Ajker Patrika

বিশ্বকাপে যে বিরল রেকর্ড বুমরা ছাড়া আর কারও নেই

আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৪, ১৪: ৪৬
বিশ্বকাপে যে বিরল রেকর্ড বুমরা ছাড়া আর কারও নেই

জসপ্রীত বুমরাকে মোকাবিলা করা যেন ব্যাটারদের জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে কঠিন কাজ। বিশেষ করে ডেথ ওভারে বুমরা হয়ে ওঠেন মৃত্যুদূত। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নেপথ্যে তাঁর জাদুকরী বোলিং দারুণ অবদান রেখেছে। গড়েছেন এক বিরল রেকর্ডও। 

৮ ম্যাচে ১৫ উইকেট নিয়ে এবারের বিশ্বকাপে বুমরা হয়েছেন ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট। ৪.১৭ ইকোনমি বলে দিচ্ছে, ব্যাটারদের কতটা ভুগিয়েছেন তিনি। তবে কোনো রান তিনি করতে পারেননি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেলেও মেরেছেন গোল্ডেন ডাক। কোনো রান না করে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট-সেরা ক্রিকেটার হওয়ার একমাত্র কীর্তি বুমরার। এর আগে আট আসরে যাঁরা ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন, তাঁদের নামের পাশে রান ছিল। ২০২২ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৩ উইকেট নেওয়ার কারণে স্যাম কারান টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ঠিকই। তবে যখনই ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন, রান করেছেন। ২ ইনিংসে ১২ গড় ও ৮৫.৭১ স্ট্রাইকরেটে করেন ১২ রান। 

ব্যাটে-বলে সমান তালে খেলে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের তালিকা খুঁজতে গেলে শেন ওয়াটসন, শহীদ আফ্রিদি—এই দুই ত্রিকেটারের নাম চোখে পড়বেই। ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের টুর্নামেন্ট-সেরা ওয়াটসনের স্কোর ২৪৯ রান এবং নিয়েছেন ১১ উইকেট। ১২ বছর আগে বিশ্বকাপে করেছিলেন তিন ফিফটি। গড় ও স্ট্রাইকরেট ছিল ৪৯.৮০ ও ১৫০। আফ্রিদি টুর্নামেন্ট-সেরার পুরস্কার জেতেন ২০০৭ সালে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।  ৯১ রানের পাশাপাশি নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট। তবে ফাইনালে তাঁর দল পাকিস্তান ৫ রানে হেরে গিয়েছিল ভারতের কাছে। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুবার ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হওয়ার কীর্তি বিরাট কোহলির। ২০১২ ও ২০১৪ সালে টুর্নামেন্ট-সেরা হয়েছিলেন কোহলি। সেই দুই আসরে ভারত ধাক্কা খেয়েছিল নকআউট পর্বে।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট

২০০৭: শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান) (৯১ রান ও ১৫ উইকেট) 
২০০৯: তিলকরত্নে দিলশান (শ্রীলঙ্কা) (৩১৭ রান) 
২০১০: কেভিন পিটারসেন (ইংল্যান্ড) (২৪৮ রান) 
২০১২: শেন ওয়াটসন (অস্ট্রেলিয়া) (২৪৯ রান ও ১১ উইকেট) 
২০১৪: বিরাট কোহলি (ভারত) (৩১৯ রান) 
২০১৬: বিরাট কোহলি (ভারত) (২৭৩ রান ও ১ উইকেট) 
২০২১: ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া) (২৮৯ রান) 
২০২২: স্যাম কারান (ইংল্যান্ড) (১২ রান ও ১৩ উইকেট) 
২০২৪: জসপ্রীত বুমরা (ভারত) (০ রান ও ১৫ উইকেট)

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলকাতায় ভারতের মতো ভরাডুবি আর কারও হয়নি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৬
১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক রেকর্ডে নাম লেখাল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক রেকর্ডে নাম লেখাল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

এইডেন মার্করাম ক্যাচ ধরতেই উদযাপন শুরু। সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা যেন টেম্বা বাভুমার। হাত ছুড়ে যেভাবে উদযাপন করলেন, সেটা যেন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভক্ত-সমর্থকদের হৃদয়ে ছুরির মতো বিঁধেছে। প্রোটিয়াদের কাছে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক এক রেকর্ডে নাম উঠে গেল ভারতের।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে ৬ বছর পর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ফিরল টেস্ট। ভক্ত-সমর্থকেরা দারুণ একটা ম্যাচের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু কীসের কী! মাত্র তিন দিনে শেষ হয়ে গেল ইডেন টেস্ট। ১২৪ রানের মামুলি লক্ষ্য পেয়েও ৯৩ রানে গুটিয়ে গেল স্বাগতিকেরা। তাতে ইডেনে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ডের রেকর্ডটা নিজেদের করে নিল প্রোটিয়ারা। এর আগে ইডেনে এই রেকর্ডটা ছিল ভারতেরই। ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েও ২৮ রানে জিতেছিল ভারত।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রানে ৭ উইকেটে আজ তৃতীয় দিনে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের নামের পাশে তখন ৩৫ ওভার। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে করবিন বশকে (২৫) বোল্ড করেন জসপ্রীত বুমরা। তাতে ভেঙে যায় ষষ্ঠ উইকেটে বাভুমা ও বশের ৪৪ রানের জুটি। এই জুটির পর ১৮ রান যোগ করতেই শেষ সফরকারীদের ইনিংস। ৫৪ ওভারে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন বাভুমা। রবীন্দ্র জাদেজা ৫০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

১৫৩ রান দক্ষিণ আফ্রিকা করলেও ১২৩ রানের লিড পেয়েছে তারা। ১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩৩.২ ওভারে ৭ উইকেটে ৭৭ রান। একমাত্র আশার প্রদীপ হয়ে বেঁচে থাকা অক্ষর প্যাটেল একটু বেশিই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ৩৫তম ওভারে কেশব মহারাজকে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন অক্ষর। পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল তালুবন্দী করেন বাভুমা। ষষ্ঠ বলে সিরাজকে ফিরিয়ে ভারতের ইনিংসের ইতি টানেন মহারাজ।

সিরাজের বিদায়ে ৩৫ ওভারে ৯৩ রানে ৯ উইকেটে পরিণত হয় ভারত। কিন্তু অধিনায়ক শুবমান গিল ব্যাটিং করতে না পারায় কার্যত এখানেই শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। দুই ইনিংসে চারটি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা স্পিনার সায়মন হারমার। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে ১৫৯ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বুমরা নিয়েছেন ৫ উইকেট। এরপর ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩ বলে ৪ রান করার পরই পিঠের ব্যথায় মাঠ ছাড়েন গিল। তখন ৬২.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৯ রানে পরিণত হতেই শেষ ভারতের ইনিংস। আর আজ তৃতীয় দিনে ৩০ রানে জিতে ভারতকে ভারতের মাঠে ১৫ বছর পর টেস্টে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে নাগপুর টেস্টে ভারতকে ইনিংস ও ৬ রানে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইসিইউতে ভর্তি, শেষ টেস্টেও থাকছেন না গিল

ক্রীড়া ডেস্ক    
গিলকে নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বিসিসিআই। ছবি: এক্স
গিলকে নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বিসিসিআই। ছবি: এক্স

কলকাতা টেস্ট চলাকালীন ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন শুবমান গিল। ঘাড়ের সমস্যা নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সবশেষ খবর, বর্তমানে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) আছেন স্বাগতিক অধিনায়ক। মূলত সতর্কতামুলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

ভারতের ইনিংসের ৩৫ তম ওভারে ক্রিজে আসেন গিল। মাত্র ৩ বল মোকাবেলার পর ঘাড় নাড়াচাড়া করতে পারছিলেন না তিনি। মাঠে ফিজিও দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই ব্যাটার। ড্রেসিংরুমে প্রাথমিক চিকিৎসার পরও স্বাভাবিক হতে পারেননি। উপায়ান্তর না দেখে স্ট্রেচারে করে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রেভস্পোর্টজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গিলের চিকিৎসার জন্য ডাঃ সপ্তর্ষি বসুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন স্নায়ু বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।

হাসপাতালে নেওয়ার পর স্ক্যান এবং বেশকিছু পরীক্ষা করা হয়। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় গিলকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের বরাতে আজ ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গিলের ঘাড়ের ব্যথা কিছুটা কমেছে। রিপোর্টেও কোনো জটিলতা ধরে পড়েনি। এরপরও এখনই আইসিইউ থেকে সরানো হচ্ছে না গিলকে। আরও কয়েকদফা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল টিম।

বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গিলের জন্য আগামী ছয়দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাতে খুব হিসেব করে চলতে হবে তাঁকে। তাই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এর আগে বারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানায়, ঘাড়ের সমস্যার কারণে কলকাতার টেস্টের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন গিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোল উৎসব করে স্পেনের নতুন রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৪
জর্জিয়াকে পাত্তা দেয়নি স্পেন। ছবি: এক্স
জর্জিয়াকে পাত্তা দেয়নি স্পেন। ছবি: এক্স

সাম্প্রতিক সময়ে যে দাপুটে সময় পার করছে স্পেন, জর্জিয়ার বিপক্ষেও সেটার ঝলক দেখাল তারা। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের ‘ই’ গ্রুপে জর্জিয়ার বিপক্ষে রীতিমতো গোল উৎসব করেছে একবারের চ্যাম্পিয়নরা। জিতেছে ৪-০ গোলে। এই জয়ে অপরাজিত থাকার নতুন রেকর্ড গড়ল স্পেন।

এ নিয়ে লুইস দে লা ফুয়েন্তের অধীনে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত রইল স্পেন। আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ভিসেন্তে দেল বক্সের কোচিংয়ে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে টানা ২৯ ম্যাচ হারেনি ইউরোপের জায়ান্টরা। লা ফুয়েন্তের কোচিংয়ে সে রেকর্ড ভাঙল স্প্যানিশরা।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচের একটিতেও হারেনি স্পেন। এই ৫ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৯ বার বল পাঠালেও কোনো গোল হজম করেনি দলটি। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে তারা। এরপরও বিশ্বকাপের মূল পর্বের অপেক্ষায় আছে স্পেন।

শেষ ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষে ৭ গোলের কম ব্যবধানে হারলেই বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পাবে তারা। ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করেছে তুরস্ক। প্রথম দেখায় তাদের ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল স্পেন। গ্রুপের রানার্সআপ দলকে প্লে অফের বাধা অতিক্রম করে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হবে।

জর্জিয়ার মাঠে স্পেনের জয়ে জোড়া গোল করেন মিকেল ওইয়ারজাবাল। একবার করে গোলের খাতায় নাম লেখান মার্টিন জুবিমেন্দি ও ফেররাস তরেস। গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সফরকারীদের। ১১ মিনিটে স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে নেন ওইয়ারজাবাল। ২২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুবিমেন্দি। ১৩ মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করেন স্পেনের বার্সা ফরোয়ার্ড তরেস। বিরতির কিছুক্ষণ পর জর্জিয়ার জালে শেষবারের মতো বল পাঠান ওইয়ারজাবাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফুটবল ভক্তদের কাছে আসিফের দুঃখপ্রকাশ

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
ফুটবল নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ। তাঁর চাওয়া দেশের ক্রিকেট এবং ফুটবল একসঙ্গে এগিয়ে যাক। ছবি: সংগৃহীত
ফুটবল নিয়ে মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ। তাঁর চাওয়া দেশের ক্রিকেট এবং ফুটবল একসঙ্গে এগিয়ে যাক। ছবি: সংগৃহীত

ফুটবল নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়েছিলেন জনপ্রিয় কন্ঠশিল্পী এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবর। গত কয়েকদিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক সমালোচনা হয়েছে তাঁকে নিয়ে। সমালোচনার মুখে এবার ফুটবলপ্রেমীদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করলেন আসিফ।

আসিফ দাবি করেন, মাঠ সক্রান্ত ইস্যুতে ফুটবলের জন্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ক্রিকেট। মাঠ নিয়ে দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে মারপিট করার হুমকিও দেন তিনি। এমন বক্তব্যের পর ক্ষোভের অনলে ফেটে পড়ে দেশের ফুটবলার, সংগঠক এবং ভক্তরা। আসিফকে ক্ষমা চাইতে বলেন সবাই। নাহলে অ্যাকশনে যাওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বিসিবিকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। তাতে উত্তেজনা কিছুটা কমে আসে। এবার ওই বিরূপ মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ। তাঁর দাবি, শত্রুতা করে নয় বরং একটা সামাধানের জন্যই ফুটবল নিয়ে সেসব কথা বলেছিলেন তিনি। তাঁর চাওয়া, একইসঙ্গে এগিয়ে যাক ফুটবল এবং ক্রিকেট।

ফেসবুক লাইভে আসিফ বলেন, ‘এই স্লেজিংটা করতে গিয়ে আমি ফুটবল দর্শকদের কষ্ট দিয়েছি। এটা ইচ্ছাকৃতভাবেই করেছি। এজন্য আমি দুঃখপ্রকাশ করেছি। যারা ফুটবল ভালোবাসেন এবং ফুটবল ভালোবেসে আমাকে বকাবকি করেছেন, রাগ করেছেন, এতে আমি কিছু মনে করিনি। মনে করার কোনো কারণও নেই। আমি চাচ্ছিলাম এটা নিয়ে একটা আলোচনা হোক।’

ফুটবল এবং ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান একসঙ্গে হওয়ায় নিজের মন্তব্যকে ফলপ্রসূ মনে করছেন আসিফ। তিনি বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে এবং দুই বোর্ডের প্রধান ক্লোজ হয়েছেন। গত ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে জাতীয় স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে সৌহার্দ্যপুর্ণ আলোচনা হয়েছে। আমরা একটি সমাধানে এসেছি যে, আমরা কিভাবে ফুটবল–ক্রিকেট একসঙ্গে এগিয়ে নিতে পারি। আমি আবারও ফুটবল ভক্তদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত