নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অভিযান চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি চাকু ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের রসুলপুর গ্রামের ভাবনা পুকুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন–বেগমগঞ্জ উপজেলার বারইচতল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান রনি (২২), নরোত্তমপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে মেহেরাজ হোসেন সাগর (২১) ও নাজিরপুর এলাকার সাহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম মিজু (১৮)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের রসুলপুর গ্রামের ভাবনা পুকুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তারদের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ এলাকার কিছু যুবক ছিনতাইয়ের এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। প্রায় সময় দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তারা ছিনতাই করে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অভিযান চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি চাকু ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের রসুলপুর গ্রামের ভাবনা পুকুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন–বেগমগঞ্জ উপজেলার বারইচতল গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান রনি (২২), নরোত্তমপুর গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে মেহেরাজ হোসেন সাগর (২১) ও নাজিরপুর এলাকার সাহিদুল ইসলামের ছেলে নাজমুল ইসলাম মিজু (১৮)।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের রসুলপুর গ্রামের ভাবনা পুকুর এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে গ্রেপ্তারদের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র, গুলি ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়।
একাধিক সূত্র জানায়, সোনাইমুড়ী ও বেগমগঞ্জ এলাকার কিছু যুবক ছিনতাইয়ের এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত। প্রায় সময় দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তারা ছিনতাই করে।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ দুপুরে তাদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।’

সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
৬ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতির নির্বাচনে ১৮টি পদের সব পদেই জয় পেয়েছে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত আনারুল-রিয়াজ-বিদ্যুৎ পরিষদ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে অফিসার সমিতি দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৬-২৭-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। সহসভাপতি পদে মো. রোকনুজ্জামান মামুন ৫১৬ ভোট ও কোষাধ্যক্ষ পদে মো. আল-আমিন বিদ্যুৎ ৫০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপিপন্থী প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্যরা হলেন যুগ্ম সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন উৎপল, দপ্তর সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল মানিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন শামীম, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরমান আলী।
এ ছাড়াও নির্বাচিত সদস্যরা হলেন মো. আলী রেজা, মো. আব্দুল মতিন, মোসা. রোকসানা বেগম টুকটুকি, মো. মাইনুল ইসলাম দুলাল, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোছা. হাবিবা হায়দার লিচু ও মো. নাসির উদ্দীন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতির নির্বাচনে ১৮টি পদের সব পদেই জয় পেয়েছে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত আনারুল-রিয়াজ-বিদ্যুৎ পরিষদ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে অফিসার সমিতি দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৬-২৭-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। সহসভাপতি পদে মো. রোকনুজ্জামান মামুন ৫১৬ ভোট ও কোষাধ্যক্ষ পদে মো. আল-আমিন বিদ্যুৎ ৫০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপিপন্থী প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্যরা হলেন যুগ্ম সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন উৎপল, দপ্তর সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল মানিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন শামীম, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরমান আলী।
এ ছাড়াও নির্বাচিত সদস্যরা হলেন মো. আলী রেজা, মো. আব্দুল মতিন, মোসা. রোকসানা বেগম টুকটুকি, মো. মাইনুল ইসলাম দুলাল, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোছা. হাবিবা হায়দার লিচু ও মো. নাসির উদ্দীন।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অভিযান চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি চাকু ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
৬ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়। ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জেলার সড়ক ও জনপথ। তীব্র শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতেও। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাত্র ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় দিন ও রাত—দুই সময়েই সমানভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে।’
একই এলাকার দিনমজুর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সকালে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। এত ঠান্ডায় শরীর অবশ হয়ে যায়। কাজ না করলে সংসার চলে না, আবার এই শীতে কাজ করাও কঠিন।’
এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর ভিড় বেড়েছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীত শুরুর পর থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পরবর্তী দিনগুলোতে তা আবার কমেছে। আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়। ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জেলার সড়ক ও জনপথ। তীব্র শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতেও। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাত্র ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় দিন ও রাত—দুই সময়েই সমানভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে।’
একই এলাকার দিনমজুর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সকালে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। এত ঠান্ডায় শরীর অবশ হয়ে যায়। কাজ না করলে সংসার চলে না, আবার এই শীতে কাজ করাও কঠিন।’
এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর ভিড় বেড়েছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীত শুরুর পর থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পরবর্তী দিনগুলোতে তা আবার কমেছে। আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অভিযান চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি চাকু ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
৬ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে। জেলার ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক এই নদী বর্তমানে পরিণত হয়েছে শহরের এক বিশালাকার ড্রেনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মাথাভাঙ্গা আজ শুধু নামেই নদী। ক্রমাগত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া আর যথাযথ খননের অভাবে নদীটি সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এর বুক চিরে এখন আর জাহাজ চলে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাথাভাঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি চিত্রা, নবগঙ্গা ও ভৈরবের মতো নদ-নদীগুলোর উৎস। ফলে মাথাভাঙ্গা মারা গেলে এই অঞ্চলের পুরো নদী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে। বর্তমানে নদীর পানি এতটাই দূষিত, তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ে তবুও অনেক প্রান্তিক মানুষ এই পানিতেই নিত্যকাজ সারছেন। অন্যদিকে দূষণের কারণে প্রায় হারিয়ে গেছে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ড্রেনের নোংরা পানি শোধন না করে নদীতে ফেলা বন্ধ করা এবং সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত খননকাজ শুরু করাই এখন সময়ের দাবি। চুয়াডাঙ্গাবাসী চান, প্রশাসন যেন শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবেই মাথাভাঙ্গাকে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেয়।
জেলার প্রবীণ বাসিন্দাদের স্মৃতি হাতড়ালে পাওয়া যায় এক টইটম্বুর মাথাভাঙ্গার ছবি। মালোপাড়ার প্রবীণ জামাত আলী বিষণ্ণ মনে বলেন, ‘ছোটবেলায় এই নদীর স্রোত দেখে ভয় পেতাম। বড় বড় জাহাজ চলত এখানে। আজ নদীটার এই হাল দেখে মনটা কষ্টে ফেটে যায়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর এই মরণদশার অন্যতম কারণ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরের প্রায় সব কটি প্রধান ড্রেনের মুখ সরাসরি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নদীর সঙ্গে। দিনরাত পৌরসভার নোংরা পানি, হোটেলের আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং বাজারের পচা বর্জ্য মিশছে নদীর স্বচ্ছ জলে। বিশেষ করে নিচের বাজার এলাকার মাংসপট্টির বর্জ্য এবং ব্রিজসংলগ্ন হোটেলগুলোর উচ্ছিষ্ট সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি কালো হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করলেই নাকে আসে উৎকট দুর্গন্ধ।
স্থানীয় যুবক রিমন আলী বলেন, ‘আগে যেখানে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতাম, আজ সেখানে দুর্গন্ধের চোটে দাঁড়ানোই দায়।’
নদীটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে। বড় বড় এনজিওর ভবনও নদীর সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পৌরসভার দিকে। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর গলার কাঁটা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। তারা নদীটিকে ড্রেন বানিয়ে ছাড়ছে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।
নদীটির এমন শোচনীয় অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদী হওয়ার কারণে বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘নদীদূষণকারীদের কোনো ছাড় নেই। জরিমানা নয়, এখন থেকে সরাসরি জেল হবে। পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নিয়ে আমি এই নদীকে বাঁচাতে চাই।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনগুলো নদীতে গিয়ে পড়েছে। আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে নোটিশ করেছি। তবে এখনো আমরা বিকল্প পাইনি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করব। আপনাদের সঙ্গে বসব।’

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে। জেলার ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক এই নদী বর্তমানে পরিণত হয়েছে শহরের এক বিশালাকার ড্রেনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মাথাভাঙ্গা আজ শুধু নামেই নদী। ক্রমাগত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া আর যথাযথ খননের অভাবে নদীটি সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এর বুক চিরে এখন আর জাহাজ চলে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাথাভাঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি চিত্রা, নবগঙ্গা ও ভৈরবের মতো নদ-নদীগুলোর উৎস। ফলে মাথাভাঙ্গা মারা গেলে এই অঞ্চলের পুরো নদী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে। বর্তমানে নদীর পানি এতটাই দূষিত, তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ে তবুও অনেক প্রান্তিক মানুষ এই পানিতেই নিত্যকাজ সারছেন। অন্যদিকে দূষণের কারণে প্রায় হারিয়ে গেছে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ড্রেনের নোংরা পানি শোধন না করে নদীতে ফেলা বন্ধ করা এবং সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত খননকাজ শুরু করাই এখন সময়ের দাবি। চুয়াডাঙ্গাবাসী চান, প্রশাসন যেন শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবেই মাথাভাঙ্গাকে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেয়।
জেলার প্রবীণ বাসিন্দাদের স্মৃতি হাতড়ালে পাওয়া যায় এক টইটম্বুর মাথাভাঙ্গার ছবি। মালোপাড়ার প্রবীণ জামাত আলী বিষণ্ণ মনে বলেন, ‘ছোটবেলায় এই নদীর স্রোত দেখে ভয় পেতাম। বড় বড় জাহাজ চলত এখানে। আজ নদীটার এই হাল দেখে মনটা কষ্টে ফেটে যায়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর এই মরণদশার অন্যতম কারণ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরের প্রায় সব কটি প্রধান ড্রেনের মুখ সরাসরি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নদীর সঙ্গে। দিনরাত পৌরসভার নোংরা পানি, হোটেলের আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং বাজারের পচা বর্জ্য মিশছে নদীর স্বচ্ছ জলে। বিশেষ করে নিচের বাজার এলাকার মাংসপট্টির বর্জ্য এবং ব্রিজসংলগ্ন হোটেলগুলোর উচ্ছিষ্ট সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি কালো হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করলেই নাকে আসে উৎকট দুর্গন্ধ।
স্থানীয় যুবক রিমন আলী বলেন, ‘আগে যেখানে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতাম, আজ সেখানে দুর্গন্ধের চোটে দাঁড়ানোই দায়।’
নদীটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে। বড় বড় এনজিওর ভবনও নদীর সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পৌরসভার দিকে। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর গলার কাঁটা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। তারা নদীটিকে ড্রেন বানিয়ে ছাড়ছে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।
নদীটির এমন শোচনীয় অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদী হওয়ার কারণে বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘নদীদূষণকারীদের কোনো ছাড় নেই। জরিমানা নয়, এখন থেকে সরাসরি জেল হবে। পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নিয়ে আমি এই নদীকে বাঁচাতে চাই।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনগুলো নদীতে গিয়ে পড়েছে। আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে নোটিশ করেছি। তবে এখনো আমরা বিকল্প পাইনি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করব। আপনাদের সঙ্গে বসব।’

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অভিযান চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি চাকু ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
৬ ঘণ্টা আগেজিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ)

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে সমুদয় চাল উত্তোলন করেছেন।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো হলো বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তা (৫.৫ টন), চকরামাকান্ত পাকা রাস্তা হতে আব্বাসের বাড়ির রাস্তা (৯ টন), চকমানিক মসজিদ হতে সোহবারের বাড়ির রাস্তা (৭ টন) এবং চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তা (৯ টন)।
সরকারি হিসাবে প্রতি টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী আত্মসাৎকৃত ৩০ দশমিক ৫ টন চালের বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকাগুলো ঘুরে কোথাও দৃশ্যমান কোনো কাজ পাওয়া যায়নি। দু-একটি স্থানে সামান্য মাটি ফেলে পুরো কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে। চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তায় একেবারেই কোনো কাজ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকগৌরী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকটা শ্রমিক দিয়ে মাত্র এক দিন সামান্য কাজ করানো হয়েছে। এভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, অথচ গ্রামীণ এলাকার রাস্তাগুলো অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্প সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাকে নামমাত্র সভাপতি করা হয়েছে। প্রকল্পের সবকিছু দেখভাল করেন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু ও ইউপি সদস্য মনসুর রহমান। কত টনের প্রকল্প, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি। শুধু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।’
আরেক প্রকল্পের সভাপতি তানজিলা খাতুন বলেন, ‘প্রকল্প সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। সবকিছু মনসুর মেম্বারই করেন।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই, উপজেলায় গেলে কথা হবে। এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলামকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে সমুদয় চাল উত্তোলন করেছেন।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো হলো বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তা (৫.৫ টন), চকরামাকান্ত পাকা রাস্তা হতে আব্বাসের বাড়ির রাস্তা (৯ টন), চকমানিক মসজিদ হতে সোহবারের বাড়ির রাস্তা (৭ টন) এবং চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তা (৯ টন)।
সরকারি হিসাবে প্রতি টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী আত্মসাৎকৃত ৩০ দশমিক ৫ টন চালের বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকাগুলো ঘুরে কোথাও দৃশ্যমান কোনো কাজ পাওয়া যায়নি। দু-একটি স্থানে সামান্য মাটি ফেলে পুরো কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে। চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তায় একেবারেই কোনো কাজ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকগৌরী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকটা শ্রমিক দিয়ে মাত্র এক দিন সামান্য কাজ করানো হয়েছে। এভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, অথচ গ্রামীণ এলাকার রাস্তাগুলো অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্প সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাকে নামমাত্র সভাপতি করা হয়েছে। প্রকল্পের সবকিছু দেখভাল করেন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু ও ইউপি সদস্য মনসুর রহমান। কত টনের প্রকল্প, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি। শুধু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।’
আরেক প্রকল্পের সভাপতি তানজিলা খাতুন বলেন, ‘প্রকল্প সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। সবকিছু মনসুর মেম্বারই করেন।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই, উপজেলায় গেলে কথা হবে। এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলামকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে অভিযান চালিয়ে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা, একটি পাইপগান, এক রাউন্ড বন্দুকের গুলি, একটি চাকু ও একটি মোবাইল জব্দ করা হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে