Ajker Patrika

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা কাটেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০২ মার্চ ২০২৪, ২২: ৩২
অভিশ্রুতি বা বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা কাটেনি

রাজধানীর রমনার বেইলি রোডের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় ও মরদেহ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা কাটেনি। পরিচয় জটিলতা নিরসন না হওয়ায় আজ শনিবার পর্যন্ত তাঁর মরদেহ হস্তান্তর করতে পারেনি পুলিশ। তাঁর মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার পর মরদেহ হস্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রমনা থানা-পুলিশ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহ আলম মোহাম্মদ আখতারুল ইসলাম বলেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী বা বৃষ্টি খাতুনের পরিচয় নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ও জন্মনিবন্ধন সনদে বাবার দুই ধরনের নাম এসেছে। এ ছাড়া তাঁর আরও কিছু বিষয় পরিপূর্ণভাবে যাচাই না করে মরদেহ হস্তান্তর করা সম্ভব হবে না। 

তিনি বলেন, রমনা কালীমন্দিরের কর্তৃপক্ষ এবং কুষ্টিয়ার এক ব্যক্তি তাঁর মেয়ে বলে মরদেহ দাবি করেছেন। এ জন্য লাশের ময়নাতদন্তের পাশাপাশি ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ছাড়া মরদেহ দাবি করা স্বজনদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। 

গত বৃহস্পতিবার বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এই তরুণী নিহত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার কুষ্টিয়ার খোকসা থেকে শাবলুল আলম সবুজ নামে এক ব্যক্তি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এসে অভিশ্রুতিকে বৃষ্টি খাতুন বলে শনাক্ত করেন এবং এই তরুণী তাঁর নিজের মেয়ে বলে দাবি করে মরদেহ নিতে চান। তিনি যে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসেন, সেখানে ওই তরুণীর নাম বৃষ্টি খাতুন উল্লেখ রয়েছে। তবে তিনি আসার আগেই রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা মর্গে অভিশ্রুতিকে শনাক্ত করেন। তিনি এই তরুণীর নাম অভিশ্রুতি বলে জানান। তিনি পুলিশকে বলেন, অভিশ্রুতি ৯ মাস ধরে রমনা কালীমন্দিরে আসতেন। সনাতন ধর্মের অনুসারী। তিনি কুষ্টিয়ায় ছোটবেলায় দত্তক হয়ে ওই পরিবারে ছিলেন।

অভিশ্রুতিকে বৃষ্টি বলায় গতকাল শাবলুল আলম সবুজকে প্রতারক ভেবে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, অভিশ্রুতি শাস্ত্রী তাঁর মেয়ে বৃষ্টি খাতুন। তিনি ওই তরুণীর প্রাথমিক কলেজ শিক্ষাজীবনের বিভিন্ন সনদ, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেখান। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রও দেখান। তবে দুই পক্ষ মরদেহ দাবি করায় পুলিশ শাবলুল আলম সবুজ ও রমনা কালীমন্দির কর্তৃপক্ষকে লিখিত আবেদন করতে বলে। এরপর তারা লিখিত আবেদন করে। পুলিশ শাবলুল আলম সবুজের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে।

অভিশ্রুতি বা বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিতে চাওয়ার বিষয়ে যুক্তি দিয়ে রমনা কালীমন্দিরের সভাপতি উৎপল সাহা বলেন, ‘আমরা এই তরুণীকে অভিশ্রুতি নামেই চিনতাম। তিনি ৯ মাস ধরে আমাদের মন্দিরে সনাতন ধর্মীর অনুসারী হিসেবে পূজা করেছেন।’ 

তিনি জানিয়েছিলেন, ‘তাঁর বাড়ি ভারতের বেনারসে। ছোটবেলা তাঁর মা-বাবা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর দাদুর হাত ধরে কুষ্টিয়া আসেন। একটি বোর্ডিং স্কুলে ছিলেন। সেখান থেকে ওই পরিবারটি তাঁকে দত্তক নেয়, আমাদের কাছে তাই জানিয়েছিলেন অভিশ্রুতি। তাই আমরা তাঁর মরদেহ দাবি করেছি। তবে শাবলুল আলম সবুজের সঙ্গে তাঁর ডিএনএ ম্যাচ করলে আমাদের আর কোনো দাবি নেই।’ 

বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের মর্গে রাখা হয়েছে। কুষ্টিয়ার খোকসায় বৃষ্টির গ্রামের বাড়ি বলে তাঁর বাবা পরিচয় দেওয়া শাবলুল আলম সবুজ বলেন, ‘এটা আমার মেয়ে, এখন এই বিপদেও আমাকে প্রমাণ করতে হচ্ছে। এর চেয়ে দুঃখ আর কী আছে।’

এদিকে বৃষ্টির ছোট বোন বর্ষা খাতুন বলেন, ‘অভিশ্রুতি বৃষ্টি নামে একটি ফেসবুকের ফেক আইডি চালাতেন বৃষ্টি। এ ছাড়া সে অন্য ধর্ম গ্রহণ করেছে—এমন কিছু এর আগে আমরা জানি নাই। তিন মাস আগেও বাড়ি এসেছিল। গত বৃহস্পতিবার দুপুরেও মায়ের সঙ্গে বৃষ্টির শেষবার মুঠো ফোনে কথা হয়।’

শাবলুল আলম সবুজের কাছ থেকে এবং এই তরুণীর আঙুলের ছাপ নিয়ে পুলিশ যেসব কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে তাতে গরমিল দেখা গেছে। তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্র, ইডেন কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার প্রবেশপত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন। কিন্তু তাঁর জন্মনিবন্ধন সনদ ও তৈরি করা চাকরির জীবনবৃত্তান্তে নিজের ও মা-বাবার নামে ভিন্নতা রয়েছে। 

পুলিশ জানিয়েছে, ২০২১ সালের ৬ জুলাই ইস্যু করা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম বৃষ্টি খাতুন হিসেবেই রয়েছে। সেখানে পিতার নাম সবুজ শেখ এবং মাতার নাম বিউটি বেগম। কলেজের প্রবেশপত্রেও তাঁর একই রকম তথ্য আছে। তবে ২০২২ সালের ২৩ অক্টোবর ইস্যু করা জন্মনিবন্ধন সনদে তাঁর নাম আছে অভিশ্রুতি, বাবার নাম লেখা হয়েছে মো. শাবরুল আলম এবং মায়ের নাম বিউটি বেগম। অন্যদিকে, চাকরির জীবনবৃত্তান্তে নিজের নাম অভিশ্রুতি শাস্ত্রী, বাবার নাম লিখেছেন শাবরুল আলম এবং মায়ের নাম অপর্ণা শাস্ত্রী। জন্মনিবন্ধন সনদ এবং জীবনবৃত্তান্তে জন্ম তারিখ ২০০০ সালের ২৫ ডিসেম্বর রয়েছে। তবে জাতীয় পরিচয়পত্রে তাঁর জন্ম তারিখ ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮।

বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি ঢাকায় দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ নামে একটি নিউজ পোর্টালে সাংবাদিকতা করতেন। সম্প্রতি এই প্রতিষ্ঠানটি ছেড়ে কেস্টারটেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়া প্রতিষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তাঁর পরিচিত সহকর্মীরা অনেকেই তাঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি করেছেন। পরিচিতরা এ তথ্য জানিয়েছেন। 

শাবরুল আলম সবুজ বলেন, ‘যাকে আপনারা অভিশ্রুতি বলছেন, সে বৃষ্টি। সে আমার মেয়ে। তার সকল শিক্ষাজীবনের কাগজে এই নাম। এই ঘটনার পর তার মা সংজ্ঞাহীন। আমি আমার মেয়ের মরদেহ নিতে চাই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।

উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।

এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’

পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’

তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’

এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রাজধানীর তিন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ, মিরপুরে দোকানি আহত

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।

শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।

এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।

অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।

এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান: চার ঘণ্টা পর আগের বক্তব্য প্রত্যাহার করল পুলিশ

খুলনা প্রতিনিধি
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অস্ত্র তৈরি কারখানায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালা ডিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা
খুলনা নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অস্ত্র তৈরি কারখানায় আজ শনিবার সন্ধ্যায় অভিযান চালা ডিবি। ছবি: আজকের পত্রিকা

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।

খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।

এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।

এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।

এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণে শিশু আহত, রামেকে ভর্তি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।  

আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।  

শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, মস্তিষ্ক মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত, ফুসফুসেও আঘাত: মেডিকেল বোর্ড

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ অবিলম্বে চালু হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

মেসিকে কলকাতায় আনার মূল উদ্যোক্তা আটক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত