকিত  কিছু লোক সীমান্ত থেকে পালিয়ে আসার খবর পেয়ে তাঁদের নিরাপদ আশ্রয়ে আসতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। অস্থায়ী আশ্রয় শিবির খোলা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে লোকজনকে শিবিরে নিয়ে আনার ব্যবস্থা করছেন তারা। চেয়ারম্যান,মেম্বার,গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার-দফাদারদের নিবিড়ভাবে এসব দেখার জন্যে বলা হয়েছে। তিনি নিজেও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিচ্ছেন। সীমান্তে বসবাসরত সকলকে নিরাপদে চলাফেরা করার জন্য চেয়ারম্যানকে বলে দিয়েছেন।

এদিকে নাইক্ষ‍্যংছড়ি ১১ বিজিবির একটি সূত্র জানায়, তাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তাদের সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। টহল জেরদার করা হয়েছে। কোনো নতুন রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে এ দেশে প্রবেশ করতে না পারে বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

নাইক্ষ‍্যংছড়ি থানার ওসি টানটু সাহার সঙ্গে শনিবার রাত ৮টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে তিনি জেলা সদরে রয়েছেন। এলাকায় যাওয়া ছাড়া বিস্তারিত বলতে পারবেন না।’

এদিকে রাতে যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ‍্যংছড়ি প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক আবদুল হামিদ ও সাংবাদিক আবদুর রশিদ বলেন, ‘সন্ধ্যার পর গোলাগুলির আওয়াজ কমেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।

আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ঢামেকে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পদ্মায় ড্রেজিং চলায় দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’

দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।

সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত