পঞ্চগড় প্রতিনিধি

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
পরিদর্শনের পর আজ বুধবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘১৭৯টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। কয়েক দিন আগে রেলমন্ত্রী যখন এখানে আসেন, তখন হামলাকারীরা তাঁর সফরসঙ্গী ছিল। আমরা আশা করেছিলাম প্রশাসন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের থেকে অনুমতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানি সম্প্রদায় বাৎসরিক জলসার আয়োজন করেছিল। অথচ হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় প্রশাসনে ফোন করলেও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হামলার দৃশ্য দেখেছে। তিন ঘণ্টা পর ডিসি-এসপি এসে দুষ্কৃতকারীদের খানিকটা প্রতিরোধ করেছে। তার আগেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব আলামত দেখে বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, গণমানুষের কোনো অধিকার নাই। মানবতা প্রতিদিনই লুণ্ঠিত হচ্ছে।’
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মানবাধিকার বিরোধী রাষ্ট্রযন্ত্র রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন সবাই এক বাক্যে বলেছে, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। গুম, খুন, হত্যা এটি নিত্যদিনের ব্যাপার। সরকার নির্বাচিত নয়। নিশিরাতে ব্যালটবাক্স ভরে দিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দিয়ে তারা নিজেদের নির্বাচিত বলে দাবি করছে। এহেন পরিস্থিতিতে একধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলবে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, প্রশাসনের কোনো জবাবদিহি নেই। সন্ত্রাসীরা সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় এই ধরনের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনকে স্তিমিত করার লক্ষ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য হীন এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করছে। অবৈধ সরকার এই জঘন্য ন্যক্কারজনক সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দল বিএনপির ওপর দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। এ ঘটনায় অবৈধ সরকার এখন পর্যন্ত শতাধিক বিএনপির সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তল্লাশির নামে নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এঁরা সবাই নিরপরাধ, কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সিসিটিভি এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অথচ রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
হামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা ছিল দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী সুজন পঞ্চগড়ে ওই এলাকা সফরে গেলে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা তাঁকে স্পষ্ট জানান আক্রমণকারীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। এ জন্য আমরা মনে করি, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সরকারের হীন পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। এগুলো সবই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশার অংশ।’
সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে পঞ্চগড়ে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাজার হাজার সাধারণ লোককে আসামি করে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। পঞ্চগড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তায়। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
এরপরও আওয়ামী লীগ ঘটনার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপাতে চায়। এটা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর মতো। সে ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি ও পঞ্চগড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আদম সুফি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান ও পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কালে জানান, এই পৈশাচিক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। নাম উল্লেখসহ ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করেছে। পুলিশও মামলা করেছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আহমদিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত দুটি গ্রামে ও পঞ্চগড় শহরের আহমদিয়াদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। ৭০ জন সদস্য আহত হয়েছে। একজনকে কুপিয়ে মেরেছে। দুষ্কৃতকারীরা তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। যা আমাদের বিস্মিত ও হতবাক করেছে। তিন ঘণ্টা পর অ্যাকশন শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ততক্ষণে সব শেষ। এলাকার চিহ্নিতদের নাম পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটিকে কেউ কেউ রাজনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা মোটেও কাম্য নয়।’

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
পরিদর্শনের পর আজ বুধবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘১৭৯টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। কয়েক দিন আগে রেলমন্ত্রী যখন এখানে আসেন, তখন হামলাকারীরা তাঁর সফরসঙ্গী ছিল। আমরা আশা করেছিলাম প্রশাসন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের থেকে অনুমতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানি সম্প্রদায় বাৎসরিক জলসার আয়োজন করেছিল। অথচ হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় প্রশাসনে ফোন করলেও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হামলার দৃশ্য দেখেছে। তিন ঘণ্টা পর ডিসি-এসপি এসে দুষ্কৃতকারীদের খানিকটা প্রতিরোধ করেছে। তার আগেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব আলামত দেখে বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, গণমানুষের কোনো অধিকার নাই। মানবতা প্রতিদিনই লুণ্ঠিত হচ্ছে।’
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মানবাধিকার বিরোধী রাষ্ট্রযন্ত্র রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন সবাই এক বাক্যে বলেছে, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। গুম, খুন, হত্যা এটি নিত্যদিনের ব্যাপার। সরকার নির্বাচিত নয়। নিশিরাতে ব্যালটবাক্স ভরে দিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দিয়ে তারা নিজেদের নির্বাচিত বলে দাবি করছে। এহেন পরিস্থিতিতে একধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলবে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, প্রশাসনের কোনো জবাবদিহি নেই। সন্ত্রাসীরা সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় এই ধরনের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনকে স্তিমিত করার লক্ষ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য হীন এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করছে। অবৈধ সরকার এই জঘন্য ন্যক্কারজনক সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দল বিএনপির ওপর দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। এ ঘটনায় অবৈধ সরকার এখন পর্যন্ত শতাধিক বিএনপির সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তল্লাশির নামে নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এঁরা সবাই নিরপরাধ, কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সিসিটিভি এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অথচ রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
হামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা ছিল দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী সুজন পঞ্চগড়ে ওই এলাকা সফরে গেলে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা তাঁকে স্পষ্ট জানান আক্রমণকারীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। এ জন্য আমরা মনে করি, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সরকারের হীন পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। এগুলো সবই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশার অংশ।’
সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে পঞ্চগড়ে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাজার হাজার সাধারণ লোককে আসামি করে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। পঞ্চগড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তায়। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
এরপরও আওয়ামী লীগ ঘটনার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপাতে চায়। এটা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর মতো। সে ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি ও পঞ্চগড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আদম সুফি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান ও পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কালে জানান, এই পৈশাচিক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। নাম উল্লেখসহ ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করেছে। পুলিশও মামলা করেছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আহমদিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত দুটি গ্রামে ও পঞ্চগড় শহরের আহমদিয়াদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। ৭০ জন সদস্য আহত হয়েছে। একজনকে কুপিয়ে মেরেছে। দুষ্কৃতকারীরা তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। যা আমাদের বিস্মিত ও হতবাক করেছে। তিন ঘণ্টা পর অ্যাকশন শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ততক্ষণে সব শেষ। এলাকার চিহ্নিতদের নাম পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটিকে কেউ কেউ রাজনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা মোটেও কাম্য নয়।’
পঞ্চগড় প্রতিনিধি

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
পরিদর্শনের পর আজ বুধবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘১৭৯টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। কয়েক দিন আগে রেলমন্ত্রী যখন এখানে আসেন, তখন হামলাকারীরা তাঁর সফরসঙ্গী ছিল। আমরা আশা করেছিলাম প্রশাসন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের থেকে অনুমতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানি সম্প্রদায় বাৎসরিক জলসার আয়োজন করেছিল। অথচ হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় প্রশাসনে ফোন করলেও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হামলার দৃশ্য দেখেছে। তিন ঘণ্টা পর ডিসি-এসপি এসে দুষ্কৃতকারীদের খানিকটা প্রতিরোধ করেছে। তার আগেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব আলামত দেখে বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, গণমানুষের কোনো অধিকার নাই। মানবতা প্রতিদিনই লুণ্ঠিত হচ্ছে।’
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মানবাধিকার বিরোধী রাষ্ট্রযন্ত্র রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন সবাই এক বাক্যে বলেছে, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। গুম, খুন, হত্যা এটি নিত্যদিনের ব্যাপার। সরকার নির্বাচিত নয়। নিশিরাতে ব্যালটবাক্স ভরে দিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দিয়ে তারা নিজেদের নির্বাচিত বলে দাবি করছে। এহেন পরিস্থিতিতে একধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলবে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, প্রশাসনের কোনো জবাবদিহি নেই। সন্ত্রাসীরা সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় এই ধরনের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনকে স্তিমিত করার লক্ষ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য হীন এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করছে। অবৈধ সরকার এই জঘন্য ন্যক্কারজনক সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দল বিএনপির ওপর দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। এ ঘটনায় অবৈধ সরকার এখন পর্যন্ত শতাধিক বিএনপির সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তল্লাশির নামে নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এঁরা সবাই নিরপরাধ, কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সিসিটিভি এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অথচ রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
হামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা ছিল দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী সুজন পঞ্চগড়ে ওই এলাকা সফরে গেলে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা তাঁকে স্পষ্ট জানান আক্রমণকারীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। এ জন্য আমরা মনে করি, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সরকারের হীন পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। এগুলো সবই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশার অংশ।’
সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে পঞ্চগড়ে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাজার হাজার সাধারণ লোককে আসামি করে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। পঞ্চগড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তায়। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
এরপরও আওয়ামী লীগ ঘটনার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপাতে চায়। এটা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর মতো। সে ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি ও পঞ্চগড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আদম সুফি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান ও পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কালে জানান, এই পৈশাচিক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। নাম উল্লেখসহ ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করেছে। পুলিশও মামলা করেছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আহমদিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত দুটি গ্রামে ও পঞ্চগড় শহরের আহমদিয়াদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। ৭০ জন সদস্য আহত হয়েছে। একজনকে কুপিয়ে মেরেছে। দুষ্কৃতকারীরা তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। যা আমাদের বিস্মিত ও হতবাক করেছে। তিন ঘণ্টা পর অ্যাকশন শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ততক্ষণে সব শেষ। এলাকার চিহ্নিতদের নাম পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটিকে কেউ কেউ রাজনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা মোটেও কাম্য নয়।’

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
পরিদর্শনের পর আজ বুধবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘১৭৯টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। কয়েক দিন আগে রেলমন্ত্রী যখন এখানে আসেন, তখন হামলাকারীরা তাঁর সফরসঙ্গী ছিল। আমরা আশা করেছিলাম প্রশাসন তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবে। কিন্তু তা করা হয়নি।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘সরকারের থেকে অনুমতি নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাদিয়ানি সম্প্রদায় বাৎসরিক জলসার আয়োজন করেছিল। অথচ হামলা ও অগ্নিসংযোগের সময় প্রশাসনে ফোন করলেও প্রশাসন এগিয়ে আসেনি। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হামলার দৃশ্য দেখেছে। তিন ঘণ্টা পর ডিসি-এসপি এসে দুষ্কৃতকারীদের খানিকটা প্রতিরোধ করেছে। তার আগেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব আলামত দেখে বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র নাই, আইনের শাসন নাই, গণমানুষের কোনো অধিকার নাই। মানবতা প্রতিদিনই লুণ্ঠিত হচ্ছে।’
হাফিজ উদ্দিন আরও বলেন, ‘সারা বিশ্বে বাংলাদেশ একটি মানবাধিকার বিরোধী রাষ্ট্রযন্ত্র রূপে স্বীকৃতি পেয়েছে। আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন সবাই এক বাক্যে বলেছে, বাংলাদেশে সাধারণ মানুষের কোনো অধিকার নেই। গুম, খুন, হত্যা এটি নিত্যদিনের ব্যাপার। সরকার নির্বাচিত নয়। নিশিরাতে ব্যালটবাক্স ভরে দিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে না দিয়ে তারা নিজেদের নির্বাচিত বলে দাবি করছে। এহেন পরিস্থিতিতে একধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চলবে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, প্রশাসনের কোনো জবাবদিহি নেই। সন্ত্রাসীরা সরকারি দলের ছত্রচ্ছায়ায় এই ধরনের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলনকে স্তিমিত করার লক্ষ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে উল্লেখ করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে সরকার জনগণের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য হীন এই সাম্প্রদায়িক সংঘাত সৃষ্টি করছে। অবৈধ সরকার এই জঘন্য ন্যক্কারজনক সংঘাত ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে বিরোধী দল বিএনপির ওপর দোষারোপ করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। এ ঘটনায় অবৈধ সরকার এখন পর্যন্ত শতাধিক বিএনপির সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। তল্লাশির নামে নেতা-কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে। এঁরা সবাই নিরপরাধ, কোনোভাবেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। সিসিটিভি এবং ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দেখলে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অথচ রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করে আমাদের নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে।’
হামলায় আওয়ামী লীগ নেতারা ছিল দাবি করে হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী সুজন পঞ্চগড়ে ওই এলাকা সফরে গেলে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা তাঁকে স্পষ্ট জানান আক্রমণকারীরা তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। এ জন্য আমরা মনে করি, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে সরকারের হীন পরিকল্পনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই সাম্প্রদায়িক হামলা সংঘটিত হয়েছে। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একের পর এক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। এগুলো সবই সরকারের ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশার অংশ।’
সাধারণ মানুষের নামে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, গত কয়েক দিনে পঞ্চগড়ে ১৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। হাজার হাজার সাধারণ লোককে আসামি করে তাঁদের হয়রানি করা হচ্ছে এবং অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নাগরিকের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। পঞ্চগড়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তার দায়ভার সরকারের ওপরই বর্তায়। রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরা দায় কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না।
এরপরও আওয়ামী লীগ ঘটনার দায়ভার বিএনপির ওপর চাপাতে চায়। এটা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর মতো। সে ষড়যন্ত্র কখনো সফল হবে না। সুষ্ঠু তদন্ত করে গ্রেপ্তারকৃত নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তি ও পঞ্চগড়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করার দাবি জানান তিনি।
এ সময় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাঈল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আদম সুফি উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান ও পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন কালে জানান, এই পৈশাচিক ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
আহমদিয়া সম্প্রদায়ের গণসংযোগ ও প্রেস বিভাগের প্রধান আহমদ তবশির চৌধুরী বলেন, ‘আমরা কারও সাহায্য-সহযোগিতা চাই না। আমরা শুধু নিরাপদে বসবাস করতে চাই। নিজেদের জানমালের নিরাপত্তা চাই। নাম উল্লেখসহ ক্ষতিগ্রস্তরা মামলা করেছে। পুলিশও মামলা করেছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। আহমদিয়া সম্প্রদায় অধ্যুষিত দুটি গ্রামে ও পঞ্চগড় শহরের আহমদিয়াদের দুই শতাধিক বাড়িঘর, দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়েছে। ৭০ জন সদস্য আহত হয়েছে। একজনকে কুপিয়ে মেরেছে। দুষ্কৃতকারীরা তিন ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালায়। কিন্তু বিজিবি ও পুলিশ কোনো অ্যাকশনে যায়নি। যা আমাদের বিস্মিত ও হতবাক করেছে। তিন ঘণ্টা পর অ্যাকশন শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ততক্ষণে সব শেষ। এলাকার চিহ্নিতদের নাম পুলিশকে জানানো হয়েছে। ঘটনাটিকে কেউ কেউ রাজনীতির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। যা মোটেও কাম্য নয়।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
০৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
০৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
০৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের বার্ষিক ‘সালানা জলসা’ বন্ধ করা নিয়ে পঞ্চগড় সদরের আহমদনগর ও বোদা উপজেলার শালশিরি গ্রামে কাদিয়ানিদের বাড়িঘরে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল।
০৮ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে