নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তেজগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই রকম হলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর জিরো ট্রলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলেছি। বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা ছাড় দেইনি। আজকে আমি রাজনীতি করি, সেখানে বুয়েটে যেতে পারব না—এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নীতি?’
২০১৯ সালে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালান।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় বুয়েটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকের প্রবেশের ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা শনিবার দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। তাঁরা ছয় শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছেন। রোববার বিক্ষোভ না করলেও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলছে। আর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে চট্টগ্রামের নেতাদের উদ্দেশে নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। নেত্রীর নির্দেশনা জানেন। আপনাদের প্রস্তাব ছিল কোনো প্রার্থী না দেওয়ার। আপনাদের খুব দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একেক জনের একেক রকম কথাবার্তা দলকে বিভ্রান্ত করে। যা খুশি বলে দিবেন? এটা তো আওয়ামী লীগ নয়, ফ্রি স্টাইলে কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকলে নেত্রী যে উদ্দেশ্যে নির্বাচন করতে চান, সেটা বাস্তবায়িত হবে। নিজের ওপরে ছেড়ে দিলাম।’
কাদের বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা চায়ের দোকানে বসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে। এ ধরনের নেতাদের পরিহার করতে হবে। উপজেলা নির্বাচনে ফ্রি-ফেয়ার ভোট হবে, জনগণ যাকে ভোট দেওয়ার দেবে। এখানে আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।’
তিনি বলেন, মঈন খানের মতো নেতারা আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের কেউ বলেন গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আবার কেউ বলেন ভারতের পণ্য বর্জন। বিএনপির সব ইস্যু নির্বাচনে মার খেয়েছে। এখন তাদের নতুন ইস্যু ভারতবিরোধী।
বিএনপি মিথ্যাচার করছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায়, তখন বাংলাদেশের রির্জাভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। এখন তারা আমাদের রির্জাভ নিয়ে কটাক্ষ করে। এখন আমাদের রির্জাভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।’
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান,দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তেজগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ, অপরাজনীতির কারখানায় পরিণত করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। সেই রকম হলে সরকারকে অ্যাকশনে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সব অপকর্ম-অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর জিরো ট্রলারেন্স। সেই নীতিতে আমরা এগিয়ে চলেছি। বুয়েটে আবরার হত্যাকাণ্ডে আমরা ছাড় দেইনি। আজকে আমি রাজনীতি করি, সেখানে বুয়েটে যেতে পারব না—এটা কোন ধরনের আইন? এটা কোন ধরনের নীতি?’
২০১৯ সালে ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে। এরপর ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালান।
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় বুয়েটে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি, দপ্তর সম্পাদকসহ অনেকের প্রবেশের ঘটনার পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা শনিবার দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন। তাঁরা ছয় শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের পাশাপাশি আরও কয়েকটি দাবি তুলে ধরেছেন। রোববার বিক্ষোভ না করলেও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন চলছে। আর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ করছে।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা হয়। এতে চট্টগ্রামের নেতাদের উদ্দেশে নির্বাচন নিয়ে নির্দেশনা দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সামনে উপজেলা নির্বাচন। নেত্রীর নির্দেশনা জানেন। আপনাদের প্রস্তাব ছিল কোনো প্রার্থী না দেওয়ার। আপনাদের খুব দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। একেক জনের একেক রকম কথাবার্তা দলকে বিভ্রান্ত করে। যা খুশি বলে দিবেন? এটা তো আওয়ামী লীগ নয়, ফ্রি স্টাইলে কথা বললে আমরা ব্যবস্থা নেব।’
তিনি বলেন, ‘আমরা মন্ত্রী-এমপিরা হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকলে নেত্রী যে উদ্দেশ্যে নির্বাচন করতে চান, সেটা বাস্তবায়িত হবে। নিজের ওপরে ছেড়ে দিলাম।’
কাদের বলেন, ‘আজকে আওয়ামী লীগের নেতারা চায়ের দোকানে বসে দলের বিরুদ্ধে কথা বলে। এ ধরনের নেতাদের পরিহার করতে হবে। উপজেলা নির্বাচনে ফ্রি-ফেয়ার ভোট হবে, জনগণ যাকে ভোট দেওয়ার দেবে। এখানে আপনারা ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।’
তিনি বলেন, মঈন খানের মতো নেতারা আজকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের কথা বলেন। বিএনপির নেতাদের কেউ বলেন গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, আবার কেউ বলেন ভারতের পণ্য বর্জন। বিএনপির সব ইস্যু নির্বাচনে মার খেয়েছে। এখন তাদের নতুন ইস্যু ভারতবিরোধী।
বিএনপি মিথ্যাচার করছে দাবি করে কাদের বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতা ছেড়ে যায়, তখন বাংলাদেশের রির্জাভ ছিল সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলার। এখন তারা আমাদের রির্জাভ নিয়ে কটাক্ষ করে। এখন আমাদের রির্জাভ ২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে।’
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, অর্থবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান,দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক’ আখ্যা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এখন যাঁর অপেক্ষায় বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের টর্চ বেয়ারার তারেক রহমান ২৫ তারিখে (ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। এটা আমাদের আনন্দের সংবাদ।’
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘সে (ওসমান হাদি) আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এই আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’
২৩ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কয়েকজন ব্যক্তিকে টার্গেট করেছে। তাঁর মধ্যে ওসমান হাদি অন্যতম ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা আওয়ামী লীগ যে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে নির্বাচনকে ঘিরে, সেটার একটা শুরু বলা যেতে পারে। আওয়ামী লীগকে শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, তাদের মোকাবিলা করতে হবে প্রশাসনিকভাবেও। কিন্তু একইভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আওয়ামী লীগকে যারা রাজনীতির...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক’ আখ্যা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এখন যাঁর অপেক্ষায় বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের টর্চ বেয়ারার তারেক রহমান ২৫ তারিখে (ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। এটা আমাদের আনন্দের সংবাদ।’
আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা সবাই আনন্দিত যে, আগামী ২৫ তারিখে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা—যাঁর অপেক্ষায় বাংলাদেশ, যাঁর আগমনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার যে সংগ্রাম বিগত বছরগুলোতে আমরা করেছি, যাঁর নেতৃত্বে আমরা সেই আন্দোলনে সফল হয়েছি, সেই আন্দোলনের নায়ক বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।’
আমীর খসরু নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের নেতা ২৫ তারিখ আসছেন। সেদিন থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক অঙ্গনে এক নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে। আপনাদের সবাইকে সেদিনের জন্য, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আমীর খসরু মন্তব্য করেন, ‘আসন্ন নির্বাচন শুধু বিএনপির জয় নয়, এটি হবে গণতন্ত্রের জয়। বিএনপি গণতন্ত্রের টর্চবাহক—এ দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।’
দেশ পরিচালনার ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের সুফল ও অর্থনৈতিক সুফল দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র নয়, অর্থনীতিতেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ তিনি জানান, ক্ষমতায় যাওয়ার প্রথম দিন থেকেই তাঁদের কাজ শুরু হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক। এই সময়টাতে যখন স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, বিএনপি যখন একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার জন্য তারেক রহমান যে রাজনীতি ধারণ করেছেন, সে পথে চলছে, তখন তার বিপরীতে ‘মবোক্রেসির রাজনীতি, গায়ের জোরের রাজনীতি, অপরের প্রতি অসম্মান রেখে কথা বলার রাজনীতি, অন্যকে ছোট করার রাজনীতি’ দেখা যাচ্ছে।
আমীর খসরু বলেন, ‘যেকোনো অজুহাতে অস্থিতিশীলতার রাজনীতি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য কাম্য হতে পারে না।’ তিনি এ ব্যাপারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের চোখ-কান খোলা রাখার আহ্বান জানান।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক’ আখ্যা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এখন যাঁর অপেক্ষায় বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের টর্চ বেয়ারার তারেক রহমান ২৫ তারিখে (ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। এটা আমাদের আনন্দের সংবাদ।’
আজ শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা সবাই আনন্দিত যে, আগামী ২৫ তারিখে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা—যাঁর অপেক্ষায় বাংলাদেশ, যাঁর আগমনে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আগামী দিনে গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনার যে সংগ্রাম বিগত বছরগুলোতে আমরা করেছি, যাঁর নেতৃত্বে আমরা সেই আন্দোলনে সফল হয়েছি, সেই আন্দোলনের নায়ক বাংলাদেশে ফিরে আসবেন।’
আমীর খসরু নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের নেতা ২৫ তারিখ আসছেন। সেদিন থেকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতান্ত্রিক অঙ্গনে এক নতুন জোয়ার সৃষ্টি হবে। আপনাদের সবাইকে সেদিনের জন্য, নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
আমীর খসরু মন্তব্য করেন, ‘আসন্ন নির্বাচন শুধু বিএনপির জয় নয়, এটি হবে গণতন্ত্রের জয়। বিএনপি গণতন্ত্রের টর্চবাহক—এ দায়িত্ব আমাদের পালন করতে হবে।’
দেশ পরিচালনার ভবিষ্যৎ রূপরেখা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের সুফল ও অর্থনৈতিক সুফল দেশের প্রতিটি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। শুধু রাজনৈতিক গণতন্ত্র নয়, অর্থনীতিতেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ তিনি জানান, ক্ষমতায় যাওয়ার প্রথম দিন থেকেই তাঁদের কাজ শুরু হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা শরিফ ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক। এই সময়টাতে যখন স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি বলেন, বিএনপি যখন একটি স্থিতিশীল ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার জন্য তারেক রহমান যে রাজনীতি ধারণ করেছেন, সে পথে চলছে, তখন তার বিপরীতে ‘মবোক্রেসির রাজনীতি, গায়ের জোরের রাজনীতি, অপরের প্রতি অসম্মান রেখে কথা বলার রাজনীতি, অন্যকে ছোট করার রাজনীতি’ দেখা যাচ্ছে।
আমীর খসরু বলেন, ‘যেকোনো অজুহাতে অস্থিতিশীলতার রাজনীতি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য কাম্য হতে পারে না।’ তিনি এ ব্যাপারে বিএনপির নেতা-কর্মীদের চোখ-কান খোলা রাখার আহ্বান জানান।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি কারখানায় পরিণত করা হলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তেজগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
৩১ মার্চ ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘সে (ওসমান হাদি) আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এই আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’
২৩ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কয়েকজন ব্যক্তিকে টার্গেট করেছে। তাঁর মধ্যে ওসমান হাদি অন্যতম ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা আওয়ামী লীগ যে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে নির্বাচনকে ঘিরে, সেটার একটা শুরু বলা যেতে পারে। আওয়ামী লীগকে শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, তাদের মোকাবিলা করতে হবে প্রশাসনিকভাবেও। কিন্তু একইভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আওয়ামী লীগকে যারা রাজনীতির...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘সে (ওসমান হাদি) আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এই আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বেলা ২টায় হাদি গুলিবিদ্ধ হলেন, তার আধা ঘণ্টা পরই একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া শুরু করে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম সবই পরিকল্পিত।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি ঢাকার ছেলে। দীর্ঘ ৫০ বছর ঢাকায় রাজনীতি করি। আমি শান্ত ছিলাম। আমার নির্দেশনা পেলে তোমাদের তুলাধোনা করত। হাসপাতালে যারা এগুলো করেছে তারা হাদির সমর্থক নয়, তারা অন্য একটি দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদির চিকিৎসা ব্যাহত হতো। তারা চেয়েছিল হাদির চিকিৎসা যাতে ব্যাহত হয় এবং মারা যাক।’
আব্বাস বলেন, ‘একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ’৭১, ’৮৬সহ অনেক দেখেছি। তাদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। তারা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সব সময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, সে যে-ই হোক তার মৃত্যু কামনা করি না। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড় শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উসকানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছে। তারা সবাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারও সঙ্গে মারামারি হয়নি। একসঙ্গে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উন্মোচিত হোক।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী। সে রাজপথের সাহসী সৈনিক। তাকে আমি নির্বাচনী মাঠে আবারও সক্রিয় পাব, সে প্রত্যাশা করি।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপির নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, শেখ রবিউল আলম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রেজাউল কবির পল প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর ফকিরাপুল মোড় ঘুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘সে (ওসমান হাদি) আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এই আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে এবং সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি।
সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘বেলা ২টায় হাদি গুলিবিদ্ধ হলেন, তার আধা ঘণ্টা পরই একটি দল উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া শুরু করে। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পেলাম সবই পরিকল্পিত।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমি ঢাকার ছেলে। দীর্ঘ ৫০ বছর ঢাকায় রাজনীতি করি। আমি শান্ত ছিলাম। আমার নির্দেশনা পেলে তোমাদের তুলাধোনা করত। হাসপাতালে যারা এগুলো করেছে তারা হাদির সমর্থক নয়, তারা অন্য একটি দলের। আমরা শান্ত না থাকলে হাদির চিকিৎসা ব্যাহত হতো। তারা চেয়েছিল হাদির চিকিৎসা যাতে ব্যাহত হয় এবং মারা যাক।’
আব্বাস বলেন, ‘একটি দলের ষড়যন্ত্র আমরা ’৭১, ’৮৬সহ অনেক দেখেছি। তাদের মূল শক্তিই ষড়যন্ত্র। তারা স্থির রাষ্ট্র সহ্য করতে পারে না। তাই রাষ্ট্রকে সব সময়ই অস্থিতিশীল রাখতে চায়।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে, সে যে-ই হোক তার মৃত্যু কামনা করি না। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর এক-দেড় শ লোক ফেসবুকে দেশে মব সৃষ্টির জন্য উসকানি দিয়ে পোস্ট দিয়েছে। তারা সবাই একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘১৯৭৭ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। কারও সঙ্গে মারামারি হয়নি। একসঙ্গে প্রার্থীরা কোলাকুলি করেছি, খেয়েছি। মারামারি করে আওয়ামী লীগ। আর নির্বাচনসহ রাষ্ট্রকে অস্থির করে সেই বিতর্কিত রাজনৈতিক দল। আমরা চাই হাদির ওপর হামলাকারী গ্রেপ্তার হোক এবং বিশেষ দলের মুখোশ উন্মোচিত হোক।’
মির্জা আব্বাস বলেন, ‘হাদি আমার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, প্রতিযোগী। সে রাজপথের সাহসী সৈনিক। তাকে আমি নির্বাচনী মাঠে আবারও সক্রিয় পাব, সে প্রত্যাশা করি।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, বিএনপির নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, শেখ রবিউল আলম, হাবিবুর রশিদ হাবিব, যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি রেজাউল কবির পল প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর ফকিরাপুল মোড় ঘুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি কারখানায় পরিণত করা হলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তেজগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
৩১ মার্চ ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক’ আখ্যা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এখন যাঁর অপেক্ষায় বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের টর্চ বেয়ারার তারেক রহমান ২৫ তারিখে (ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। এটা আমাদের আনন্দের সংবাদ।’
১৯ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কয়েকজন ব্যক্তিকে টার্গেট করেছে। তাঁর মধ্যে ওসমান হাদি অন্যতম ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা আওয়ামী লীগ যে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে নির্বাচনকে ঘিরে, সেটার একটা শুরু বলা যেতে পারে। আওয়ামী লীগকে শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, তাদের মোকাবিলা করতে হবে প্রশাসনিকভাবেও। কিন্তু একইভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আওয়ামী লীগকে যারা রাজনীতির...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কয়েকজন ব্যক্তিকে টার্গেট করেছে। তাঁর মধ্যে ওসমান হাদি অন্যতম ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, ‘কয়েকজন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ টার্গেট করেছে। তাঁর মধ্যে গতকাল গুলিবিদ্ধ হওয়া ওসমান হাদি অন্যতম ছিলেন। টার্গেট করা অন্য প্রার্থীদের ওপরও হামলার আশঙ্কা আছে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘আগামীকাল হয়তো আমার পালা, আপনার পালা। সরকার যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে আমরা কীভাবে জনসংযোগ করব।’
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান রাশেদ। তিনি বলেন, ‘চিরুনি অভিযান শুরু করতে হবে। আওয়ামী লীগকে আপনারা ধরছেন না বরং আমরা দেখেছি, তারা জামিন পাচ্ছে।’ এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে ‘মাজাভাঙা’ উপদেষ্টা বলে মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান বলেন, এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করতে পারবে না। সরকার যদি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চায়, তাহলে সর্বপ্রথম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। বিভিন্ন জেলা–উপজেলা প্রশাসনে রদবদল হলেও উপদেষ্টা পরিষদে কেন রদবদল হয়নি?
বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকার কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না উল্লেখ করে রাশেদ খান আরও বলেন, ‘গতকাল গণসংযোগ করে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যেভাবে ওসমান হাদিকে গুলি করেছে, এ ঘটনার পর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কোনো ব্যক্তি আর নিরাপদে নেই।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোনোভাবেই আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না।’

কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কয়েকজন ব্যক্তিকে টার্গেট করেছে। তাঁর মধ্যে ওসমান হাদি অন্যতম ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।
আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রাশেদ খান বলেন, ‘কয়েকজন ব্যক্তিকে আওয়ামী লীগ টার্গেট করেছে। তাঁর মধ্যে গতকাল গুলিবিদ্ধ হওয়া ওসমান হাদি অন্যতম ছিলেন। টার্গেট করা অন্য প্রার্থীদের ওপরও হামলার আশঙ্কা আছে।’
রাশেদ খান বলেন, ‘আগামীকাল হয়তো আমার পালা, আপনার পালা। সরকার যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে আমরা কীভাবে জনসংযোগ করব।’
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান রাশেদ। তিনি বলেন, ‘চিরুনি অভিযান শুরু করতে হবে। আওয়ামী লীগকে আপনারা ধরছেন না বরং আমরা দেখেছি, তারা জামিন পাচ্ছে।’ এ সময় তিনি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে ‘মাজাভাঙা’ উপদেষ্টা বলে মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান বলেন, এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করতে পারবে না। সরকার যদি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চায়, তাহলে সর্বপ্রথম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে। বিভিন্ন জেলা–উপজেলা প্রশাসনে রদবদল হলেও উপদেষ্টা পরিষদে কেন রদবদল হয়নি?
বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নেতৃত্বে সরকার কোনোভাবেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতির নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না উল্লেখ করে রাশেদ খান আরও বলেন, ‘গতকাল গণসংযোগ করে ফেরার পথে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা যেভাবে ওসমান হাদিকে গুলি করেছে, এ ঘটনার পর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া কোনো ব্যক্তি আর নিরাপদে নেই।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের এই নেতা। তিনি বলেন, ‘এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কোনোভাবেই আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছেন না।’

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি কারখানায় পরিণত করা হলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তেজগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
৩১ মার্চ ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক’ আখ্যা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এখন যাঁর অপেক্ষায় বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের টর্চ বেয়ারার তারেক রহমান ২৫ তারিখে (ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। এটা আমাদের আনন্দের সংবাদ।’
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘সে (ওসমান হাদি) আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এই আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’
২৩ মিনিট আগে
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা আওয়ামী লীগ যে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে নির্বাচনকে ঘিরে, সেটার একটা শুরু বলা যেতে পারে। আওয়ামী লীগকে শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, তাদের মোকাবিলা করতে হবে প্রশাসনিকভাবেও। কিন্তু একইভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আওয়ামী লীগকে যারা রাজনীতির...
৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে নিয়ে আসার একটা স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকেরা গোপন মিটিং করার সুযোগ পাচ্ছে। কোর্ট পাড়ায় জয় বাংলা স্লোগান হচ্ছে। টক শোতে আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবীরা আসছেন। ভোটের মাঠে দেখছি, জাতীয় পার্টিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই যে একটা সম্মিলন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটা একটা পরিকল্পিত আয়োজন আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে পুনর্বাসিত করার।’
আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গতকালের যে প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটেই মূলত আজকের আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা তিনটি দলের নেতাদের ডেকেছিলেন। আমরা একত্রে আলোচনা করেছি। এ ধরনের পরিবেশকে আমরা কীভাবে একত্রে মোকাবিলা করব এবং সেটার জন্য যেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন, সেটা যাতে অটুট থাকে। আমরা জানি, নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করব, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, একে অন্যের বিরুদ্ধে হয়তো বলব। কিন্তু সেটা যাতে কখনোই একটা সীমাকে অতিক্রম না করে এবং আওয়ামী লীগকে যাতে কোনো সুযোগ-সুবিধা করে না দেওয়া হয়, এ ব্যাপারে আমরা সকলেই একমত পোষণ করেছি।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গতকাল দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গুলি করা হয়।
এ সম্পর্কে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা আওয়ামী লীগ যে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে নির্বাচনকে ঘিরে, সেটার একটা শুরু বলা যেতে পারে। আওয়ামী লীগকে শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, তাদের মোকাবিলা করতে হবে প্রশাসনিকভাবেও। কিন্তু একইভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আওয়ামী লীগকে যারা রাজনীতির মাঠে আনার চেষ্টা করছে, এটার বিরুদ্ধে আমাদের সকল দলকে তৎপর হতে হবে।’
‘কীভাবে কোর্ট পাড়ায় জামিন হচ্ছে? এই আইনজীবীরা কোনো না কোনো দলের সঙ্গে জড়িত। মিডিয়া হাউসগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকে, আমরা জানি। ফলে সব দলকেই এই ভূমিকা নিতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সেটা বলেছি। আমরা সর্বাত্মকভাবে সেই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে কাজ করব। আমরা সহযোগিতা করব,’ যোগ করেন তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলেছি, সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওপর সেই আস্থাটা থাকতে হবে, যাতে তারা সবাইকে নিরাপত্তা দিতে পারে এবং অবশ্যই ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টায় যারা জড়িত, আমরা তাদের আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার চেয়েছি। শুধু তারাই নয়, বরং এই পরিকল্পনার সঙ্গে যারা জড়িত, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও যাতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেয়।’
‘দিল্লিতে বসে আওয়ামী লীগ সব পরিকল্পনা করছে’ অভিযোগ তুলে নাহিদ আরও বলেন, ‘ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ ছাড়া আওয়ামী লীগ এ ধরনের পরিকল্পনা করতে পারে না। এ ধরনের জঙ্গি তৎপরতা তারা করেছে। ফলে অবশ্যই ভারত সরকারকে, আমাদের এখানে যারা ভারতীয় দূতাবাসে আছে, তাদের অ্যাকাউন্টেবল (জবাবদিহি) করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ডেকে বলতে হবে, একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গণহত্যাকারীকে ভারত সরকার আশ্রয় দিয়ে এরই মধ্যে একটা নৈতিক অপরাধ করেছে। এখন তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সেই আওয়ামী লীগকে সহায়তা করছে।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ৫ আগস্টের আগে ভারত আওয়ামী লীগকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব সময় হস্তক্ষেপ করেছে। ভারত সরকারকে আমরা বলছি, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হলে এ ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে নিয়ে আসার একটা স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকেরা গোপন মিটিং করার সুযোগ পাচ্ছে। কোর্ট পাড়ায় জয় বাংলা স্লোগান হচ্ছে। টক শোতে আওয়ামীপন্থী বুদ্ধিজীবীরা আসছেন। ভোটের মাঠে দেখছি, জাতীয় পার্টিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। এই যে একটা সম্মিলন আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটা একটা পরিকল্পিত আয়োজন আওয়ামী লীগকে রাজনীতির মাঠে পুনর্বাসিত করার।’
আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যমুনার সামনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘গতকালের যে প্রেক্ষাপট, সেই প্রেক্ষাপটেই মূলত আজকের আলোচনার জন্য প্রধান উপদেষ্টা তিনটি দলের নেতাদের ডেকেছিলেন। আমরা একত্রে আলোচনা করেছি। এ ধরনের পরিবেশকে আমরা কীভাবে একত্রে মোকাবিলা করব এবং সেটার জন্য যেই ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য প্রয়োজন, সেটা যাতে অটুট থাকে। আমরা জানি, নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করব, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব, একে অন্যের বিরুদ্ধে হয়তো বলব। কিন্তু সেটা যাতে কখনোই একটা সীমাকে অতিক্রম না করে এবং আওয়ামী লীগকে যাতে কোনো সুযোগ-সুবিধা করে না দেওয়া হয়, এ ব্যাপারে আমরা সকলেই একমত পোষণ করেছি।’
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে গতকাল দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে গুলি করা হয়।
এ সম্পর্কে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘আমি গতকাল বলেছি, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা না। এটা আওয়ামী লীগ যে ষড়যন্ত্রের ছক আঁকছে নির্বাচনকে ঘিরে, সেটার একটা শুরু বলা যেতে পারে। আওয়ামী লীগকে শুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, তাদের মোকাবিলা করতে হবে প্রশাসনিকভাবেও। কিন্তু একইভাবে বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে আওয়ামী লীগকে যারা রাজনীতির মাঠে আনার চেষ্টা করছে, এটার বিরুদ্ধে আমাদের সকল দলকে তৎপর হতে হবে।’
‘কীভাবে কোর্ট পাড়ায় জামিন হচ্ছে? এই আইনজীবীরা কোনো না কোনো দলের সঙ্গে জড়িত। মিডিয়া হাউসগুলোর সঙ্গে রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকে, আমরা জানি। ফলে সব দলকেই এই ভূমিকা নিতে হবে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সেটা বলেছি। আমরা সর্বাত্মকভাবে সেই জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে কাজ করব। আমরা সহযোগিতা করব,’ যোগ করেন তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টাকে আমরা বলেছি, সরকারকে আরও কঠোর হতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওপর সেই আস্থাটা থাকতে হবে, যাতে তারা সবাইকে নিরাপত্তা দিতে পারে এবং অবশ্যই ওসমান হাদি হত্যাচেষ্টায় যারা জড়িত, আমরা তাদের আজকের মধ্যে গ্রেপ্তার চেয়েছি। শুধু তারাই নয়, বরং এই পরিকল্পনার সঙ্গে যারা জড়িত, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধেও যাতে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেয়।’
‘দিল্লিতে বসে আওয়ামী লীগ সব পরিকল্পনা করছে’ অভিযোগ তুলে নাহিদ আরও বলেন, ‘ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদ ছাড়া আওয়ামী লীগ এ ধরনের পরিকল্পনা করতে পারে না। এ ধরনের জঙ্গি তৎপরতা তারা করেছে। ফলে অবশ্যই ভারত সরকারকে, আমাদের এখানে যারা ভারতীয় দূতাবাসে আছে, তাদের অ্যাকাউন্টেবল (জবাবদিহি) করতে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের ডেকে বলতে হবে, একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত গণহত্যাকারীকে ভারত সরকার আশ্রয় দিয়ে এরই মধ্যে একটা নৈতিক অপরাধ করেছে। এখন তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য সেই আওয়ামী লীগকে সহায়তা করছে।’
নাহিদ বলেন, ‘আমরা দেখেছি, ৫ আগস্টের আগে ভারত আওয়ামী লীগকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহায়তা করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে সহযোগিতা করেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে সব সময় হস্তক্ষেপ করেছে। ভারত সরকারকে আমরা বলছি, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে হলে এ ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।’

ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি কারখানায় পরিণত করা হলে সরকার অ্যাকশনে যাবে বলে সতর্ক করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ রোববার তেজগাঁওয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
৩১ মার্চ ২০২৪
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ‘গণতন্ত্রের পথপ্রদর্শক’ আখ্যা দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘এখন যাঁর অপেক্ষায় বাংলাদেশ, গণতন্ত্রের টর্চ বেয়ারার তারেক রহমান ২৫ তারিখে (ডিসেম্বর) বাংলাদেশে ফিরে আসবেন। এটা আমাদের আনন্দের সংবাদ।’
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, ‘সে (ওসমান হাদি) আমার সন্তান সমতুল্য। হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার সংবাদ পেয়ে আমি মানসিকভাবে আহত হয়েছি। এই আঘাত গণতন্ত্রের ওপর আঘাত। যারা এই আঘাত করেছে, তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে হবে।’
২৩ মিনিট আগে
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ কয়েকজন ব্যক্তিকে টার্গেট করেছে। তাঁর মধ্যে ওসমান হাদি অন্যতম ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। আজ দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে বের হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
৩ ঘণ্টা আগে