রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার ৯ দফা দাবির কথা বলা হলেও আজ বুধবার আরও এক দফা দাবি যোগ করেছেন তারা। আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে সুমন দে নামে চুয়েটের এক শিক্ষকেরও অপসারণের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এই ১০ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর সড়কে নামেন চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বাসের সিট ও টায়ার নিয়ে সড়কের দুই পাশে আগুন লাগিয়ে দেন। এ ছাড়া গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
এ ছাড়া চুয়েট গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে মিছিল দিতে থাকেন। একটানা ১২টা পর্যন্ত মিছিল দিয়ে গেটের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেও সড়কের দুপাশে শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
স্লোগানে তারা শাহ আমানত ও এবি ট্রাভেলস পরিবহনের রোড পারমিট বাতিল, নিহত দুই শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা, ঘাতক বাস চালককে গ্রেপ্তার করা, চুয়েটের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আবারও গতকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ১০ দফা দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সকল পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বৈঠকের পর চুয়েট প্রশাসন রাতেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এতেও আশ্বস্ত হতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তৃতীয় দিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান চুয়েট শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে, ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু। তিনি চুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার নিউ কলেজ রোডের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। শান্ত সাহা ও তৌফিকের মৃত্যুর ঘটনায় চলমান আন্দোলনে চুয়েট শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে।
দাবিগুলো হলো—পলাতক ড্রাইভার এবং তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ভুক্তভোগীদের পরিবারকে যথার্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার এবং দাবি মেনে নিতে শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা, চুয়েট কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে মামলা করা, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের দ্রুত প্রশস্তকরণ কার্যক্রম শুরু এবং এই রুটে দূরপাল্লার বাস ব্যতীত সকল লোকাল বাস (এবি ট্রাভেলস, শাহ আমানত ও অন্যান্য) চলাচল নিষিদ্ধ করা, চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে সকল প্রকার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি ইত্যাদি আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিতকরণ এবং এই মুহূর্ত থেকে সকল অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেনপূর্ণ সিলিন্ডার, শ্বাস প্রদান যন্ত্রের ব্যবস্থাসহ সকল প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মেডিকেল সেন্টারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ের চিকিৎসক সেবা নিশ্চিত করা, অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে অপ্রতুল হওয়ায় অতি দ্রুত শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪টি অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করা, চুয়েটের বাস সংখ্যা বৃদ্ধি, বিআরটিসি কর্তৃক শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, বাসের শিডিউল পুনর্নির্ধারণ। প্রতিটি পয়েন্টে ট্রাফিক বক্স ও সড়ক পুলিশের অবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধি। লাইসেন্স চেকসহ মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরো সড়ক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা। এ ছাড়া রোড ডিভাইডার, স্পিড ব্রেকার, সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে গাড়ির স্পিডলক ও স্পিড মনিটরিং এর মাধ্যমে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আন্দোলনকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম রিশিডিউল করা।
এখন থেকে সকল শিক্ষার্থীর যে কোনো প্রয়োজনে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং এই ব্যাপারে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের নিকট জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
দাবিগুলো না মানার আগ পর্যন্ত পরীক্ষাসহ সকল ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করা চুয়েট শিক্ষকের অপসারণ করা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির মধ্যে ৭টি দাবি চুয়েট কেন্দ্রিক এবং বাকি দাবিগুলো দ্রুততার সঙ্গে পূরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের সরকারের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী এক মাস ধরে মোবাইল কোর্ট চালানো এবং এক মাসের মধ্যে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করা হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
এসব বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সড়ক নিরাপদ করতে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক চালকদেরও আটকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার ৯ দফা দাবির কথা বলা হলেও আজ বুধবার আরও এক দফা দাবি যোগ করেছেন তারা। আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে সুমন দে নামে চুয়েটের এক শিক্ষকেরও অপসারণের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এই ১০ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর সড়কে নামেন চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বাসের সিট ও টায়ার নিয়ে সড়কের দুই পাশে আগুন লাগিয়ে দেন। এ ছাড়া গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
এ ছাড়া চুয়েট গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে মিছিল দিতে থাকেন। একটানা ১২টা পর্যন্ত মিছিল দিয়ে গেটের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেও সড়কের দুপাশে শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
স্লোগানে তারা শাহ আমানত ও এবি ট্রাভেলস পরিবহনের রোড পারমিট বাতিল, নিহত দুই শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা, ঘাতক বাস চালককে গ্রেপ্তার করা, চুয়েটের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আবারও গতকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ১০ দফা দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সকল পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বৈঠকের পর চুয়েট প্রশাসন রাতেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এতেও আশ্বস্ত হতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তৃতীয় দিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান চুয়েট শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে, ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু। তিনি চুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার নিউ কলেজ রোডের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। শান্ত সাহা ও তৌফিকের মৃত্যুর ঘটনায় চলমান আন্দোলনে চুয়েট শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে।
দাবিগুলো হলো—পলাতক ড্রাইভার এবং তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ভুক্তভোগীদের পরিবারকে যথার্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার এবং দাবি মেনে নিতে শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা, চুয়েট কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে মামলা করা, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের দ্রুত প্রশস্তকরণ কার্যক্রম শুরু এবং এই রুটে দূরপাল্লার বাস ব্যতীত সকল লোকাল বাস (এবি ট্রাভেলস, শাহ আমানত ও অন্যান্য) চলাচল নিষিদ্ধ করা, চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে সকল প্রকার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি ইত্যাদি আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিতকরণ এবং এই মুহূর্ত থেকে সকল অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেনপূর্ণ সিলিন্ডার, শ্বাস প্রদান যন্ত্রের ব্যবস্থাসহ সকল প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মেডিকেল সেন্টারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ের চিকিৎসক সেবা নিশ্চিত করা, অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে অপ্রতুল হওয়ায় অতি দ্রুত শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪টি অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করা, চুয়েটের বাস সংখ্যা বৃদ্ধি, বিআরটিসি কর্তৃক শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, বাসের শিডিউল পুনর্নির্ধারণ। প্রতিটি পয়েন্টে ট্রাফিক বক্স ও সড়ক পুলিশের অবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধি। লাইসেন্স চেকসহ মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরো সড়ক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা। এ ছাড়া রোড ডিভাইডার, স্পিড ব্রেকার, সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে গাড়ির স্পিডলক ও স্পিড মনিটরিং এর মাধ্যমে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আন্দোলনকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম রিশিডিউল করা।
এখন থেকে সকল শিক্ষার্থীর যে কোনো প্রয়োজনে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং এই ব্যাপারে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের নিকট জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
দাবিগুলো না মানার আগ পর্যন্ত পরীক্ষাসহ সকল ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করা চুয়েট শিক্ষকের অপসারণ করা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির মধ্যে ৭টি দাবি চুয়েট কেন্দ্রিক এবং বাকি দাবিগুলো দ্রুততার সঙ্গে পূরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের সরকারের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী এক মাস ধরে মোবাইল কোর্ট চালানো এবং এক মাসের মধ্যে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করা হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
এসব বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সড়ক নিরাপদ করতে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক চালকদেরও আটকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার ৯ দফা দাবির কথা বলা হলেও আজ বুধবার আরও এক দফা দাবি যোগ করেছেন তারা। আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে সুমন দে নামে চুয়েটের এক শিক্ষকেরও অপসারণের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এই ১০ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর সড়কে নামেন চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বাসের সিট ও টায়ার নিয়ে সড়কের দুই পাশে আগুন লাগিয়ে দেন। এ ছাড়া গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
এ ছাড়া চুয়েট গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে মিছিল দিতে থাকেন। একটানা ১২টা পর্যন্ত মিছিল দিয়ে গেটের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেও সড়কের দুপাশে শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
স্লোগানে তারা শাহ আমানত ও এবি ট্রাভেলস পরিবহনের রোড পারমিট বাতিল, নিহত দুই শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা, ঘাতক বাস চালককে গ্রেপ্তার করা, চুয়েটের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আবারও গতকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ১০ দফা দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সকল পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বৈঠকের পর চুয়েট প্রশাসন রাতেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এতেও আশ্বস্ত হতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তৃতীয় দিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান চুয়েট শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে, ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু। তিনি চুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার নিউ কলেজ রোডের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। শান্ত সাহা ও তৌফিকের মৃত্যুর ঘটনায় চলমান আন্দোলনে চুয়েট শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে।
দাবিগুলো হলো—পলাতক ড্রাইভার এবং তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ভুক্তভোগীদের পরিবারকে যথার্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার এবং দাবি মেনে নিতে শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা, চুয়েট কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে মামলা করা, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের দ্রুত প্রশস্তকরণ কার্যক্রম শুরু এবং এই রুটে দূরপাল্লার বাস ব্যতীত সকল লোকাল বাস (এবি ট্রাভেলস, শাহ আমানত ও অন্যান্য) চলাচল নিষিদ্ধ করা, চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে সকল প্রকার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি ইত্যাদি আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিতকরণ এবং এই মুহূর্ত থেকে সকল অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেনপূর্ণ সিলিন্ডার, শ্বাস প্রদান যন্ত্রের ব্যবস্থাসহ সকল প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মেডিকেল সেন্টারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ের চিকিৎসক সেবা নিশ্চিত করা, অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে অপ্রতুল হওয়ায় অতি দ্রুত শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪টি অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করা, চুয়েটের বাস সংখ্যা বৃদ্ধি, বিআরটিসি কর্তৃক শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, বাসের শিডিউল পুনর্নির্ধারণ। প্রতিটি পয়েন্টে ট্রাফিক বক্স ও সড়ক পুলিশের অবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধি। লাইসেন্স চেকসহ মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরো সড়ক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা। এ ছাড়া রোড ডিভাইডার, স্পিড ব্রেকার, সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে গাড়ির স্পিডলক ও স্পিড মনিটরিং এর মাধ্যমে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আন্দোলনকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম রিশিডিউল করা।
এখন থেকে সকল শিক্ষার্থীর যে কোনো প্রয়োজনে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং এই ব্যাপারে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের নিকট জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
দাবিগুলো না মানার আগ পর্যন্ত পরীক্ষাসহ সকল ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করা চুয়েট শিক্ষকের অপসারণ করা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির মধ্যে ৭টি দাবি চুয়েট কেন্দ্রিক এবং বাকি দাবিগুলো দ্রুততার সঙ্গে পূরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের সরকারের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী এক মাস ধরে মোবাইল কোর্ট চালানো এবং এক মাসের মধ্যে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করা হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
এসব বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সড়ক নিরাপদ করতে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক চালকদেরও আটকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল মঙ্গলবার ৯ দফা দাবির কথা বলা হলেও আজ বুধবার আরও এক দফা দাবি যোগ করেছেন তারা। আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে সুমন দে নামে চুয়েটের এক শিক্ষকেরও অপসারণের দাবি করছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের এই ১০ দফা দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার পর সড়কে নামেন চুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তারা বাসের সিট ও টায়ার নিয়ে সড়কের দুই পাশে আগুন লাগিয়ে দেন। এ ছাড়া গাছের গুঁড়ি ফেলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন।
এ ছাড়া চুয়েট গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে জড়ো হয়ে মিছিল দিতে থাকেন। একটানা ১২টা পর্যন্ত মিছিল দিয়ে গেটের অভ্যন্তরে প্রবেশ করলেও সড়কের দুপাশে শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করে অবরোধ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি মেনে নেওয়া না হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
স্লোগানে তারা শাহ আমানত ও এবি ট্রাভেলস পরিবহনের রোড পারমিট বাতিল, নিহত দুই শিক্ষার্থীর জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ ব্যবস্থা, ঘাতক বাস চালককে গ্রেপ্তার করা, চুয়েটের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় মামলা দায়েরসহ আবারও গতকাল থেকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ১০ দফা দাবি উত্থাপনের পাশাপাশি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করেন তারা।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সকল পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসে ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন।
বৈঠকের পর চুয়েট প্রশাসন রাতেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু এতেও আশ্বস্ত হতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। তাই তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তৃতীয় দিনেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান চুয়েট শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হন চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী। দ্রুতগতির শাহ আমানত পরিবহনের একটি বাস শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে, ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসেন। এ ঘটনায় আহত হন জাকারিয়া হিমু। তিনি চুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বর্তমানে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নিহত শান্ত সাহা নরসিংদী সদরের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাজল সাহার ছেলে এবং তৌফিক হোসেন নোয়াখালী সদর উপজেলার সুধারাম থানার নিউ কলেজ রোডের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। শান্ত সাহা ও তৌফিকের মৃত্যুর ঘটনায় চলমান আন্দোলনে চুয়েট শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছে।
দাবিগুলো হলো—পলাতক ড্রাইভার এবং তার সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, ভুক্তভোগীদের পরিবারকে যথার্থ ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহত শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার এবং দাবি মেনে নিতে শাহ আমানত বাস কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করা, চুয়েট কর্তৃপক্ষকে বাদী হয়ে মামলা করা, চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের দ্রুত প্রশস্তকরণ কার্যক্রম শুরু এবং এই রুটে দূরপাল্লার বাস ব্যতীত সকল লোকাল বাস (এবি ট্রাভেলস, শাহ আমানত ও অন্যান্য) চলাচল নিষিদ্ধ করা, চুয়েট মেডিকেল সেন্টারে সকল প্রকার প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা, এক্স-রে, ইসিজি ইত্যাদি আধুনিক যন্ত্রপাতি নিশ্চিতকরণ এবং এই মুহূর্ত থেকে সকল অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেনপূর্ণ সিলিন্ডার, শ্বাস প্রদান যন্ত্রের ব্যবস্থাসহ সকল প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, মেডিকেল সেন্টারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পর্যায়ের চিকিৎসক সেবা নিশ্চিত করা, অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে অপ্রতুল হওয়ায় অতি দ্রুত শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪টি অ্যাম্বুলেন্স নিশ্চিত করা, চুয়েটের বাস সংখ্যা বৃদ্ধি, বিআরটিসি কর্তৃক শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, বাসের শিডিউল পুনর্নির্ধারণ। প্রতিটি পয়েন্টে ট্রাফিক বক্স ও সড়ক পুলিশের অবস্থান নিশ্চিতকরণ এবং সংখ্যা বৃদ্ধি। লাইসেন্স চেকসহ মনিটরিং ব্যবস্থার মাধ্যমে পুরো সড়ক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা। এ ছাড়া রোড ডিভাইডার, স্পিড ব্রেকার, সর্বোচ্চ গতিসীমা নির্ধারণ করে গাড়ির স্পিডলক ও স্পিড মনিটরিং এর মাধ্যমে সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আন্দোলনকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের অ্যাকাডেমিক সকল কার্যক্রম রিশিডিউল করা।
এখন থেকে সকল শিক্ষার্থীর যে কোনো প্রয়োজনে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং এই ব্যাপারে ছাত্রকল্যাণ পরিষদের প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের নিকট জবাবদিহি নিশ্চিত করা।
দাবিগুলো না মানার আগ পর্যন্ত পরীক্ষাসহ সকল ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম বর্জনের ঘোষণা দেন চুয়েট শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া আন্দোলন নিয়ে কটূক্তি করা চুয়েট শিক্ষকের অপসারণ করা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত চুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির মধ্যে ৭টি দাবি চুয়েট কেন্দ্রিক এবং বাকি দাবিগুলো দ্রুততার সঙ্গে পূরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া নিহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়া আহত শিক্ষার্থীদের সরকারের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা এবং বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আগামী এক মাস ধরে মোবাইল কোর্ট চালানো এবং এক মাসের মধ্যে সড়ক প্রশস্তকরণের কাজ শুরু করা হবে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে।
এসব বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে বলে জানান রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির। তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে সড়ক নিরাপদ করতে কঠোর পদক্ষেপের পাশাপাশি এই দুর্ঘটনায় জড়িত ঘাতক চালকদেরও আটকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে তিনি জানান।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগেগোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।
আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।
আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা...
২৪ এপ্রিল ২০২৪
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা...
২৪ এপ্রিল ২০২৪
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা...
২৪ এপ্রিল ২০২৪
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
১ ঘণ্টা আগেবীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার সেলিমা কাদের কলেজ গেট এলাকায় বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় চুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা...
২৪ এপ্রিল ২০২৪
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
১৭ মিনিট আগে
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪২ মিনিট আগে