সিলেট, গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা প্রতিনিধি

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করেছে।
ভারতের পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। ডুবে গেছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনস্বার্থে ও নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক বার্তায় এ ঘোষণা দেন উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম।
পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের কয়েকটি উপজেলা। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির এ অবস্থা দেখা দেয়। সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ড ও জেলার ১৩টি উপজেলার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে (সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের দিন যেখানে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩০০ জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আর জেলার ১৩টি উপজেলার ১১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮৩টি ইউনিয়নের ৮৬৪টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। যেখানে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৩ হাজার ৬২৪ জন।
এর মধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৯৮ হাজার ৪০০ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সবগুলোতেই মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। উপজেলার পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৬ জন মানুষ রয়েছেন, আর ৮৬টি গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের ১ হাজার ৭৫০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট থেকে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত সব সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। উপজেলার গোয়াইনঘাট-সারিঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং, গোয়াইনঘাট-ফতেহপুর-সিলেট সদর ও গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোর আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবগুলোই পানিতে নিমজ্জিত। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মানুষের বাড়িঘর। যাঁদের ঘরে বেশি পানি উঠেছে, তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ওই উপজেলার ৭৮ হাজার ১১৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। সকালের দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে পানি উঠলেও বিকেলের দিকে নেমে যায়। তবে উপজেলার অন্যান্য আঞ্চলিক সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে রাস্তার দুই ধারে পানি রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলাজুড়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে মানুষজন ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। প্রবাসে থাকা লোকজন বাড়িতে যোগাযোগ করতে না পেরে ফেসবুকে পোস্ট করে এলাকার খবরাখবর জানার চেষ্টা করছেন।
উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের বাসিন্দা বুরহান উদ্দিন বলেন, ‘পানি যেভাবে কাল থেকে বাড়তেছে, না জানি ’২২-এর বন্যা চলে আসে কি না। এই আতঙ্ক উপজেলার সব মানুষের মাঝে। বাড়ির উঠোনে পানি উঠে গেছে। অর্ধহাত বাড়লেই ঘরে ঢুকে যাবে। আপাতত পানি স্থির দেখা যাচ্ছে। যদি না পানি বাড়ে, তাহলে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না।’
আমিনুর রহমান নামে কোম্পানীগঞ্জের এক সৌদিপ্রবাসী ফেসবুকে লিখেন, ‘বর্তমানে আমাদের ৬ নম্বর দক্ষিণ রনিখাইয়ের বন্যার পানির কী অবস্থা, কারও জানা থাকলে প্লিজ একটু জানান?’
উপজেলার টুকের বাজারের কুটিরশিল্প ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, ‘সকালে আমার দোকানে পানি উঠে। ঘুমে থেকে উঠেই দৌড়ে দোকানে আসি। পরে মালামাল ওপরে তুলি। পানি সকালে দোকানের মধ্যে থাকলেও বিকেলে নেমে গেছে। পানি কমলেই বেঁচে যাই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেটে গতকাল সোমবার বেলা ৩টায় সিলেটের ৪টি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বেলা ৩টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২২ সেমি ও সিলেট পয়েন্টে ২৭ সেমি, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ৪৭ সেমি ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেমি, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ৩৩ সেমি, সারি-গোয়াইনের গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ২৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বাকি নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা খুবই খারাপ। ওই সব উপজেলায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। বন্যার্ত মানুষের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সভা রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম আমরা তখন জানাতে পারব।’
এদিকে ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ পৌর শহর। বন্যাকবলিত জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জসহ অন্তত পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ। আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে তাঁরা। অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে বন্যার্তরা।
নেত্রকোনায় বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্রধান চারটি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে কলমাকান্দার উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ বেলা ৩টায় জেলার কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে আজ সকাল ৯টায় উপদাখালী নদীর একই স্থানে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে লোকালয়ে এখনো পানি না ঢুকলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার প্রধান চার নদী—উপদাখালী, কংশ, সোমেশ্বরী ও ধনু নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানিও জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। এ ছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি বেড়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বিজয়পুর পয়েন্টে ৪ দশমিক ৪ মিটার নিচ দিয়ে বইছে।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি ঢোকেনি। তেমনভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর নেই। তবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় তা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মনু-খোয়াই ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা, ঝালুখালি, পুরাতন-সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলার নদীবিধৌত আরও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলার কুশিয়ারা নদীবিধৌত নিমাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করেছে।
ভারতের পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। ডুবে গেছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনস্বার্থে ও নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক বার্তায় এ ঘোষণা দেন উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম।
পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের কয়েকটি উপজেলা। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির এ অবস্থা দেখা দেয়। সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ড ও জেলার ১৩টি উপজেলার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে (সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের দিন যেখানে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩০০ জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আর জেলার ১৩টি উপজেলার ১১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮৩টি ইউনিয়নের ৮৬৪টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। যেখানে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৩ হাজার ৬২৪ জন।
এর মধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৯৮ হাজার ৪০০ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সবগুলোতেই মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। উপজেলার পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৬ জন মানুষ রয়েছেন, আর ৮৬টি গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের ১ হাজার ৭৫০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট থেকে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত সব সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। উপজেলার গোয়াইনঘাট-সারিঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং, গোয়াইনঘাট-ফতেহপুর-সিলেট সদর ও গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোর আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবগুলোই পানিতে নিমজ্জিত। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মানুষের বাড়িঘর। যাঁদের ঘরে বেশি পানি উঠেছে, তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ওই উপজেলার ৭৮ হাজার ১১৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। সকালের দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে পানি উঠলেও বিকেলের দিকে নেমে যায়। তবে উপজেলার অন্যান্য আঞ্চলিক সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে রাস্তার দুই ধারে পানি রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলাজুড়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে মানুষজন ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। প্রবাসে থাকা লোকজন বাড়িতে যোগাযোগ করতে না পেরে ফেসবুকে পোস্ট করে এলাকার খবরাখবর জানার চেষ্টা করছেন।
উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের বাসিন্দা বুরহান উদ্দিন বলেন, ‘পানি যেভাবে কাল থেকে বাড়তেছে, না জানি ’২২-এর বন্যা চলে আসে কি না। এই আতঙ্ক উপজেলার সব মানুষের মাঝে। বাড়ির উঠোনে পানি উঠে গেছে। অর্ধহাত বাড়লেই ঘরে ঢুকে যাবে। আপাতত পানি স্থির দেখা যাচ্ছে। যদি না পানি বাড়ে, তাহলে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না।’
আমিনুর রহমান নামে কোম্পানীগঞ্জের এক সৌদিপ্রবাসী ফেসবুকে লিখেন, ‘বর্তমানে আমাদের ৬ নম্বর দক্ষিণ রনিখাইয়ের বন্যার পানির কী অবস্থা, কারও জানা থাকলে প্লিজ একটু জানান?’
উপজেলার টুকের বাজারের কুটিরশিল্প ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, ‘সকালে আমার দোকানে পানি উঠে। ঘুমে থেকে উঠেই দৌড়ে দোকানে আসি। পরে মালামাল ওপরে তুলি। পানি সকালে দোকানের মধ্যে থাকলেও বিকেলে নেমে গেছে। পানি কমলেই বেঁচে যাই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেটে গতকাল সোমবার বেলা ৩টায় সিলেটের ৪টি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বেলা ৩টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২২ সেমি ও সিলেট পয়েন্টে ২৭ সেমি, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ৪৭ সেমি ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেমি, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ৩৩ সেমি, সারি-গোয়াইনের গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ২৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বাকি নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা খুবই খারাপ। ওই সব উপজেলায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। বন্যার্ত মানুষের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সভা রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম আমরা তখন জানাতে পারব।’
এদিকে ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ পৌর শহর। বন্যাকবলিত জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জসহ অন্তত পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ। আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে তাঁরা। অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে বন্যার্তরা।
নেত্রকোনায় বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্রধান চারটি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে কলমাকান্দার উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ বেলা ৩টায় জেলার কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে আজ সকাল ৯টায় উপদাখালী নদীর একই স্থানে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে লোকালয়ে এখনো পানি না ঢুকলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার প্রধান চার নদী—উপদাখালী, কংশ, সোমেশ্বরী ও ধনু নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানিও জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। এ ছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি বেড়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বিজয়পুর পয়েন্টে ৪ দশমিক ৪ মিটার নিচ দিয়ে বইছে।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি ঢোকেনি। তেমনভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর নেই। তবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় তা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মনু-খোয়াই ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা, ঝালুখালি, পুরাতন-সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলার নদীবিধৌত আরও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলার কুশিয়ারা নদীবিধৌত নিমাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
সিলেট, গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা প্রতিনিধি

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করেছে।
ভারতের পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। ডুবে গেছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনস্বার্থে ও নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক বার্তায় এ ঘোষণা দেন উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম।
পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের কয়েকটি উপজেলা। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির এ অবস্থা দেখা দেয়। সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ড ও জেলার ১৩টি উপজেলার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে (সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের দিন যেখানে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩০০ জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আর জেলার ১৩টি উপজেলার ১১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮৩টি ইউনিয়নের ৮৬৪টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। যেখানে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৩ হাজার ৬২৪ জন।
এর মধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৯৮ হাজার ৪০০ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সবগুলোতেই মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। উপজেলার পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৬ জন মানুষ রয়েছেন, আর ৮৬টি গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের ১ হাজার ৭৫০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট থেকে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত সব সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। উপজেলার গোয়াইনঘাট-সারিঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং, গোয়াইনঘাট-ফতেহপুর-সিলেট সদর ও গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোর আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবগুলোই পানিতে নিমজ্জিত। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মানুষের বাড়িঘর। যাঁদের ঘরে বেশি পানি উঠেছে, তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ওই উপজেলার ৭৮ হাজার ১১৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। সকালের দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে পানি উঠলেও বিকেলের দিকে নেমে যায়। তবে উপজেলার অন্যান্য আঞ্চলিক সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে রাস্তার দুই ধারে পানি রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলাজুড়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে মানুষজন ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। প্রবাসে থাকা লোকজন বাড়িতে যোগাযোগ করতে না পেরে ফেসবুকে পোস্ট করে এলাকার খবরাখবর জানার চেষ্টা করছেন।
উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের বাসিন্দা বুরহান উদ্দিন বলেন, ‘পানি যেভাবে কাল থেকে বাড়তেছে, না জানি ’২২-এর বন্যা চলে আসে কি না। এই আতঙ্ক উপজেলার সব মানুষের মাঝে। বাড়ির উঠোনে পানি উঠে গেছে। অর্ধহাত বাড়লেই ঘরে ঢুকে যাবে। আপাতত পানি স্থির দেখা যাচ্ছে। যদি না পানি বাড়ে, তাহলে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না।’
আমিনুর রহমান নামে কোম্পানীগঞ্জের এক সৌদিপ্রবাসী ফেসবুকে লিখেন, ‘বর্তমানে আমাদের ৬ নম্বর দক্ষিণ রনিখাইয়ের বন্যার পানির কী অবস্থা, কারও জানা থাকলে প্লিজ একটু জানান?’
উপজেলার টুকের বাজারের কুটিরশিল্প ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, ‘সকালে আমার দোকানে পানি উঠে। ঘুমে থেকে উঠেই দৌড়ে দোকানে আসি। পরে মালামাল ওপরে তুলি। পানি সকালে দোকানের মধ্যে থাকলেও বিকেলে নেমে গেছে। পানি কমলেই বেঁচে যাই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেটে গতকাল সোমবার বেলা ৩টায় সিলেটের ৪টি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বেলা ৩টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২২ সেমি ও সিলেট পয়েন্টে ২৭ সেমি, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ৪৭ সেমি ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেমি, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ৩৩ সেমি, সারি-গোয়াইনের গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ২৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বাকি নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা খুবই খারাপ। ওই সব উপজেলায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। বন্যার্ত মানুষের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সভা রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম আমরা তখন জানাতে পারব।’
এদিকে ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ পৌর শহর। বন্যাকবলিত জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জসহ অন্তত পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ। আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে তাঁরা। অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে বন্যার্তরা।
নেত্রকোনায় বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্রধান চারটি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে কলমাকান্দার উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ বেলা ৩টায় জেলার কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে আজ সকাল ৯টায় উপদাখালী নদীর একই স্থানে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে লোকালয়ে এখনো পানি না ঢুকলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার প্রধান চার নদী—উপদাখালী, কংশ, সোমেশ্বরী ও ধনু নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানিও জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। এ ছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি বেড়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বিজয়পুর পয়েন্টে ৪ দশমিক ৪ মিটার নিচ দিয়ে বইছে।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি ঢোকেনি। তেমনভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর নেই। তবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় তা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মনু-খোয়াই ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা, ঝালুখালি, পুরাতন-সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলার নদীবিধৌত আরও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলার কুশিয়ারা নদীবিধৌত নিমাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্যাকবলিত মানুষের মাঝে শুকনা খাবার বিতরণ শুরু করেছে।
ভারতের পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিতে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী অনেক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠছেন। ডুবে গেছে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় জনস্বার্থে ও নিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি ও পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এক বার্তায় এ ঘোষণা দেন উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক ও গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম।
পাহাড়ি ঢল ও টানা ভারী বৃষ্টিপাতে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে সিলেটের কয়েকটি উপজেলা। গত শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলাজুড়ে বন্যা পরিস্থিতির এ অবস্থা দেখা দেয়। সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ড ও জেলার ১৩টি উপজেলার ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের চেরাপুঞ্জিতে (সোমবার সকাল ৯টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ৩৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের দিন যেখানে ১২৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যেখানে এর আগের ২৪ ঘণ্টায় ১৭৩.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। আর আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ৭৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
সিলেটের জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সিলেট নগরের চারটি ওয়ার্ডের ১০ হাজার মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে ৩০০ জন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আর জেলার ১৩টি উপজেলার ১১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮৩টি ইউনিয়নের ৮৬৪টি গ্রাম বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। যেখানে ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং আশ্রয়কেন্দ্রে রয়েছেন ৩ হাজার ৬২৪ জন।
এর মধ্যে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৯৮ হাজার ৪০০ জন বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সবগুলোতেই মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। উপজেলার পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্রে ২৯৬ জন মানুষ রয়েছেন, আর ৮৬টি গবাদিপশু আশ্রয় নিয়েছে। জকিগঞ্জ উপজেলার একটি ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের ১ হাজার ৭৫০ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার গোয়াইনঘাট থেকে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ব্যবহৃত সব সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যে কারণে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আছে। উপজেলার গোয়াইনঘাট-সারিঘাট, গোয়াইনঘাট-রাধানগর-জাফলং, গোয়াইনঘাট-ফতেহপুর-সিলেট সদর ও গোয়াইনঘাট-সালুটিকর সড়কটি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাসহ বন্যা আক্রান্ত উপজেলাগুলোর আঞ্চলিক সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে।
সরেজমিন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের সবগুলোই পানিতে নিমজ্জিত। বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে মানুষের বাড়িঘর। যাঁদের ঘরে বেশি পানি উঠেছে, তাঁরা আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। তাঁদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ওই উপজেলার ৭৮ হাজার ১১৫ জন মানুষ বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৫ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। সকালের দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কে পানি উঠলেও বিকেলের দিকে নেমে যায়। তবে উপজেলার অন্যান্য আঞ্চলিক সড়ক পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। তবে রাস্তার দুই ধারে পানি রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় উপজেলাজুড়ে নেটওয়ার্ক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যে কারণে মানুষজন ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। প্রবাসে থাকা লোকজন বাড়িতে যোগাযোগ করতে না পেরে ফেসবুকে পোস্ট করে এলাকার খবরাখবর জানার চেষ্টা করছেন।
উপজেলার গৌরীনগর গ্রামের বাসিন্দা বুরহান উদ্দিন বলেন, ‘পানি যেভাবে কাল থেকে বাড়তেছে, না জানি ’২২-এর বন্যা চলে আসে কি না। এই আতঙ্ক উপজেলার সব মানুষের মাঝে। বাড়ির উঠোনে পানি উঠে গেছে। অর্ধহাত বাড়লেই ঘরে ঢুকে যাবে। আপাতত পানি স্থির দেখা যাচ্ছে। যদি না পানি বাড়ে, তাহলে আর আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া লাগবে না।’
আমিনুর রহমান নামে কোম্পানীগঞ্জের এক সৌদিপ্রবাসী ফেসবুকে লিখেন, ‘বর্তমানে আমাদের ৬ নম্বর দক্ষিণ রনিখাইয়ের বন্যার পানির কী অবস্থা, কারও জানা থাকলে প্লিজ একটু জানান?’
উপজেলার টুকের বাজারের কুটিরশিল্প ব্যবসায়ী মিলন মিয়া বলেন, ‘সকালে আমার দোকানে পানি উঠে। ঘুমে থেকে উঠেই দৌড়ে দোকানে আসি। পরে মালামাল ওপরে তুলি। পানি সকালে দোকানের মধ্যে থাকলেও বিকেলে নেমে গেছে। পানি কমলেই বেঁচে যাই।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, সিলেটে গতকাল সোমবার বেলা ৩টায় সিলেটের ৪টি নদীর ৬টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ বেলা ৩টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২২ সেমি ও সিলেট পয়েন্টে ২৭ সেমি, কুশিয়ারা নদীর আমলশীদ পয়েন্টে ৪৭ সেমি ও ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে ৮৮ সেমি, সারি নদীর সারিঘাট পয়েন্টে ৩৩ সেমি, সারি-গোয়াইনের গোয়াইনঘাট পয়েন্টে ২৮ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আর বাকি নদীগুলোর পানিও বিপৎসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবস্থা খুবই খারাপ। ওই সব উপজেলায় মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন। আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার বিতরণ করেছি। বন্যার্ত মানুষের জন্য আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। রাতে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের সভা রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম আমরা তখন জানাতে পারব।’
এদিকে ঢলের পানিতে ভাসছে সুনামগঞ্জ পৌর শহর। বন্যাকবলিত জেলার সদর উপজেলা, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতক, তাহিরপুর, শান্তিগঞ্জসহ অন্তত পাঁচ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষ। আকস্মিক বন্যায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার কয়েক লাখ মানুষ। বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় বিপাকে পড়েছে তাঁরা। অন্যত্র আশ্রয়ের খোঁজে বন্যার্তরা।
নেত্রকোনায় বৃষ্টি আর উজানের ঢলে প্রধান চারটি নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে কলমাকান্দার উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
আজ বেলা ৩টায় জেলার কলমাকান্দা উপজেলার উপদাখালী নদীর পানি কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে আজ সকাল ৯টায় উপদাখালী নদীর একই স্থানে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল।
তবে লোকালয়ে এখনো পানি না ঢুকলেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় বন্যার শঙ্কা করছেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার প্রধান চার নদী—উপদাখালী, কংশ, সোমেশ্বরী ও ধনু নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে উপদাখালী নদীর পানি বিপৎসীমা ছাড়িয়ে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। কংশ নদের পানিও জারিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি মাত্র ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে। এ ছাড়া জেলার হাওরাঞ্চলের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া ধনু নদের পানি খালিয়াজুরী পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে ও পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি বেড়ে দুর্গাপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে এবং বিজয়পুর পয়েন্টে ৪ দশমিক ৪ মিটার নিচ দিয়ে বইছে।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেছেন, এখন পর্যন্ত বাড়িঘরে পানি ঢোকেনি। তেমনভাবে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর নেই। তবে বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় তা মোকাবিলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কলমাকান্দা উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রশাসন সতর্ক রয়েছে।
আজ বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। মনু-খোয়াই ব্যতীত দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সকল প্রধান নদীগুলোর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে।
আগামী ৭২ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা, ঝালুখালি, পুরাতন-সুরমা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সিলেট, সুনামগঞ্জ জেলার নদীবিধৌত আরও কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে এবং নেত্রকোনা জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল ও মৌলভীবাজার জেলার কুশিয়ারা নদীবিধৌত নিমাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি সমতল সময় বিশেষে দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে এবং কতিপয় স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে আগামী ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
বাংলাদেশসহ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক মোট ১৪টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৫০০ বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, গবেষক, নীতিনির্ধারক ও সামাজিক আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতিতে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই জলবায়ু অধিকারভিত্তিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সম্মেলনের আগে আজ শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর আহ্বায়ক কমিটির আয়োজনে জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সমাবেশের ঘোষণা দেন অ্যাসেম্বলি কমিটির সদস্যসচিব শরীফ জামিল।
‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’-এর লক্ষ্য, প্রস্তুতি, অংশগ্রহণকারী দেশি-বিদেশি অতিথিসহ দুই দিনের সেশন পরিকল্পনা, র্যালি এবং অন্যান্য আয়োজন সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দুই দিনব্যাপী এই সমাবেশের প্রথম দিন ১৩ ডিসেম্বর সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ক্লাইমেট র্যালিতে অংশগ্রহণ এবং র্যালি শেষে ক্লাইমেট জাস্টিজ এসেম্বলি ২০২৫ উদ্বোধন করবেন সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও ধরার উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এই উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি থাকবেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
দিনব্যাপী প্রোগ্রামে ৩টি প্লান্যারি সেশন থাকবে। বাংলাদেশে জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল থেকে আসা ভুক্তভোগীরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা বক্তব্য দেবেন।
দ্বিতীয় দিনে ১৪ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সমাবেশের প্রথম দিনের আলোচনার সারসংক্ষেপ, সুপারিশ ও করণীয় নিয়ে উপস্থাপন করা হবে ‘ড্রাফট অ্যাসেম্বলি ডিক্লারেশন’।
শরীফ জামিল বলেন, ‘প্রান্তিক এবং অপ্রান্তিক সকল মানুষের সচেতনতার মধ্য দিয়েই রূপান্তরের বাস্তবতার ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যে এই জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫।’
ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর আহ্বায়ক ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, ‘পরিবেশ ও জলবায়ু বিশ্বব্যাপী হুমকির মুখে, ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। এই ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের পরিবেশকর্মীরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করছে; যা একটি মহৎ কাজ। কোনো কিছুর বিনিময়ে এ কাজের মূল্যায়ন সম্ভব নয়। কিন্তু এই ঝুঁকি মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রয়োজন। আমার যে জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ করতে যাচ্ছি, তাতে অনেক সহযোগীর সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে, তা-ও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। সঠিক রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে জলবায়ু ন্যায্যতার ন্যায্য প্রতিফলন পাওয়া সম্ভব।
এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন কো-কনভেনর, ক্লাইমেট জাস্টিজ অ্যাসেম্বলি ২০২৫-এর কো-কনভেনর এম এস সিদ্দিকি, সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ জহিরুল হক, শেরেবাংলা নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিলা আজিজ এবং জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫ এর সমন্বয়ক এবং সহযোগী সমন্বয়কেরা।
জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫-এর আয়োজক ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা)। সহযোগী আয়োজক সিপিআরডি, কোস্ট ফাউন্ডেশন, সেন্টার ফর রিনিউয়েবল এনার্জি সার্ভিসেস, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, মিশনগ্রিন বাংলাদেশ, ব্রাইটার্স, ওএবি ফাউন্ডেশন, এশিয়ান পিপলস মুভমেন্ট অন ডেবট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, অলটারনেটিভ ল কালেকটিভ, আর্টিভিস্ট নেটওয়ার্ক, ফসিল ফুয়েল নন-প্রলিফারেশন ট্রিটি ইনিশিয়েটিভ, ফসিল ফ্রি জাপান, গ্রিন কাউন্সিল, জাপান সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোসাইটি, এলডিসি ওয়াচ, মাইনস, মিনারেলস অ্যান্ড পিপল, নেটজভের্ক এনার্জিভেন্ডে, ফিলিপাইন মুভমেন্ট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, পলিসি রিসার্স ইনস্টিটিউট ফর ইকুটেবল ডেভেলপমেন্ট, রিভারফক্স, সিডব্লিউটি।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্য
১৮ জুন ২০২৪
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে। মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকটি ছোট আফটারশকও অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পের পরিপ্রেক্ষিতে জাপানের পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় এলাকাগুলোর জন্য সতর্কতা হিসেবে ‘সুনামি অ্যাডভাইজরি’ জারি করা হয়েছে। আবহাওয়া সংস্থা সতর্ক করে জানিয়েছে, ঢেউগুলো প্রায় এক মিটার পর্যন্ত উঁচু হতে পারে, তাই উপকূলবাসীকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চলতি সপ্তাহের গোড়ার দিকে একই অঞ্চলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এতে বহু বাসিন্দা আহত হয়েছেন। সর্বশেষ পরিস্থিতি ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্য
১৮ জুন ২০২৪
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি।
আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। আর শীর্ষে থাকা দিল্লির বায়ুমান ৩৮৫, যা বিপজ্জনক বাতাসের নির্দেশক।
শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভিয়েতনামের হ্যানয়, ভারতের কলকাতা, কুয়েতের কুয়েত সিটি ও পাকিস্তানের লাহোর। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২৫৫, ২৪৬, ২১৭ ও ২১১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্য
১৮ জুন ২০২৪
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

রাজধানী ঢাকায় গত কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা কমছিল। তবে আজ শুক্রবার শীত বেশ ভালোভাবেই জেঁকে বসেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকালে সেটি কমে হয়েছে ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকার পূর্বাভাস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক এবং আকাশ পরিষ্কার থাকতে পারে। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৫ শতাংশ। দুপুর পর্যন্ত এই অঞ্চলের ওপর দিয়ে উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সাধারণত অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্তের সময় সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে, আগামীকাল সূর্যাস্ত ৬টা ৩৩ মিনিটে।

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আগামী ৭২ ঘণ্টায় বন্যা পরিস্থিতির শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিলেটের গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার নিচু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রশাসন আশ্রয়কেন্দ্র চালুর পাশাপাশি বন্য
১৮ জুন ২০২৪
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’—ধরা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ২১টি সংগঠনের উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তন, শেরেবাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন ৩য় ‘জলবায়ু ন্যায্যতা সমাবেশ ২০২৫’ (Climate Justice Assembly 2025)।
১ দিন আগে
জাপানের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রিখটার স্কেলে ৬ দশমিক ৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। জাপান আবহাওয়া সংস্থার বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪৪ মিনিট (গ্রিনিচ মান সময় ২টা ৪৪ মিনিট) নাগাদ এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
২ দিন আগে
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের দূষিত শহর তালিকার ১২৭টি দেশের মধ্যে আজ শুক্রবার ঢাকার অবস্থান ১০ম। অন্যদিকে গতকালের মতো আজও শীর্ষস্থানে দিল্লি। আজ সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান আজ ১৬৭, যা সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক।
২ দিন আগে