Ajker Patrika

ঘোষণা দিয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

কুড়িগ্রাম ও ফুলবাড়ী প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০: ১০
ঘোষণা দিয়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ

হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক কিশোরীর (১৭) সঙ্গে ৩৫ বছর বয়সী মুসলিম যুবকের অসম প্রেম। সেই প্রেমের সম্পর্কের জেরে যুবক কিশোরীকে তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। শেষ পর্যন্ত যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েটিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

গতকাল বুধবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত যুবক, তাঁর ভাই ও বোনের বিরুদ্ধে ‘অপহরণের’ অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ফুলবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান মামলা নথিভুক্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত যুবকের নাম আলিনুর রহমান (৩৫)। তিনি কাশিপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ অন্তপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী একই গ্রামের বাসিন্দা ও স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।

মামলার এজাহারে কিশোরীর বাবা উল্লেখ করেছেন, আসামি আলিনুর তাঁর দশম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে স্কুল যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখানোসহ নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতেন। বিষয়টি কিশোরী তার পরিবারকে জানালে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক করে অভিযুক্ত আলিনুরকে সতর্ক করে এসব কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলা হয়। এ নিয়ে আলিনুর ও তাঁর পরিবারের লোকজন কিশোরীর পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। সম্প্রতি আসামিরা ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে মুসলিম করার ঘোষণাসংবলিত একটি কাগজ মেয়েটির বাড়ির সামনের জামগাছে সাঁটিয়ে দেয়। এই পরিস্থিতিতে ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে আলিনুরসহ অন্য আসামিদের সহায়তায় ওই কিশোরীকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে বুধবার রাতে আসামি আলিনুরের বাড়িতে গিয়ে মেয়ের খোঁজ করে তাঁকে ফেরত চাইলে পরিবারের লোকজন কিশোরীর বাবাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

ঘটনার অনুসন্ধানে যা জানা গেল
কিশোরী ‘অপহরণ’ হওয়ার খবরে নড়েচড়ে বসে থানা-পুলিশ। ঘটনার অনুসন্ধানে নামে স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ হিন্দুধর্মীয় নেতৃবৃন্দ। উভয় পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আলিনুরের বাড়ি থেকে কিশোরীর বাড়ির দূরত্ব প্রায় এক কিলোমিটার। আলিনুরের বাড়ির পথ ধরেই প্রতিদিন স্কুলে যায় ওই কিশোরী। এই সুযোগে আলিনুর তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। বয়স ও ধর্মের বিবেচনায় অসম এই প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে কিশোরীর পরিবারের অনুরোধে সালিস বৈঠক হয়। দেড় মাস আগে হওয়া সেই সালিসে আলিনুরকে সতর্ক করে দেন স্থানীয় মাতবররা। কিছুদিন সংযত থাকেন আলিনুর।

সালিসের কয়েক দিনের মধ্যে আলিনুরকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়। মাস ঘুরতে না ঘুরতে সেই সংসার ভেঙে যায়। পরিবার সতর্ক থাকায় আলিনুর ও কিশোরী কৌশলে পরস্পর যোগাযোগ অব্যাহত রাখেন। যদিও আলিনুরের পরিবারের দাবি, কিশোরীর অব্যাহত চাপে স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন আলিনুর।

এমন দাবি করে আলিনুরের মা আনোয়ারা বলেন, ‘প্রেমের সম্পর্ক প্রকাশ হলে সালিস হয়। আলিনুরকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তাঁকে পেটানো হয়। এরপর তাঁকে আমরা বিয়ে দিই। কিন্তু ওই হিন্দু মেয়ে আমার ছেলেকে তালাকের জন্য চাপ দিতে তাকে। বউ না ছাড়লে ছেলের ঘরে এসে গলায় ফাঁস দেওয়ার হুমকি দেয়। ছেলে বউ ছাড়ে। এরপর এই ঘটনা ঘটল।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছালেক বলেন, ‘দেড় মাস আগে সালিস করে ছেলেকে শাসন করা হয়েছিল। এরপর বুধবার বিকেলে মেয়েকে নিয়ে চলে যায়।’ 

কিশোরীকে তুলে নিয়ে মুসলিম করার ঘোষণা
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে কিশোরীর বাড়ির সামনে একটি জামগাছে কাগজে লেখা একটি ঘোষণাপত্র সাঁটানো দেখতে পান স্থানীয়রা। তাতে লেখা ছিল, ‘৭ দিনের মধ্যে এই বাড়ির মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে, মেয়েকে মুসলমান করা হবে।’ এ ঘটনায় আতঙ্ক প্রকাশ করে স্থানীয় বাসিন্দা রজিত চন্দ্র অজ্ঞাত ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে ওই জিডি নিয়ে তেমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। 

স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবি, পুলিশ ওই জিডির বিষয় তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না।

ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, ‘গাছে হুমকির চিঠি দেখে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। হুমকিদাতা তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করল। মেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে। মামলা করেছি। আমার মেয়েকে অক্ষত অবস্থায় ফেরত চাই।’

অ্যাফিডেভিট করে ধর্মান্তরিত হয়েছে কিশোরী
এদিকে ১২ সেপ্টেম্বর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে অ্যাফিডেভিট করে ওই কিশোরী ধর্মান্তরিত হয়েছেন বলে জানা গেছে। অ্যাফিডেভিটের একটি কপি এই প্রতিবেদকের কাছে এসেছে। ধর্মান্তরিত হয়ে তার নতুন নাম এখন সাজেদা খাতুন। অ্যাফিডেভিটে স্বাক্ষরকারী কুড়িগ্রামের আইনজীবী সোহেল রানা বাবুর সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

স্থানীয়রা যা বলছেন
আলিনুরের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি স্থানীয়দেরও জানা। তবে বয়সের দূরত্ব ও ধর্মীয় পার্থক্যের কারণে তাতে কারও সমর্থন ছিল না। 

ওই গ্রামের বাসিন্দা পুষ্পবালা (৬০) বলেন, ‘উভয়ের মধ্যে একটি বোঝাপড়া ছিল। না থাকলে দুজনে চলে যাইতে পারে না।’

কিশোরীর প্রতিবেশী উত্তম রায় বলেন, ‘মেয়ের ইচ্ছাতেই ছেলে তাকে নিয়ে গেছে।’

গ্রাম পুলিশ অনিল চন্দ্র বলেন, ‘ছেলের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ধরা পড়ার পর প্রায় এক–দেড়শ লোকের উপস্থিতিতে সালিস হয়। তখন থেকে তাদের প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি সবার জানা।’ 

বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনিল চন্দ্র রায় বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে স্থানীয়দের কাছে ওই যুবকের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি জানাতে পারি। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিসও হয়েছিল। তবে মেয়ের পরিবার প্রেমের সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পরিবারের নিষেধ থাকার পরও অপ্রাপ্তবয়স্ক স্কুলছাত্রীকে এভাবে নিয়ে যাওয়া আইনসম্মত হয়নি। আমি আইনি বিহিত দাবি করছি।’

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নওয়াবুর রহমান বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের সত্যতা পাওয়া গেছে। মেয়ের বাবার এজাহারের ভিত্তিতে মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তার ও কিশোরীকে উদ্ধারে পুলিশি চেষ্টা চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষে আহত কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছবি: আজকের পত্রিকা

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে সুন্নতে খতনা অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের খাঞ্জাপুর ও ধোপাকান্দি গ্রামের সংযোগস্থল ব্রিজের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ধোপাকান্দি গ্রামের লিটন শেখ (৩০), হিরন শেখ (২৮), আবুল হাসান শেখ (৫০), মিজানুর শেখ (৫৫) এবং খাঞ্জাপুর গ্রামের সাইফুল মোল্লা (৪৪), মাহাবুব মোল্লা (১৭) মুকসুদপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার রাতে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ধোপাকান্দি গ্রামের ইনান শেখের ছেলে আবুল আসাদ শেখের (৭) সুন্নতে খতনার গায়েহলুদের অনুষ্ঠান চলছিল। এই সময় পার্শ্ববর্তী খাঞ্জাপুর গ্রামের এক কিশোর মোবাইল ফোনে অনুষ্ঠানের ভিডিওধারণ করতে গেলে ইনান শেখের বাড়ির লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা-কাটাকাটি হয়।

আজ সকালে ইনান শেখের বাড়ির লোকজন স্থানীয় উজানী বাজারে এলে খাঞ্জাপুর গ্রামের লোকজনের সঙ্গে সেই ঘটনার জেরে প্রথমে কথা-কাটাকাটি হয় এবং পরে ধোপাকান্দি ও খাঞ্জাপুর গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীর ঢামেকে মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মেহেদী হাসান ওরফে গাউস (৩০) নামের এক বন্দীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কারারক্ষীরা তাঁকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক জানান, কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কারারক্ষীরা অচেতন অবস্থায় ওই বন্দীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এরপর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মেহেদী হাসান বাড্ডা থানায় করা মাদক মামলায় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার মরানপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মো. মোস্তফা ফরাজী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পদ্মায় ড্রেজিং চলায় দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

পদ্মায় ড্রেজিং কার্যক্রম চলায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার ৭ নম্বর ফেরিঘাট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। আজ শনিবার সকাল থেকে ফেরিঘাটটি বন্ধ রাখা হয় বলে জানান বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন।

বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুন ইনচার্জ হুমায়ন কবির বলেন, ‘আজ সকাল ৯টা থেকে ৭ নম্বর ফেরিঘাটে ড্রেজিং হচ্ছে, সে কারণে বন্ধ রয়েছে এ ঘাট। কখন এ ঘাটটি সচল হবে, সেটা বলতে পারছি না।’

দৌলতদিয়া ঘাট কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন বলেন, নদীর তলদেশে অতিরিক্ত পলি জমে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। যাত্রী ও যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ড্রেজিং কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ড্রেজিং কার্যক্রম শেষ হলে আবার ফেরিঘাটটি সচল হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে ছোট-বড় মিলে মোট ১২টি ফেরি চলাচল করছে। দৌলতদিয়া প্রান্তে ৩ ও ৪ নম্বর ঘাট দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিজ ঘরে রক্তাক্ত লাশ

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা
নিহতের বাড়িতে পুলিশ ও স্থানীয়রা। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বীরগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে দানিউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তির রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। আজ শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার আরজি চৌপুকুরিয়া জিন্দাপীর মেলাসংলগ্ন এলাকার বাড়িতে লাশটি পাওয়া যায়।

সরেজমিন জানা যায়, দানিউল নিয়ে পরিবার নিয়ে দিনাজপুর শহরে বসবাস করেন। তিনি গ্রামের বাড়িতে এসে সপ্তাহে দু-এক দিন রাত্রি যাপন করেন। কাজের লোক রফিকুল ইসলাম ও নূরজাহান বেগম বাড়ি এবং দানিউলের দেখাশোনা করেন। শনিবার বেলা ১০টার দিকে রফিকুল বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে না পেয়ে দানিউলের স্বজনদের জানান। তাঁরা এসে শয়নকক্ষের বিছানায় রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

বীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধারের কার্যক্রম চলছে। ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হবে। মৃত্যুর রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি

জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি থেকে পাঁচবার বহিষ্কৃত আখতারুজ্জামান

ব্রিটেনে নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে কোটি মুসলিম, বেশির ভাগই বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তানের

মা-বাবাকে নির্যাতন, ছেলেকে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখল প্রতিবেশীরা

আজকের রাশিফল: চায়ের বিল না দেওয়া বন্ধুদের সাহায্য করুন, সন্ধ্যার দিকে ভালো খবর

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত