মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা সময় জানা গেল, সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন সুজানের স্বামী ও স্পর্শিয়ার বাবা। তার পর থেকে শুরু মা–মেয়ের সংগ্রাম। এতটা বছর চলার পথে তেমন কাউকেই সঙ্গে পাননি। এমনকি সুজানের পরিবারের মানুষও থাকেন দেশের বাইরে। একা এক হাতে মেয়ের আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। নিজের সুনামও অক্ষুণ্ন রেখেছেন। কিছু আক্ষেপ তো রয়েই যায়। সেই থেকে শুরু করলেন সুজান, ‘সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে হয়েছে। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। এই সমাজে স্বামী থাকতেই হবে। স্বামী না থাকা মানেই মহিলার হয়তো কোনো ত্রুটি আছে। সমাজ আমাকে এটা বুঝিয়েছে ভালো করে। অনেক কিছু ফেইস করেছি।’
উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন তিনি, ‘একক মহিলাদের জন্য যে কতটুকু নিরাপত্তার অভাব আমাদের দেশে, সেটা বুঝেছি, অনেক কিছু বুঝেছি। কত বাসা ভাড়া নিয়েছি। কোনো বাসায় বাড়িওয়ালা, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ছেলে, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ভাই প্রেম করতে চেয়েছে আমার সঙ্গে। যখনই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে করে করে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তার অভাব কতটা যে বোধ হতো, সেটা শুধু আমি আর আমার মেয়েই জানে। ও যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের অভিভাবক, টিচাররা মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করেছিল– ওর বাবা নেই কেন? ওর বাবা নেই–ও ভালো নয়। ওর সঙ্গে বাকি ছেলেমেয়েদের মিশতে দেওয়া যাবে না। সেটাও ফেইস করেছি। তখন এর প্রতিবাদ জানাতে হয়েছে। বলেছি, এটা নিয়ে আমি নিউজ করব। তখন তো আমি পত্রিকায় কাজ করি। তখন ওরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।’
স্পর্শিয়াও মায়ের কথায় সায় দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। খোলাখুলিভাবে বললে একটা সিঙ্গেল ওমেনকে খুব খারাপ চোখে দেখা হয়। স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, নিশ্চয়ই বউয়ের দোষ। মেয়েটারই তো দোষ। সেই জায়গা থেকে শুধু যে অর্থনৈতিক তা নয়, মানসিক স্ট্রাগলও ছিল। নিজের খাওয়া–পরা–থাকার সঙ্গে আরও একটা মেয়েকে বড় করা এই শহরে। এটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।’
মা–মেয়ের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। সুজান হকের মতে, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক বাবা-মায়ের আগে বন্ধু হতে হবে। তাহলে সন্তানের কষ্ট বা দুঃখটা জানা যায়। সুখটা তো এমনিতেই চোখেই পড়ে। এতে সন্তান নিরাপদ বোধ করে। এ জন্য আমি মা না হয়ে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমার মায়ের লাইফের পার্ট নিয়ে একটা মুভি হওয়া উচিত। কারণ, তাঁর স্ট্রাগলটা ছোট করে বলা সম্ভব নয়। বলা শুরু করলে রাত পার হয়ে যাবে। কোনো বাসায় থাকলে বাড়িওয়ালা বা পাড়া–প্রতিবেশী যেমন ডিস্টার্ব করত, তেমনি অনেক সময় চাকরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। বসরা ডিস্টার্ব করত। আমাদের সমাজে একা একটা সিঙ্গেল মেয়েকে পাবলিক প্রপার্টি হিসেবে দেখা হয়। ওইটাও একধরনের স্ট্রাগল ছিল আমার ও আমার মায়ের।’
স্পর্শিয়া কথা বলছিলেন হেসে হেসে। কিন্তু তাঁর মনের কষ্টটা চোখেমুখে স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘সে চাইলে বিয়েও করতে পারতেন। সেটাও সে করেননি। আমাকে আঁকড়ে রেখেছেন। একটা মানুষ এত ডেডিকেটেড হতে পারে সন্তানের প্রতি! সেটা আমাকে অবাকই করে। কারণ, আমি আরও অনেক বাবা-মা দেখেছি। পুরো লাইফটাই লিখে দিল আমাকে! এমনকি তাঁর কাছের বন্ধুবান্ধবও তেমন নেই। আমিকেন্দ্রিকই তাঁর জীবন। এটা নিয়েই আমাদের ঝগড়া হয় প্রায়ই। আমি এখনো বলি, একটা প্রেম করো বিয়ে করো। করবে না সে। আমার সঙ্গে বয়সেরও কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই তাঁর।’
সুজান হকের সাংবাদিকতার পরিচয় অনেকেই জানেন। দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন। তবে তিনি এখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। লেখালেখির পাশে আছে বুটিকস হ্যান্ডি ক্রাফটসের হাউস। বাগান আছে, পোষা প্রাণী আছে, আর মেয়ের স্ক্রিপ্ট তো তাঁরই আগে পড়া হয়। এখন একটা ছোট গল্প অনুবাদ করেছেন। গত বছর বইমেলাতে ছোটদের বই ‘হেলেনের অহংকারী ফুল’ প্রকাশ করেছেন। এ জীবনে বেশ কিছু বই লিখেছেন, কবিতার বই ‘তুমি সেই ভ্যালেন্টাইন’, বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, ফিচার লিখেছেন, তার সংকলন নিয়েও বই প্রকাশ করেছেন। মাইকেল জ্যাকসন যখন প্রয়াত হন, তখন তাঁকে নিয়ে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি মাইকেল জ্যাকসন’ নামে একটা বই লিখেছেন। ‘অ্যা পোরট্রেট অব ফাদার রিগান’ বই তাঁর লেখা। ফটোগ্রাফি করেন। আছেন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত।
স্পর্শিয়া এখন কম কাজ করেন। আর এটাতে তৃপ্ত তাঁর মা। তিনি সাধুবাদ জানান মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে। তাঁর মতে, এটা ভালো। যেটাতে ও স্বস্তিবোধ করবে, আমি স্বস্তিবোধ করব। সেই জায়গার কথা ভাবা লাগবে। ‘অনেকেই বলে মেয়েকে মিডিয়ায় কাজ করতে দিয়েছি। কেন! তারা তো কাছ থেকে দেখেন না মিডিয়াকে। ভালো–মন্দ তো সব সেক্টরেই আছে। একজন শিল্পীর যেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়, সেটা তো মিডিয়ার বাইরের মানুষ বুঝবে না। মিডিয়া মানেই খারাপ নয়, আমি তো বলি তোমরা আসো, এসে দেখো ওরা কি ফেইস করে, এখানে কি ভালো–মন্দ আছে। তারপর বলো। মিডিয়ার মানুষও ভালো থাকতে পারে। খারাপ প্রস্তাব যে সব মিডিয়া থেকে আসে, তা তো নয়। তাহলে শোবিজের বাইরে এত ক্রাইম হচ্ছে কেন!’
অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার আজকের অবস্থানের পেছনে সবটাই মায়ের অবদান বলে মনে করেন স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘আম্মুর কখনো চাওয়া ছিল না যে আমার মেয়ের ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে। আমি ছবি আঁকতাম। সেটাতেও তাঁর সায় ছিল। উৎসাহিত করত আমি যেন ছবি আঁকায় মন দিই। লেখালেখি করতাম, সে উৎসাহ দিত যেন আমি লেখক হই। আমি যখনই যেটা করতে ভালোবেসেছি, সেটাই সে চেয়েছে যেন আমি মন দিয়ে করি। ছোটবেলা থেকেই তো শোবিজের মানুষজন দেখে বড় হয়েছি। মা যেহেতু বহু বছর সাংবাদিকতায় ছিলেন। কিন্তু মা চাপিয়ে দেননি– তোমার অভিনেত্রী হতে হবে। সে কখনো তাঁর পরিচিত কাউকে বলেওনি যে আমার মেয়েকে কাজ দেও। কিন্তু যখন আমি নিজে শুরু করেছি, তখন সে পাশে ছিল। আমার ভালো–মন্দের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ছিল। আমার স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে বিদেশ ট্যুর– সবখানেই মা সঙ্গী হন। যেমনটা তাঁকে দেখেছি সেই শৈশব থেকে হাত ধরে চলা শেখাতে।’
খাবার খাওয়া নিয়ে দুজনার খুব ঝগড়া হয়। এক বেলার খাবার আরেক বেলা খায় স্পর্শিয়া। তখন এই নিয়ে মায়ের অনেক কথা শুনতে হয়। মেয়েকে নিয়মিত বকাঝকা করার আরও কারণ আছে,‘ও খুব সরল টাইপের। যে যা চায় সব বিলিয়ে দেয়। তখন রাগ হয়। আমারও কোনো একটা শখের জিনিস কেউ চাইল, অমনি সে দিয়ে দেয়। আমার লাইব্রেরি থেকে অর্ধেক বই দিয়ে দিয়েছে মানুষকে। আমি বাসায় না থাকলে দিয়ে দেয়। আমি এলে বলেও না। অনেকে পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেয় না। চেনা মুখের আবদার রাখতে হয়। দেখা গেল সেই কাজটা করলে একটু মানহানি হয়। তখন রাগারাগি করি যে এটা কেন করেছ।’
স্পর্শিয়া মনে করেন, ‘তাঁর মা এই সময়ের প্রত্যেকটা নারীর জন্য উদাহরণ। প্রত্যেকটা নারীর আসলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা উচিত, তাঁর সম্পর্কে জানা উচিত। আমি তাঁকে আইডল মানি। কারণ, সে যেভাবে কারও সাপোর্ট ছাড়া নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন, আমাকেও বড় করেছেন। আমি যে বদের হাড্ডি, আমাকেও সামলিয়েছেন। এটা আমি সব সময় সব জায়গাতেই বলি।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেক মেয়ের কথা শুনলে আমি বলি আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও উত্তরণের পথ খুঁজে পাবে। আমি নিজে যখন অনেক আপসেট হয়ে যাই, অনেক কিছু নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি, তখন আমার চোখের সামনে তিনি চলে আসেন। তাঁর কথা চিন্তা করি। তখন ভাবি এই মহিলাটা কীভাবে আসলে এত স্ট্রাগল করেছে। এত বড় করেছে আমাকে। ওই জায়গায় তো আমি কিছুই না।’
স্পর্শিয়ার জীবনেও ঘটেছে বিয়ে এবং ডিভোর্সের মতো ঘটনা। বিয়ের সিদ্ধান্তটা স্পর্শিয়া নিজেই নিয়েছিলেন। স্পর্শিয়ার মায়ের কথা, ‘এত অল্প বয়সে তো আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত দেব না। ও আবেগে পড়ে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এটা তোমার সঙ্গে যায় না। তোমার বয়স এখনো অনেক পড়ে আছে। আমি পাশে আছি। এখন আর আবেগকে প্রশ্রয় দেবে না হয়তো। শিক্ষা হয়েছে। আমি আছি, ওকে আর এমন সিদ্ধান্ত নিতেও দেব না। লম্বা জীবন আছে। সেখানে আমিই ওর সাথি খুঁজে দেব। আমার পছন্দের বাইরে গিয়ে তো একবার শিক্ষা হলো।’
স্পর্শিয়াও হাসিমুখে তাঁর মায়ের কথা মেনে নিলেন, ‘যখন ভুল করেছি, সে বলেছে এটা কোরো না, এটা ভুল। সে আমার চেয়ে অবশ্যই ম্যাচিউরড। সেই জায়গা থেকে আমি শুনিনি। তাঁর যেটা শুনেছি সেটা তো ভালো। যেটা শুনিনি বাঁশ খেয়েছি এই আর কি।’

ঢাকা: সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা সময় জানা গেল, সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন সুজানের স্বামী ও স্পর্শিয়ার বাবা। তার পর থেকে শুরু মা–মেয়ের সংগ্রাম। এতটা বছর চলার পথে তেমন কাউকেই সঙ্গে পাননি। এমনকি সুজানের পরিবারের মানুষও থাকেন দেশের বাইরে। একা এক হাতে মেয়ের আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। নিজের সুনামও অক্ষুণ্ন রেখেছেন। কিছু আক্ষেপ তো রয়েই যায়। সেই থেকে শুরু করলেন সুজান, ‘সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে হয়েছে। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। এই সমাজে স্বামী থাকতেই হবে। স্বামী না থাকা মানেই মহিলার হয়তো কোনো ত্রুটি আছে। সমাজ আমাকে এটা বুঝিয়েছে ভালো করে। অনেক কিছু ফেইস করেছি।’
উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন তিনি, ‘একক মহিলাদের জন্য যে কতটুকু নিরাপত্তার অভাব আমাদের দেশে, সেটা বুঝেছি, অনেক কিছু বুঝেছি। কত বাসা ভাড়া নিয়েছি। কোনো বাসায় বাড়িওয়ালা, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ছেলে, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ভাই প্রেম করতে চেয়েছে আমার সঙ্গে। যখনই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে করে করে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তার অভাব কতটা যে বোধ হতো, সেটা শুধু আমি আর আমার মেয়েই জানে। ও যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের অভিভাবক, টিচাররা মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করেছিল– ওর বাবা নেই কেন? ওর বাবা নেই–ও ভালো নয়। ওর সঙ্গে বাকি ছেলেমেয়েদের মিশতে দেওয়া যাবে না। সেটাও ফেইস করেছি। তখন এর প্রতিবাদ জানাতে হয়েছে। বলেছি, এটা নিয়ে আমি নিউজ করব। তখন তো আমি পত্রিকায় কাজ করি। তখন ওরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।’
স্পর্শিয়াও মায়ের কথায় সায় দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। খোলাখুলিভাবে বললে একটা সিঙ্গেল ওমেনকে খুব খারাপ চোখে দেখা হয়। স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, নিশ্চয়ই বউয়ের দোষ। মেয়েটারই তো দোষ। সেই জায়গা থেকে শুধু যে অর্থনৈতিক তা নয়, মানসিক স্ট্রাগলও ছিল। নিজের খাওয়া–পরা–থাকার সঙ্গে আরও একটা মেয়েকে বড় করা এই শহরে। এটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।’
মা–মেয়ের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। সুজান হকের মতে, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক বাবা-মায়ের আগে বন্ধু হতে হবে। তাহলে সন্তানের কষ্ট বা দুঃখটা জানা যায়। সুখটা তো এমনিতেই চোখেই পড়ে। এতে সন্তান নিরাপদ বোধ করে। এ জন্য আমি মা না হয়ে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমার মায়ের লাইফের পার্ট নিয়ে একটা মুভি হওয়া উচিত। কারণ, তাঁর স্ট্রাগলটা ছোট করে বলা সম্ভব নয়। বলা শুরু করলে রাত পার হয়ে যাবে। কোনো বাসায় থাকলে বাড়িওয়ালা বা পাড়া–প্রতিবেশী যেমন ডিস্টার্ব করত, তেমনি অনেক সময় চাকরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। বসরা ডিস্টার্ব করত। আমাদের সমাজে একা একটা সিঙ্গেল মেয়েকে পাবলিক প্রপার্টি হিসেবে দেখা হয়। ওইটাও একধরনের স্ট্রাগল ছিল আমার ও আমার মায়ের।’
স্পর্শিয়া কথা বলছিলেন হেসে হেসে। কিন্তু তাঁর মনের কষ্টটা চোখেমুখে স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘সে চাইলে বিয়েও করতে পারতেন। সেটাও সে করেননি। আমাকে আঁকড়ে রেখেছেন। একটা মানুষ এত ডেডিকেটেড হতে পারে সন্তানের প্রতি! সেটা আমাকে অবাকই করে। কারণ, আমি আরও অনেক বাবা-মা দেখেছি। পুরো লাইফটাই লিখে দিল আমাকে! এমনকি তাঁর কাছের বন্ধুবান্ধবও তেমন নেই। আমিকেন্দ্রিকই তাঁর জীবন। এটা নিয়েই আমাদের ঝগড়া হয় প্রায়ই। আমি এখনো বলি, একটা প্রেম করো বিয়ে করো। করবে না সে। আমার সঙ্গে বয়সেরও কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই তাঁর।’
সুজান হকের সাংবাদিকতার পরিচয় অনেকেই জানেন। দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন। তবে তিনি এখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। লেখালেখির পাশে আছে বুটিকস হ্যান্ডি ক্রাফটসের হাউস। বাগান আছে, পোষা প্রাণী আছে, আর মেয়ের স্ক্রিপ্ট তো তাঁরই আগে পড়া হয়। এখন একটা ছোট গল্প অনুবাদ করেছেন। গত বছর বইমেলাতে ছোটদের বই ‘হেলেনের অহংকারী ফুল’ প্রকাশ করেছেন। এ জীবনে বেশ কিছু বই লিখেছেন, কবিতার বই ‘তুমি সেই ভ্যালেন্টাইন’, বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, ফিচার লিখেছেন, তার সংকলন নিয়েও বই প্রকাশ করেছেন। মাইকেল জ্যাকসন যখন প্রয়াত হন, তখন তাঁকে নিয়ে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি মাইকেল জ্যাকসন’ নামে একটা বই লিখেছেন। ‘অ্যা পোরট্রেট অব ফাদার রিগান’ বই তাঁর লেখা। ফটোগ্রাফি করেন। আছেন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত।
স্পর্শিয়া এখন কম কাজ করেন। আর এটাতে তৃপ্ত তাঁর মা। তিনি সাধুবাদ জানান মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে। তাঁর মতে, এটা ভালো। যেটাতে ও স্বস্তিবোধ করবে, আমি স্বস্তিবোধ করব। সেই জায়গার কথা ভাবা লাগবে। ‘অনেকেই বলে মেয়েকে মিডিয়ায় কাজ করতে দিয়েছি। কেন! তারা তো কাছ থেকে দেখেন না মিডিয়াকে। ভালো–মন্দ তো সব সেক্টরেই আছে। একজন শিল্পীর যেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়, সেটা তো মিডিয়ার বাইরের মানুষ বুঝবে না। মিডিয়া মানেই খারাপ নয়, আমি তো বলি তোমরা আসো, এসে দেখো ওরা কি ফেইস করে, এখানে কি ভালো–মন্দ আছে। তারপর বলো। মিডিয়ার মানুষও ভালো থাকতে পারে। খারাপ প্রস্তাব যে সব মিডিয়া থেকে আসে, তা তো নয়। তাহলে শোবিজের বাইরে এত ক্রাইম হচ্ছে কেন!’
অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার আজকের অবস্থানের পেছনে সবটাই মায়ের অবদান বলে মনে করেন স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘আম্মুর কখনো চাওয়া ছিল না যে আমার মেয়ের ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে। আমি ছবি আঁকতাম। সেটাতেও তাঁর সায় ছিল। উৎসাহিত করত আমি যেন ছবি আঁকায় মন দিই। লেখালেখি করতাম, সে উৎসাহ দিত যেন আমি লেখক হই। আমি যখনই যেটা করতে ভালোবেসেছি, সেটাই সে চেয়েছে যেন আমি মন দিয়ে করি। ছোটবেলা থেকেই তো শোবিজের মানুষজন দেখে বড় হয়েছি। মা যেহেতু বহু বছর সাংবাদিকতায় ছিলেন। কিন্তু মা চাপিয়ে দেননি– তোমার অভিনেত্রী হতে হবে। সে কখনো তাঁর পরিচিত কাউকে বলেওনি যে আমার মেয়েকে কাজ দেও। কিন্তু যখন আমি নিজে শুরু করেছি, তখন সে পাশে ছিল। আমার ভালো–মন্দের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ছিল। আমার স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে বিদেশ ট্যুর– সবখানেই মা সঙ্গী হন। যেমনটা তাঁকে দেখেছি সেই শৈশব থেকে হাত ধরে চলা শেখাতে।’
খাবার খাওয়া নিয়ে দুজনার খুব ঝগড়া হয়। এক বেলার খাবার আরেক বেলা খায় স্পর্শিয়া। তখন এই নিয়ে মায়ের অনেক কথা শুনতে হয়। মেয়েকে নিয়মিত বকাঝকা করার আরও কারণ আছে,‘ও খুব সরল টাইপের। যে যা চায় সব বিলিয়ে দেয়। তখন রাগ হয়। আমারও কোনো একটা শখের জিনিস কেউ চাইল, অমনি সে দিয়ে দেয়। আমার লাইব্রেরি থেকে অর্ধেক বই দিয়ে দিয়েছে মানুষকে। আমি বাসায় না থাকলে দিয়ে দেয়। আমি এলে বলেও না। অনেকে পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেয় না। চেনা মুখের আবদার রাখতে হয়। দেখা গেল সেই কাজটা করলে একটু মানহানি হয়। তখন রাগারাগি করি যে এটা কেন করেছ।’
স্পর্শিয়া মনে করেন, ‘তাঁর মা এই সময়ের প্রত্যেকটা নারীর জন্য উদাহরণ। প্রত্যেকটা নারীর আসলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা উচিত, তাঁর সম্পর্কে জানা উচিত। আমি তাঁকে আইডল মানি। কারণ, সে যেভাবে কারও সাপোর্ট ছাড়া নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন, আমাকেও বড় করেছেন। আমি যে বদের হাড্ডি, আমাকেও সামলিয়েছেন। এটা আমি সব সময় সব জায়গাতেই বলি।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেক মেয়ের কথা শুনলে আমি বলি আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও উত্তরণের পথ খুঁজে পাবে। আমি নিজে যখন অনেক আপসেট হয়ে যাই, অনেক কিছু নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি, তখন আমার চোখের সামনে তিনি চলে আসেন। তাঁর কথা চিন্তা করি। তখন ভাবি এই মহিলাটা কীভাবে আসলে এত স্ট্রাগল করেছে। এত বড় করেছে আমাকে। ওই জায়গায় তো আমি কিছুই না।’
স্পর্শিয়ার জীবনেও ঘটেছে বিয়ে এবং ডিভোর্সের মতো ঘটনা। বিয়ের সিদ্ধান্তটা স্পর্শিয়া নিজেই নিয়েছিলেন। স্পর্শিয়ার মায়ের কথা, ‘এত অল্প বয়সে তো আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত দেব না। ও আবেগে পড়ে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এটা তোমার সঙ্গে যায় না। তোমার বয়স এখনো অনেক পড়ে আছে। আমি পাশে আছি। এখন আর আবেগকে প্রশ্রয় দেবে না হয়তো। শিক্ষা হয়েছে। আমি আছি, ওকে আর এমন সিদ্ধান্ত নিতেও দেব না। লম্বা জীবন আছে। সেখানে আমিই ওর সাথি খুঁজে দেব। আমার পছন্দের বাইরে গিয়ে তো একবার শিক্ষা হলো।’
স্পর্শিয়াও হাসিমুখে তাঁর মায়ের কথা মেনে নিলেন, ‘যখন ভুল করেছি, সে বলেছে এটা কোরো না, এটা ভুল। সে আমার চেয়ে অবশ্যই ম্যাচিউরড। সেই জায়গা থেকে আমি শুনিনি। তাঁর যেটা শুনেছি সেটা তো ভালো। যেটা শুনিনি বাঁশ খেয়েছি এই আর কি।’
মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা সময় জানা গেল, সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন সুজানের স্বামী ও স্পর্শিয়ার বাবা। তার পর থেকে শুরু মা–মেয়ের সংগ্রাম। এতটা বছর চলার পথে তেমন কাউকেই সঙ্গে পাননি। এমনকি সুজানের পরিবারের মানুষও থাকেন দেশের বাইরে। একা এক হাতে মেয়ের আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। নিজের সুনামও অক্ষুণ্ন রেখেছেন। কিছু আক্ষেপ তো রয়েই যায়। সেই থেকে শুরু করলেন সুজান, ‘সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে হয়েছে। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। এই সমাজে স্বামী থাকতেই হবে। স্বামী না থাকা মানেই মহিলার হয়তো কোনো ত্রুটি আছে। সমাজ আমাকে এটা বুঝিয়েছে ভালো করে। অনেক কিছু ফেইস করেছি।’
উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন তিনি, ‘একক মহিলাদের জন্য যে কতটুকু নিরাপত্তার অভাব আমাদের দেশে, সেটা বুঝেছি, অনেক কিছু বুঝেছি। কত বাসা ভাড়া নিয়েছি। কোনো বাসায় বাড়িওয়ালা, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ছেলে, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ভাই প্রেম করতে চেয়েছে আমার সঙ্গে। যখনই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে করে করে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তার অভাব কতটা যে বোধ হতো, সেটা শুধু আমি আর আমার মেয়েই জানে। ও যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের অভিভাবক, টিচাররা মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করেছিল– ওর বাবা নেই কেন? ওর বাবা নেই–ও ভালো নয়। ওর সঙ্গে বাকি ছেলেমেয়েদের মিশতে দেওয়া যাবে না। সেটাও ফেইস করেছি। তখন এর প্রতিবাদ জানাতে হয়েছে। বলেছি, এটা নিয়ে আমি নিউজ করব। তখন তো আমি পত্রিকায় কাজ করি। তখন ওরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।’
স্পর্শিয়াও মায়ের কথায় সায় দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। খোলাখুলিভাবে বললে একটা সিঙ্গেল ওমেনকে খুব খারাপ চোখে দেখা হয়। স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, নিশ্চয়ই বউয়ের দোষ। মেয়েটারই তো দোষ। সেই জায়গা থেকে শুধু যে অর্থনৈতিক তা নয়, মানসিক স্ট্রাগলও ছিল। নিজের খাওয়া–পরা–থাকার সঙ্গে আরও একটা মেয়েকে বড় করা এই শহরে। এটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।’
মা–মেয়ের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। সুজান হকের মতে, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক বাবা-মায়ের আগে বন্ধু হতে হবে। তাহলে সন্তানের কষ্ট বা দুঃখটা জানা যায়। সুখটা তো এমনিতেই চোখেই পড়ে। এতে সন্তান নিরাপদ বোধ করে। এ জন্য আমি মা না হয়ে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমার মায়ের লাইফের পার্ট নিয়ে একটা মুভি হওয়া উচিত। কারণ, তাঁর স্ট্রাগলটা ছোট করে বলা সম্ভব নয়। বলা শুরু করলে রাত পার হয়ে যাবে। কোনো বাসায় থাকলে বাড়িওয়ালা বা পাড়া–প্রতিবেশী যেমন ডিস্টার্ব করত, তেমনি অনেক সময় চাকরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। বসরা ডিস্টার্ব করত। আমাদের সমাজে একা একটা সিঙ্গেল মেয়েকে পাবলিক প্রপার্টি হিসেবে দেখা হয়। ওইটাও একধরনের স্ট্রাগল ছিল আমার ও আমার মায়ের।’
স্পর্শিয়া কথা বলছিলেন হেসে হেসে। কিন্তু তাঁর মনের কষ্টটা চোখেমুখে স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘সে চাইলে বিয়েও করতে পারতেন। সেটাও সে করেননি। আমাকে আঁকড়ে রেখেছেন। একটা মানুষ এত ডেডিকেটেড হতে পারে সন্তানের প্রতি! সেটা আমাকে অবাকই করে। কারণ, আমি আরও অনেক বাবা-মা দেখেছি। পুরো লাইফটাই লিখে দিল আমাকে! এমনকি তাঁর কাছের বন্ধুবান্ধবও তেমন নেই। আমিকেন্দ্রিকই তাঁর জীবন। এটা নিয়েই আমাদের ঝগড়া হয় প্রায়ই। আমি এখনো বলি, একটা প্রেম করো বিয়ে করো। করবে না সে। আমার সঙ্গে বয়সেরও কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই তাঁর।’
সুজান হকের সাংবাদিকতার পরিচয় অনেকেই জানেন। দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন। তবে তিনি এখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। লেখালেখির পাশে আছে বুটিকস হ্যান্ডি ক্রাফটসের হাউস। বাগান আছে, পোষা প্রাণী আছে, আর মেয়ের স্ক্রিপ্ট তো তাঁরই আগে পড়া হয়। এখন একটা ছোট গল্প অনুবাদ করেছেন। গত বছর বইমেলাতে ছোটদের বই ‘হেলেনের অহংকারী ফুল’ প্রকাশ করেছেন। এ জীবনে বেশ কিছু বই লিখেছেন, কবিতার বই ‘তুমি সেই ভ্যালেন্টাইন’, বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, ফিচার লিখেছেন, তার সংকলন নিয়েও বই প্রকাশ করেছেন। মাইকেল জ্যাকসন যখন প্রয়াত হন, তখন তাঁকে নিয়ে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি মাইকেল জ্যাকসন’ নামে একটা বই লিখেছেন। ‘অ্যা পোরট্রেট অব ফাদার রিগান’ বই তাঁর লেখা। ফটোগ্রাফি করেন। আছেন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত।
স্পর্শিয়া এখন কম কাজ করেন। আর এটাতে তৃপ্ত তাঁর মা। তিনি সাধুবাদ জানান মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে। তাঁর মতে, এটা ভালো। যেটাতে ও স্বস্তিবোধ করবে, আমি স্বস্তিবোধ করব। সেই জায়গার কথা ভাবা লাগবে। ‘অনেকেই বলে মেয়েকে মিডিয়ায় কাজ করতে দিয়েছি। কেন! তারা তো কাছ থেকে দেখেন না মিডিয়াকে। ভালো–মন্দ তো সব সেক্টরেই আছে। একজন শিল্পীর যেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়, সেটা তো মিডিয়ার বাইরের মানুষ বুঝবে না। মিডিয়া মানেই খারাপ নয়, আমি তো বলি তোমরা আসো, এসে দেখো ওরা কি ফেইস করে, এখানে কি ভালো–মন্দ আছে। তারপর বলো। মিডিয়ার মানুষও ভালো থাকতে পারে। খারাপ প্রস্তাব যে সব মিডিয়া থেকে আসে, তা তো নয়। তাহলে শোবিজের বাইরে এত ক্রাইম হচ্ছে কেন!’
অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার আজকের অবস্থানের পেছনে সবটাই মায়ের অবদান বলে মনে করেন স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘আম্মুর কখনো চাওয়া ছিল না যে আমার মেয়ের ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে। আমি ছবি আঁকতাম। সেটাতেও তাঁর সায় ছিল। উৎসাহিত করত আমি যেন ছবি আঁকায় মন দিই। লেখালেখি করতাম, সে উৎসাহ দিত যেন আমি লেখক হই। আমি যখনই যেটা করতে ভালোবেসেছি, সেটাই সে চেয়েছে যেন আমি মন দিয়ে করি। ছোটবেলা থেকেই তো শোবিজের মানুষজন দেখে বড় হয়েছি। মা যেহেতু বহু বছর সাংবাদিকতায় ছিলেন। কিন্তু মা চাপিয়ে দেননি– তোমার অভিনেত্রী হতে হবে। সে কখনো তাঁর পরিচিত কাউকে বলেওনি যে আমার মেয়েকে কাজ দেও। কিন্তু যখন আমি নিজে শুরু করেছি, তখন সে পাশে ছিল। আমার ভালো–মন্দের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ছিল। আমার স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে বিদেশ ট্যুর– সবখানেই মা সঙ্গী হন। যেমনটা তাঁকে দেখেছি সেই শৈশব থেকে হাত ধরে চলা শেখাতে।’
খাবার খাওয়া নিয়ে দুজনার খুব ঝগড়া হয়। এক বেলার খাবার আরেক বেলা খায় স্পর্শিয়া। তখন এই নিয়ে মায়ের অনেক কথা শুনতে হয়। মেয়েকে নিয়মিত বকাঝকা করার আরও কারণ আছে,‘ও খুব সরল টাইপের। যে যা চায় সব বিলিয়ে দেয়। তখন রাগ হয়। আমারও কোনো একটা শখের জিনিস কেউ চাইল, অমনি সে দিয়ে দেয়। আমার লাইব্রেরি থেকে অর্ধেক বই দিয়ে দিয়েছে মানুষকে। আমি বাসায় না থাকলে দিয়ে দেয়। আমি এলে বলেও না। অনেকে পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেয় না। চেনা মুখের আবদার রাখতে হয়। দেখা গেল সেই কাজটা করলে একটু মানহানি হয়। তখন রাগারাগি করি যে এটা কেন করেছ।’
স্পর্শিয়া মনে করেন, ‘তাঁর মা এই সময়ের প্রত্যেকটা নারীর জন্য উদাহরণ। প্রত্যেকটা নারীর আসলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা উচিত, তাঁর সম্পর্কে জানা উচিত। আমি তাঁকে আইডল মানি। কারণ, সে যেভাবে কারও সাপোর্ট ছাড়া নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন, আমাকেও বড় করেছেন। আমি যে বদের হাড্ডি, আমাকেও সামলিয়েছেন। এটা আমি সব সময় সব জায়গাতেই বলি।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেক মেয়ের কথা শুনলে আমি বলি আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও উত্তরণের পথ খুঁজে পাবে। আমি নিজে যখন অনেক আপসেট হয়ে যাই, অনেক কিছু নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি, তখন আমার চোখের সামনে তিনি চলে আসেন। তাঁর কথা চিন্তা করি। তখন ভাবি এই মহিলাটা কীভাবে আসলে এত স্ট্রাগল করেছে। এত বড় করেছে আমাকে। ওই জায়গায় তো আমি কিছুই না।’
স্পর্শিয়ার জীবনেও ঘটেছে বিয়ে এবং ডিভোর্সের মতো ঘটনা। বিয়ের সিদ্ধান্তটা স্পর্শিয়া নিজেই নিয়েছিলেন। স্পর্শিয়ার মায়ের কথা, ‘এত অল্প বয়সে তো আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত দেব না। ও আবেগে পড়ে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এটা তোমার সঙ্গে যায় না। তোমার বয়স এখনো অনেক পড়ে আছে। আমি পাশে আছি। এখন আর আবেগকে প্রশ্রয় দেবে না হয়তো। শিক্ষা হয়েছে। আমি আছি, ওকে আর এমন সিদ্ধান্ত নিতেও দেব না। লম্বা জীবন আছে। সেখানে আমিই ওর সাথি খুঁজে দেব। আমার পছন্দের বাইরে গিয়ে তো একবার শিক্ষা হলো।’
স্পর্শিয়াও হাসিমুখে তাঁর মায়ের কথা মেনে নিলেন, ‘যখন ভুল করেছি, সে বলেছে এটা কোরো না, এটা ভুল। সে আমার চেয়ে অবশ্যই ম্যাচিউরড। সেই জায়গা থেকে আমি শুনিনি। তাঁর যেটা শুনেছি সেটা তো ভালো। যেটা শুনিনি বাঁশ খেয়েছি এই আর কি।’

ঢাকা: সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা সময় জানা গেল, সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন সুজানের স্বামী ও স্পর্শিয়ার বাবা। তার পর থেকে শুরু মা–মেয়ের সংগ্রাম। এতটা বছর চলার পথে তেমন কাউকেই সঙ্গে পাননি। এমনকি সুজানের পরিবারের মানুষও থাকেন দেশের বাইরে। একা এক হাতে মেয়ের আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। নিজের সুনামও অক্ষুণ্ন রেখেছেন। কিছু আক্ষেপ তো রয়েই যায়। সেই থেকে শুরু করলেন সুজান, ‘সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে হয়েছে। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। এই সমাজে স্বামী থাকতেই হবে। স্বামী না থাকা মানেই মহিলার হয়তো কোনো ত্রুটি আছে। সমাজ আমাকে এটা বুঝিয়েছে ভালো করে। অনেক কিছু ফেইস করেছি।’
উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন তিনি, ‘একক মহিলাদের জন্য যে কতটুকু নিরাপত্তার অভাব আমাদের দেশে, সেটা বুঝেছি, অনেক কিছু বুঝেছি। কত বাসা ভাড়া নিয়েছি। কোনো বাসায় বাড়িওয়ালা, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ছেলে, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ভাই প্রেম করতে চেয়েছে আমার সঙ্গে। যখনই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে করে করে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তার অভাব কতটা যে বোধ হতো, সেটা শুধু আমি আর আমার মেয়েই জানে। ও যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের অভিভাবক, টিচাররা মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করেছিল– ওর বাবা নেই কেন? ওর বাবা নেই–ও ভালো নয়। ওর সঙ্গে বাকি ছেলেমেয়েদের মিশতে দেওয়া যাবে না। সেটাও ফেইস করেছি। তখন এর প্রতিবাদ জানাতে হয়েছে। বলেছি, এটা নিয়ে আমি নিউজ করব। তখন তো আমি পত্রিকায় কাজ করি। তখন ওরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।’
স্পর্শিয়াও মায়ের কথায় সায় দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। খোলাখুলিভাবে বললে একটা সিঙ্গেল ওমেনকে খুব খারাপ চোখে দেখা হয়। স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, নিশ্চয়ই বউয়ের দোষ। মেয়েটারই তো দোষ। সেই জায়গা থেকে শুধু যে অর্থনৈতিক তা নয়, মানসিক স্ট্রাগলও ছিল। নিজের খাওয়া–পরা–থাকার সঙ্গে আরও একটা মেয়েকে বড় করা এই শহরে। এটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।’
মা–মেয়ের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। সুজান হকের মতে, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক বাবা-মায়ের আগে বন্ধু হতে হবে। তাহলে সন্তানের কষ্ট বা দুঃখটা জানা যায়। সুখটা তো এমনিতেই চোখেই পড়ে। এতে সন্তান নিরাপদ বোধ করে। এ জন্য আমি মা না হয়ে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমার মায়ের লাইফের পার্ট নিয়ে একটা মুভি হওয়া উচিত। কারণ, তাঁর স্ট্রাগলটা ছোট করে বলা সম্ভব নয়। বলা শুরু করলে রাত পার হয়ে যাবে। কোনো বাসায় থাকলে বাড়িওয়ালা বা পাড়া–প্রতিবেশী যেমন ডিস্টার্ব করত, তেমনি অনেক সময় চাকরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। বসরা ডিস্টার্ব করত। আমাদের সমাজে একা একটা সিঙ্গেল মেয়েকে পাবলিক প্রপার্টি হিসেবে দেখা হয়। ওইটাও একধরনের স্ট্রাগল ছিল আমার ও আমার মায়ের।’
স্পর্শিয়া কথা বলছিলেন হেসে হেসে। কিন্তু তাঁর মনের কষ্টটা চোখেমুখে স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘সে চাইলে বিয়েও করতে পারতেন। সেটাও সে করেননি। আমাকে আঁকড়ে রেখেছেন। একটা মানুষ এত ডেডিকেটেড হতে পারে সন্তানের প্রতি! সেটা আমাকে অবাকই করে। কারণ, আমি আরও অনেক বাবা-মা দেখেছি। পুরো লাইফটাই লিখে দিল আমাকে! এমনকি তাঁর কাছের বন্ধুবান্ধবও তেমন নেই। আমিকেন্দ্রিকই তাঁর জীবন। এটা নিয়েই আমাদের ঝগড়া হয় প্রায়ই। আমি এখনো বলি, একটা প্রেম করো বিয়ে করো। করবে না সে। আমার সঙ্গে বয়সেরও কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই তাঁর।’
সুজান হকের সাংবাদিকতার পরিচয় অনেকেই জানেন। দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন। তবে তিনি এখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। লেখালেখির পাশে আছে বুটিকস হ্যান্ডি ক্রাফটসের হাউস। বাগান আছে, পোষা প্রাণী আছে, আর মেয়ের স্ক্রিপ্ট তো তাঁরই আগে পড়া হয়। এখন একটা ছোট গল্প অনুবাদ করেছেন। গত বছর বইমেলাতে ছোটদের বই ‘হেলেনের অহংকারী ফুল’ প্রকাশ করেছেন। এ জীবনে বেশ কিছু বই লিখেছেন, কবিতার বই ‘তুমি সেই ভ্যালেন্টাইন’, বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, ফিচার লিখেছেন, তার সংকলন নিয়েও বই প্রকাশ করেছেন। মাইকেল জ্যাকসন যখন প্রয়াত হন, তখন তাঁকে নিয়ে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি মাইকেল জ্যাকসন’ নামে একটা বই লিখেছেন। ‘অ্যা পোরট্রেট অব ফাদার রিগান’ বই তাঁর লেখা। ফটোগ্রাফি করেন। আছেন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত।
স্পর্শিয়া এখন কম কাজ করেন। আর এটাতে তৃপ্ত তাঁর মা। তিনি সাধুবাদ জানান মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে। তাঁর মতে, এটা ভালো। যেটাতে ও স্বস্তিবোধ করবে, আমি স্বস্তিবোধ করব। সেই জায়গার কথা ভাবা লাগবে। ‘অনেকেই বলে মেয়েকে মিডিয়ায় কাজ করতে দিয়েছি। কেন! তারা তো কাছ থেকে দেখেন না মিডিয়াকে। ভালো–মন্দ তো সব সেক্টরেই আছে। একজন শিল্পীর যেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়, সেটা তো মিডিয়ার বাইরের মানুষ বুঝবে না। মিডিয়া মানেই খারাপ নয়, আমি তো বলি তোমরা আসো, এসে দেখো ওরা কি ফেইস করে, এখানে কি ভালো–মন্দ আছে। তারপর বলো। মিডিয়ার মানুষও ভালো থাকতে পারে। খারাপ প্রস্তাব যে সব মিডিয়া থেকে আসে, তা তো নয়। তাহলে শোবিজের বাইরে এত ক্রাইম হচ্ছে কেন!’
অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার আজকের অবস্থানের পেছনে সবটাই মায়ের অবদান বলে মনে করেন স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘আম্মুর কখনো চাওয়া ছিল না যে আমার মেয়ের ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে। আমি ছবি আঁকতাম। সেটাতেও তাঁর সায় ছিল। উৎসাহিত করত আমি যেন ছবি আঁকায় মন দিই। লেখালেখি করতাম, সে উৎসাহ দিত যেন আমি লেখক হই। আমি যখনই যেটা করতে ভালোবেসেছি, সেটাই সে চেয়েছে যেন আমি মন দিয়ে করি। ছোটবেলা থেকেই তো শোবিজের মানুষজন দেখে বড় হয়েছি। মা যেহেতু বহু বছর সাংবাদিকতায় ছিলেন। কিন্তু মা চাপিয়ে দেননি– তোমার অভিনেত্রী হতে হবে। সে কখনো তাঁর পরিচিত কাউকে বলেওনি যে আমার মেয়েকে কাজ দেও। কিন্তু যখন আমি নিজে শুরু করেছি, তখন সে পাশে ছিল। আমার ভালো–মন্দের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ছিল। আমার স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে বিদেশ ট্যুর– সবখানেই মা সঙ্গী হন। যেমনটা তাঁকে দেখেছি সেই শৈশব থেকে হাত ধরে চলা শেখাতে।’
খাবার খাওয়া নিয়ে দুজনার খুব ঝগড়া হয়। এক বেলার খাবার আরেক বেলা খায় স্পর্শিয়া। তখন এই নিয়ে মায়ের অনেক কথা শুনতে হয়। মেয়েকে নিয়মিত বকাঝকা করার আরও কারণ আছে,‘ও খুব সরল টাইপের। যে যা চায় সব বিলিয়ে দেয়। তখন রাগ হয়। আমারও কোনো একটা শখের জিনিস কেউ চাইল, অমনি সে দিয়ে দেয়। আমার লাইব্রেরি থেকে অর্ধেক বই দিয়ে দিয়েছে মানুষকে। আমি বাসায় না থাকলে দিয়ে দেয়। আমি এলে বলেও না। অনেকে পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেয় না। চেনা মুখের আবদার রাখতে হয়। দেখা গেল সেই কাজটা করলে একটু মানহানি হয়। তখন রাগারাগি করি যে এটা কেন করেছ।’
স্পর্শিয়া মনে করেন, ‘তাঁর মা এই সময়ের প্রত্যেকটা নারীর জন্য উদাহরণ। প্রত্যেকটা নারীর আসলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা উচিত, তাঁর সম্পর্কে জানা উচিত। আমি তাঁকে আইডল মানি। কারণ, সে যেভাবে কারও সাপোর্ট ছাড়া নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন, আমাকেও বড় করেছেন। আমি যে বদের হাড্ডি, আমাকেও সামলিয়েছেন। এটা আমি সব সময় সব জায়গাতেই বলি।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেক মেয়ের কথা শুনলে আমি বলি আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও উত্তরণের পথ খুঁজে পাবে। আমি নিজে যখন অনেক আপসেট হয়ে যাই, অনেক কিছু নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি, তখন আমার চোখের সামনে তিনি চলে আসেন। তাঁর কথা চিন্তা করি। তখন ভাবি এই মহিলাটা কীভাবে আসলে এত স্ট্রাগল করেছে। এত বড় করেছে আমাকে। ওই জায়গায় তো আমি কিছুই না।’
স্পর্শিয়ার জীবনেও ঘটেছে বিয়ে এবং ডিভোর্সের মতো ঘটনা। বিয়ের সিদ্ধান্তটা স্পর্শিয়া নিজেই নিয়েছিলেন। স্পর্শিয়ার মায়ের কথা, ‘এত অল্প বয়সে তো আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত দেব না। ও আবেগে পড়ে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এটা তোমার সঙ্গে যায় না। তোমার বয়স এখনো অনেক পড়ে আছে। আমি পাশে আছি। এখন আর আবেগকে প্রশ্রয় দেবে না হয়তো। শিক্ষা হয়েছে। আমি আছি, ওকে আর এমন সিদ্ধান্ত নিতেও দেব না। লম্বা জীবন আছে। সেখানে আমিই ওর সাথি খুঁজে দেব। আমার পছন্দের বাইরে গিয়ে তো একবার শিক্ষা হলো।’
স্পর্শিয়াও হাসিমুখে তাঁর মায়ের কথা মেনে নিলেন, ‘যখন ভুল করেছি, সে বলেছে এটা কোরো না, এটা ভুল। সে আমার চেয়ে অবশ্যই ম্যাচিউরড। সেই জায়গা থেকে আমি শুনিনি। তাঁর যেটা শুনেছি সেটা তো ভালো। যেটা শুনিনি বাঁশ খেয়েছি এই আর কি।’

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।
নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুযায়ী, উপসাগরীয় দেশগুলোর কর্তৃপক্ষ ‘ধুরন্ধর’-এর পাকিস্তান-বিরোধী বিষয়বস্তু নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাজার হওয়া সত্ত্বেও, ছবিটি সেখানে মুক্তির অনুমতি পায়নি।
একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, এই আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল, কারণ ছবিটি ‘পাকিস্তান-বিরোধী চলচ্চিত্র’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সূত্রটি আরও জানায়, এর আগে এই অঞ্চলে এমন চলচ্চিত্র মুক্তির অনুমতি পায়নি। তবুও ‘ধুরন্ধর’-এর দল চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, সব দেশই ছবিটির থিম অনুমোদন করেনি। এই কারণেই উপসাগরীয় দেশগুলোতে ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পায়নি।
নির্মাতা ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, ‘ধুরন্ধর’ একটি স্পাই থ্রিলার, যার পটভূমি পাকিস্তানে। ছবিটির গল্প হামজা আলি মাজারি নামে এক রহস্যময় ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত, যিনি লিয়ারি অঞ্চলের রহমান ডাকাতের গ্যাংয়ে অনুপ্রবেশ করেন। ছবিতে রণবীর সিং ছাড়াও অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর. মাধবন এবং সারা অর্জুন মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
বক্স অফিসে ছবিটি বিপুল সাফল্য পেয়েছে। ইন্ডাস্ট্রি ট্র্যাকার Sacnilk-এর রিপোর্ট অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সম্প্রতি ভারতে ২০০ কোটির মাইলফলক অতিক্রম করেছে এবং বিশ্বব্যাপী মোট ২৭৪ দশমিক ২৫ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে।
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশংসা পেলেও, চলচ্চিত্র সমালোচকদের কাছ থেকে এটি মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়েছে। এর মধ্যে ছবিটির রিভিউ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি, ফিল্ম ক্রিটিকস গিল্ড ছবিটির সমালোচনা করার জন্য চলচ্চিত্র সমালোচকদের ওপর ‘হামলা, হয়রানি এবং ঘৃণা’ ছড়ানোর তীব্র নিন্দা করেছে। তাদের অফিসিয়াল বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মতভেদের শুরু দ্রুত ব্যক্তিগত আক্রমণ এবং সমালোচকদের পেশাদার সততাকে হেয় করার সংগঠিত প্রচেষ্টায় পরিণত হয়েছে।

সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা
০৯ মে ২০২১
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’
নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’
ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।
নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।
নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
‘দ্য কোড’ নামে একটি ড্রাম-অ্যান্ড-বেস, অপেরা, র্যাপ এবং রক গান গেয়ে ২০২৪ সালের এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন নন-বাইনারি গায়ক নেমো। তিনি বলেন, ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ এই প্রতিযোগিতার অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের জন্য মর্যাদার আদর্শের পরিপন্থী।
ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে নেমো বলেন, ‘ইউরোভিশন দাবি করে যে তারা ঐক্য, অন্তর্ভুক্তি এবং সব মানুষের মর্যাদার পক্ষে দাঁড়ায়। আর এই মূল্যবোধগুলোই এই প্রতিযোগিতাটিকে আমার কাছে এত অর্থবহ করে তোলে।’
নেমো আরও বলেন, ‘কিন্তু জাতিসংঘের স্বাধীন আন্তর্জাতিক কমিশন অব ইনকোয়ারি (অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডসহ পূর্ব জেরুজালেম এবং ইসরায়েল সম্পর্কিত) গণহত্যা বলে উপসংহারে পৌঁছেছে। সেই সময় ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে এই আদর্শ এবং ইবিইউ-এর সিদ্ধান্তের মধ্যে একটি সুস্পষ্ট সংঘাত রয়েছে।’
ইসরায়েল অবশ্য গণহত্যার সমস্ত অভিযোগ বারবার প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তারা দাবি করে, তারা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করছে এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে হামাসের নেতৃত্বাধীন আন্তসীমান্ত হামলার পর নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার তাদের রয়েছে।
নেমোর এই মন্তব্য ইউরোভিশনের আয়োজক ইউরোপীয় ব্রডকাস্টিং ইউনিয়ন (ইবিইউ)-এর বিরুদ্ধে চলমান প্রতিবাদের সর্বশেষ সংযোজন। ইসরায়েলকে আগামী বছর অস্ট্রিয়াতে অনুষ্ঠেয় ইভেন্টে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র দেওয়ায় ইতিমধ্যেই পাঁচটি দেশ প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির প্রতিবাদে নেমোর আগে স্পেন, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড এবং স্লোভেনিয়া ইউরোভিশন ২০২৩ প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। গত বুধবার আইসল্যান্ডের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা আরইউভি জানিয়েছে, তারা ২০২৬ সালের ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে অংশ নেবে না।
নেমো বলেন, দেশগুলো যখন প্রতিযোগিতা থেকে সরে আসে, তখন স্পষ্টতই বোঝা যায় যে কোথাও বড় কোনো সমস্যা রয়েছে। তিনি ইউরোভিশন ট্রফিটি জেনেভায় ইবিইউ-এর সদর দপ্তরে ফেরত পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
প্রায় ১৬ কোটি দর্শক দেখে থাকেন ইউরোভিশন সং সং কনটেন্ট। এমন একটি প্রতিযোগিতার আয়োজক ইবিইউ-এর উদ্দেশে নেমোর স্পষ্ট বার্তা হলো: ‘আপনারা যা দাবি করেন, তা বাস্তবে মেনে চলুন। মঞ্চে আমরা যে মূল্যবোধগুলো উদ্যাপন করি, যদি মঞ্চের বাইরে তা না থাকে, তবে সবচেয়ে সুন্দর গানগুলোও অর্থহীন হয়ে যায়। আমি সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি যখন কথা ও কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য আসবে। তত দিন পর্যন্ত এই ট্রফিটি আপনাদের।’

সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা
০৯ মে ২০২১
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
৭ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।
কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’
তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’
রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’
এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।
এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’
চুমকির বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি।
কয়েক দিন আগে মনজু আহমেদের একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়েছিলেন চুমকি। সেখানে জয়া ও রুনার ফটোশুট নিয়ে ফারজানা চুমকি বলেন, জয়া আহসান ও রুনা খানের কিছু ফটোশুট দেখলে মনে হয় এগুলো তাঁরা না করলেও পারতেন। এরপর চুমকির সেই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কেউ কেউ তাঁর সঙ্গে একমত পোষণ করলেও অনেকে করছেন সমালোচনা। সহকর্মীদের নিয়ে এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি বলে মত দিয়েছেন তাঁরা।
যেভাবে ঘটনা শুরু
১৯৯৯ সালে লাক্স আনন্দধারা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়েছিলেন ফারজানা চুমকি। এরপর নিয়মিত ফটোশুট করতেন তিনি। প্রায় এক যুগের বেশি হয়েছে, ফটোশুটে সময় দেননি তিনি। অনুষ্ঠানে চুমকি জানান, ওজন বেড়ে যাওয়ায় ফটোশুট করা হয়নি তাঁর। তবে নতুন করে আবার ফটোশুটে সময় দিতে চান তিনি। সেই সময় উপস্থাপক জানতে চান, রুনা খান ওজন কমিয়ে ফটোশুট করছেন, তাহলে তিনি কেন পারেননি? জবাবে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘রুনা খান অনেক ডেডিকেটেড ছিল। অনেক চেষ্টার পর ও পেরেছে। আমার হয়তো ওই চেষ্টাটা ছিল না। রুনা খানের টার্গেট ছিল সে শুকাবে, ফটোশুট করবে, হট হট ফটোশুট করছে। আমার মাথায় এই চিন্তাটাই নেই। এ ছাড়া আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে।’
তিনিও রুনা খানের মতো হট ফটোশুট করবেন কি না, জানতে চাইলে চুমকি জানান, এমনটা করলে তিনি অনেক আগেই সিনেমায় অভিনয় করতেন। চুমকি বলেন, ‘ফটোসুন্দরী হওয়ার পর অনেক সিনেমার অফার এসেছে। কিন্তু ওই সময় সিনেমার অবস্থা একটু দুস্থ ছিল বা ভালগার টাইপের। প্রথমত, আমাকে বাসা থেকে দেয়নি, আমারও মনে হয়েছে ওই ধরনের কাজ আমি করতে পারব না।’
রুনা খানকে নিয়ে জেলাস কি না, জানতে চাইলে চুমকি বলেন, ‘রুনার সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক। ও ওর জায়গা থেকে কাজ করছে। জেলাস হব কেন? তবে মাঝে মাঝে কিছু ফটোশুট দেখে মনে হয় দরকার কী? না করলেও পারত। রুনা অনেক ভালো অভিনেত্রী। ওর এভাবে ফটোশুট না করলেও হতো।’
এর পরেই জয়া আহসানের ফটোশুট নিয়ে মন্তব্য করেন চুমকি। তিনি বলেন, ‘জয়া আপার কিছু হট ছবি মনে হয় অসম্ভব ভালো। আবার কিছু ছবি দেখলে মনে হয় ভালো লাগছে না। কারণ, জয়া আপাকে আমি শুরুতে যখন দেখেছি, একটি সেফটিপিন যাতে সরে গিয়ে পেট না দেখা যায়—এতটা সচেতন থাকতেন। ওভাবে দেখে অভ্যস্ত।
এ জন্য হঠাৎ করে আমাদের ধাক্কা লাগে। আর কিছু না।’
চুমকির বক্তব্য
সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার বিষয়টি নজর এড়ায়নি চুমকির। তাই নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে ফেসবুকে চুমকি লেখেন, ‘আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলি নাই। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো। ওর অভিনয়ের ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নাই। আপনারা কেন এই ভাবে লিখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা
০৯ মে ২০২১
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১ ঘণ্টা আগে
বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে...
৭ ঘণ্টা আগেবিনোদন ডেস্ক

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।
‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।
লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।
পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।
এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
নির্বাচিত সেরাদের তালিকা
সিনেমা
লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)
জুরি পুরস্কার
হিজরা (শাহাদ আমিন)
পরিচালক
আমির ফখের এলদিন (ইউনান)
চিত্রনাট্য
সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)
অভিনেতা
জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)
অভিনেত্রী
সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)
সেরা তথ্যচিত্র
ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)
সৌদি চলচ্চিত্র
হিজরা (শাহাদ আমিন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

বিশ্ব সিনেমার অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠছে সৌদি আরব। সারা বছর সেখানে সিনেমাকেন্দ্রিক নানা আয়োজন চলে। সৌদির সবচেয়ে বড় আয়োজন রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। ৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এ উৎসবের পঞ্চম আসর। আজ শেষ হবে এই আয়োজন। শেষ হওয়ার আগেই গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘোষণা করা হয়েছে এবারের উৎসবে বিজয়ীদের নাম। এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতে নিয়েছে রোহিঙ্গা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’। ক্রেস্টের পাশাপাশি পুরস্কার হিসেবে এই সিনেমাটি পেয়েছে ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি।
‘ইউনান’ সিনেমার জন্য সেরা নির্মাতা নির্বাচিত হয়েছেন সিরিয়ার নির্মাতা আমির ফখের এলদিন। এই সিনেমার জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন জর্জ খাব্বাজ। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন সিও সু-বিন, তিনি সেরা হয়েছেন ‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ’ সিনেমার জন্য।
লস্ট ল্যান্ড সিনেমার গল্প লেখা হয়েছে মিয়ানমারে পালিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া দুই শিশুকে ঘিরে। ৯ বছর বয়সী সামিরা চার বছর বয়সী ভাই শফিকে নিয়ে মালয়েশিয়ায় থাকা চাচাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্দশে যাত্রা শুরু করে। তাদের এই দুঃসহ যাত্রাপথের গল্প নিয়ে সিনেমা। এ বছর ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ারে বিশেষ জুরি পুরস্কার পেয়েছিল লস্ট ল্যান্ড।
পুরস্কার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরুতে অ্যান্থনি হপকিন্স, ইদ্রিস এলবা, ড্যারেন অ্যারোনোফস্কি এবং সৌদি নির্মাতা আহদ কামেলকে সম্মাননা জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনি ডেপ, সালমান খান, শাইলিন উডলির মতো তারকারা।
এবার রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে জুরি প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছিলেন অস্কারজয়ী হলিউড নির্মাতা শন বেকার। তাঁর সঙ্গে জুরি বোর্ডে ছিলেন রিজ আহমেদ, নাওমি হ্যারিস, ওলগা কুরিলেঙ্কো ও নাদিন লাবাকি। পুরস্কার দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জুরি বোর্ডের সদস্যরা।
নির্বাচিত সেরাদের তালিকা
সিনেমা
লস্ট ল্যান্ড (আকিও ফুজিমোতো)
জুরি পুরস্কার
হিজরা (শাহাদ আমিন)
পরিচালক
আমির ফখের এলদিন (ইউনান)
চিত্রনাট্য
সিরিল অ্যারিস ও বেন ফাকিহ (আ স্যাড অ্যান্ড বিউটিফুল ওয়ার্ল্ড)
অভিনেতা
জর্জ খাব্বাজ (ইউনান)
অভিনেত্রী
সিও সু-বিন (দ্য ওয়ার্ল্ড অব লাভ)
সেরা তথ্যচিত্র
ইন-আই ইন মোশন (জুলিয়েট বিনোচে)
সৌদি চলচ্চিত্র
হিজরা (শাহাদ আমিন)
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র
কোয়োটস (সাইদ জাঘা)

সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা
০৯ মে ২০২১
বলিউডের রণবীর সিং অভিনীত নতুন ছবি ‘ধুরন্ধর’ ভারতের ব্যাপক ব্যবসা করছে। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে। তবে ছবিটি মধ্যপ্রাচ্যে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হয়েছে। ‘পাকিস্তান-বিরোধী থিম’-এর অভিযোগ এনে বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটির মুক্তি আটকে দেওয়া হয়েছে।
৪৪ মিনিট আগে
গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ চলাকালীন ‘ইউরোভিশন সং সং কনটেস্টে’ ইসরায়েলের অব্যাহত অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ট্রফি ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেন ২০২৪ সালের ইউরোভিশন বিজয়ী নেমো। গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা দেন সুইজারল্যান্ডের এই শিল্পী।
১ ঘণ্টা আগে
অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও নজরকাড়া উপস্থিতি রয়েছে অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের। বিভিন্ন ফটোশুটের ছবি নিজেদের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শেয়ার করেন তাঁরা। এসব ছবি নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্যও দেখা যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি দুই অভিনেত্রীর ফটোশুট নিয়ে সমালোচনা করলেন আরেক অভিনেত্রী...
৭ ঘণ্টা আগে