Ajker Patrika

নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলায় আহত ছাত্রদল নেতাদের উদ্ধার করল পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলায় আহত ছাত্রদল নেতাদের উদ্ধার করল পুলিশ

নারায়ণগঞ্জ শহরে মহানগর ছাত্রদলের তিন নেতা–কর্মীকে পিটিয়ে জখম করেছে সাবেক মহানগর ও তোলারাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগ। শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাতে শহরের কলেজ রোড এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আহত ছাত্রদল নেতাদের ছিনতাইকারী আখ্যা দেয় ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। ঘটনার ভিডিও ও ছবি ধারণ করতে গেলে লাঞ্ছিত হয়েছেন দুজন গণমাধ্যমকর্মী। 

আহতরা হলেন—মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুল ইসলাম রাজীব, ছাত্রদল কর্মী কাজল, ১৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সভাপতি অনিক এবং তাঁর বন্ধু সোহাগ। আহতদের মধ্যে আজিজুল ইসলাম রাজীবের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ৮টার দিকে কলেজ রোডে দুজন ছেলেকে মারধর করতে থাকে ছাত্রলীগের প্রায় ৩০ / ৪০ জন নেতা–কর্মী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ। ছাত্রদলের একজন দৌড়ে প্রাণ বাঁচান। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে হাজির হন রাজীব ও কাজল। তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করতে থাকে তারা। রাজীব মুখে গুরুতর জখম হয়েছেন। খবর পেয়ে মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু উপস্থিত হলে রাজীব ও কাজলকে ডাকবাংলোর ভেতরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। 

ঘটনার পরপরই গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গিয়ে চিত্র ধারণ করতে গেলে তাঁদের ওপরও চড়াও হয় ছাত্রলীগ কর্মীরা। এ সময় জাগো নিউজের প্রতিনিধি মোবাশ্বির শ্রাবণকে মারধর ও আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি সাবিত আল হাসানের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিএনপির নেতারা আহত ছাত্রদল নেতাকে হাসপাতালে নিতে চাইলে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা তাঁদেরও মারধর করে। লাঞ্ছিত করা হয় মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনুকে। 

অবস্থা বেগতিক দেখে পুলিশে খবর দেন বিএনপি নেতারা। পরে সদর থানা-পুলিশের একটি টিম এসে ছাত্রদলের রাজীব ও কাজলকে উদ্ধার করে প্রথমে থানায়, পরে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ছাত্রদল নেতা অনিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি ও আমার বন্ধু সোহাগ পুকুরপাড় থেকে ডাকবাংলোর দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় কলেজ থেকে রিয়াদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের ছেলেরা বের হয়। আমাকে দেখেই বলে, “কিরে তুই এখানে কী করস? ” আমার ফোন ধরে টানাটানি করতে থাকে। বলে, “তুই ছাত্রদল করস”। আমি রিয়াদ ভাইকে বিষয়টি বললে সে বলে, তুই যা এখান থেকে। আমি পেছনে ঘুরতেই আমার মোবাইল ছিনিয়ে মারধর করতে থাকে ছাত্রলীগের কর্মীরা। আমি রিয়াদকে উদ্দেশ করে বলি, কাজটা ভালো হচ্ছে না। প্রাণ বাঁচাতে আমি দৌড় দিলে আমাকে পেছন থেকে লাথি ঘুষি মারতে থাকে। আমি ছুটে গিয়ে আজিজুল ইসলাম রাজীবকে বলি, ভাই আমার বন্ধু সোহাগকে বাঁচান। আপনি না গেলে আমাকে মেরে ফেলবে। পরে রাজীব ভাই আর কাজল ভাই সেখানে গিয়েছিল রিয়াদের সঙ্গে কথা বলতে। রিয়াদের সামনে যেতেই তাঁকে ঘিরে ধরে মারতে থাকে ছাত্রলীগের কর্মীরা।’ 

ছাত্রলীগের মারধরে আহত ছাত্রদল নেতাদের উদ্ধার করে পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকাহাসপাতালে নেওয়ার পথে আহত ছাত্রদল নেতা রাজীব সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এলাকায় আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ অনিক এসে বলে, তাকে ও তার বন্ধুকে রিয়াদের লোকজন মেরেছে। রিয়াদ ভাই আর আমি পাশাপাশি এলাকার। ছোটবেলা থেকে তাকে চিনি। আমি শুধু কথা বলতে গিয়েছিলাম যেন সোহাগকে ছেড়ে দেয়। এই কথা বলতে যেতেই আমাকে ঘিরে ধরে মারধর করতে থাকে। আমি প্রাণ বাঁচাতে টিপু ভাইকে ফোন দেই। তারা এসে আমাকে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করতেই পুনরায় মারধর শুরু করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে পুলিশ এসে আমাকে উদ্ধার করে।’

মারধরের শিকার জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি মোবাশ্বির শ্রাবণ বলেন, ‘মারামারির খবর পেয়ে ডাক বাংলোর সামনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করতেই আমার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এর কিছুক্ষণ পরেই আমার জামার কলার ধরে টানাটানি করে।’ 

এদিকে ঘটনার পরপরই আজিজ, কাজল, অনিক ও সোহাগকে ছিনতাইকারী আখ্যা দেন ছাত্রলীগের নেতারা। মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ বলেন, ‘তারা এখানে ছিনতাই করে প্রায়ই। কলেজের ছাত্রদের ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছিল দীর্ঘদিন। আজকে তাদের হাতেনাতে ধরে এলাকাবাসী ও কলেজের ছাত্ররা মারধর করেছে।’ 

তবে সাংবাদিকের ওপর আক্রমণের বিষয়ে দুঃখপ্রকাশ করে হাবিবুর রহমান রিয়াদ বলেন, ‘ভিড়ের ভেতর হয়তো না চিনে ছাত্রলীগের কোনো কর্মী এই ভুল করেছে। তারপরও সাংবাদিকের ওপর হাত তোলার বিচার আমি করব।’ 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, ‘সোয়া ৮টার দিকে ফোন দিয়ে রাজীব জানায় ছাত্রলীগের কর্মীরা তাকে মেরেছে। আমি খবর পেয়ে সাথে সাথে রাজীবকে ডাক বাংলোর এক পাশে নিয়ে যাই। তাকে অটোরিকশায় তুলতে গেলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আবার মারধর করে। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে। ছাত্রলীগের নেতা রিয়াদের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। আমরা মনে করি, আমেরিকায় শামীম ওসমানকে হেনস্তা করার প্রতিশোধ নিতেই অতর্কিতে ছাত্রদলের নেতাদের ওপর হামলা করেছে রিয়াদ ও তার অনুসারীরা।’ 

মারামারির বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার বিষয়ে আমাদের পরিদর্শক (তদন্ত) কাজ করছে। ঘটনাস্থল সদর নাকি ফতুল্লা থানায় তা দেখা হচ্ছে। তা ছাড়া কে কাকে মেরেছে এবং ঘটনাটা কী তা এখনো আমাদের কাছে পরিষ্কার নয়। বিষয়টি জেনে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।

উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।

এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’

পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’

তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, মিরপুরে দোকানি আহত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।

এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।

অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান: চার ঘণ্টা পর আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করল পুলিশ

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অস্ত্র তৈরি কারখানায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালা ডিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অস্ত্র তৈরি কারখানায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালা ডিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।

খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।

এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।

এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত, রামেকে ভর্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।  

আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।  

শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত