টঙ্গী (গাজীপুর) ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী ও ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল রোববার একই দাবিতে টঙ্গী, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা। শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় ১৫টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আজ সকালে টঙ্গীর বিসিক এলাকায় নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। সাড়ে ৯টার দিকে চাকরিচ্যুত তিন শতাধিক শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার ফটকে অবস্থান নেন। এ সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুতদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় চাকরিচ্যুত অন্তত দুজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে আন্দোলনকারীরা বাদশা মিয়াকে (২১) নামে একজনকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। অপর আহত নারী শ্রমিক নিজ বাসায় ফিরে যান। তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়নি। পরে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কারখানাগুলো হলো—টঙ্গীর বিসিক এলাকার টসি নিট ফেব্রিকস লিমিটেড, ন্যাশনাল কম্পোজিট লিমিটেড, পেট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেল লিমিটেড, বেলিসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, জিনস অ্যান্ড পোলো লিমিটেড, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, সুমি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবিএস গার্মেন্টস লিমিটেড, গার্ডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ও তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড।
চাকরিচ্যুত শ্রমিক মো. রনি বলেন, ‘আমরা কয়েক সপ্তাহ আগেও বিক্ষোভ করেছিলাম। কারখানাগুলোতে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আজ চাকরিতে থাকা শ্রমিকেরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়নি। আমরা সড়কে বসে আছি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে কোনো গার্মেন্টসে শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
সুমি অ্যাপারেলসে স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরিতে বৈষম্য নয়, একটি গোষ্ঠী পোশাকশিল্পে অরাজকতা তৈরি করতে কিছু বিচ্ছিন্ন শ্রমিকদের একত্রিত করে উসকে দিচ্ছে। আজ কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এভাবে অযৌক্তিক আন্দোলন চলতে থাকলে আমাদের বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’ আন্দোলনে পুলিশ কোনো ভূমিকা পালন করছে না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, চাকরিতে বৈষম্য ও পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের দাবি জানিয়ে কয়েক শ চাকরিচ্যুত শ্রমিক ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালায়।
অপর দিকে একই সময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ করেন জিএবি (গিল্ডান) নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। ঢাকা ইপিজেডের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকেরা। বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরাও বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বাইপাইল–আবদুল্লাহপুর সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ডিইপিজেডের সামনে বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
এ ঘটনায় গিল্ডান কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে আমাদের (গিল্ডান বাংলাদেশ) সব কারখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এর অল্প দূরে পার্ল গার্মেন্টস কারখানার ফটকে আজ সবেতন ছুটির নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিএবি (গিল্ডান) কারখানার এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের ১১টি দাবি আছে, এগুলো মানতে হবে। দাবির মধ্যে রয়েছে—যারা আন্দোলন করছে তাদের যেন চাকরিচ্যুত করা না হয়, যারা চাকরি করছে তাদের অন্তত ১০ বছরের চাকরির নিশ্চয়তা, হাজিরা বোনাস ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা করতে হবে, প্রমোশনের ক্ষেত্রে চাকরির বয়স কমপক্ষে তিন বছর ও যোগ্যতা অনুসারে হতে হবে।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ–১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাসসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ডিইপিজেডের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ৩৫–৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে।’

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী ও ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল রোববার একই দাবিতে টঙ্গী, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা। শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় ১৫টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আজ সকালে টঙ্গীর বিসিক এলাকায় নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। সাড়ে ৯টার দিকে চাকরিচ্যুত তিন শতাধিক শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার ফটকে অবস্থান নেন। এ সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুতদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় চাকরিচ্যুত অন্তত দুজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে আন্দোলনকারীরা বাদশা মিয়াকে (২১) নামে একজনকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। অপর আহত নারী শ্রমিক নিজ বাসায় ফিরে যান। তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়নি। পরে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কারখানাগুলো হলো—টঙ্গীর বিসিক এলাকার টসি নিট ফেব্রিকস লিমিটেড, ন্যাশনাল কম্পোজিট লিমিটেড, পেট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেল লিমিটেড, বেলিসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, জিনস অ্যান্ড পোলো লিমিটেড, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, সুমি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবিএস গার্মেন্টস লিমিটেড, গার্ডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ও তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড।
চাকরিচ্যুত শ্রমিক মো. রনি বলেন, ‘আমরা কয়েক সপ্তাহ আগেও বিক্ষোভ করেছিলাম। কারখানাগুলোতে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আজ চাকরিতে থাকা শ্রমিকেরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়নি। আমরা সড়কে বসে আছি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে কোনো গার্মেন্টসে শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
সুমি অ্যাপারেলসে স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরিতে বৈষম্য নয়, একটি গোষ্ঠী পোশাকশিল্পে অরাজকতা তৈরি করতে কিছু বিচ্ছিন্ন শ্রমিকদের একত্রিত করে উসকে দিচ্ছে। আজ কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এভাবে অযৌক্তিক আন্দোলন চলতে থাকলে আমাদের বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’ আন্দোলনে পুলিশ কোনো ভূমিকা পালন করছে না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, চাকরিতে বৈষম্য ও পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের দাবি জানিয়ে কয়েক শ চাকরিচ্যুত শ্রমিক ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালায়।
অপর দিকে একই সময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ করেন জিএবি (গিল্ডান) নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। ঢাকা ইপিজেডের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকেরা। বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরাও বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বাইপাইল–আবদুল্লাহপুর সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ডিইপিজেডের সামনে বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
এ ঘটনায় গিল্ডান কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে আমাদের (গিল্ডান বাংলাদেশ) সব কারখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এর অল্প দূরে পার্ল গার্মেন্টস কারখানার ফটকে আজ সবেতন ছুটির নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিএবি (গিল্ডান) কারখানার এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের ১১টি দাবি আছে, এগুলো মানতে হবে। দাবির মধ্যে রয়েছে—যারা আন্দোলন করছে তাদের যেন চাকরিচ্যুত করা না হয়, যারা চাকরি করছে তাদের অন্তত ১০ বছরের চাকরির নিশ্চয়তা, হাজিরা বোনাস ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা করতে হবে, প্রমোশনের ক্ষেত্রে চাকরির বয়স কমপক্ষে তিন বছর ও যোগ্যতা অনুসারে হতে হবে।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ–১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাসসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ডিইপিজেডের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ৩৫–৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে।’
টঙ্গী (গাজীপুর) ও সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী ও ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল রোববার একই দাবিতে টঙ্গী, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা। শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় ১৫টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আজ সকালে টঙ্গীর বিসিক এলাকায় নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। সাড়ে ৯টার দিকে চাকরিচ্যুত তিন শতাধিক শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার ফটকে অবস্থান নেন। এ সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুতদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় চাকরিচ্যুত অন্তত দুজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে আন্দোলনকারীরা বাদশা মিয়াকে (২১) নামে একজনকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। অপর আহত নারী শ্রমিক নিজ বাসায় ফিরে যান। তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়নি। পরে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কারখানাগুলো হলো—টঙ্গীর বিসিক এলাকার টসি নিট ফেব্রিকস লিমিটেড, ন্যাশনাল কম্পোজিট লিমিটেড, পেট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেল লিমিটেড, বেলিসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, জিনস অ্যান্ড পোলো লিমিটেড, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, সুমি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবিএস গার্মেন্টস লিমিটেড, গার্ডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ও তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড।
চাকরিচ্যুত শ্রমিক মো. রনি বলেন, ‘আমরা কয়েক সপ্তাহ আগেও বিক্ষোভ করেছিলাম। কারখানাগুলোতে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আজ চাকরিতে থাকা শ্রমিকেরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়নি। আমরা সড়কে বসে আছি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে কোনো গার্মেন্টসে শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
সুমি অ্যাপারেলসে স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরিতে বৈষম্য নয়, একটি গোষ্ঠী পোশাকশিল্পে অরাজকতা তৈরি করতে কিছু বিচ্ছিন্ন শ্রমিকদের একত্রিত করে উসকে দিচ্ছে। আজ কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এভাবে অযৌক্তিক আন্দোলন চলতে থাকলে আমাদের বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’ আন্দোলনে পুলিশ কোনো ভূমিকা পালন করছে না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, চাকরিতে বৈষম্য ও পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের দাবি জানিয়ে কয়েক শ চাকরিচ্যুত শ্রমিক ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালায়।
অপর দিকে একই সময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ করেন জিএবি (গিল্ডান) নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। ঢাকা ইপিজেডের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকেরা। বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরাও বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বাইপাইল–আবদুল্লাহপুর সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ডিইপিজেডের সামনে বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
এ ঘটনায় গিল্ডান কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে আমাদের (গিল্ডান বাংলাদেশ) সব কারখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এর অল্প দূরে পার্ল গার্মেন্টস কারখানার ফটকে আজ সবেতন ছুটির নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিএবি (গিল্ডান) কারখানার এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের ১১টি দাবি আছে, এগুলো মানতে হবে। দাবির মধ্যে রয়েছে—যারা আন্দোলন করছে তাদের যেন চাকরিচ্যুত করা না হয়, যারা চাকরি করছে তাদের অন্তত ১০ বছরের চাকরির নিশ্চয়তা, হাজিরা বোনাস ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা করতে হবে, প্রমোশনের ক্ষেত্রে চাকরির বয়স কমপক্ষে তিন বছর ও যোগ্যতা অনুসারে হতে হবে।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ–১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাসসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ডিইপিজেডের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ৩৫–৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে।’

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী ও ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গতকাল রোববার একই দাবিতে টঙ্গী, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকেরা। শ্রমিক আন্দোলনের মুখে প্রায় ১৫টি পোশাক কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
আজ সকালে টঙ্গীর বিসিক এলাকায় নিজ নিজ কারখানায় কাজে যোগ দেন শ্রমিকেরা। সাড়ে ৯টার দিকে চাকরিচ্যুত তিন শতাধিক শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার ফটকে অবস্থান নেন। এ সময় কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুতদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় চাকরিচ্যুত অন্তত দুজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পরে আন্দোলনকারীরা বাদশা মিয়াকে (২১) নামে একজনকে উদ্ধার করে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। অপর আহত নারী শ্রমিক নিজ বাসায় ফিরে যান। তাঁর নাম–পরিচয় জানা যায়নি। পরে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা করলে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
কারখানাগুলো হলো—টঙ্গীর বিসিক এলাকার টসি নিট ফেব্রিকস লিমিটেড, ন্যাশনাল কম্পোজিট লিমিটেড, পেট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেল লিমিটেড, বেলিসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, জিনস অ্যান্ড পোলো লিমিটেড, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, সুমি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবিএস গার্মেন্টস লিমিটেড, গার্ডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ও তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড।
চাকরিচ্যুত শ্রমিক মো. রনি বলেন, ‘আমরা কয়েক সপ্তাহ আগেও বিক্ষোভ করেছিলাম। কারখানাগুলোতে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। আজ চাকরিতে থাকা শ্রমিকেরা আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়নি। আমরা সড়কে বসে আছি। আমাদের দাবি না মেনে নিলে কোনো গার্মেন্টসে শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না।’
সুমি অ্যাপারেলসে স্বত্বাধিকারী রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চাকরিতে বৈষম্য নয়, একটি গোষ্ঠী পোশাকশিল্পে অরাজকতা তৈরি করতে কিছু বিচ্ছিন্ন শ্রমিকদের একত্রিত করে উসকে দিচ্ছে। আজ কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এভাবে অযৌক্তিক আন্দোলন চলতে থাকলে আমাদের বড় ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।’ আন্দোলনে পুলিশ কোনো ভূমিকা পালন করছে না বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, চাকরিতে বৈষম্য ও পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকারের দাবি জানিয়ে কয়েক শ চাকরিচ্যুত শ্রমিক ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালায়।
অপর দিকে একই সময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভ করেন জিএবি (গিল্ডান) নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা। ঢাকা ইপিজেডের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকেরা। বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়কের নরসিংহপুর এলাকায় কয়েকটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরাও বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের বুঝিয়ে বাইপাইল–আবদুল্লাহপুর সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। কিন্তু ডিইপিজেডের সামনে বিকেল পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে।
এ ঘটনায় গিল্ডান কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে নোটিশ টানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে আমাদের (গিল্ডান বাংলাদেশ) সব কারখানা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এর অল্প দূরে পার্ল গার্মেন্টস কারখানার ফটকে আজ সবেতন ছুটির নোটিশ টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জিএবি (গিল্ডান) কারখানার এক শ্রমিক বলেন, ‘আমরা যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। আমাদের ১১টি দাবি আছে, এগুলো মানতে হবে। দাবির মধ্যে রয়েছে—যারা আন্দোলন করছে তাদের যেন চাকরিচ্যুত করা না হয়, যারা চাকরি করছে তাদের অন্তত ১০ বছরের চাকরির নিশ্চয়তা, হাজিরা বোনাস ৩০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা করতে হবে, প্রমোশনের ক্ষেত্রে চাকরির বয়স কমপক্ষে তিন বছর ও যোগ্যতা অনুসারে হতে হবে।
এ বিষয়ে শিল্প পুলিশ–১–এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকেরা ছাঁটাই বন্ধ, হাজিরা বোনাসসহ নানা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। ডিইপিজেডের সামনে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ করে সড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত ৩৫–৪০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৬ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৭ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী ও ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৬ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৭ মিনিট আগেরাজবাড়ী প্রতিনিধি

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী ও ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৬ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৭ মিনিট আগেবীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী ও ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে।
৩৭ মিনিট আগেকেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

কেরানীগঞ্জের আগানগর এলাকায় জাবালে নূর টাওয়ারে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ১০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিট টানা চেষ্টা চালালেও আগুনের তীব্রতা কমেনি বরং দিক পরিবর্তন করে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের দোকানে। তবে এখন পর্যন্ত আগুনে দগ্ধ বা হতাহতের খবর মেলেনি।
আজ শনিবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে মার্কেটের নিচতলায় থাকা কাপড়ের ঝুট গোডাউন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন পুরো মার্কেটজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ফায়ার সার্ভিসের প্রথমে ১৪টি এবং পরে আরও ৬টিসহ মোট ২০টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
বেসমেন্ট দোকান ও ঝুট গোডাউন থাকায় এবং ঘন ধোঁয়ার কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এখনো ধোঁয়া রয়েছে এবং কোথাও কোথাও আগুনের ফ্লেম দেখা যাচ্ছে। আগুন যাতে পাশের ভবনে ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
দোকানমালিকেরা বলছেন, ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাঁদের ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়ায় ক্ষতির পরিমাণ পরিমাণ বেড়েছে। ভবনটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক দোকান রয়েছে। তাঁদের দাবি, আগুনে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনের ভেতরে আটকা পড়া ৪২ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা যায়নি।
এ বিষয়ে কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওমর ফারুক জানান, ১০ তলা ভবনটির ৮ তলা পর্যন্ত আবাসিক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটির মালিক হাজী নুর আলম। ভবন নির্মাণ ও ব্যবহারে নিয়ম মানা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক অপারেশন লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ধোঁয়ার কারণে কাজ করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো একযোগে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধসহ বিভিন্ন দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আজ সোমবার গাজীপুরের টঙ্গী ও ঢাকার আশুলিয়ায় বিক্ষোভ করেছেন পোশাকশ্রমিকেরা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কারখানা ভাঙচুরের চেষ্টা চালান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৫০টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
৩ মিনিট আগে
দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
২৫ মিনিট আগে
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।
৩৬ মিনিট আগে