জমির উদ্দিন, বান্দরবান থেকে

পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এবার টার্গেট বান্দরবানের রোয়াংছড়ি। এর আগে তারা জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি—এই তিন উপজেলায় হামলার ঘোষণা দিয়েছিল। এরই মধ্যে থানচিতে দুই দফা ও রুমায় এক দফা হামলা চালিয়েছে। দুটি ব্যাংক লুট ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, তাদের পরবর্তী হামলা রোয়াংছড়িতে হওয়ার কথা।
‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি কেএনএ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি বাহিনী বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণ লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিত পাড়া) এবং রামনুয়াম বমকে (দুনিবার পাড়া) আটক করেছে। এর ফল খুব সুন্দরভাবে ফিডব্যাক দেওয়া হবে। নিরীহ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করা না হলে।’
‘বান্দরবনবাসী’ নামক আরেকটি পেজে গত ফেব্রুয়ারিতে আরও একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে এই তিন জায়গায় হামলার কারণ হিসেবে ‘তাদের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ ও রুমায় এক মারমা যুবককে গুলি করার প্রতিবাদে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রুমায় কেএনএফের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে’ তুলে ধরা হয়। সংগঠনটির ইনফরমেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন ফ্লেমিংয়ের বরাতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণার ২১ দিনের মাথায় বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে এসব পেজ ও পেজে থাকা মেইলে আজকের পত্রিকা দুই দিন আগে প্রশ্ন লিখে পাঠায়। কিন্তু এসব পেজ ও মেইল থেকে কোনো ফিরতি বার্তা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কেএনএফের প্রধান নাথান বমের উপদেষ্টা লাল অংলিয়ান বমের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করে আজকের পত্রিকা; একটি সোর্সের মাধ্যমে কিছু প্রশ্ন করে পাঠানো হয়। তবে তিনি এসব প্রশ্নের জবাব দেননি।
সম্প্রতি কেএনএফের হামলার বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন।
রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘রোয়াংছড়িতে এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’
গত মঙ্গলবার থেকে হামলা শুরু করে কেএনএফ। এর মধ্যে বান্দরবানের রুমা, থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংক, সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানচিতে আরেক দফা হামলা হয়।
সর্বপ্রথম মঙ্গলবার রাতে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে কেএনএফের ১০০ জনের সশস্ত্র দল বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ইউনিফর্ম পরা সশস্ত্র লোক দেখে ভয় পেয়ে যান সবাই। তাঁরা মনে করেছিলেন, আজই তাঁদের জীবনের শেষ দিন। ঘটনার সময় সোনালী ব্যাংকের পাশের মসজিদে ২০-২৫ জন মুসল্লি জামাতে নামাজ পড়ছিলেন। ওই মসজিদের ইমাম মো. নুরুল ইসলাম ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তখন সবে এশার নামাজের তিন রাকাত শেষ। চতুর্থ রাকাতের জন্য দাঁড়ানোর সময় কেএনএফের সশস্ত্র পাঁচজন লোক তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ান। নামাজ শেষে তাঁরা বলেন, ‘নামাজ তো শেষ। এবার সবার মোবাইল জমা দেন।’
এই ব্যাংকের অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ বা কুকি চিন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়। পরদিন বুধবার বেলা ১টার দিকে থানচি উপজেলার বাজারে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এটির সঙ্গেও কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রুমা উপজেলা বান্দরবান সদর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে। বান্দরবান থেকে আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে গাড়িতে যেতে লাগে দুই ঘণ্টা। এই পথে রয়েছে পুলিশের চারটি ক্যাম্প, একটি আনসার, দুটি বিজিবি ও তিনটি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। রুমায় যেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিনবার তল্লাশির মধ্যে পড়তে হয়। রুমার যে সোনালী ব্যাংক শাখায় কেএনএফ হামলা চালায়, সেটির পাশেই আছে আনসার ক্যাম্প। উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়। এই ব্যাংক থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ইডেনপাড়ায় কেএনএফের কার্যালয়। যদিও এটি বন্ধ পাওয়া গেছে। কার্যালয়ের পাশেই আবার কেএনএফের প্রধান নাথান বমের বাড়ি।
যেভাবে হামলা চালায় কেএনএফ
১০ জন স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। এর মধ্যে একজন সোনালী ব্যাংক শাখার কর্মচারী নারায়ণ চন্দ্র নাথ। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের এই ভবনটি একসময় উপজেলা অফিসারদের বাসভবন ছিল। এখন এটির দ্বিতীয় তলায় ব্যাংকের কার্যক্রম চলে। নিচে উপজেলা অফিসের কর্মকর্তারা থাকেন। ঘটনার দিন কোয়ার্টারের সবাই পাশের মসজিদে নামাজে চলে যান। ব্যাংকে চারজন আনসার সদস্য ছিলেন। কেএনএফের সদস্যরা ঢুকেই এই চারজন আনসার সদস্যের অস্ত্র জব্দ করে বসিয়ে রাখে। তারপর খুঁজতে থাকে ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে।
একই সঙ্গে কেএনএফের অন্য একটি দল সোনালী ব্যাংকের পাশের মসজিদ যান। আরেকটি দল পাশেই আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় সব আনসার সদস্যের অস্ত্র নিয়ে যায় তারা। মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এশার নামাজ পড়ার সময়ই সামরিক পোশাক পরা ও গালে কালি লাগানো সশস্ত্র পাঁচজন পাশে দাঁড়ায়। নামাজ শেষে বলে, কেউ নড়াচড়া করবা না। সবার মোবাইল দিয়ে দাও। আমাদের এক প্রকার জিম্মি করে ফেলে তারা। আমাদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়।’
নুর ইসলাম বলেন, ‘এরপর তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে খুঁজছিল, কিন্তু পাচ্ছিল না। এ সময় মসজিদে উপস্থিত সবাইকে বলা হয়, এখানে ব্যাংকের ম্যানেজার কে? ওই সময় ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন। তিনি নিজেকে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। পরে তারা ব্যাংকের পুলিশকে মারধর করে ম্যানেজারকে শনাক্ত করে। ম্যানেজারকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও মারধর করে তারা।
এ সময় মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন মো. আবুল খায়ের। তিনি রুমা উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কেএনএফ আক্রমণ করার আগে প্রায় সব সিসিটিভি ভেঙে ফেলে। ব্যাংকের দুই পাশের সড়কে ব্যারিকেড দেয়। তারা সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে।
রুমা উপজেলার স্থানীয় ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা অংটি মারমা বলেন, রুমায় তিনটি সরকারি ব্যাংক রয়েছে। সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। অস্ত্রধারীরা রুমায় সোনালী ব্যাংক ছাড়া অন্য কোনো ব্যাংকে হামলা চালায়নি। অথচ যে ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, এর এক-দেড় শ গজ দূরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও চার-পাঁচ শ গজ দূরে রুমা বাজারে রয়েছে কৃষি ব্যাংক।
কেএনএফ কারা
কেএনএফ হলো বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন। বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রোদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও সেখানে বম জনগোষ্ঠীর কিছুসংখ্যক লোক রয়েছে। যে কারণে সংগঠনটি পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিতি পায়।
কেএনএফের ফেসবুক পেজে বলা হয়, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা, আলীকদমসহ নয়টি উপজেলা নিয়ে ‘কুকি-চিন রাজ্য’ হিসেবে গঠন করা হবে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আতঙ্কে সে সময় ভারতের মিজোরামে পালিয়ে আশ্রয় নেয় পাঁচ শতাধিক বম নারী-পুরুষ।
সশস্ত্র সংগঠনটি অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয় বলে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জানায় র্যাব। এরপর ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে রোয়াংছড়ি ও রুমায় অভিযান চালায় র্যাব ও সেনা সদস্যের যৌথ বাহিনী। পরবর্তী সময়ে এ অভিযান চালানো হয় থানচিতেও।
কেএনএফের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের পর গত বছরের মে মাসে বান্দরবানে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। এরপর জুলাই ও আগস্টে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে দুইবার ভার্চুয়াল আলোচনা হয়। একই বছরের ৫ নভেম্বর রুমা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুনলাই পাড়ায় প্রথমবারের মতো কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সরাসরি দুটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে প্রথমবারের মতো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শুরুর পর পাহাড়ে ‘বম পার্টি’র সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছে বলে মনে করছিলেন পাহাড়িরা। বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাও তুলে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই আবার ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:

পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) এবার টার্গেট বান্দরবানের রোয়াংছড়ি। এর আগে তারা জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি—এই তিন উপজেলায় হামলার ঘোষণা দিয়েছিল। এরই মধ্যে থানচিতে দুই দফা ও রুমায় এক দফা হামলা চালিয়েছে। দুটি ব্যাংক লুট ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে অপহরণ করেছে। ঘোষণা অনুযায়ী, তাদের পরবর্তী হামলা রোয়াংছড়িতে হওয়ার কথা।
‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি কেএনএ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি বাহিনী বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণ লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিত পাড়া) এবং রামনুয়াম বমকে (দুনিবার পাড়া) আটক করেছে। এর ফল খুব সুন্দরভাবে ফিডব্যাক দেওয়া হবে। নিরীহ জনগণকে হয়রানি বন্ধ করা না হলে।’
‘বান্দরবনবাসী’ নামক আরেকটি পেজে গত ফেব্রুয়ারিতে আরও একটি পোস্ট করা হয়। সেখানে এই তিন জায়গায় হামলার কারণ হিসেবে ‘তাদের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ ও রুমায় এক মারমা যুবককে গুলি করার প্রতিবাদে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রুমায় কেএনএফের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকে’ তুলে ধরা হয়। সংগঠনটির ইনফরমেশন অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চের দায়িত্বে থাকা ক্যাপ্টেন ফ্লেমিংয়ের বরাতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণার ২১ দিনের মাথায় বান্দরবানের রুমা উপজেলা সদরে সোনালী ব্যাংকে হামলার ঘটনা ঘটে।
তবে এসব পেজ ও পেজে থাকা মেইলে আজকের পত্রিকা দুই দিন আগে প্রশ্ন লিখে পাঠায়। কিন্তু এসব পেজ ও মেইল থেকে কোনো ফিরতি বার্তা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কেএনএফের প্রধান নাথান বমের উপদেষ্টা লাল অংলিয়ান বমের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করে আজকের পত্রিকা; একটি সোর্সের মাধ্যমে কিছু প্রশ্ন করে পাঠানো হয়। তবে তিনি এসব প্রশ্নের জবাব দেননি।
সম্প্রতি কেএনএফের হামলার বিষয়গুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তিনি ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে জানাবেন।
রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘রোয়াংছড়িতে এখন পর্যন্ত কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’
গত মঙ্গলবার থেকে হামলা শুরু করে কেএনএফ। এর মধ্যে বান্দরবানের রুমা, থানচিতে সোনালী ও কৃষি ব্যাংক, সর্বশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে থানচিতে আরেক দফা হামলা হয়।
সর্বপ্রথম মঙ্গলবার রাতে রাত ৮টা ১৫ মিনিটে কেএনএফের ১০০ জনের সশস্ত্র দল বান্দরবানের রুমার সোনালী ব্যাংক শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটায়। ইউনিফর্ম পরা সশস্ত্র লোক দেখে ভয় পেয়ে যান সবাই। তাঁরা মনে করেছিলেন, আজই তাঁদের জীবনের শেষ দিন। ঘটনার সময় সোনালী ব্যাংকের পাশের মসজিদে ২০-২৫ জন মুসল্লি জামাতে নামাজ পড়ছিলেন। ওই মসজিদের ইমাম মো. নুরুল ইসলাম ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তখন সবে এশার নামাজের তিন রাকাত শেষ। চতুর্থ রাকাতের জন্য দাঁড়ানোর সময় কেএনএফের সশস্ত্র পাঁচজন লোক তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়ান। নামাজ শেষে তাঁরা বলেন, ‘নামাজ তো শেষ। এবার সবার মোবাইল জমা দেন।’
এই ব্যাংকের অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় কেএনএফ বা কুকি চিন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করা হয়। পরদিন বুধবার বেলা ১টার দিকে থানচি উপজেলার বাজারে কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের দুটি শাখায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এটির সঙ্গেও কেএনএফ জড়িত বলে জানিয়েছে প্রশাসন।
রুমা উপজেলা বান্দরবান সদর থেকে ৪৩ কিলোমিটার দূরে। বান্দরবান থেকে আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে গাড়িতে যেতে লাগে দুই ঘণ্টা। এই পথে রয়েছে পুলিশের চারটি ক্যাম্প, একটি আনসার, দুটি বিজিবি ও তিনটি সেনাবাহিনীর ক্যাম্প। রুমায় যেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তিনবার তল্লাশির মধ্যে পড়তে হয়। রুমার যে সোনালী ব্যাংক শাখায় কেএনএফ হামলা চালায়, সেটির পাশেই আছে আনসার ক্যাম্প। উপজেলা প্রশাসনের কার্যালয়। এই ব্যাংক থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ইডেনপাড়ায় কেএনএফের কার্যালয়। যদিও এটি বন্ধ পাওয়া গেছে। কার্যালয়ের পাশেই আবার কেএনএফের প্রধান নাথান বমের বাড়ি।
যেভাবে হামলা চালায় কেএনএফ
১০ জন স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেছে আজকের পত্রিকা। এর মধ্যে একজন সোনালী ব্যাংক শাখার কর্মচারী নারায়ণ চন্দ্র নাথ। তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকের এই ভবনটি একসময় উপজেলা অফিসারদের বাসভবন ছিল। এখন এটির দ্বিতীয় তলায় ব্যাংকের কার্যক্রম চলে। নিচে উপজেলা অফিসের কর্মকর্তারা থাকেন। ঘটনার দিন কোয়ার্টারের সবাই পাশের মসজিদে নামাজে চলে যান। ব্যাংকে চারজন আনসার সদস্য ছিলেন। কেএনএফের সদস্যরা ঢুকেই এই চারজন আনসার সদস্যের অস্ত্র জব্দ করে বসিয়ে রাখে। তারপর খুঁজতে থাকে ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে।
একই সঙ্গে কেএনএফের অন্য একটি দল সোনালী ব্যাংকের পাশের মসজিদ যান। আরেকটি দল পাশেই আনসার ক্যাম্পে হামলা চালায়। এ সময় সব আনসার সদস্যের অস্ত্র নিয়ে যায় তারা। মসজিদের ইমাম নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এশার নামাজ পড়ার সময়ই সামরিক পোশাক পরা ও গালে কালি লাগানো সশস্ত্র পাঁচজন পাশে দাঁড়ায়। নামাজ শেষে বলে, কেউ নড়াচড়া করবা না। সবার মোবাইল দিয়ে দাও। আমাদের এক প্রকার জিম্মি করে ফেলে তারা। আমাদের মোবাইল কেড়ে নিয়ে যায়।’
নুর ইসলাম বলেন, ‘এরপর তারা ব্যাংকের ম্যানেজারকে খুঁজছিল, কিন্তু পাচ্ছিল না। এ সময় মসজিদে উপস্থিত সবাইকে বলা হয়, এখানে ব্যাংকের ম্যানেজার কে? ওই সময় ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলেন। তিনি নিজেকে কৃষি ব্যাংকের কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেন। পরে তারা ব্যাংকের পুলিশকে মারধর করে ম্যানেজারকে শনাক্ত করে। ম্যানেজারকে নিয়ে যাওয়ার সময়ও মারধর করে তারা।
এ সময় মসজিদে নামাজ পড়ছিলেন মো. আবুল খায়ের। তিনি রুমা উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, কেএনএফ আক্রমণ করার আগে প্রায় সব সিসিটিভি ভেঙে ফেলে। ব্যাংকের দুই পাশের সড়কে ব্যারিকেড দেয়। তারা সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা অবস্থান করে।
রুমা উপজেলার স্থানীয় ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা অংটি মারমা বলেন, রুমায় তিনটি সরকারি ব্যাংক রয়েছে। সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক ও পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক। অস্ত্রধারীরা রুমায় সোনালী ব্যাংক ছাড়া অন্য কোনো ব্যাংকে হামলা চালায়নি। অথচ যে ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে, এর এক-দেড় শ গজ দূরে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও চার-পাঁচ শ গজ দূরে রুমা বাজারে রয়েছে কৃষি ব্যাংক।
কেএনএফ কারা
কেএনএফ হলো বান্দরবানের রুমা উপজেলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সশস্ত্র সংগঠন। বম, পাংখোয়া, লুসাই, খিয়াং, খুমি ও ম্রোদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে বলে দাবি করা হলেও সেখানে বম জনগোষ্ঠীর কিছুসংখ্যক লোক রয়েছে। যে কারণে সংগঠনটি পাহাড়ে ‘বম পার্টি’ নামে পরিচিতি পায়।
কেএনএফের ফেসবুক পেজে বলা হয়, রাঙামাটির বাঘাইছড়ি, বরকল, জুরাইছড়ি, বিলাইছড়ি ও বান্দরবানের রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা, আলীকদমসহ নয়টি উপজেলা নিয়ে ‘কুকি-চিন রাজ্য’ হিসেবে গঠন করা হবে। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তারা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে আতঙ্কে সে সময় ভারতের মিজোরামে পালিয়ে আশ্রয় নেয় পাঁচ শতাধিক বম নারী-পুরুষ।
সশস্ত্র সংগঠনটি অর্থের বিনিময়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন ‘জামাআতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ সদস্যদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয় বলে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে জানায় র্যাব। এরপর ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর থেকে জঙ্গি ও কেএনএফ সদস্যদের বিরুদ্ধে রোয়াংছড়ি ও রুমায় অভিযান চালায় র্যাব ও সেনা সদস্যের যৌথ বাহিনী। পরবর্তী সময়ে এ অভিযান চালানো হয় থানচিতেও।
কেএনএফের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষের পর গত বছরের মে মাসে বান্দরবানে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের নিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। এরপর জুলাই ও আগস্টে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি ও কেএনএফের মধ্যে দুইবার ভার্চুয়াল আলোচনা হয়। একই বছরের ৫ নভেম্বর রুমা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে মুনলাই পাড়ায় প্রথমবারের মতো কেএনএফের সঙ্গে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির সরাসরি দুটি বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে প্রথমবারের মতো প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শুরুর পর পাহাড়ে ‘বম পার্টি’র সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহিংসতা কিছুটা কমে এসেছে বলে মনে করছিলেন পাহাড়িরা। বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ছিল, তাও তুলে নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যেই আবার ব্যাংকে হামলা ও ডাকাতির ঘটনায় নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠার আলোচনাও স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি কেএনএ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি বাহিনী বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণ লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিত পাড়া) এবং রামনুয়াম বমকে (দুনিবার পাড়া) আটক করেছে। এর ফল খুব সুন্দরভাবে ফিডব্যাক দেওয়া হবে। নিরীহ জনগণকে হয়রান
০৫ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি কেএনএ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি বাহিনী বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণ লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিত পাড়া) এবং রামনুয়াম বমকে (দুনিবার পাড়া) আটক করেছে। এর ফল খুব সুন্দরভাবে ফিডব্যাক দেওয়া হবে। নিরীহ জনগণকে হয়রান
০৫ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি কেএনএ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি বাহিনী বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণ লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিত পাড়া) এবং রামনুয়াম বমকে (দুনিবার পাড়া) আটক করেছে। এর ফল খুব সুন্দরভাবে ফিডব্যাক দেওয়া হবে। নিরীহ জনগণকে হয়রান
০৫ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি কেএনএ’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে গত ১২ মার্চ একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বলা হয়, বাংলাদেশের একটি বাহিনী বম সম্প্রদায়ের নিরীহ জনগণ লালমুয়ানওম বম (গিলগাল বা অবচলিত পাড়া) এবং রামনুয়াম বমকে (দুনিবার পাড়া) আটক করেছে। এর ফল খুব সুন্দরভাবে ফিডব্যাক দেওয়া হবে। নিরীহ জনগণকে হয়রান
০৫ এপ্রিল ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে