
কম্বোডিয়া ক্রমেই একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশটির জনগণের কাছে একমাত্র আস্থাভাজন বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একপ্রকার নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। নানা কৌশলে দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির নাগরিকেরা। সোভানি নামে এক নাগরিক বলেন, ‘আমি ভোটই দেব না। কেন আমি ভোট দিতে যাব, যেখানে নির্বাচনে একটিমাত্র দলই অংশ নিয়েছে? ভোট দিতে যাওয়া তো স্রেফ সময়ের অপচয়।’ সোভানি বলেন, ‘খেলার মাঠে অন্তত দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রয়োজন।’ কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী একজন হলে সেই খেলার আর কোনো অর্থ থাকে...—প্রশ্ন সোভানির।
রোববার (২৩ জুলাই) কম্বোডিয়ার সপ্তম জাতীয় নির্বাচন। এতে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিসহ (সিপিপি) সব মিলিয়ে ১৮টি দল অংশ নেবে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টিকে’ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য করায় এবারও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেনই ক্ষমতার মসনদ নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন।
এর আগেও ২০১৮ সালে হুন সেন যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখনো বিরোধী দলকে দমনের একই খেলা মঞ্চায়িত হয়েছিল। সে সময়কার জনপ্রিয় প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকেও আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে গতবারের মতো এবারও ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ করে নিয়েছেন হুন সেন। যদিও তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হুন সেনের সরকার কেবল প্রধান বিরোধী দলকে দমন করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা সরকারের সমালোচক সব মুখ বন্ধ করতেও উঠেপড়ে লেগেছে। এইতো, গত ২৩ জুন কম্বোডিয়ার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিপি দেশটির নির্বাচন আইন সংশোধন করেছে। যেখানে বলা হয়েছে—কোনো কেউ নাগরিকদের ভোট না দিতে উৎসাহিত করে তবে তা অপরাধমূলক ‘উসকানি’ বলে বিবেচিত হবে। সরকার সতর্ক করে বলেছে, যারা এমনটা করবে তাদের জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
তবে হুন সেনের দাবি, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং যারা মানুষকে ভোটদানে বিরত রাখার ‘অপচেষ্টা’ চালায় তাদের রুখতেই এই আইন সংশোধন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে মূলত কম্বোডিয়ার বিগত ৩০ বছরে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সংশোধিত আইনের প্রথম ‘বলি’ যূপকাষ্ঠে উঠে গেছে। গত সপ্তাহেই ক্যান্ডেল লাইট পার্টির দুই কর্মীকে এই আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তাঁরা জনগণকে ভোট না দিতে ‘উসকে’ দিচ্ছিলেন। এরপর একই আইনে ক্যান্ডেল লাইট পার্টির আরও দুজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বিদেশে থাকা ১৭ জন বিরোধী রাজনীতিবিদকে এ আইনের আওতায় ২০ থেকে ২৫ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেবল তাই নয়, সরকারি নিয়ন্ত্রণের খড়্গ গিয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ওপরও। সরকার বেশ কয়েকটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং ডেটাবেইস সংস্থার ওয়েবসাইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা জনমনে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়াচ্ছে এবং ‘সরকারের মর্যাদাকে’ আক্রমণ করছে।

সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া, নির্বাচন নিয়ে নতুন আইন করার ফলে সাধারণ কম্বোডীয়রা ভাবছেন, তাঁদের সামনে এখন একটাই বিকল্প রয়েছে—তা হলো, ভোটের দিন চুপচাপ বাড়িতে বসে থাকা। এমন মনোভাবই দেখা গেল লি মিঙ নামে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণের মধ্যে। তিনি দেশটির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। মিঙ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে, ৩০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে শহর থেকে গ্রামে গিয়ে ভোট দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। কারণ আমি জানি, কী ঘটতে যাচ্ছে।’
তবে লি মিঙকে বেশ সতর্ক মনে হলো। তিনি জানালেন, তাঁর ভোট না দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানাতে চান না। পরিবার কিংবা বন্ধু-স্বজন; কাউকেই না। যদিও সরকারের সঙ্গে তাঁর পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সামান্যতম কোনো সংযোগ নেই, এরপরও তিনি বিষয়টি গোপন রাখতে চান। তাঁর কাছে, বর্তমান কম্বোডিয়ায় চুপ থাকা এবং ভোট দিতে না যাওয়াটাই নিরাপদ থাকার সবচেয়ে বড় উপায়।
কেবল সাধারণ জনগণ কিংবা বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই নয়, ক্ষমতাসীন দলেরও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে—যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। তাঁদের মতে, এটি কম্বোডিয়ার সরকারব্যবস্থার জন্য ভালো তো নয়ই, এটি কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকেও ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করবে।
এমনটাই জানালেন, পিসেই নামে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। ৩৫ বছর বয়সী এই কর্মকর্তার মতে, নির্বাচনে বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করার ফলে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কম্বোডিয়ার নাম খারাপ হবে। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সব সময়ই বিরোধী দল থাকবে।’ তাঁর মতে, সরকার কী করছে, তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারার জন্য বিরোধী দলের উপস্থিতি জরুরি। তবে পিসেই ভোট দেবেন কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রণালয় যা করতে বলবে আমি তা–ই করব।’
আইনের শিক্ষার্থী কুশল জানান, তাঁর বাবা-মা সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন এবং তাঁরা সব সময়ই সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করে থাকেন। কুশল জানালেন, ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর। সে বছর নির্বাচনে বিরোধীরা হুন সেনের কাছ থেকে বিজয় প্রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ব্যাপক ধর-পাকড় এবং নানা কারণেই বিরোধীরা শেষ পর্যন্ত আর সরকারি দলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। ফলে দেশটির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিবর্তনও আসেনি। তাঁর মতে, বিরোধীদের ওপর নির্যাতন স্রেফ হাস্যকর। কুশলের মতে, এমন দমন-পীড়ন যতই চলতে থাকবে সমাজে এসব বিষয় ততই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
কুশল বলেন, ‘আপনি যখন প্রতিনিয়ত একই বিষয় বারবার ঘটতে দেখবেন তখন আপনি দ্রুত বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। তাই আসলে নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ আমি জানি, কোনো কিছুই বদলাবে না।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভোট দেওয়া এখন আইন করে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাই আমি কেন্দ্রে যাব এবং ভোট দিয়ে বাড়িতে চলে আসব।’
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে, আদালতের আদেশে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পর দেশটির নির্বাসিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং অধিকারকর্মীরা জনগণকে নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানান। তাঁরা ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান, যদি তাঁরা ভোট দিতে বাধ্য হন তবে যেন ভোট কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে ব্যালট নষ্ট করে ফেলেন কিংবা খালি রেখে আসেন। এই আহ্বান বেশ কাজে দিয়েছিল। সে বছর কাস্ট হওয়া মোট ভোটের দশ ভাগের এক ভাগই বাতিল হয়েছিল।
২৩ জুলাইয়ের নির্বাচনে ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে— এই আশঙ্কায় অগ্রিম হুমকি দিয়েছেন হুন সেন। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা কী করছেন তা আমার অজানা নয় এবং আপনারা কী বলছেন তাও আমার কানে পৌঁছায়।’
সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইস্ট অ্যান্ড সাউথ-ইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার এবং কম্বোডিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যাস্ট্রিড নরেন-নিলসেন বলেন, ‘সম্ভবত এবারের নির্বাচনে গতবারের চেয়ে প্রতিরোধ কমই হতে যাচ্ছে।’ তাঁর মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো, সরকার ভিন্নমত দমন করার পরও ২০২২ সালে সাউথ-ইস্ট এশিয়ান গেমসের মতো বড় ইভেন্ট এবং একই বছরে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনসে (আসিয়ান) হুন সেন সভাপতিত্ব করেন। এটা তাঁর বড় বিজয়। এসব বিষয় নির্দেশ করে, সরকার দেশের বাইরে বেশ কিছু সমর্থন অর্জন করতে পেরেছে।
নিলসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর আগের তুলনায় বর্তমান নির্বাচন সরকারের জন্য অনেক কম বিপজ্জনক। তবে এর মানে এই নয় যে, মানুষ প্রধান বৈধ বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে মেনে নেবে। তবে আমি মনে করি, এর মাধ্যমে জনগণের মনোযোগ নির্বাচন থেকে অন্যদিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
তবে বিরোধীরা জানেন, মানুষের ক্ষোভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি বরং তা এক ধরনের ‘শীতনিদ্রা’ বা ‘শীতল পর্যায়ে’ প্রবেশ করেছে। এ বিষয়ে, ক্যান্ডেল লাইট পার্টির নেতা ফন সোফিয়া বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, কম্বোডিয়ার তরুণেরা রাজনীতি সচেতন নয়। তারা অবশ্যই সচেতন, তবে আশা হারিয়ে ফেলেছে।’
সোফিয়ার মতে, ‘কম্বোডিয়ার তরুণেরা স্মার্ট। তারা জানে, কীভাবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। কম্বোডিয়ার তরুণেরা যদি দেখে, কোনো একটি দল সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে তবে তারা আবার ফিরে আসবে।’
আল-জাজিরা থেকে অনূদিত

কম্বোডিয়া ক্রমেই একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশটির জনগণের কাছে একমাত্র আস্থাভাজন বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একপ্রকার নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। নানা কৌশলে দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির নাগরিকেরা। সোভানি নামে এক নাগরিক বলেন, ‘আমি ভোটই দেব না। কেন আমি ভোট দিতে যাব, যেখানে নির্বাচনে একটিমাত্র দলই অংশ নিয়েছে? ভোট দিতে যাওয়া তো স্রেফ সময়ের অপচয়।’ সোভানি বলেন, ‘খেলার মাঠে অন্তত দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রয়োজন।’ কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী একজন হলে সেই খেলার আর কোনো অর্থ থাকে...—প্রশ্ন সোভানির।
রোববার (২৩ জুলাই) কম্বোডিয়ার সপ্তম জাতীয় নির্বাচন। এতে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিসহ (সিপিপি) সব মিলিয়ে ১৮টি দল অংশ নেবে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টিকে’ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য করায় এবারও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেনই ক্ষমতার মসনদ নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন।
এর আগেও ২০১৮ সালে হুন সেন যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখনো বিরোধী দলকে দমনের একই খেলা মঞ্চায়িত হয়েছিল। সে সময়কার জনপ্রিয় প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকেও আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে গতবারের মতো এবারও ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ করে নিয়েছেন হুন সেন। যদিও তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হুন সেনের সরকার কেবল প্রধান বিরোধী দলকে দমন করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা সরকারের সমালোচক সব মুখ বন্ধ করতেও উঠেপড়ে লেগেছে। এইতো, গত ২৩ জুন কম্বোডিয়ার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিপি দেশটির নির্বাচন আইন সংশোধন করেছে। যেখানে বলা হয়েছে—কোনো কেউ নাগরিকদের ভোট না দিতে উৎসাহিত করে তবে তা অপরাধমূলক ‘উসকানি’ বলে বিবেচিত হবে। সরকার সতর্ক করে বলেছে, যারা এমনটা করবে তাদের জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
তবে হুন সেনের দাবি, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং যারা মানুষকে ভোটদানে বিরত রাখার ‘অপচেষ্টা’ চালায় তাদের রুখতেই এই আইন সংশোধন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে মূলত কম্বোডিয়ার বিগত ৩০ বছরে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সংশোধিত আইনের প্রথম ‘বলি’ যূপকাষ্ঠে উঠে গেছে। গত সপ্তাহেই ক্যান্ডেল লাইট পার্টির দুই কর্মীকে এই আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তাঁরা জনগণকে ভোট না দিতে ‘উসকে’ দিচ্ছিলেন। এরপর একই আইনে ক্যান্ডেল লাইট পার্টির আরও দুজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বিদেশে থাকা ১৭ জন বিরোধী রাজনীতিবিদকে এ আইনের আওতায় ২০ থেকে ২৫ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেবল তাই নয়, সরকারি নিয়ন্ত্রণের খড়্গ গিয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ওপরও। সরকার বেশ কয়েকটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং ডেটাবেইস সংস্থার ওয়েবসাইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা জনমনে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়াচ্ছে এবং ‘সরকারের মর্যাদাকে’ আক্রমণ করছে।

সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া, নির্বাচন নিয়ে নতুন আইন করার ফলে সাধারণ কম্বোডীয়রা ভাবছেন, তাঁদের সামনে এখন একটাই বিকল্প রয়েছে—তা হলো, ভোটের দিন চুপচাপ বাড়িতে বসে থাকা। এমন মনোভাবই দেখা গেল লি মিঙ নামে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণের মধ্যে। তিনি দেশটির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। মিঙ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে, ৩০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে শহর থেকে গ্রামে গিয়ে ভোট দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। কারণ আমি জানি, কী ঘটতে যাচ্ছে।’
তবে লি মিঙকে বেশ সতর্ক মনে হলো। তিনি জানালেন, তাঁর ভোট না দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানাতে চান না। পরিবার কিংবা বন্ধু-স্বজন; কাউকেই না। যদিও সরকারের সঙ্গে তাঁর পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সামান্যতম কোনো সংযোগ নেই, এরপরও তিনি বিষয়টি গোপন রাখতে চান। তাঁর কাছে, বর্তমান কম্বোডিয়ায় চুপ থাকা এবং ভোট দিতে না যাওয়াটাই নিরাপদ থাকার সবচেয়ে বড় উপায়।
কেবল সাধারণ জনগণ কিংবা বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই নয়, ক্ষমতাসীন দলেরও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে—যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। তাঁদের মতে, এটি কম্বোডিয়ার সরকারব্যবস্থার জন্য ভালো তো নয়ই, এটি কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকেও ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করবে।
এমনটাই জানালেন, পিসেই নামে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। ৩৫ বছর বয়সী এই কর্মকর্তার মতে, নির্বাচনে বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করার ফলে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কম্বোডিয়ার নাম খারাপ হবে। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সব সময়ই বিরোধী দল থাকবে।’ তাঁর মতে, সরকার কী করছে, তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারার জন্য বিরোধী দলের উপস্থিতি জরুরি। তবে পিসেই ভোট দেবেন কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রণালয় যা করতে বলবে আমি তা–ই করব।’
আইনের শিক্ষার্থী কুশল জানান, তাঁর বাবা-মা সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন এবং তাঁরা সব সময়ই সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করে থাকেন। কুশল জানালেন, ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর। সে বছর নির্বাচনে বিরোধীরা হুন সেনের কাছ থেকে বিজয় প্রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ব্যাপক ধর-পাকড় এবং নানা কারণেই বিরোধীরা শেষ পর্যন্ত আর সরকারি দলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। ফলে দেশটির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিবর্তনও আসেনি। তাঁর মতে, বিরোধীদের ওপর নির্যাতন স্রেফ হাস্যকর। কুশলের মতে, এমন দমন-পীড়ন যতই চলতে থাকবে সমাজে এসব বিষয় ততই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
কুশল বলেন, ‘আপনি যখন প্রতিনিয়ত একই বিষয় বারবার ঘটতে দেখবেন তখন আপনি দ্রুত বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। তাই আসলে নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ আমি জানি, কোনো কিছুই বদলাবে না।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভোট দেওয়া এখন আইন করে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাই আমি কেন্দ্রে যাব এবং ভোট দিয়ে বাড়িতে চলে আসব।’
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে, আদালতের আদেশে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পর দেশটির নির্বাসিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং অধিকারকর্মীরা জনগণকে নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানান। তাঁরা ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান, যদি তাঁরা ভোট দিতে বাধ্য হন তবে যেন ভোট কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে ব্যালট নষ্ট করে ফেলেন কিংবা খালি রেখে আসেন। এই আহ্বান বেশ কাজে দিয়েছিল। সে বছর কাস্ট হওয়া মোট ভোটের দশ ভাগের এক ভাগই বাতিল হয়েছিল।
২৩ জুলাইয়ের নির্বাচনে ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে— এই আশঙ্কায় অগ্রিম হুমকি দিয়েছেন হুন সেন। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা কী করছেন তা আমার অজানা নয় এবং আপনারা কী বলছেন তাও আমার কানে পৌঁছায়।’
সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইস্ট অ্যান্ড সাউথ-ইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার এবং কম্বোডিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যাস্ট্রিড নরেন-নিলসেন বলেন, ‘সম্ভবত এবারের নির্বাচনে গতবারের চেয়ে প্রতিরোধ কমই হতে যাচ্ছে।’ তাঁর মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো, সরকার ভিন্নমত দমন করার পরও ২০২২ সালে সাউথ-ইস্ট এশিয়ান গেমসের মতো বড় ইভেন্ট এবং একই বছরে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনসে (আসিয়ান) হুন সেন সভাপতিত্ব করেন। এটা তাঁর বড় বিজয়। এসব বিষয় নির্দেশ করে, সরকার দেশের বাইরে বেশ কিছু সমর্থন অর্জন করতে পেরেছে।
নিলসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর আগের তুলনায় বর্তমান নির্বাচন সরকারের জন্য অনেক কম বিপজ্জনক। তবে এর মানে এই নয় যে, মানুষ প্রধান বৈধ বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে মেনে নেবে। তবে আমি মনে করি, এর মাধ্যমে জনগণের মনোযোগ নির্বাচন থেকে অন্যদিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
তবে বিরোধীরা জানেন, মানুষের ক্ষোভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি বরং তা এক ধরনের ‘শীতনিদ্রা’ বা ‘শীতল পর্যায়ে’ প্রবেশ করেছে। এ বিষয়ে, ক্যান্ডেল লাইট পার্টির নেতা ফন সোফিয়া বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, কম্বোডিয়ার তরুণেরা রাজনীতি সচেতন নয়। তারা অবশ্যই সচেতন, তবে আশা হারিয়ে ফেলেছে।’
সোফিয়ার মতে, ‘কম্বোডিয়ার তরুণেরা স্মার্ট। তারা জানে, কীভাবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। কম্বোডিয়ার তরুণেরা যদি দেখে, কোনো একটি দল সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে তবে তারা আবার ফিরে আসবে।’
আল-জাজিরা থেকে অনূদিত

কম্বোডিয়া ক্রমেই একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশটির জনগণের কাছে একমাত্র আস্থাভাজন বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একপ্রকার নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। নানা কৌশলে দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির নাগরিকেরা। সোভানি নামে এক নাগরিক বলেন, ‘আমি ভোটই দেব না। কেন আমি ভোট দিতে যাব, যেখানে নির্বাচনে একটিমাত্র দলই অংশ নিয়েছে? ভোট দিতে যাওয়া তো স্রেফ সময়ের অপচয়।’ সোভানি বলেন, ‘খেলার মাঠে অন্তত দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রয়োজন।’ কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী একজন হলে সেই খেলার আর কোনো অর্থ থাকে...—প্রশ্ন সোভানির।
রোববার (২৩ জুলাই) কম্বোডিয়ার সপ্তম জাতীয় নির্বাচন। এতে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিসহ (সিপিপি) সব মিলিয়ে ১৮টি দল অংশ নেবে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টিকে’ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য করায় এবারও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেনই ক্ষমতার মসনদ নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন।
এর আগেও ২০১৮ সালে হুন সেন যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখনো বিরোধী দলকে দমনের একই খেলা মঞ্চায়িত হয়েছিল। সে সময়কার জনপ্রিয় প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকেও আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে গতবারের মতো এবারও ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ করে নিয়েছেন হুন সেন। যদিও তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হুন সেনের সরকার কেবল প্রধান বিরোধী দলকে দমন করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা সরকারের সমালোচক সব মুখ বন্ধ করতেও উঠেপড়ে লেগেছে। এইতো, গত ২৩ জুন কম্বোডিয়ার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিপি দেশটির নির্বাচন আইন সংশোধন করেছে। যেখানে বলা হয়েছে—কোনো কেউ নাগরিকদের ভোট না দিতে উৎসাহিত করে তবে তা অপরাধমূলক ‘উসকানি’ বলে বিবেচিত হবে। সরকার সতর্ক করে বলেছে, যারা এমনটা করবে তাদের জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
তবে হুন সেনের দাবি, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং যারা মানুষকে ভোটদানে বিরত রাখার ‘অপচেষ্টা’ চালায় তাদের রুখতেই এই আইন সংশোধন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে মূলত কম্বোডিয়ার বিগত ৩০ বছরে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সংশোধিত আইনের প্রথম ‘বলি’ যূপকাষ্ঠে উঠে গেছে। গত সপ্তাহেই ক্যান্ডেল লাইট পার্টির দুই কর্মীকে এই আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তাঁরা জনগণকে ভোট না দিতে ‘উসকে’ দিচ্ছিলেন। এরপর একই আইনে ক্যান্ডেল লাইট পার্টির আরও দুজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বিদেশে থাকা ১৭ জন বিরোধী রাজনীতিবিদকে এ আইনের আওতায় ২০ থেকে ২৫ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেবল তাই নয়, সরকারি নিয়ন্ত্রণের খড়্গ গিয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ওপরও। সরকার বেশ কয়েকটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং ডেটাবেইস সংস্থার ওয়েবসাইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা জনমনে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়াচ্ছে এবং ‘সরকারের মর্যাদাকে’ আক্রমণ করছে।

সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া, নির্বাচন নিয়ে নতুন আইন করার ফলে সাধারণ কম্বোডীয়রা ভাবছেন, তাঁদের সামনে এখন একটাই বিকল্প রয়েছে—তা হলো, ভোটের দিন চুপচাপ বাড়িতে বসে থাকা। এমন মনোভাবই দেখা গেল লি মিঙ নামে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণের মধ্যে। তিনি দেশটির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। মিঙ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে, ৩০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে শহর থেকে গ্রামে গিয়ে ভোট দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। কারণ আমি জানি, কী ঘটতে যাচ্ছে।’
তবে লি মিঙকে বেশ সতর্ক মনে হলো। তিনি জানালেন, তাঁর ভোট না দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানাতে চান না। পরিবার কিংবা বন্ধু-স্বজন; কাউকেই না। যদিও সরকারের সঙ্গে তাঁর পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সামান্যতম কোনো সংযোগ নেই, এরপরও তিনি বিষয়টি গোপন রাখতে চান। তাঁর কাছে, বর্তমান কম্বোডিয়ায় চুপ থাকা এবং ভোট দিতে না যাওয়াটাই নিরাপদ থাকার সবচেয়ে বড় উপায়।
কেবল সাধারণ জনগণ কিংবা বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই নয়, ক্ষমতাসীন দলেরও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে—যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। তাঁদের মতে, এটি কম্বোডিয়ার সরকারব্যবস্থার জন্য ভালো তো নয়ই, এটি কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকেও ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করবে।
এমনটাই জানালেন, পিসেই নামে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। ৩৫ বছর বয়সী এই কর্মকর্তার মতে, নির্বাচনে বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করার ফলে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কম্বোডিয়ার নাম খারাপ হবে। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সব সময়ই বিরোধী দল থাকবে।’ তাঁর মতে, সরকার কী করছে, তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারার জন্য বিরোধী দলের উপস্থিতি জরুরি। তবে পিসেই ভোট দেবেন কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রণালয় যা করতে বলবে আমি তা–ই করব।’
আইনের শিক্ষার্থী কুশল জানান, তাঁর বাবা-মা সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন এবং তাঁরা সব সময়ই সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করে থাকেন। কুশল জানালেন, ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর। সে বছর নির্বাচনে বিরোধীরা হুন সেনের কাছ থেকে বিজয় প্রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ব্যাপক ধর-পাকড় এবং নানা কারণেই বিরোধীরা শেষ পর্যন্ত আর সরকারি দলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। ফলে দেশটির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিবর্তনও আসেনি। তাঁর মতে, বিরোধীদের ওপর নির্যাতন স্রেফ হাস্যকর। কুশলের মতে, এমন দমন-পীড়ন যতই চলতে থাকবে সমাজে এসব বিষয় ততই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
কুশল বলেন, ‘আপনি যখন প্রতিনিয়ত একই বিষয় বারবার ঘটতে দেখবেন তখন আপনি দ্রুত বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। তাই আসলে নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ আমি জানি, কোনো কিছুই বদলাবে না।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভোট দেওয়া এখন আইন করে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাই আমি কেন্দ্রে যাব এবং ভোট দিয়ে বাড়িতে চলে আসব।’
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে, আদালতের আদেশে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পর দেশটির নির্বাসিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং অধিকারকর্মীরা জনগণকে নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানান। তাঁরা ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান, যদি তাঁরা ভোট দিতে বাধ্য হন তবে যেন ভোট কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে ব্যালট নষ্ট করে ফেলেন কিংবা খালি রেখে আসেন। এই আহ্বান বেশ কাজে দিয়েছিল। সে বছর কাস্ট হওয়া মোট ভোটের দশ ভাগের এক ভাগই বাতিল হয়েছিল।
২৩ জুলাইয়ের নির্বাচনে ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে— এই আশঙ্কায় অগ্রিম হুমকি দিয়েছেন হুন সেন। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা কী করছেন তা আমার অজানা নয় এবং আপনারা কী বলছেন তাও আমার কানে পৌঁছায়।’
সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইস্ট অ্যান্ড সাউথ-ইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার এবং কম্বোডিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যাস্ট্রিড নরেন-নিলসেন বলেন, ‘সম্ভবত এবারের নির্বাচনে গতবারের চেয়ে প্রতিরোধ কমই হতে যাচ্ছে।’ তাঁর মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো, সরকার ভিন্নমত দমন করার পরও ২০২২ সালে সাউথ-ইস্ট এশিয়ান গেমসের মতো বড় ইভেন্ট এবং একই বছরে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনসে (আসিয়ান) হুন সেন সভাপতিত্ব করেন। এটা তাঁর বড় বিজয়। এসব বিষয় নির্দেশ করে, সরকার দেশের বাইরে বেশ কিছু সমর্থন অর্জন করতে পেরেছে।
নিলসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর আগের তুলনায় বর্তমান নির্বাচন সরকারের জন্য অনেক কম বিপজ্জনক। তবে এর মানে এই নয় যে, মানুষ প্রধান বৈধ বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে মেনে নেবে। তবে আমি মনে করি, এর মাধ্যমে জনগণের মনোযোগ নির্বাচন থেকে অন্যদিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
তবে বিরোধীরা জানেন, মানুষের ক্ষোভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি বরং তা এক ধরনের ‘শীতনিদ্রা’ বা ‘শীতল পর্যায়ে’ প্রবেশ করেছে। এ বিষয়ে, ক্যান্ডেল লাইট পার্টির নেতা ফন সোফিয়া বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, কম্বোডিয়ার তরুণেরা রাজনীতি সচেতন নয়। তারা অবশ্যই সচেতন, তবে আশা হারিয়ে ফেলেছে।’
সোফিয়ার মতে, ‘কম্বোডিয়ার তরুণেরা স্মার্ট। তারা জানে, কীভাবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। কম্বোডিয়ার তরুণেরা যদি দেখে, কোনো একটি দল সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে তবে তারা আবার ফিরে আসবে।’
আল-জাজিরা থেকে অনূদিত

কম্বোডিয়া ক্রমেই একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশটির জনগণের কাছে একমাত্র আস্থাভাজন বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একপ্রকার নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। নানা কৌশলে দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ দেশটির নাগরিকেরা। সোভানি নামে এক নাগরিক বলেন, ‘আমি ভোটই দেব না। কেন আমি ভোট দিতে যাব, যেখানে নির্বাচনে একটিমাত্র দলই অংশ নিয়েছে? ভোট দিতে যাওয়া তো স্রেফ সময়ের অপচয়।’ সোভানি বলেন, ‘খেলার মাঠে অন্তত দুজন প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রয়োজন।’ কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বী একজন হলে সেই খেলার আর কোনো অর্থ থাকে...—প্রশ্ন সোভানির।
রোববার (২৩ জুলাই) কম্বোডিয়ার সপ্তম জাতীয় নির্বাচন। এতে ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টিসহ (সিপিপি) সব মিলিয়ে ১৮টি দল অংশ নেবে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল ‘ক্যান্ডেল লাইট পার্টিকে’ নির্বাচনে অনুপস্থিত থাকতে বাধ্য করায় এবারও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হুন সেনই ক্ষমতার মসনদ নিশ্চিত করতে যাচ্ছেন।
এর আগেও ২০১৮ সালে হুন সেন যখন প্রধানমন্ত্রী হন তখনো বিরোধী দলকে দমনের একই খেলা মঞ্চায়িত হয়েছিল। সে সময়কার জনপ্রিয় প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকেও আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ফলে গতবারের মতো এবারও ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার সুযোগ করে নিয়েছেন হুন সেন। যদিও তিনি একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
হুন সেনের সরকার কেবল প্রধান বিরোধী দলকে দমন করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা সরকারের সমালোচক সব মুখ বন্ধ করতেও উঠেপড়ে লেগেছে। এইতো, গত ২৩ জুন কম্বোডিয়ার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ সিপিপি দেশটির নির্বাচন আইন সংশোধন করেছে। যেখানে বলা হয়েছে—কোনো কেউ নাগরিকদের ভোট না দিতে উৎসাহিত করে তবে তা অপরাধমূলক ‘উসকানি’ বলে বিবেচিত হবে। সরকার সতর্ক করে বলেছে, যারা এমনটা করবে তাদের জেল-জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।
তবে হুন সেনের দাবি, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং যারা মানুষকে ভোটদানে বিরত রাখার ‘অপচেষ্টা’ চালায় তাদের রুখতেই এই আইন সংশোধন। তবে সমালোচকেরা বলছেন, এর মাধ্যমে মূলত কম্বোডিয়ার বিগত ৩০ বছরে বহুদলীয় গণতন্ত্রের ইতিহাসে সবচেয়ে কম অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন নিশ্চিত করা হয়েছে।
এরই মধ্যে সংশোধিত আইনের প্রথম ‘বলি’ যূপকাষ্ঠে উঠে গেছে। গত সপ্তাহেই ক্যান্ডেল লাইট পার্টির দুই কর্মীকে এই আইনের আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তাঁরা জনগণকে ভোট না দিতে ‘উসকে’ দিচ্ছিলেন। এরপর একই আইনে ক্যান্ডেল লাইট পার্টির আরও দুজন কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া বিদেশে থাকা ১৭ জন বিরোধী রাজনীতিবিদকে এ আইনের আওতায় ২০ থেকে ২৫ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
কেবল তাই নয়, সরকারি নিয়ন্ত্রণের খড়্গ গিয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমের ওপরও। সরকার বেশ কয়েকটি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম এবং ডেটাবেইস সংস্থার ওয়েবসাইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ—তারা জনমনে ‘বিভ্রান্তি’ ছড়াচ্ছে এবং ‘সরকারের মর্যাদাকে’ আক্রমণ করছে।

সংবাদমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া, নির্বাচন নিয়ে নতুন আইন করার ফলে সাধারণ কম্বোডীয়রা ভাবছেন, তাঁদের সামনে এখন একটাই বিকল্প রয়েছে—তা হলো, ভোটের দিন চুপচাপ বাড়িতে বসে থাকা। এমন মনোভাবই দেখা গেল লি মিঙ নামে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণের মধ্যে। তিনি দেশটির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। মিঙ বলেন, ‘এমন পরিস্থিতিতে, ৩০০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে শহর থেকে গ্রামে গিয়ে ভোট দেওয়ার কোনো মানেই হয় না। কারণ আমি জানি, কী ঘটতে যাচ্ছে।’
তবে লি মিঙকে বেশ সতর্ক মনে হলো। তিনি জানালেন, তাঁর ভোট না দেওয়ার বিষয়টি কাউকে জানাতে চান না। পরিবার কিংবা বন্ধু-স্বজন; কাউকেই না। যদিও সরকারের সঙ্গে তাঁর পরিবার বা বন্ধুবান্ধবদের সামান্যতম কোনো সংযোগ নেই, এরপরও তিনি বিষয়টি গোপন রাখতে চান। তাঁর কাছে, বর্তমান কম্বোডিয়ায় চুপ থাকা এবং ভোট দিতে না যাওয়াটাই নিরাপদ থাকার সবচেয়ে বড় উপায়।
কেবল সাধারণ জনগণ কিংবা বিরোধীদলীয় রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই নয়, ক্ষমতাসীন দলেরও অনেকেই বিশ্বাস করেন যে—যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে তা স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা। তাঁদের মতে, এটি কম্বোডিয়ার সরকারব্যবস্থার জন্য ভালো তো নয়ই, এটি কম্বোডিয়ার আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তিকেও ভীষণভাবে ক্ষুণ্ন করবে।
এমনটাই জানালেন, পিসেই নামে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা। ৩৫ বছর বয়সী এই কর্মকর্তার মতে, নির্বাচনে বিরোধী দলকে নিষিদ্ধ করার ফলে গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে কম্বোডিয়ার নাম খারাপ হবে। তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সব সময়ই বিরোধী দল থাকবে।’ তাঁর মতে, সরকার কী করছে, তা স্পষ্টভাবে বুঝতে পারার জন্য বিরোধী দলের উপস্থিতি জরুরি। তবে পিসেই ভোট দেবেন কিনা এমন প্রশ্নে বলেন, ‘আমাকে মন্ত্রণালয় যা করতে বলবে আমি তা–ই করব।’
আইনের শিক্ষার্থী কুশল জানান, তাঁর বাবা-মা সরকারের একটি মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন এবং তাঁরা সব সময়ই সরকারের দুর্নীতির সমালোচনা করে থাকেন। কুশল জানালেন, ২০১৩ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় তাঁর বয়স ছিল ১৯ বছর। সে বছর নির্বাচনে বিরোধীরা হুন সেনের কাছ থেকে বিজয় প্রায় ছিনিয়ে নিয়েছিল। কিন্তু ব্যাপক ধর-পাকড় এবং নানা কারণেই বিরোধীরা শেষ পর্যন্ত আর সরকারি দলের সঙ্গে পেরে ওঠেনি। ফলে দেশটির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কোনো পরিবর্তনও আসেনি। তাঁর মতে, বিরোধীদের ওপর নির্যাতন স্রেফ হাস্যকর। কুশলের মতে, এমন দমন-পীড়ন যতই চলতে থাকবে সমাজে এসব বিষয় ততই স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
কুশল বলেন, ‘আপনি যখন প্রতিনিয়ত একই বিষয় বারবার ঘটতে দেখবেন তখন আপনি দ্রুত বিষয়টির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে উঠবেন। তাই আসলে নির্বাচন নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ আমি জানি, কোনো কিছুই বদলাবে না।’ তিনি বলেন, ‘যেহেতু ভোট দেওয়া এখন আইন করে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তাই আমি কেন্দ্রে যাব এবং ভোট দিয়ে বাড়িতে চলে আসব।’
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে, আদালতের আদেশে তৎকালীন প্রধান বিরোধী দল কম্বোডিয়া ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পর দেশটির নির্বাসিত রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং অধিকারকর্মীরা জনগণকে নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানান। তাঁরা ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান, যদি তাঁরা ভোট দিতে বাধ্য হন তবে যেন ভোট কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে ব্যালট নষ্ট করে ফেলেন কিংবা খালি রেখে আসেন। এই আহ্বান বেশ কাজে দিয়েছিল। সে বছর কাস্ট হওয়া মোট ভোটের দশ ভাগের এক ভাগই বাতিল হয়েছিল।
২৩ জুলাইয়ের নির্বাচনে ২০১৮ সালের নির্বাচনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে— এই আশঙ্কায় অগ্রিম হুমকি দিয়েছেন হুন সেন। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আপনারা কী করছেন তা আমার অজানা নয় এবং আপনারা কী বলছেন তাও আমার কানে পৌঁছায়।’
সুইডেনের লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইস্ট অ্যান্ড সাউথ-ইস্ট এশিয়ান স্টাডিজের সিনিয়র লেকচারার এবং কম্বোডিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ অ্যাস্ট্রিড নরেন-নিলসেন বলেন, ‘সম্ভবত এবারের নির্বাচনে গতবারের চেয়ে প্রতিরোধ কমই হতে যাচ্ছে।’ তাঁর মতে, এর পেছনে বড় কারণ হলো, সরকার ভিন্নমত দমন করার পরও ২০২২ সালে সাউথ-ইস্ট এশিয়ান গেমসের মতো বড় ইভেন্ট এবং একই বছরে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ-ইস্ট এশিয়ান নেশনসে (আসিয়ান) হুন সেন সভাপতিত্ব করেন। এটা তাঁর বড় বিজয়। এসব বিষয় নির্দেশ করে, সরকার দেশের বাইরে বেশ কিছু সমর্থন অর্জন করতে পেরেছে।
নিলসেন বলেন, ‘পাঁচ বছর আগের তুলনায় বর্তমান নির্বাচন সরকারের জন্য অনেক কম বিপজ্জনক। তবে এর মানে এই নয় যে, মানুষ প্রধান বৈধ বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে মেনে নেবে। তবে আমি মনে করি, এর মাধ্যমে জনগণের মনোযোগ নির্বাচন থেকে অন্যদিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।’
তবে বিরোধীরা জানেন, মানুষের ক্ষোভ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়নি বরং তা এক ধরনের ‘শীতনিদ্রা’ বা ‘শীতল পর্যায়ে’ প্রবেশ করেছে। এ বিষয়ে, ক্যান্ডেল লাইট পার্টির নেতা ফন সোফিয়া বলেন, ‘এর মানে এই নয় যে, কম্বোডিয়ার তরুণেরা রাজনীতি সচেতন নয়। তারা অবশ্যই সচেতন, তবে আশা হারিয়ে ফেলেছে।’
সোফিয়ার মতে, ‘কম্বোডিয়ার তরুণেরা স্মার্ট। তারা জানে, কীভাবে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়। কম্বোডিয়ার তরুণেরা যদি দেখে, কোনো একটি দল সত্যিকার অর্থেই গণতন্ত্রের জন্য কাজ করছে তবে তারা আবার ফিরে আসবে।’
আল-জাজিরা থেকে অনূদিত

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১৩ মিনিট আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৩ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

কম্বোডিয়া ক্রমেই একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশটির জনগণের কাছে একমাত্র আস্থাভাজন বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একপ্রকার নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। নানা কৌশলে দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
২২ জুলাই ২০২৩
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৩ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক ও কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো থেকে সরে যাচ্ছেন। টানা ১২ মাস চলা এই ভ্রমণ বর্জন থামার কোনো লক্ষণ এখনো নেই।
দীর্ঘদিন ধরে কানাডা ছিল যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সবচেয়ে বড় উৎস। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসা বিদেশি পর্যটকদের ২৮ শতাংশই ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে সেই সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন (ইউএসটিএ) জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ ২৩ শতাংশ কমেছে। ফলে আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৪ বিলিয়ন ডলার (৩০০ কোটি পাউন্ড) আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
তবে কানাডিয়ানরা ভ্রমণ কমাননি। তাহলে প্রশ্ন হলো, তাঁরা যাচ্ছেন কোথায়?
অনেকে নিজের দেশেই ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণবিষয়ক লেখক ও কনটেন্ট নির্মাতা এমিলি ব্রিয়োঁ জানান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর আহ্বানে সাড়া দিয়ে কানাডিয়ানরা যুক্তরাষ্ট্র বাদ দিয়ে দেশের ভেতরেই ঘুরতে শুরু করেছেন। এমিলি ব্রিয়োঁ বলেন, ‘আমি আগে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র দুটো দেশেই রোড ট্রিপ কভার করতাম। কিন্তু গত মার্চে সিদ্ধান্ত নিই, শুধু কানাডাকেই কেন্দ্র করব। আমি ২০২৫ সালের এপ্রিলে গ্র্যান্ড ক্যানিয়নে যাওয়ার পারিবারিক ভ্রমণ বাতিল করে সেই বাজেট কানাডায় ঘুরে ব্যয় করেছি।’
টরন্টোভিত্তিক জনসংযোগকর্মী ট্রেসি লামুরি আরও কড়া অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি আর কখনো সীমান্ত পার হব না। ভ্রমণের জন্য ইউরোপ বেছে নিয়েছি, আর কাজের জন্য জুমই যথেষ্ট। ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ আর মানবাধিকার পরিস্থিতির কারণে আগেও যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ মনে হতো না, এখন তো পুরোপুরি ‘নো-গো’ তালিকায়।
এই মনোভাব শুধু কানাডিয়ানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ইউএসটিএর হিসাব অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যটকেরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ কমিয়ে দিলে মোট ক্ষতি ৫.৭ বিলিয়ন ডলার (৪.২৮ বিলিয়ন পাউন্ড) হতে পারে।
কানাডার জাতীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা জানায়, ২০২৫ সালে দেশের ভেতরে ভ্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি কানাডিয়ানদের ভ্রমণ বেড়েছে মেক্সিকো, পর্তুগাল, বাহামাস ও বেলিজে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, মেক্সিকোর শহরগুলোতে কানাডিয়ান পর্যটক প্রায় ১২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বুয়েনস আইরেস, ওসাকা, কোপেনহেগেন ও কুরাসাওয়ের মতো গন্তব্যে কানাডিয়ানদের খরচ ২০২৪ সালের তুলনায় ১০০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।

অন্যদিকে, কানাডিয়ান পর্যটকের ওপর নির্ভরশীল যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঞ্চল ক্ষতির মুখে পড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা ভারমন্টে কানাডা থেকে আসা পর্যটক কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ। লাস ভেগাসে চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৮ শতাংশ কানাডিয়ানের ভ্রমণ কমেছে। ফোর্ট লডারডেল, আপস্টেট নিউইয়র্কসহ অনেক এলাকাতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এদিকে ইউরোপ ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইট বাড়ানোয় যুক্তরাষ্ট্র এড়িয়ে যাওয়া কানাডিয়ানদের জন্য বিকল্প আরও সহজ হয়েছে। এয়ার কানাডার নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক গালার্ডো এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বার্লিন, পন্তা দেলগাদা, নঁত ও ব্রাসেলসের মতো ইউরোপীয় শহরে নতুন নন-স্টপ রুট চালু করছি, যাতে ভ্রমণ সহজ হয় এবং পর্যটন ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার হয়।’
৪ থেকে ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে এয়ার কানাডা ক্যারিবীয়, মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকায় ১৩টি নতুন রুট চালু করছে; যা মূলত শীতকালে ফ্লোরিডা বা ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর নির্ভর করা কানাডিয়ান ‘স্নোবার্ড’দের লক্ষ্য করেই।
এই প্রবণতা কত দিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। তবে এমিলি ব্রিয়োঁ মনে করেন, এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। তিনি বলেন, ‘এটা কানাডিয়ানদের জন্য নিজের দেশের কম পরিচিত অঞ্চল ঘুরে দেখার সুযোগ। যেমন ব্যানফের বদলে কুটেনে। আমার মনে হচ্ছে না এটা স্বল্পমেয়াদি বিষয়; বরং কানাডিয়ানদের ভ্রমণ পছন্দে একটি স্থায়ী পরিবর্তনের সূচনা হচ্ছে।’

কম্বোডিয়া ক্রমেই একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশটির জনগণের কাছে একমাত্র আস্থাভাজন বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একপ্রকার নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। নানা কৌশলে দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
২২ জুলাই ২০২৩
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১৩ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৩ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। পটাশ বেলারুশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য।
১২৩ বন্দী মুক্তির পর জন কোয়াল বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে আরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পটাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা দীর্ঘ সময় একাকী বন্দিত্বে ছিলেন। মুক্তির পর তাঁর বোন তাতিয়ানা খোমিচ ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোমিচ বলেন, ‘সে মুক্ত। তাকে ভালো ও সুস্থই দেখাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও জানান, কোলেসনিকোভা প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া বেলারুশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বেলারুশের একটি আদালত ২০২৩ সালের মার্চে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির আদালত চোরাচালান ও জনজীবনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
৬৩ বছর বিলিয়াতস্কি ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন। ২০২১ সালে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে বিলিয়াতস্কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে সহযোগিতার জন্য অবৈধভাবে বাইরে থেকে বেলারুশে অর্থ আনার অভিযোগে আনা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজনকে শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছেন।
এই সমঝোতাকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে। সে সময় শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কোলেসনিকোভা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর বেলারুশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়। কারণ, দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করেই রুশ সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কোয়াল জানান, আলোচনায় তিনি লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় মিনস্ক কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মিনস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত, যা ইউরোপের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউরোপ যেখানে এখনো বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চাপে রাখতে চায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দী মুক্তির বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার মিত্রদেশ বেলারুশের ওপর আরোপিত কিছু অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সার উৎপাদনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পটাশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা। পটাশ বেলারুশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য।
১২৩ বন্দী মুক্তির পর জন কোয়াল বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে পর্যায়ক্রমে আরও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।’ বেলারুশের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, পটাশের ওপর নিষেধাজ্ঞা তাৎক্ষণিকভাবে তুলে নেওয়া হবে।
২০২০ সাল থেকে কারাবন্দী বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা দীর্ঘ সময় একাকী বন্দিত্বে ছিলেন। মুক্তির পর তাঁর বোন তাতিয়ানা খোমিচ ভিডিও কলে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেন। খোমিচ বলেন, ‘সে মুক্ত। তাকে ভালো ও সুস্থই দেখাচ্ছে। তাকে জড়িয়ে ধরার অপেক্ষায় আছি।’ তিনি আরও জানান, কোলেসনিকোভা প্রথমেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং আলোচনায় অংশ নেওয়া বেলারুশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, বেলারুশের একটি আদালত ২০২৩ সালের মার্চে শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী অ্যালেস বিলিয়াতস্কিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। সে সময় দেশটির আদালত চোরাচালান ও জনজীবনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কর্মকাণ্ডে অর্থায়নে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেন।
৬৩ বছর বিলিয়াতস্কি ২০২২ সালে শান্তিতে নোবেলজয়ী তিনজনের একজন। ২০২১ সালে বেলারুশের বিতর্কিত নির্বাচনের পর বিক্ষোভে জড়িয়ে পড়লে বিলিয়াতস্কিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে সহযোগিতার জন্য অবৈধভাবে বাইরে থেকে বেলারুশে অর্থ আনার অভিযোগে আনা হয়।
মুক্তিপ্রাপ্ত কয়েকজনকে শিগগিরই লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে লোকজন জড়ো হচ্ছেন।
এই সমঝোতাকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর জন্য বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই তাঁকে বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। পাঁচ বছর আগে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনের পর ব্যাপক বিক্ষোভ নিরাপত্তা বাহিনী কঠোরভাবে দমন করে। সে সময় শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হন, তাঁদের মধ্যেই ছিলেন কোলেসনিকোভা।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর বেলারুশের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরও কড়া হয়। কারণ, দেশটির ভূখণ্ড ব্যবহার করেই রুশ সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত কোয়াল জানান, আলোচনায় তিনি লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য শান্তি আলোচনায় মিনস্ক কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সে বিষয়েও মতবিনিময় হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের মতে, মিনস্কের সঙ্গে ওয়াশিংটনের এই সম্পৃক্ততা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত, যা ইউরোপের অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ইউরোপ যেখানে এখনো বেলারুশকে বিচ্ছিন্ন ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চাপে রাখতে চায়, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ধীরে ধীরে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পথে এগোচ্ছে।

কম্বোডিয়া ক্রমেই একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশটির জনগণের কাছে একমাত্র আস্থাভাজন বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একপ্রকার নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। নানা কৌশলে দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
২২ জুলাই ২০২৩
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১৩ মিনিট আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
১ ঘণ্টা আগে
রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতভর চালানো এসব হামলায় দেশের পাঁচটি অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগুন নেভানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করবেন। বার্লিনে প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেঙ্কো জানান, হামলার শিকার অঞ্চলগুলো হলো—দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা ও চেরনিহিভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, এসব হামলায় তারা কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সারা রাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হামলার কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে চালু নেই, তবে রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
এদিকে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর রোমান বুসারগিন।

রাতভর রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের বৈদ্যুতিক অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে দেশটির অন্তত ১০ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেঙ্কোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে, রাতভর চালানো এসব হামলায় দেশের পাঁচটি অঞ্চল আক্রান্ত হয়েছে। এতে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় আগুন নেভানো এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো রাশিয়ার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়ে উঠেছে। তবে শীতকাল ঘনিয়ে আসায় সাম্প্রতিক সময়ে এসব হামলার মাত্রা আরও বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে জার্মানি সফরে যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করবেন। বার্লিনে প্রস্তাবিত শান্তি চুক্তির সর্বশেষ খসড়া নিয়েই মূলত আলোচনা হবে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, রাতভর হামলায় রাশিয়া ৪৫০টির বেশি ড্রোন ও ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্লাইমেঙ্কো জানান, হামলার শিকার অঞ্চলগুলো হলো—দনিপ্রোপেত্রোভস্ক, কিরোভোহরাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা ও চেরনিহিভ।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে, এসব হামলায় তারা কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ বিভিন্ন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মাঝপথে দিক পরিবর্তন করতে পারে, ফলে এগুলো শনাক্ত করা কঠিন।
আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংযোগ সারা রাত বিচ্ছিন্ন ছিল। হামলার কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। রুশ নিয়ন্ত্রণাধীন এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমানে চালু নেই, তবে রিঅ্যাক্টর ঠান্ডা রাখতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রয়োজন।
এদিকে রাশিয়ার সারাতোভ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় একটি আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দুজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গভর্নর রোমান বুসারগিন।

কম্বোডিয়া ক্রমেই একদলীয় শাসনের পথে হাঁটছে। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশটির জনগণের কাছে একমাত্র আস্থাভাজন বিরোধী দলের ওপর দমনপীড়ন চালিয়ে একপ্রকার নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছে। নানা কৌশলে দলটিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণে অযোগ্য বলেও ঘোষণা করা হয়েছে।
২২ জুলাই ২০২৩
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১৩ মিনিট আগে
একটা সময় যুক্তরাষ্ট্রে আসা প্রতি চারজন বিদেশি পর্যটকের একজন ছিলেন কানাডিয়ান। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত ব্যাপক শুল্ক এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘৫১তম অঙ্গরাজ্য’ করার ইঙ্গিতের পর কানাডার বহু নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটানো...
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমঝোতার পর ১২৩ জন বন্দীকে মুক্তি দিয়েছে পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশ। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোলেসনিকোভা ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অধিকারকর্মী আলেস বিয়ালিয়াতস্কি। বেলারুশে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত জন কোয়ালের সঙ্গে আলোচনার পরই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া
৩ ঘণ্টা আগে