জাহিদ হাসান, যশোর

‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। আমার স্বামী হার্টের রোগী। বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন যশোরে গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণী।
লাবণী বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জেলে থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছি। হার্টের রোগের কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন মধু। তাঁর সন্তানেরা কাদছে এবং বাবার বাড়ি আসার অপেক্ষায় আছে।
সন্তানেরা কাদছে আর বলছে, মা, আমাদের বাবা কবে আসবে? বাবার জন্য সন্তানেরা কান্নাকাটি করছে। সন্তানের কান্না কি দেখার কেউ নেই? ’
পেশায় গৃহিণী লাবণী বলেন, তাঁর স্বামী আমিনুর রহমান যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ কলেজের প্রভাষক। একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর বর্তমান যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৮ নভেম্বর ডান্ডাবেড়ি পরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর পর অমিনুরের স্ত্রীর করা রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় রুল জারি করেছেন। অসুস্থ আমিনুরকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্ত্রী, মা ও দুই সন্তান নিয়ে আমিনুরের সংসার। আমিনুরের মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। ১৬ বছর বয়সী কিশোর ছেলে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাহিদা আক্তার লাবণী বলেন, ‘আমার স্বামী শিক্ষক। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেদিন আমিনুররে ধরে নিয়ে যায়; সেই দিনও তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেন। সে কোনো নাশকতা করেনি। উনি যদি নাশকতা করত, তাহলে ভয়ে পালিয়ে বেড়াত গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে। বিনা দোষে আমার স্বামী আজ কারাগারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশা ছাড়া আমার স্বামীর অন্য কোনো আয় উপার্জনের মাধ্যম নেই। সেই একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তিটাই আজ কারাগারে। ফলে অসুস্থ শাশুড়ি আর দুই সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছি। মাঝেমধ্যে তার সহকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে তারা বাজারও করে দিয়েছে। কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছি।
আজ সোমবার যশোর আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল। কিন্তু তাঁকে আজ আদালতে আনা হয়নি।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও কারা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এ সময়ও তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। বর্তমানে তিনি এখন যশোর কারাগারে।
সর্বশেষ পহেলা ডিসেম্বর কারাগারে আমিনুরের সঙ্গে কথা হয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণীর সঙ্গে। সেই দিন আমিনুর তার স্ত্রীকে জানায়, ‘কারাগারে সে দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
কান্না জড়িত কন্ঠে আমিনুরের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী আগে থেকেই হার্টের রোগী। যশোর কারাগার থেকে হাসপাতালের শয্যায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খাওয়ার সময়ও তাঁর হাতকড়া খোলা হয়নি। এমনকি স্বজনদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি। আমি হাসপাতালেই ছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেখা করতে দেয়নি। খাবার, ওষুধও ঠিকমতো দিতে দেয়নি। মাঝেমধ্যে পুলিশকে ঘুষ দিয়ে খাবার দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা এখন ছোট। বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। বাবাকে দেখতে যাবে। দেখতেও পারছে না। শিক্ষক হয়ে বিনাদোষে কারাগারে। পারিবারিকভাবেও আমরা নানা টেনশনে। এদিকে ছেলেটার সামনে পরীক্ষা। বাবার টেনশনে সে পড়ায় মন বসাতে পারছে না। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না। তাই আমরা আমি আশা করব, আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন।’
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিনুর কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আগের চেয়ে ভালো আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার ঘটনায় হাইকোর্টের রুলের বিষয়ে গণমাধ্যমে শুনেছি। এখনো কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি বা নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আমিনুরের সহকর্মী যশোর কলেজশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইবাদত খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন কাগজ–কলমে আছে, বাস্তবে নেই। আমিনুর যে রোগে অসুস্থ তাতে যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর আগেও তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ওপর একজন শিক্ষককে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে রাখা দেশ ও জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। তাঁর স্ত্রী-সন্তান অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।’

‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। আমার স্বামী হার্টের রোগী। বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন যশোরে গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণী।
লাবণী বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জেলে থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছি। হার্টের রোগের কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন মধু। তাঁর সন্তানেরা কাদছে এবং বাবার বাড়ি আসার অপেক্ষায় আছে।
সন্তানেরা কাদছে আর বলছে, মা, আমাদের বাবা কবে আসবে? বাবার জন্য সন্তানেরা কান্নাকাটি করছে। সন্তানের কান্না কি দেখার কেউ নেই? ’
পেশায় গৃহিণী লাবণী বলেন, তাঁর স্বামী আমিনুর রহমান যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ কলেজের প্রভাষক। একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর বর্তমান যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৮ নভেম্বর ডান্ডাবেড়ি পরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর পর অমিনুরের স্ত্রীর করা রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় রুল জারি করেছেন। অসুস্থ আমিনুরকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্ত্রী, মা ও দুই সন্তান নিয়ে আমিনুরের সংসার। আমিনুরের মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। ১৬ বছর বয়সী কিশোর ছেলে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাহিদা আক্তার লাবণী বলেন, ‘আমার স্বামী শিক্ষক। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেদিন আমিনুররে ধরে নিয়ে যায়; সেই দিনও তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেন। সে কোনো নাশকতা করেনি। উনি যদি নাশকতা করত, তাহলে ভয়ে পালিয়ে বেড়াত গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে। বিনা দোষে আমার স্বামী আজ কারাগারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশা ছাড়া আমার স্বামীর অন্য কোনো আয় উপার্জনের মাধ্যম নেই। সেই একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তিটাই আজ কারাগারে। ফলে অসুস্থ শাশুড়ি আর দুই সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছি। মাঝেমধ্যে তার সহকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে তারা বাজারও করে দিয়েছে। কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছি।
আজ সোমবার যশোর আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল। কিন্তু তাঁকে আজ আদালতে আনা হয়নি।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও কারা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এ সময়ও তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। বর্তমানে তিনি এখন যশোর কারাগারে।
সর্বশেষ পহেলা ডিসেম্বর কারাগারে আমিনুরের সঙ্গে কথা হয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণীর সঙ্গে। সেই দিন আমিনুর তার স্ত্রীকে জানায়, ‘কারাগারে সে দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
কান্না জড়িত কন্ঠে আমিনুরের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী আগে থেকেই হার্টের রোগী। যশোর কারাগার থেকে হাসপাতালের শয্যায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খাওয়ার সময়ও তাঁর হাতকড়া খোলা হয়নি। এমনকি স্বজনদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি। আমি হাসপাতালেই ছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেখা করতে দেয়নি। খাবার, ওষুধও ঠিকমতো দিতে দেয়নি। মাঝেমধ্যে পুলিশকে ঘুষ দিয়ে খাবার দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা এখন ছোট। বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। বাবাকে দেখতে যাবে। দেখতেও পারছে না। শিক্ষক হয়ে বিনাদোষে কারাগারে। পারিবারিকভাবেও আমরা নানা টেনশনে। এদিকে ছেলেটার সামনে পরীক্ষা। বাবার টেনশনে সে পড়ায় মন বসাতে পারছে না। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না। তাই আমরা আমি আশা করব, আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন।’
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিনুর কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আগের চেয়ে ভালো আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার ঘটনায় হাইকোর্টের রুলের বিষয়ে গণমাধ্যমে শুনেছি। এখনো কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি বা নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আমিনুরের সহকর্মী যশোর কলেজশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইবাদত খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন কাগজ–কলমে আছে, বাস্তবে নেই। আমিনুর যে রোগে অসুস্থ তাতে যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর আগেও তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ওপর একজন শিক্ষককে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে রাখা দেশ ও জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। তাঁর স্ত্রী-সন্তান অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।’
জাহিদ হাসান, যশোর

‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। আমার স্বামী হার্টের রোগী। বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন যশোরে গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণী।
লাবণী বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জেলে থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছি। হার্টের রোগের কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন মধু। তাঁর সন্তানেরা কাদছে এবং বাবার বাড়ি আসার অপেক্ষায় আছে।
সন্তানেরা কাদছে আর বলছে, মা, আমাদের বাবা কবে আসবে? বাবার জন্য সন্তানেরা কান্নাকাটি করছে। সন্তানের কান্না কি দেখার কেউ নেই? ’
পেশায় গৃহিণী লাবণী বলেন, তাঁর স্বামী আমিনুর রহমান যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ কলেজের প্রভাষক। একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর বর্তমান যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৮ নভেম্বর ডান্ডাবেড়ি পরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর পর অমিনুরের স্ত্রীর করা রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় রুল জারি করেছেন। অসুস্থ আমিনুরকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্ত্রী, মা ও দুই সন্তান নিয়ে আমিনুরের সংসার। আমিনুরের মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। ১৬ বছর বয়সী কিশোর ছেলে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাহিদা আক্তার লাবণী বলেন, ‘আমার স্বামী শিক্ষক। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেদিন আমিনুররে ধরে নিয়ে যায়; সেই দিনও তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেন। সে কোনো নাশকতা করেনি। উনি যদি নাশকতা করত, তাহলে ভয়ে পালিয়ে বেড়াত গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে। বিনা দোষে আমার স্বামী আজ কারাগারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশা ছাড়া আমার স্বামীর অন্য কোনো আয় উপার্জনের মাধ্যম নেই। সেই একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তিটাই আজ কারাগারে। ফলে অসুস্থ শাশুড়ি আর দুই সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছি। মাঝেমধ্যে তার সহকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে তারা বাজারও করে দিয়েছে। কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছি।
আজ সোমবার যশোর আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল। কিন্তু তাঁকে আজ আদালতে আনা হয়নি।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও কারা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এ সময়ও তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। বর্তমানে তিনি এখন যশোর কারাগারে।
সর্বশেষ পহেলা ডিসেম্বর কারাগারে আমিনুরের সঙ্গে কথা হয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণীর সঙ্গে। সেই দিন আমিনুর তার স্ত্রীকে জানায়, ‘কারাগারে সে দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
কান্না জড়িত কন্ঠে আমিনুরের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী আগে থেকেই হার্টের রোগী। যশোর কারাগার থেকে হাসপাতালের শয্যায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খাওয়ার সময়ও তাঁর হাতকড়া খোলা হয়নি। এমনকি স্বজনদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি। আমি হাসপাতালেই ছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেখা করতে দেয়নি। খাবার, ওষুধও ঠিকমতো দিতে দেয়নি। মাঝেমধ্যে পুলিশকে ঘুষ দিয়ে খাবার দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা এখন ছোট। বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। বাবাকে দেখতে যাবে। দেখতেও পারছে না। শিক্ষক হয়ে বিনাদোষে কারাগারে। পারিবারিকভাবেও আমরা নানা টেনশনে। এদিকে ছেলেটার সামনে পরীক্ষা। বাবার টেনশনে সে পড়ায় মন বসাতে পারছে না। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না। তাই আমরা আমি আশা করব, আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন।’
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিনুর কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আগের চেয়ে ভালো আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার ঘটনায় হাইকোর্টের রুলের বিষয়ে গণমাধ্যমে শুনেছি। এখনো কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি বা নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আমিনুরের সহকর্মী যশোর কলেজশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইবাদত খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন কাগজ–কলমে আছে, বাস্তবে নেই। আমিনুর যে রোগে অসুস্থ তাতে যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর আগেও তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ওপর একজন শিক্ষককে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে রাখা দেশ ও জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। তাঁর স্ত্রী-সন্তান অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।’

‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। আমার স্বামী হার্টের রোগী। বিনা অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন যশোরে গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণী।
লাবণী বলেন, ‘পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি জেলে থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে আমরা খুবই অসহায় অবস্থায় রয়েছি। হার্টের রোগের কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ধীরে ধীরে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছেন মধু। তাঁর সন্তানেরা কাদছে এবং বাবার বাড়ি আসার অপেক্ষায় আছে।
সন্তানেরা কাদছে আর বলছে, মা, আমাদের বাবা কবে আসবে? বাবার জন্য সন্তানেরা কান্নাকাটি করছে। সন্তানের কান্না কি দেখার কেউ নেই? ’
পেশায় গৃহিণী লাবণী বলেন, তাঁর স্বামী আমিনুর রহমান যশোর জেলা যুবদলের সহসভাপতি ও সদর উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নের আমদাবাদ কলেজের প্রভাষক। একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আমিনুর বর্তমান যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার অভ্যন্তরীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৮ নভেম্বর ডান্ডাবেড়ি পরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ছড়িয়ে পড়ে, যা রীতিমতো ভাইরাল হয়। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম। এরপর গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
এর পর অমিনুরের স্ত্রীর করা রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ঘটনায় রুল জারি করেছেন। অসুস্থ আমিনুরকে হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্ত্রী, মা ও দুই সন্তান নিয়ে আমিনুরের সংসার। আমিনুরের মা অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী। ১৬ বছর বয়সী কিশোর ছেলে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। মেয়েটি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। নাহিদা আক্তার লাবণী বলেন, ‘আমার স্বামী শিক্ষক। পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেদিন আমিনুররে ধরে নিয়ে যায়; সেই দিনও তিনি কলেজে উপস্থিত ছিলেন। সে কোনো নাশকতা করেনি। উনি যদি নাশকতা করত, তাহলে ভয়ে পালিয়ে বেড়াত গ্রেপ্তার হওয়ার ভয়ে। বিনা দোষে আমার স্বামী আজ কারাগারে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতা পেশা ছাড়া আমার স্বামীর অন্য কোনো আয় উপার্জনের মাধ্যম নেই। সেই একমাত্র উপার্জনের ব্যক্তিটাই আজ কারাগারে। ফলে অসুস্থ শাশুড়ি আর দুই সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় আছি। মাঝেমধ্যে তার সহকর্মী ও বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা আমাদের খোঁজখবর নিচ্ছে। মাঝেমধ্যে তারা বাজারও করে দিয়েছে। কোনোমতে চালিয়ে যাচ্ছি।
আজ সোমবার যশোর আদালতে তাঁর হাজিরা ছিল। কিন্তু তাঁকে আজ আদালতে আনা হয়নি।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও কারা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের পর আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৪টি মামলা করে পুলিশ। ২ নভেম্বর সদর উপজেলার আমদাবাদ কলেজ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কারাগারে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হলে তাঁকে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার জাতীয় হৃদ্রোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৩ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
এ সময়ও তাঁর পায়ের ডান্ডাবেড়ি খোলা হয়নি। এমনকি খাওয়ার সময়ও হাতকড়া খুলে দেয়নি পুলিশ। রোগীর সঙ্গে স্বজনদের ঠিকমতো দেখা করতেও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্বজনেরা। বর্তমানে তিনি এখন যশোর কারাগারে।
সর্বশেষ পহেলা ডিসেম্বর কারাগারে আমিনুরের সঙ্গে কথা হয় স্ত্রী নাহিদা আক্তার লাবণীর সঙ্গে। সেই দিন আমিনুর তার স্ত্রীকে জানায়, ‘কারাগারে সে দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে।’
কান্না জড়িত কন্ঠে আমিনুরের স্ত্রী নাহিদা আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী আগে থেকেই হার্টের রোগী। যশোর কারাগার থেকে হাসপাতালের শয্যায় ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খাওয়ার সময়ও তাঁর হাতকড়া খোলা হয়নি। এমনকি স্বজনদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতেও দেওয়া হয়নি। আমি হাসপাতালেই ছিলাম। কিন্তু পুলিশ দেখা করতে দেয়নি। খাবার, ওষুধও ঠিকমতো দিতে দেয়নি। মাঝেমধ্যে পুলিশকে ঘুষ দিয়ে খাবার দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার সন্তানেরা এখন ছোট। বাবার জন্য কান্নাকাটি করছে। বাবাকে দেখতে যাবে। দেখতেও পারছে না। শিক্ষক হয়ে বিনাদোষে কারাগারে। পারিবারিকভাবেও আমরা নানা টেনশনে। এদিকে ছেলেটার সামনে পরীক্ষা। বাবার টেনশনে সে পড়ায় মন বসাতে পারছে না। এখন কী করব, বুঝতে পারছি না। তাই আমরা আমি আশা করব, আদালত তাঁকে জামিন দিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ করে দেবেন।’
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিনুর কারাগারের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আগের চেয়ে ভালো আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার ঘটনায় হাইকোর্টের রুলের বিষয়ে গণমাধ্যমে শুনেছি। এখনো কোনো চিঠি পাইনি। চিঠি বা নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আমিনুরের সহকর্মী যশোর কলেজশিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইবাদত খান বলেন, ‘বাংলাদেশে আইন কাগজ–কলমে আছে, বাস্তবে নেই। আমিনুর যে রোগে অসুস্থ তাতে যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এর আগেও তিনি দীর্ঘদিন ঢাকায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার ওপর একজন শিক্ষককে এমন পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে রাখা দেশ ও জাতির জন্য খুবই লজ্জাজনক। তাঁর স্ত্রী-সন্তান অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে।’

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৬ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৯ মিনিট আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।
আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।
আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষ গড়ার কারিগরেরা নাশকতা করতে পারে না। পেট্রলবোমা বাজি করতে পারে না। বিনা-অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন যশোরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্ত
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৬ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৯ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষ গড়ার কারিগরেরা নাশকতা করতে পারে না। পেট্রলবোমা বাজি করতে পারে না। বিনা-অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন যশোরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্ত
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৯ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষ গড়ার কারিগরেরা নাশকতা করতে পারে না। পেট্রলবোমা বাজি করতে পারে না। বিনা-অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন যশোরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্ত
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৬ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৯ মিনিট আগেবীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

‘আমার স্বামী শিক্ষক। মানুষ গড়ার কারিগর। মানুষ গড়ার কারিগরেরা নাশকতা করতে পারে না। পেট্রলবোমা বাজি করতে পারে না। বিনা-অপরাধে আমার স্বামীকে জেলে রাখা হয়েছে।’ আজ সোমবার কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন যশোরে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া যুবদল নেতা আমিনুর রহমান মধুর স্ত্রী নাহিদা আক্ত
০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৬ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে