Ajker Patrika

হরভজনের সঙ্গে আকমলের এবার ঝগড়ার কারণ কী 

আপডেট : ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২: ৩২
হরভজনের সঙ্গে আকমলের এবার ঝগড়ার কারণ কী 

হরভজন সিংয়ের সঙ্গে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের দ্বন্দ্ব যে কিছুতেই থামার নয়। কোনো ব্যাপারে যদি পাকিস্তান জড়িয়ে যায়, তখন ভারতীয় ক্রিকেটারের মুখ ছোটে তরবারির মতো। এক মাসের ব্যবধানে আরও একবার দ্বন্দ্বে জড়ালেন হরভজন ও কামরান আকমল। 

জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় হরভজনের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল আকমলের। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ চলার সময় আর্শদীপ সিংকে নিয়ে বেঁফাস মন্তব্য করেন আকমল। হরভজন পরে তীব্র প্রতিবাদ জানালে ক্ষমা চেয়েছিলেন আকমল। দুই সাবেক ক্রিকেটারের আবার দেখা হয়েছে ইংল্যান্ডে চলমান ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল)। চলতি সপ্তাহের শনিবার বার্মিংহামে ভারতীয় চ্যাম্পিয়ন ও পাকিস্তানি চ্যাম্পিয়ন দলের ম্যাচ শেষে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে আকমল ও হরভজনের। সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত সেটা ভাইরাল হয়ে যায়। 
 
ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডসে (ডব্লিউসিএল) এবার তর্কে জড়ালেন হরভজন ও আকমল। ছবি: টুইটারহরভজনের সঙ্গে কী বিষয়ে ঝগড়া হয়েছিল, তা নিয়ে মুখ খুলেছেন আকমল। স্থানীয় এক ইউটিউব চ্যানেলে আকমল বলেন, ‘আমি একটা ভুল করেছিলাম এবং সেটা নিয়েই কথা বলছিলাম তার সঙ্গে। আমি কখনোই কারও ধর্মকে আঘাত করে কথা বলার চিন্তাই করিনি (আর্শদীপের প্রসঙ্গ)। পরে আমি তার (হরভজন) সঙ্গে আলাপ করছিলাম বাবর আজমকে নিয়ে কৌতুক করায়। স্বীকার করে নিচ্ছি, বাবর ও ব্রায়ান লারার ক্লাস জীবনেও মিলবে না। তাদের তুলনা করার কোনো মানেও হয় না। তবে ক্রিকেটার হিসেবে কখনো আমাদের কৌতুক করা উচিত নয়। তিনিও বুঝতে পেরেছেন যে এটা করা উচিত হয়নি।’ 

বাবরকে নিয়ে হরভজনের কৌতুকের ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরপরই। এক স্পোর্টস প্ল্যাটফরমে হরভজনকে প্রশ্ন করা হয়, কুমার সাঙ্গাকারা ও ব্রায়ান লারা এই দুজনের মধ্যে কাকে বেছে নেবেন তিনি (হরভজন)? উত্তরে হরভজন বলেছেন লারার নাম। পরের প্রশ্ন, লারা ও বাবর আজমের মধ্যে হরভজন কাকে বেছে নেবেন? হরভজন উত্তর দেবেন কীভাবে, তিনি তো হেসেই কুল পাচ্ছিলেন না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওয়ানডে সিরিজেও টি-টোয়েন্টির চিত্র

ক্রীড়া ডেস্ক    
শেষ ওভারে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো
শেষ ওভারে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ছবি: ক্রিকইনফো

নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। বাকি ৪ ম্যাচের তিনটিতেই ফল হয়েছে শেষ ওভারে এসে। সংক্ষিপ্ত ওভারের সিরিজের সেই চিত্র এবার ওয়ানডেতেও ফিরিয়ে আনল দুদল। প্রথম ওয়ানডেতে লড়াই করে শেষ ওভারে এসে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ৭ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।

ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে আগে ব্যাট করে ২৬৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় ঢিমেতালে ব্যাট করে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল জেমিসনের করা ২৬ তম ওভারে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে কিসি কার্টি যখন ফিরছিলেন, সফরকারীদের স্কোবোর্ডে তখন উঠেছে ৮৭ রান। ৩২ রান করতেই ৬৭ বল খেলেন এই ব্যাটার। ৫০ স্ট্রাইকরেটে ৫৮ বলে ২৯ রান করেন আলিক আথানেজ। ৯ বল খেলা জন ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।

উপরের সারির ব্যাটারদের টেস্ট মেজাজি ব্যাটিংয়ের চাপ সামলে আর শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফানে রাদারফোর্ড, শাই হোপ, রোমারিও শেফার্ড, জাস্টিন গ্রিভসদের ব্যাটে আশা বেঁচে ছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারেনি তারা। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সমীকরণ ছিল ৬১ রানের।

গ্রিভস ও শেফার্ড লড়াই চালিয়ে ম্যাচ টেনে নেন শেষ ওভারে। তবে জ্যাকব ডাফির করা শেষ ওভারে ২০ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি তাঁরা। সে ওভার থেকে ১২ রান তুলতে পেরেছে অতিথিরা। ২৪ বলে ৩৮ রান করেন গ্রিভস। ২৬ রান আসে শেফার্ডের ব্যাট থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন রাদারফোর্ড। ৩৭ রান এনে দেন হোপ। ৫২ রানে ৩ উইকেট নেন জেমিসন।

এর আগে ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ের ব্যাটে ভর করে এই পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। ১১৮ বলে ১২ চার, দুই ছক্কায় ১১৯ রান করেন মিচেল। কনওয়ে খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪১ রান খরচায় জেডন সিলসের শিকার ৩ উইকেট। ২ ব্যাটারকে ফেরান ম্যাথু ফোর্ড।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলকাতায় ভারতের মতো ভরাডুবি আর কারও হয়নি

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৭
১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক রেকর্ডে নাম লেখাল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো
১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক রেকর্ডে নাম লেখাল ভারত। ছবি: ক্রিকইনফো

এইডেন মার্করাম ক্যাচ ধরতেই উদ্‌যাপন শুরু। সবচেয়ে বেশি উত্তেজনা যেন টেম্বা বাভুমার। হাত ছুড়ে যেভাবে উদ্‌যাপন করলেন, সেটা যেন কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভক্ত-সমর্থকদের হৃদয়ে ছুরির মতো বিঁধেছে। প্রোটিয়াদের কাছে ৩০ রানে হেরে লজ্জাজনক এক রেকর্ডে নাম উঠে গেল ভারতের।

ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্ট দিয়ে ৬ বছর পর কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ফিরল টেস্ট। ভক্ত-সমর্থকেরা দারুণ একটা ম্যাচের অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু কিসের কী! মাত্র তিন দিনে শেষ হয়ে গেল ইডেন টেস্ট। ১২৪ রানের মামুলি লক্ষ্য পেয়েও ৯৩ রানে গুটিয়ে গেল স্বাগতিকেরা। তাতে ইডেনে সবচেয়ে কম রান ডিফেন্ডের রেকর্ডটা নিজেদের করে নিল প্রোটিয়ারা। এর আগে ইডেনে এই রেকর্ডটা ছিল ভারতেরই। ১৯৭৩ সালে ইংল্যান্ডকে ১৯২ রানের লক্ষ্য দিয়েও ২৮ রানে জিতেছিল ভারত।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৩ রানে ৭ উইকেটে আজ তৃতীয় দিনে খেলতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্বাগতিকদের নামের পাশে তখন ৩৫ ওভার। ৪৮তম ওভারের প্রথম বলে করবিন বশকে (২৫) বোল্ড করেন জসপ্রীত বুমরা। তাতে ভেঙে যায় ষষ্ঠ উইকেটে বাভুমা ও বশের ৪৪ রানের জুটি। এই জুটির পর ১৮ রান যোগ করতেই শেষ সফরকারীদের ইনিংস। ৫৪ ওভারে ১৫৩ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন বাভুমা। রবীন্দ্র জাদেজা ৫০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

১৫৩ রান দক্ষিণ আফ্রিকা করলেও ১২৩ রানের লিড পেয়েছে তারা। ১২৪ রানের লক্ষ্যে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ভারতের স্কোর হয়ে যায় ৩৩.২ ওভারে ৭ উইকেটে ৭৭ রান। একমাত্র আশার প্রদীপ হয়ে বেঁচে থাকা অক্ষর প্যাটেল একটু বেশিই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। ৩৫তম ওভারে কেশব মহারাজকে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন অক্ষর। পঞ্চম বলে ছক্কা মারতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। আকাশে দীর্ঘক্ষণ ভেসে থাকা বল তালুবন্দী করেন বাভুমা। ষষ্ঠ বলে সিরাজকে ফিরিয়ে ভারতের ইনিংসের ইতি টানেন মহারাজ।

সিরাজের বিদায়ে ৩৫ ওভারে ৯৩ রানে ৯ উইকেটে পরিণত হয় ভারত। কিন্তু অধিনায়ক শুবমান গিল ব্যাটিং করতে না পারায় কার্যত এখানেই শেষ স্বাগতিকদের ইনিংস। দুই ইনিংসে চারটি করে উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকা স্পিনার সায়মন হারমার। যেখানে দ্বিতীয় ইনিংসে ২১ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়ে ১৫৯ রানে গুটিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বুমরা নিয়েছেন ৫ উইকেট। এরপর ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩ বলে ৪ রান করার পরই পিঠের ব্যথায় মাঠ ছাড়েন গিল। তখন ৬২.২ ওভারে ৯ উইকেটে ১৮৯ রানে পরিণত হতেই শেষ ভারতের ইনিংস। আর আজ তৃতীয় দিনে ৩০ রানে জিতে ভারতকে ভারতের মাঠে ১৫ বছর পর টেস্টে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। এর আগে ২০১০-এর ফেব্রুয়ারিতে নাগপুর টেস্টে ভারতকে ইনিংস ও ৬ রানে হারিয়েছিল প্রোটিয়ারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আইসিইউতে ভর্তি, শেষ টেস্টেও থাকছেন না গিল

ক্রীড়া ডেস্ক    
গিলকে নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বিসিসিআই। ছবি: এক্স
গিলকে নিয়ে সতর্ক অবস্থানে বিসিসিআই। ছবি: এক্স

কলকাতা টেস্ট চলাকালীন ভারতীয় দলের চিন্তা বাড়িয়ে দিলেন শুবমান গিল। ঘাড়ের সমস্যা নিয়ে গতকাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সবশেষ খবর, বর্তমানে ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) আছেন স্বাগতিক অধিনায়ক। মূলত সতর্কতামুলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবেই তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।

ভারতের ইনিংসের ৩৫ তম ওভারে ক্রিজে আসেন গিল। মাত্র ৩ বল মোকাবেলার পর ঘাড় নাড়াচাড়া করতে পারছিলেন না তিনি। মাঠে ফিজিও দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন এই ব্যাটার। ড্রেসিংরুমে প্রাথমিক চিকিৎসার পরও স্বাভাবিক হতে পারেননি। উপায়ান্তর না দেখে স্ট্রেচারে করে তাঁকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রেভস্পোর্টজের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গিলের চিকিৎসার জন্য ডাঃ সপ্তর্ষি বসুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন স্নায়ু বিশেষজ্ঞ রয়েছেন।

হাসপাতালে নেওয়ার পর স্ক্যান এবং বেশকিছু পরীক্ষা করা হয়। এরপর পরিস্থিতি বিবেচনায় গিলকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রের বরাতে আজ ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, গিলের ঘাড়ের ব্যথা কিছুটা কমেছে। রিপোর্টেও কোনো জটিলতা ধরে পড়েনি। এরপরও এখনই আইসিইউ থেকে সরানো হচ্ছে না গিলকে। আরও কয়েকদফা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে মেডিকেল টিম।

বেশ কয়েকটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গিলের জন্য আগামী ছয়দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টাতে খুব হিসেব করে চলতে হবে তাঁকে। তাই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে তাঁর খেলার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এর আগে বারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানায়, ঘাড়ের সমস্যার কারণে কলকাতার টেস্টের বাকি অংশ থেকে ছিটকে গেছেন গিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গোল উৎসব করে স্পেনের নতুন রেকর্ড

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ১৪
জর্জিয়াকে পাত্তা দেয়নি স্পেন। ছবি: এক্স
জর্জিয়াকে পাত্তা দেয়নি স্পেন। ছবি: এক্স

সাম্প্রতিক সময়ে যে দাপুটে সময় পার করছে স্পেন, জর্জিয়ার বিপক্ষেও সেটার ঝলক দেখাল তারা। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপিয়ান অঞ্চলের ‘ই’ গ্রুপে জর্জিয়ার বিপক্ষে রীতিমতো গোল উৎসব করেছে একবারের চ্যাম্পিয়নরা। জিতেছে ৪-০ গোলে। এই জয়ে অপরাজিত থাকার নতুন রেকর্ড গড়ল স্পেন।

এ নিয়ে লুইস দে লা ফুয়েন্তের অধীনে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত রইল স্পেন। আগের রেকর্ডটি হয়েছিল ভিসেন্তে দেল বক্সের কোচিংয়ে। ২০১০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে টানা ২৯ ম্যাচ হারেনি ইউরোপের জায়ান্টরা। লা ফুয়েন্তের কোচিংয়ে সে রেকর্ড ভাঙল স্প্যানিশরা।

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ৫ ম্যাচের একটিতেও হারেনি স্পেন। এই ৫ ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ১৯ বার বল পাঠালেও কোনো গোল হজম করেনি দলটি। ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে তারা। এরপরও বিশ্বকাপের মূল পর্বের অপেক্ষায় আছে স্পেন।

শেষ ম্যাচে তুরস্কের বিপক্ষে ৭ গোলের কম ব্যবধানে হারলেই বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পাবে তারা। ১২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করেছে তুরস্ক। প্রথম দেখায় তাদের ৬-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছিল স্পেন। গ্রুপের রানার্সআপ দলকে প্লে অফের বাধা অতিক্রম করে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হবে।

জর্জিয়ার মাঠে স্পেনের জয়ে জোড়া গোল করেন মিকেল ওইয়ারজাবাল। একবার করে গোলের খাতায় নাম লেখান মার্টিন জুবিমেন্দি ও ফেররাস তরেস। গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সফরকারীদের। ১১ মিনিটে স্পট কিক থেকে দলকে এগিয়ে নেন ওইয়ারজাবাল। ২২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জুবিমেন্দি। ১৩ মিনিট পর স্কোরলাইন ৩-০ করেন স্পেনের বার্সা ফরোয়ার্ড তরেস। বিরতির কিছুক্ষণ পর জর্জিয়ার জালে শেষবারের মতো বল পাঠান ওইয়ারজাবাল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত