ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে, আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখানে যাওয়ার কথা না।’
শোকে কাতর হয়ে আজ শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর চৌরঙ্গীমোড় এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান। তাঁর ছেলে রেদুয়ান হোসেন সাগর (২৪) ১৯ জুলাই নগরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সাগর ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান ও রহিমা খাতুন দম্পতির বড় সন্তান তিনি। আট বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী রহিমা খাতুন। এক ছেলে সাগর ও এক মেয়ে আফিয়া তাবাসসুমকে নিয়ে চলছিল তাঁদের সংসারজীবন। হঠাৎ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঝড়ে থমকে গেছে তাঁদের জীবন।
চৌরঙ্গীমোড় গিয়ে সাগরের বাবা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার (১৭ জুলাই) সেলুনে গিয়ে সাগর চুল-দাড়ি কাটে; চুল-দাড়ি কাটার পর ছেলেটাকে বেশ ভালোই লাগছিল। আমাদের কোনো অসুস্থ আত্মীয়স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসলেই সাগরের সহযোগিতা নিত। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলেও সাগর বাসা থেকে বের হয় হাসপাতালে কাউকে ডাক্তার দেখাবে বলে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় তাকে কল দেওয়া হলে সে রিসিভ করেনি। হঠাৎ তার মোবাইল থেকে অপরিচিতজন কল করে জানায় সাগর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আছে। তাৎক্ষণিক আমার ছোট ভাই সাগরের চাচা আকরামুজ্জামান হাসপাতালে ছুটে যায়। গিয়ে দেখে সাগর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তার বুকের বাঁ এবং ডান পাশে গুলি লাগে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ওইখানকার কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ বাসায় পৌঁছে দেয়। পরদিন সকাল ১০টায় জানাজা শেষে মাদ্রাসা কোয়ার্টার কবরস্থানে দাফন করা হয় সাগরকে।’
সাগরের মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যা কপালে লেখা ছিল তাই হয়েছে; আমরা এ ঘটনায় কাউকে দায়ী করি না। পুলিশের সদস্যরা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন কোনো অভিযোগ থাকলে করার জন্য। কিন্তু আমরা কোনো অভিযোগ করতে চাই না। তবে যে আন্দোলনে আমার নিষ্পাপ ছেলেটা প্রাণ দিয়েছে তা যেন সফল হয়। আর কোনো আন্দোলনে কারও বাবা-মায়ের কোল যেন এভাবে খালি না হয়। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।’
নিহত সাগরের চাচা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সাগর জন্মের পর থেকে আমাকে বাবা বলে ডাকত। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমার কাছেই আবদার করত। আমি তাকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। কারণ সে আমাদের বংশের বড় সন্তান।’
তিনি বলেন, ‘সাগর হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও আইটিতে তার খুব দক্ষতা ছিল। সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করত। ছেলেটা আমাদের এভাবে ছেড়ে চলে যাবে বুঝতে পারিনি। বিগত এক বছর আগে তার বাবা বাসা করেছে; কত স্বপ্ন কত আশা নিয়ে। যার জন্য করেছে সেই তো আজ নেই। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিলে কে থাকবে এ বাসায়?’
তিনি বলেন, ‘সাগর কোনো রাজনীতি করত না। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে সাগরের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের পরিবারের সদস্যরা ধর্মে-কর্মে একটু বেশি বিশ্বাসী; তাই মনে করি আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে।’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সদরে সাগর নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ না করলেও বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে, আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখানে যাওয়ার কথা না।’
শোকে কাতর হয়ে আজ শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর চৌরঙ্গীমোড় এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান। তাঁর ছেলে রেদুয়ান হোসেন সাগর (২৪) ১৯ জুলাই নগরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সাগর ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান ও রহিমা খাতুন দম্পতির বড় সন্তান তিনি। আট বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী রহিমা খাতুন। এক ছেলে সাগর ও এক মেয়ে আফিয়া তাবাসসুমকে নিয়ে চলছিল তাঁদের সংসারজীবন। হঠাৎ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঝড়ে থমকে গেছে তাঁদের জীবন।
চৌরঙ্গীমোড় গিয়ে সাগরের বাবা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার (১৭ জুলাই) সেলুনে গিয়ে সাগর চুল-দাড়ি কাটে; চুল-দাড়ি কাটার পর ছেলেটাকে বেশ ভালোই লাগছিল। আমাদের কোনো অসুস্থ আত্মীয়স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসলেই সাগরের সহযোগিতা নিত। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলেও সাগর বাসা থেকে বের হয় হাসপাতালে কাউকে ডাক্তার দেখাবে বলে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় তাকে কল দেওয়া হলে সে রিসিভ করেনি। হঠাৎ তার মোবাইল থেকে অপরিচিতজন কল করে জানায় সাগর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আছে। তাৎক্ষণিক আমার ছোট ভাই সাগরের চাচা আকরামুজ্জামান হাসপাতালে ছুটে যায়। গিয়ে দেখে সাগর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তার বুকের বাঁ এবং ডান পাশে গুলি লাগে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ওইখানকার কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ বাসায় পৌঁছে দেয়। পরদিন সকাল ১০টায় জানাজা শেষে মাদ্রাসা কোয়ার্টার কবরস্থানে দাফন করা হয় সাগরকে।’
সাগরের মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যা কপালে লেখা ছিল তাই হয়েছে; আমরা এ ঘটনায় কাউকে দায়ী করি না। পুলিশের সদস্যরা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন কোনো অভিযোগ থাকলে করার জন্য। কিন্তু আমরা কোনো অভিযোগ করতে চাই না। তবে যে আন্দোলনে আমার নিষ্পাপ ছেলেটা প্রাণ দিয়েছে তা যেন সফল হয়। আর কোনো আন্দোলনে কারও বাবা-মায়ের কোল যেন এভাবে খালি না হয়। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।’
নিহত সাগরের চাচা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সাগর জন্মের পর থেকে আমাকে বাবা বলে ডাকত। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমার কাছেই আবদার করত। আমি তাকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। কারণ সে আমাদের বংশের বড় সন্তান।’
তিনি বলেন, ‘সাগর হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও আইটিতে তার খুব দক্ষতা ছিল। সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করত। ছেলেটা আমাদের এভাবে ছেড়ে চলে যাবে বুঝতে পারিনি। বিগত এক বছর আগে তার বাবা বাসা করেছে; কত স্বপ্ন কত আশা নিয়ে। যার জন্য করেছে সেই তো আজ নেই। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিলে কে থাকবে এ বাসায়?’
তিনি বলেন, ‘সাগর কোনো রাজনীতি করত না। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে সাগরের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের পরিবারের সদস্যরা ধর্মে-কর্মে একটু বেশি বিশ্বাসী; তাই মনে করি আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে।’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সদরে সাগর নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ না করলেও বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।
ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে, আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখানে যাওয়ার কথা না।’
শোকে কাতর হয়ে আজ শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর চৌরঙ্গীমোড় এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান। তাঁর ছেলে রেদুয়ান হোসেন সাগর (২৪) ১৯ জুলাই নগরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সাগর ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান ও রহিমা খাতুন দম্পতির বড় সন্তান তিনি। আট বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী রহিমা খাতুন। এক ছেলে সাগর ও এক মেয়ে আফিয়া তাবাসসুমকে নিয়ে চলছিল তাঁদের সংসারজীবন। হঠাৎ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঝড়ে থমকে গেছে তাঁদের জীবন।
চৌরঙ্গীমোড় গিয়ে সাগরের বাবা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার (১৭ জুলাই) সেলুনে গিয়ে সাগর চুল-দাড়ি কাটে; চুল-দাড়ি কাটার পর ছেলেটাকে বেশ ভালোই লাগছিল। আমাদের কোনো অসুস্থ আত্মীয়স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসলেই সাগরের সহযোগিতা নিত। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলেও সাগর বাসা থেকে বের হয় হাসপাতালে কাউকে ডাক্তার দেখাবে বলে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় তাকে কল দেওয়া হলে সে রিসিভ করেনি। হঠাৎ তার মোবাইল থেকে অপরিচিতজন কল করে জানায় সাগর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আছে। তাৎক্ষণিক আমার ছোট ভাই সাগরের চাচা আকরামুজ্জামান হাসপাতালে ছুটে যায়। গিয়ে দেখে সাগর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তার বুকের বাঁ এবং ডান পাশে গুলি লাগে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ওইখানকার কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ বাসায় পৌঁছে দেয়। পরদিন সকাল ১০টায় জানাজা শেষে মাদ্রাসা কোয়ার্টার কবরস্থানে দাফন করা হয় সাগরকে।’
সাগরের মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যা কপালে লেখা ছিল তাই হয়েছে; আমরা এ ঘটনায় কাউকে দায়ী করি না। পুলিশের সদস্যরা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন কোনো অভিযোগ থাকলে করার জন্য। কিন্তু আমরা কোনো অভিযোগ করতে চাই না। তবে যে আন্দোলনে আমার নিষ্পাপ ছেলেটা প্রাণ দিয়েছে তা যেন সফল হয়। আর কোনো আন্দোলনে কারও বাবা-মায়ের কোল যেন এভাবে খালি না হয়। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।’
নিহত সাগরের চাচা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সাগর জন্মের পর থেকে আমাকে বাবা বলে ডাকত। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমার কাছেই আবদার করত। আমি তাকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। কারণ সে আমাদের বংশের বড় সন্তান।’
তিনি বলেন, ‘সাগর হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও আইটিতে তার খুব দক্ষতা ছিল। সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করত। ছেলেটা আমাদের এভাবে ছেড়ে চলে যাবে বুঝতে পারিনি। বিগত এক বছর আগে তার বাবা বাসা করেছে; কত স্বপ্ন কত আশা নিয়ে। যার জন্য করেছে সেই তো আজ নেই। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিলে কে থাকবে এ বাসায়?’
তিনি বলেন, ‘সাগর কোনো রাজনীতি করত না। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে সাগরের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের পরিবারের সদস্যরা ধর্মে-কর্মে একটু বেশি বিশ্বাসী; তাই মনে করি আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে।’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সদরে সাগর নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ না করলেও বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে, আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখানে যাওয়ার কথা না।’
শোকে কাতর হয়ে আজ শুক্রবার কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহ নগরীর চৌরঙ্গীমোড় এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান। তাঁর ছেলে রেদুয়ান হোসেন সাগর (২৪) ১৯ জুলাই নগরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।
সাগর ফুলবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান ও রহিমা খাতুন দম্পতির বড় সন্তান তিনি। আট বছর ধরে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী রহিমা খাতুন। এক ছেলে সাগর ও এক মেয়ে আফিয়া তাবাসসুমকে নিয়ে চলছিল তাঁদের সংসারজীবন। হঠাৎ কোটা সংস্কার আন্দোলনের ঝড়ে থমকে গেছে তাঁদের জীবন।
চৌরঙ্গীমোড় গিয়ে সাগরের বাবা আসাদুজ্জামানের সঙ্গে কথা হলে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বুধবার (১৭ জুলাই) সেলুনে গিয়ে সাগর চুল-দাড়ি কাটে; চুল-দাড়ি কাটার পর ছেলেটাকে বেশ ভালোই লাগছিল। আমাদের কোনো অসুস্থ আত্মীয়স্বজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসলেই সাগরের সহযোগিতা নিত। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) বিকেলেও সাগর বাসা থেকে বের হয় হাসপাতালে কাউকে ডাক্তার দেখাবে বলে। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও বাসায় না ফেরায় তাকে কল দেওয়া হলে সে রিসিভ করেনি। হঠাৎ তার মোবাইল থেকে অপরিচিতজন কল করে জানায় সাগর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আছে। তাৎক্ষণিক আমার ছোট ভাই সাগরের চাচা আকরামুজ্জামান হাসপাতালে ছুটে যায়। গিয়ে দেখে সাগর না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে। তার বুকের বাঁ এবং ডান পাশে গুলি লাগে। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ওইখানকার কয়েকজন অ্যাম্বুলেন্স করে মরদেহ বাসায় পৌঁছে দেয়। পরদিন সকাল ১০টায় জানাজা শেষে মাদ্রাসা কোয়ার্টার কবরস্থানে দাফন করা হয় সাগরকে।’
সাগরের মৃত্যুতে কাউকে দায়ী করেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘যা কপালে লেখা ছিল তাই হয়েছে; আমরা এ ঘটনায় কাউকে দায়ী করি না। পুলিশের সদস্যরা আমাদের খোঁজখবর নিয়েছেন, তাঁরা বলেছেন কোনো অভিযোগ থাকলে করার জন্য। কিন্তু আমরা কোনো অভিযোগ করতে চাই না। তবে যে আন্দোলনে আমার নিষ্পাপ ছেলেটা প্রাণ দিয়েছে তা যেন সফল হয়। আর কোনো আন্দোলনে কারও বাবা-মায়ের কোল যেন এভাবে খালি না হয়। দেশে শান্তি ফিরে আসুক।’
নিহত সাগরের চাচা মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘সাগর জন্মের পর থেকে আমাকে বাবা বলে ডাকত। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আমার কাছেই আবদার করত। আমি তাকে সন্তানের মতো মানুষ করেছি। কারণ সে আমাদের বংশের বড় সন্তান।’
তিনি বলেন, ‘সাগর হিসাববিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করলেও আইটিতে তার খুব দক্ষতা ছিল। সব সময় ব্যতিক্রম কিছু করার চেষ্টা করত। ছেলেটা আমাদের এভাবে ছেড়ে চলে যাবে বুঝতে পারিনি। বিগত এক বছর আগে তার বাবা বাসা করেছে; কত স্বপ্ন কত আশা নিয়ে। যার জন্য করেছে সেই তো আজ নেই। মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে দিলে কে থাকবে এ বাসায়?’
তিনি বলেন, ‘সাগর কোনো রাজনীতি করত না। তবে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিবের সঙ্গে সাগরের ভালো সম্পর্ক ছিল। আমাদের পরিবারের সদস্যরা ধর্মে-কর্মে একটু বেশি বিশ্বাসী; তাই মনে করি আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে।’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সদরে সাগর নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ না করলেও বিষয়টি পুলিশ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবে।

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৮ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৪১ মিনিট আগেউত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন।
উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে শনিবার বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধনে অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখান থেকে তাঁরা জুলাই রেভেলসের অফিসে এসে বসেছিলেন।
এ বিষয়ে জুলাই রেভেলসের সহসংগঠক মো. পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) বিকেলে উত্তরার বিএনএস সেন্টারে হাদি ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করি। মানববন্ধন শেষ করে সন্ধ্যার সময় তারা চা খেয়ে অফিসে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য গিয়েছিল। অফিসটি এক রুমের। আশপাশে জনবসতি নেই।’
পারভেজ বলেন, ‘বিশ্রাম নেওয়ার সময় কিছু সন্ত্রাসী রেদওয়ান ও ইয়াসিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। আহত রেদওয়ান সংগঠনের প্রস্তাবিত সহসংগঠক এবং ইয়াসিন সদস্য।’
তিনি বলেন, ‘রেদওয়ান ও ইয়াসিনের মাথায় কুপিয়ে জখম করা হয়। প্রথমে তাদেরকে উদ্ধার করে কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এবং পরে নিকটবর্তী একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
এদিকে জুলাই যোদ্ধাদের কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে ওই বেসরকারি হাসপাতালে উত্তরা পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলমসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা উপস্থিত হয়েছেন। সেখানে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তাঁদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতে পারে। এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
তবে উত্তরা পূর্ব থানার ওসি মোর্শেদ আলম ও বিমানবন্দর জোনের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পহন চাকমার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অপরদিকে উত্তরা পূর্ব থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আশরাফুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কুপিয়ে আহতের ঘটনার কোনো তথ্য আমার জানা নেই।’

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখা
২৬ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৮ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৪১ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর-১ এলাকার মুক্তিযোদ্ধা শপিং কমপ্লেক্সের ছাদ থেকে একটি ককটেল নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। বিস্ফোরণে মার্কেটের সামনের ফুটপাতে থাকা এক দোকানি সামান্য আহত হন।
এ ছাড়া রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর-১০ এলাকার পুলিশ বক্সের কাছে আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।
শাহ আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, মিরপুরের মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের সামনে একটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ফুটপাতের এক দোকানি সামান্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মার্কেটের ওপর থেকে কেউ একজন ককটেল নিক্ষেপ করে পালিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে শান্তিনগর এলাকার পশ্চিম সিগন্যালের কাছে একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। ককটেলটি সিগন্যালের পাশে থাকা একটি বটগাছে স্থাপিত বিজ্ঞাপনের বিলবোর্ডে লেগে বিস্ফোরিত হয়। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
এ ছাড়া রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে মৌচাক ক্রসিংয়েও আরেকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনাতেও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে।

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখা
২৬ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৬ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৪১ মিনিট আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
খুলনা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৈমুর ইসলাম চার ঘণ্টা পূর্বের বক্তব্য প্রত্যাহার করেন। তিনি বলেন, এগুলো ডামি অস্ত্র। এগুলো বিএনসিসির জন্য বানানো হচ্ছিল। আর যাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছিল রাতে তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে।
এর আগে পুলিশ ঢাকঢোল পিটিয়ে বলেছিল নগরীর জোড়া গেট এলাকার একটি লেদ কারখানায় অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান এবং সেখান থেকে বিপুল অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়।
এ ছাড়া অস্ত্রগুলো সন্ত্রাসী ও বনদস্যুদের কাছে সরবরাহ করা হতো বলে জানানো হয়।
এদিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি নৌ শাখার এস এম তাফসিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চুক্তিপত্রে দেখা গেছে, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনসিসি প্লাটুনের সেনা, নৌ এবং বিমান শাখার ক্যাডেটদের যুগোপযোগী ট্রেনিংয়ের জন্য কিছুসংখ্যক অত্যাধুনিক কাঠের অস্ত্র (৫০ পিস) তৈরি করা প্রয়োজন। ওই অস্ত্রগুলো বিএনসিসির তত্ত্বাবধানে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বিএনসিসি প্লাটুন প্রাঙ্গণে তৈরি করা হবে। ওই অস্ত্রসমূহ তৈরিতে নিম্নের প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন গাজী পিকুকে দায়িত্ব দেওয়া হলো।
এর সত্যতা পাওয়ার পর পুলিশ তাদের অস্ত্র উদ্ধারের তথ্য প্রত্যাহার করে।

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখা
২৬ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৮ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামে এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
৪১ মিনিট আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় বাড়ির পাশে পড়ে থাকা ককটেল বিস্ফোরণে মিজানুর রহমান (৮) নামের এক শিশু আহত হয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশুটি চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের সুপার পাড়া এলাকার নয়ন আলীর ছেলে।
আহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ এন এম ওয়াসিম ফিরোজ। তিনি বলেন, বাড়ির পাশে আমবাগানে পরিত্যক্ত অবস্থায় ককটেলটি পড়ে ছিল। ছোট বাচ্চা বুঝতে না পেরে ককটেলে হাত দিলে বিস্ফোরণ ঘটে। তার পরিবারকে থানায় এসে মামলা দিতে বলা হয়েছে। পরিবার মামলা দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, আহত শিশু মিজানুর রহমানকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন।
শিশুটির চাচা তায়েব আলী বলেন, ‘জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আমার ভাতিজাকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছি। তার বাঁ হাতের আঙুলগুলো ঝুলে গেছে এবং ডান হাতের মাংসপেশির ভেতর কাচ ঢুকে আছে। মুখ পুড়ে গেছে এবং গলাও কেটে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

‘আমার ছেলেটা অত্যন্ত নম্র-ভদ্র ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। কারও দিকে চোখ তুলে তাকায়নি। তার এমন মৃত্যুতে কষ্ট আছে, তবে দুঃখ করি না। সবই আল্লাহর ইচ্ছা। সে দিয়েছে আবার ভালো মনে করে নিয়ে গেছে। না হলে কেন আমার ছেলে হাসপাতালের কথা বলে মিন্টু কলেজ এলাকায় গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাবে? তার তো ওখা
২৬ জুলাই ২০২৪
রাজধানীর উত্তরায় জুলাই রেভেলস নামক একটি সংগঠনের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখমের ঘটনা ঘটেছে। তাঁরা হলেন ইউসুফ আলী রেদওয়ান ও মো. ইয়াসিন। উত্তরা ৮ নম্বর সেক্টরের পাবলিক কলেজ-সংলগ্ন জুলাই রেভেলস অফিসের ভেতরে শনিবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর এ ঘটনা ঘটে। পরে তাঁদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
৬ মিনিট আগে
রাজধানীর শান্তিনগর, মৌচাক ও মিরপুরে পৃথক স্থানে চারটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে মিরপুরে ফুটপাতের এক দোকানি আহত হয়েছেন। শনিবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দুর্বৃত্তরা এসব ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৮ মিনিট আগে
খুলনা নগরীতে অস্ত্র তৈরির একটি কারখানার সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর জোড়া গেট এলাকায় অবস্থিত একটি লেদ মেশিনের কারখানায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) অভিযান চালিয়ে এর সন্ধান পায়। এ সময় তিনজনকে আটক করা হয়। এর চার ঘণ্টা পর উদ্ধার হওয়া সরঞ্জাম ডামি বলে ঘোষণা করে পুলিশ।
১০ মিনিট আগে