রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন, তাঁদের চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে টাকা দাবি করে। আর এই পুরো ঘটনার পেছনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের নাম উঠে এসেছে।
আহসান হাবীবকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর মা প্রক্টরের কার্যালয়ে অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আহসান হাবীব, তন্ময়সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক বায়েজিদ নামের এক প্রক্সিদাতা প্রক্সিকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ হিসেবে তন্ময়ের নাম প্রকাশ করেন। ওই ঘটনার পর তাঁকে সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। যদিও পরে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ, শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমদে, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন সনেট।
আহসান হাবীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৯ মে বিজ্ঞান ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় আহসান হাবীবের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। প্রক্সির জন্য একটি চক্রের সঙ্গে ৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন তিনি। ইতিমধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পপুলেশনস সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হতে আসেন তিনি।
সূত্রটি আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ না করায় দুপুরের দিকে আহসান হাবীবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দিকে ডেকে নিয়ে যান ওই চক্রের সদস্যরা। তখন তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখান থেকে তাঁকে শের-ই-বাংলা হলে নিয়ে এসে আটক রেখে তাঁর বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। তাঁর বাবার কাছে ওই চক্র আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় আহসান হাবীবকে মারধরও করা হয়।
আহসান হাবীবের মা খোঁজ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। পরে প্রশাসন ওই শিক্ষার্থীর বাবার মাধ্যমে জানতে পারে, আহসান হাবীবকে শের-ই-বাংলা হলে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহসান হাবীবের মা বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু যারা আমার ছেলেকে গুম করে আটকে রেখেছিল, তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।’
জানতে চাইলে আহসান হাবীবের বাবা সাইফুল ইসলাম আজ শুক্রবার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে তাকে আটকে রেখে মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ও প্রাঙ্গণ নাম বলে দুজন আমার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে এক ঘণ্টার মধ্যে এই টাকাটা দিতে বলে। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। মূলত তন্ময়ই এ ঘটনার “হেডমাস্টার”। আর তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিল।’
ছেলের প্রক্সির বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বিবাহিত। আমি তাকে কোনো টাকা দিইনি। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এই টাকা দিতে পারে। আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমি তন্ময়ের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা করব। প্রয়োজন হলে ঢাকায় যাব।’
এসব বিষয়ে জানতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ দিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সনেট ও প্রাঙ্গণ এ ঘটনার মূল কারিগর। ওই শিক্ষার্থী প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের সঙ্গে চুক্তিতে কিছু টাকা বাকি থাকায় আমার পাশের রুমে নিয়ে আসে। ঘটনা জানার পরে আমি তাদের হল থেকে বের করে দিই। পরে প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে বলেন তাদের ডেকে আনতে। যেহেতু আমি হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, তাই তাদের ফোন দিয়ে প্রভোস্ট স্যারের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিই। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।’
এ বিষয়ে জানতে শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ ও মহিবুল মমিন সনেটের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় মুশফিক বলে একজনের নাম এসেছে। তবে সেই মুশফিক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় কি না, সেটা আমরা নিশ্চিত না। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করব। এতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর এ ঘটনায় রাজু সম্পৃক্ত ছিল না। যেহেতু সে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, ঘটনা জানার পর সে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে গিয়েছিল।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিবাদীরা হলেন আহসান হাবীব, ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, রাজু, সাকিব ও প্রাঙ্গণ। আটক আহসান হাবীবকে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রাতেই আমরা পাঁচজনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আছেন। আজ ও আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রোববার হয়তো আমরা তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন, তাঁদের চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে টাকা দাবি করে। আর এই পুরো ঘটনার পেছনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের নাম উঠে এসেছে।
আহসান হাবীবকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর মা প্রক্টরের কার্যালয়ে অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আহসান হাবীব, তন্ময়সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক বায়েজিদ নামের এক প্রক্সিদাতা প্রক্সিকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ হিসেবে তন্ময়ের নাম প্রকাশ করেন। ওই ঘটনার পর তাঁকে সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। যদিও পরে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ, শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমদে, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন সনেট।
আহসান হাবীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৯ মে বিজ্ঞান ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় আহসান হাবীবের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। প্রক্সির জন্য একটি চক্রের সঙ্গে ৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন তিনি। ইতিমধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পপুলেশনস সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হতে আসেন তিনি।
সূত্রটি আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ না করায় দুপুরের দিকে আহসান হাবীবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দিকে ডেকে নিয়ে যান ওই চক্রের সদস্যরা। তখন তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখান থেকে তাঁকে শের-ই-বাংলা হলে নিয়ে এসে আটক রেখে তাঁর বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। তাঁর বাবার কাছে ওই চক্র আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় আহসান হাবীবকে মারধরও করা হয়।
আহসান হাবীবের মা খোঁজ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। পরে প্রশাসন ওই শিক্ষার্থীর বাবার মাধ্যমে জানতে পারে, আহসান হাবীবকে শের-ই-বাংলা হলে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহসান হাবীবের মা বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু যারা আমার ছেলেকে গুম করে আটকে রেখেছিল, তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।’
জানতে চাইলে আহসান হাবীবের বাবা সাইফুল ইসলাম আজ শুক্রবার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে তাকে আটকে রেখে মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ও প্রাঙ্গণ নাম বলে দুজন আমার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে এক ঘণ্টার মধ্যে এই টাকাটা দিতে বলে। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। মূলত তন্ময়ই এ ঘটনার “হেডমাস্টার”। আর তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিল।’
ছেলের প্রক্সির বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বিবাহিত। আমি তাকে কোনো টাকা দিইনি। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এই টাকা দিতে পারে। আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমি তন্ময়ের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা করব। প্রয়োজন হলে ঢাকায় যাব।’
এসব বিষয়ে জানতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ দিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সনেট ও প্রাঙ্গণ এ ঘটনার মূল কারিগর। ওই শিক্ষার্থী প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের সঙ্গে চুক্তিতে কিছু টাকা বাকি থাকায় আমার পাশের রুমে নিয়ে আসে। ঘটনা জানার পরে আমি তাদের হল থেকে বের করে দিই। পরে প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে বলেন তাদের ডেকে আনতে। যেহেতু আমি হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, তাই তাদের ফোন দিয়ে প্রভোস্ট স্যারের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিই। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।’
এ বিষয়ে জানতে শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ ও মহিবুল মমিন সনেটের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় মুশফিক বলে একজনের নাম এসেছে। তবে সেই মুশফিক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় কি না, সেটা আমরা নিশ্চিত না। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করব। এতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর এ ঘটনায় রাজু সম্পৃক্ত ছিল না। যেহেতু সে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, ঘটনা জানার পর সে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে গিয়েছিল।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিবাদীরা হলেন আহসান হাবীব, ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, রাজু, সাকিব ও প্রাঙ্গণ। আটক আহসান হাবীবকে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রাতেই আমরা পাঁচজনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আছেন। আজ ও আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রোববার হয়তো আমরা তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’
রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন, তাঁদের চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে টাকা দাবি করে। আর এই পুরো ঘটনার পেছনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের নাম উঠে এসেছে।
আহসান হাবীবকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর মা প্রক্টরের কার্যালয়ে অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আহসান হাবীব, তন্ময়সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক বায়েজিদ নামের এক প্রক্সিদাতা প্রক্সিকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ হিসেবে তন্ময়ের নাম প্রকাশ করেন। ওই ঘটনার পর তাঁকে সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। যদিও পরে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ, শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমদে, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন সনেট।
আহসান হাবীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৯ মে বিজ্ঞান ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় আহসান হাবীবের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। প্রক্সির জন্য একটি চক্রের সঙ্গে ৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন তিনি। ইতিমধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পপুলেশনস সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হতে আসেন তিনি।
সূত্রটি আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ না করায় দুপুরের দিকে আহসান হাবীবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দিকে ডেকে নিয়ে যান ওই চক্রের সদস্যরা। তখন তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখান থেকে তাঁকে শের-ই-বাংলা হলে নিয়ে এসে আটক রেখে তাঁর বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। তাঁর বাবার কাছে ওই চক্র আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় আহসান হাবীবকে মারধরও করা হয়।
আহসান হাবীবের মা খোঁজ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। পরে প্রশাসন ওই শিক্ষার্থীর বাবার মাধ্যমে জানতে পারে, আহসান হাবীবকে শের-ই-বাংলা হলে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহসান হাবীবের মা বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু যারা আমার ছেলেকে গুম করে আটকে রেখেছিল, তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।’
জানতে চাইলে আহসান হাবীবের বাবা সাইফুল ইসলাম আজ শুক্রবার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে তাকে আটকে রেখে মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ও প্রাঙ্গণ নাম বলে দুজন আমার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে এক ঘণ্টার মধ্যে এই টাকাটা দিতে বলে। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। মূলত তন্ময়ই এ ঘটনার “হেডমাস্টার”। আর তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিল।’
ছেলের প্রক্সির বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বিবাহিত। আমি তাকে কোনো টাকা দিইনি। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এই টাকা দিতে পারে। আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমি তন্ময়ের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা করব। প্রয়োজন হলে ঢাকায় যাব।’
এসব বিষয়ে জানতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ দিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সনেট ও প্রাঙ্গণ এ ঘটনার মূল কারিগর। ওই শিক্ষার্থী প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের সঙ্গে চুক্তিতে কিছু টাকা বাকি থাকায় আমার পাশের রুমে নিয়ে আসে। ঘটনা জানার পরে আমি তাদের হল থেকে বের করে দিই। পরে প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে বলেন তাদের ডেকে আনতে। যেহেতু আমি হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, তাই তাদের ফোন দিয়ে প্রভোস্ট স্যারের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিই। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।’
এ বিষয়ে জানতে শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ ও মহিবুল মমিন সনেটের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় মুশফিক বলে একজনের নাম এসেছে। তবে সেই মুশফিক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় কি না, সেটা আমরা নিশ্চিত না। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করব। এতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর এ ঘটনায় রাজু সম্পৃক্ত ছিল না। যেহেতু সে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, ঘটনা জানার পর সে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে গিয়েছিল।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিবাদীরা হলেন আহসান হাবীব, ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, রাজু, সাকিব ও প্রাঙ্গণ। আটক আহসান হাবীবকে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রাতেই আমরা পাঁচজনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আছেন। আজ ও আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রোববার হয়তো আমরা তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন, তাঁদের চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে টাকা দাবি করে। আর এই পুরো ঘটনার পেছনে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়ের নাম উঠে এসেছে।
আহসান হাবীবকে খুঁজে না পেয়ে তাঁর মা প্রক্টরের কার্যালয়ে অভিযোগ জানালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় আহসান হাবীব, তন্ময়সহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক বায়েজিদ নামের এক প্রক্সিদাতা প্রক্সিকাণ্ডের ‘মূল হোতা’ হিসেবে তন্ময়ের নাম প্রকাশ করেন। ওই ঘটনার পর তাঁকে সংগঠন থেকেও বহিষ্কার করে ছাত্রলীগ। যদিও পরে সেই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ছাড়াও এ ঘটনায় জড়িত ছিলেন শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ, শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাজু আহমদে, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মহিবুল মমিন সনেট।
আহসান হাবীবকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে একটি সূত্র জানিয়েছে, গত ২৯ মে বিজ্ঞান ইউনিটের তৃতীয় শিফটের পরীক্ষায় আহসান হাবীবের হয়ে অন্যজন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেন। প্রক্সির জন্য একটি চক্রের সঙ্গে ৪ লাখ টাকার চুক্তি করেন তিনি। ইতিমধ্যে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মাকে সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত পপুলেশনস সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হতে আসেন তিনি।
সূত্রটি আরও জানায়, চুক্তি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা এখনো পরিশোধ না করায় দুপুরের দিকে আহসান হাবীবকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের দিকে ডেকে নিয়ে যান ওই চক্রের সদস্যরা। তখন তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সেখান থেকে তাঁকে শের-ই-বাংলা হলে নিয়ে এসে আটক রেখে তাঁর বাবাকে ফোন দেওয়া হয়। তাঁর বাবার কাছে ওই চক্র আরও ৩ লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় আহসান হাবীবকে মারধরও করা হয়।
আহসান হাবীবের মা খোঁজ না পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শরণাপন্ন হন। পরে প্রশাসন ওই শিক্ষার্থীর বাবার মাধ্যমে জানতে পারে, আহসান হাবীবকে শের-ই-বাংলা হলে আটকে রাখা হয়েছে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে উদ্ধার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। সেখানে তিনি প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেছেন বলে স্বীকার করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে পুলিশে সোপর্দ করে।
আহসান হাবীবের মা বলেন, তাঁদের গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি বলেন, ‘আমার ছেলে যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে তার শাস্তি হোক। কিন্তু যারা আমার ছেলেকে গুম করে আটকে রেখেছিল, তাদেরও শাস্তি দিতে হবে।’
জানতে চাইলে আহসান হাবীবের বাবা সাইফুল ইসলাম আজ শুক্রবার মোবাইল ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল আমার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে গেলে তাকে আটকে রেখে মুশফিক তাহমিদ তন্ময় ও প্রাঙ্গণ নাম বলে দুজন আমার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। তারা আমাকে নানাভাবে হুমকি প্রদান করে এক ঘণ্টার মধ্যে এই টাকাটা দিতে বলে। আমি টাকা দিতে রাজি হইনি। মূলত তন্ময়ই এ ঘটনার “হেডমাস্টার”। আর তার সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন ছিল।’
ছেলের প্রক্সির বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে বিবাহিত। আমি তাকে কোনো টাকা দিইনি। তার শ্বশুরবাড়ি থেকে এই টাকা দিতে পারে। আমি নিজেও একজন সাংবাদিক। আমি তন্ময়ের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা করব। প্রয়োজন হলে ঢাকায় যাব।’
এসব বিষয়ে জানতে মুশফিক তাহমিদ তন্ময়কে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ দিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন শের-ই-বাংলা হল শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সনেট ও প্রাঙ্গণ এ ঘটনার মূল কারিগর। ওই শিক্ষার্থী প্রক্সির মাধ্যমে ভর্তি হতে এসেছে। তাদের সঙ্গে চুক্তিতে কিছু টাকা বাকি থাকায় আমার পাশের রুমে নিয়ে আসে। ঘটনা জানার পরে আমি তাদের হল থেকে বের করে দিই। পরে প্রভোস্ট স্যার ফোন দিয়ে বলেন তাদের ডেকে আনতে। যেহেতু আমি হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, তাই তাদের ফোন দিয়ে প্রভোস্ট স্যারের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিই। আমি এ ঘটনায় জড়িত নই।’
এ বিষয়ে জানতে শাকোয়ান সিদ্দিক ওরফে প্রাঙ্গণ ও মহিবুল মমিন সনেটের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে বন্ধ পাওয়া যায়।
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘এ ঘটনায় মুশফিক বলে একজনের নাম এসেছে। তবে সেই মুশফিক ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময় কি না, সেটা আমরা নিশ্চিত না। তবে বিষয়টি আমরা তদন্ত করব। এতে তার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর এ ঘটনায় রাজু সম্পৃক্ত ছিল না। যেহেতু সে হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, ঘটনা জানার পর সে ওই শিক্ষার্থীকে প্রশাসনের কাছে তুলে দিতে গিয়েছিল।’
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজ শুক্রবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার বিবাদীরা হলেন আহসান হাবীব, ছাত্রলীগ নেতা মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, রাজু, সাকিব ও প্রাঙ্গণ। আটক আহসান হাবীবকে আজ বিকেলে আদালতে পাঠানো হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘ভর্তি হতে আসা শিক্ষার্থী আহসান হাবীবের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গতকাল রাতেই আমরা পাঁচজনের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় এজাহার দায়ের করেছি। এখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরও কয়েকজন শিক্ষার্থী আছেন। আজ ও আগামীকাল বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় রোববার হয়তো আমরা তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব।’

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৪১ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।
আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।
আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন তাঁদেরকে চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে রেখে টাকা
১৮ আগস্ট ২০২৩
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৪১ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন তাঁদেরকে চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে রেখে টাকা
১৮ আগস্ট ২০২৩
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৪১ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন তাঁদেরকে চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে রেখে টাকা
১৮ আগস্ট ২০২৩
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৪১ মিনিট আগেবীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সির মাধ্যমে পাস করেন আহসান হাবীব নামে এক শিক্ষার্থী। কিন্তু যাঁদের মাধ্যমে তিনি এ কাজ করেছেন তাঁদেরকে চুক্তির পুরো টাকা পরিশোধ করেননি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এলে ওই চক্র আহসান হাবীবকে তুলে নিয়ে একটি হলে আটকে রেখে টাকা
১৮ আগস্ট ২০২৩
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৫ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৭ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩০ মিনিট আগে